চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ৬ মামলায় ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় কল্লোলের নেতৃত্বে উপজেলার ভাইটকান্দি বাজার এলাকায় বুধবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ওজনে কম দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ওজন পরিমাপ ও মানদণ্ড আইন- ২০১৮ মোতাবেক ৬টি মামলায় মোট ৫৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় কল্লোলের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বিএসটিআই -এর পরিদর্শক খেলা রানী কর, ফুলপুর থানা পুলিশের সদস্যবৃন্দসহ প্রমুখ। অমিত রায় বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সবসময় পাশে ছিলেন বলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাফল্যলাভ সহজ হয়েছে। শুধু ছাত্রজীবন নয়, রাজনৈতিক জীবনেও বঙ্গমাতা সবসময় বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী হিসেবে ছিলেন।
তিনি বলেন, আমার বাবার সাফল্য যদি আপনারা দেখেন, সেই ছাত্রজীবন থেকে মা পাশে থাকাতে তার (বঙ্গবন্ধু) জীবন কিন্তু সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওঠে।
আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গমাতা শুধু নিজের সংসারই চালাতেন না, হাতে যা টাকা-পয়সা আসতো তাও বাবার রাজনীতির জন্য তাকে দিয়ে দিতেন।
জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু লেখেন— ‘আব্বা-আম্মা ছাড়াও সবসময় রেণু (বঙ্গমাতা) আমাকে কিছু টাকা পয়সা দিয়েছে। রেণু যা কিছু জোগাড় করতো বাড়ি গেলে এবং দরকার হলেই আমাকে দিত, কোনোদিন আপত্তি করেনি। নিজে মোটেই খরচ করতো না, গ্রামের বাড়িতে থাকতো। আমার জন্য সব রাখতো।’
এভাবে তিনি আমার বাবার পাশে থেকে তাকে সবরকমের সহযোগিতা দিয়েছেন উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন বিএ পরীক্ষা দেন, কলকাতায় তখন দাঙ্গা হচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু দাঙ্গা দমনে ঝাঁপিয়ে পড়েন, কিন্তু সে সময় বঙ্গমাতা চলে আসেন বঙ্গবন্ধুর লেখাপড়ায় সহযোগিতা করার জন্য।’
অনেক আত্মীয়-স্বজন সে সময়ে কলকাতায় থাকতেন উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমার মায়ের ধারণা হয়েছিল, তিনি যদি বঙ্গবন্ধুর পাশে থাকেন বাবা লেখাপড়া করবেন এবং পাস করবেন, যা করেছিলেনও তিনি। এটাও জাতির পিতা তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার বাবার সাফল্য যদি আপনারা দেখেন সেই ছাত্রজীবন থেকে মা পাশে থাকাতে তাঁর জীবন কিন্তু সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওঠে। শুধু ছাত্র জীবন থেকে নয় রাজনৈতিক জীবনে তিনি সবসময় আমার বাবার পাশে ছিলেন।’
‘বঙ্গমাতা জাতির পিতাকে বলতেন— রাজনীতি করো আমার আপত্তি নেই, কিন্তু পড়াশোনা করতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার দাদাও বলেছিলেন— যে কাজই করো তোমাকে পড়াশোনা করতে হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বাবা টানা দুই বছর কখনও জেলের বাইরে না থাকলেও মা সবসময় ঘর-সংসার সামাল দিতেন এবং কখনও হতাশ হননি।’
প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৬ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা এবং জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানসহ জাতির বিভিন্ন সন্ধিক্ষণে বঙ্গমাতার ঐতিহাসিক সময়োচিত পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা লাভের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা এদিন অনুষ্ঠানে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ চার বিশিষ্ট নারী ও জাতীয় নারী ফুটবল দলের মধ্যে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২৩’ প্রদান করেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আটটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর সর্বোচ্চ পাঁচ জন নারীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
খেলাধুলার ক্ষেত্রে সাফ ফুটবল-২০২২ এ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন জাতীয় নারী ফুটবল দল ছাড়াও আরও চার নারী এই পদক লাভ করেন। তারা হলেন- রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (মরণোত্তর), শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় নাসিমা জামান ববি ও অনিমা মুক্তি গোমেজ এবং গবেষণায় ডা. সেঁজুতি সাহা (মলিকুলার বায়োলজিস্ট)।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটি।
গতকাল শুক্রবার ঢাকায় মন্ত্রীর বাসভবনে তাঁকে এই শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়া, এ্যাডহক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট নারী নেত্রী এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সেক্রেটারী মোহনা টেলিভিশন ও দৈনিক মুক্তখবর পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহাজাদা, সদস্য প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও, এম. এ. এইচ মাহাবুব আলম, এম সাইদুজ্জামান আরিফ, রবিউল হোসেন রুবেল, এডভোকেট ইফতেখার বারী তানভীর, মোঃ নাজির হোসেন ভূঁইয়া ও খন্দকার রায়হান।
ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদানকালে নব নির্বাচিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাঁর সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে মন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের পর্যটনে নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ১৪.০৬ শতাংশ। এ সংখ্যা বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে বাংলাদেশ ফেস্টের তৃতীয় দিনে আয়োজিত ‘পর্যটন শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা জানান।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সহ-সভাপতি ও সায়মন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফসিয়া জান্নাত সালেহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডক্টর সন্তোষ কুমার দেব।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, ডানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জারা জাবিন মাহবুব, শেয়ার ট্রিপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া হক, গ্রিন টিভির নির্বাহী সম্পাদক নাদিরা কিরণ, আটাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মেয়েদের সাহস করে আগাতে হয়। এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে আরও নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন। যত বেশি পর্যটনে নারীর সম্পৃক্ততা বাড়বে ততো বেশি বিদেশি পর্যটক আসবে। গাইড হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
সেমিনারে আটাবের সহ-সভাপতি ও সায়মন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফসিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরিতে এ খাতের সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে। নারীদের বেশি সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনে বিদেশ পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নারী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে কাজ করতে হবে। তাহলেই সম্ভব পর্যটন শিল্পের সত্যিকার অর্থে বিকাশ।
আটাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, কারও ওপর ভরসা করে নয়, পর্যটনশিল্পে নারীকে নিজের যোগ্যতা দিয়েই এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক সিনিয়র সচিব নাছিমা বেগম বলেন, পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে হলে ট্যুরিজম বোর্ডকে শক্তিশালী করতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওসি হিসেবে পদায়নের জন্য ২২ দফা নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) পক্ষ থেকে পুলিশের সব ইউনিটে চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আর্থিক অনিয়ম বা নৈতিক স্খলনজনিত কারণে কোনো পরিদর্শক (নিরস্ত্র) পুরো চাকরিজীবনে একটি গুরুদণ্ড পেলেও তিনি ওসি হিসেবে পদায়নের অযোগ্য বিবেচিত হবেন। কোনো কর্মকর্তা একবার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে তাকে একই থানায় দ্বিতীয়বার ওসি করা যাবে না।
২২ দফা নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি হিসেবে ফিটলিস্টভুক্ত হওয়ার জন্য পরিদর্শক (নিরস্ত্র) পদে ন্যূনতম তিন বছর চাকরি করতে হবে। ফিটলিস্টভুক্ত কর্মকর্তাকে তাঁর নিজের এবং স্ত্রী বা স্বামীর জেলা বাদে অন্য জেলায় ওসি হিসেবে পদায়ন করা যাবে। তবে ৫৪ বছরের বেশি বয়সী কোনো পরিদর্শককে ওসি করা যাবে না।
পদায়নের ক্ষেত্রে এইচএসসি/সমমান বা তদূর্ধ্ব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরিদর্শকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পরিদর্শক পদে দুই বা ততোধিক দণ্ড এবং পুরো চাকরিকালে তিন বা ততোধিক গুরুদণ্ডপ্রাপ্ত হলে ওসি হিসেবে পদায়নের অযোগ্য হবেন।
এ ছাড়া কোনো থানায় ওসি হিসেবে পদায়নের আগের এক বছরের মধ্যে লঘুদণ্ড বা দুই বছরের মধ্যে গুরুদণ্ডপ্রাপ্ত হলে তাকেও থানায় পদায়ন করা যাবে না। থানায় ফিটলিস্টভুক্ত একাধিক পরিদর্শক থাকলে জ্যেষ্ঠতমকে প্রযোজ্য শর্তাবলি পূরণ সাপেক্ষে ওসি হিসেবে পদায়ন করা হবে।
নীতিমালায় রয়েছে, পরিদর্শক (তদন্ত/অপারেশনস্) পদে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাকে ধারাবাহিকভাবে একই থানার ওসি করা যাবে না।
তবে অন্য কোনো থানা/ইউনিটে ন্যূনতম ছয় মাস চাকরি করার পর তাকে পদায়ন করা যাবে। কোনো কর্মকর্তা একবার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে তাকে একই থানায় দ্বিতীয়বার ওসি করা যাবে না। ওসি হিসেবে দুই বছর চাকরির পর অন্যত্র বদলি করা যাবে। এক্ষেত্রে একই থানায় ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ তিন বছর চাকরির সুযোগ থাকবে। কোনো থানার ওসিকে ১৮ মাসের আগে অন্যত্র বদলির প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজি/পুলিশ কমিশনাররা নিজ অধিক্ষেত্রের মধ্যে বদলি, প্রত্যাহার বা সংযুক্ত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে পুলিশ সদরদপ্তরের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হবে না।
এদিকে ওসি হিসেবে সর্বোচ্চ চারটি থানা বা ছয় বছর দায়িত্ব পালন করলে (যেটি আগে ঘটে) পরবর্তীতে তিনি আর ওসি হিসেবে পদায়নের জন্য বিবেচিত হবেন না। একটি থানার কর্মকাল গণনায় ন্যূনতম ছয় মাস ধারাবাহিকভাবে চাকরি করতে হবে। তবে কোনো অভিযোগ/বিচ্যুতির প্রমাণসহ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ছয় মাসের আগে প্রত্যাহার হলে ওই থানা গণনার জন্য বিবেচিত হবে। সর্বশেষ কর্মস্থল/জেলা পুলিশ/ ইউনিটে ওসি হিসেবে পদায়ন বা বদলি করা যাবে না। ওসি পদায়নের লক্ষ্যে ফিস্টলিস্টভুক্ত হওয়ার পর ‘পুলিশ স্টেশন ম্যানেজমেন্ট কোর্স (পিএসএমসি)’ সম্পন্ন করতে হবে। কোনো কর্মকর্তাকে ওসি হিসেবে পদায়নের ক্ষেত্রে তার প্রশিক্ষণের ফলাফল মূল্যায়ন করা হবে। পিইটিতে উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত প্রয়োজন নেই, তবে ফিটলিস্ট করার ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের শারীরিক সক্ষমতার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। ওসি পদায়নের ক্ষেত্রে বিগত পাঁচ বছরের এসিআর-এ গড়ে ন্যূনতম ৮০ নম্বর থাকতে হবে। তবে বিগত তিন বছরের এসিআর-এ কোনো ‘বিরূপ মন্তব্য’ থাকলে ওসি হিসেবে পদায়নের অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, ওসি পদে ফিটলিস্ট প্রণয়নের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার বিষয়ে পিএএল-এর নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। ফিটলিস্টভুক্ত কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে ওসি হিসেবে পদায়ন করা হবে। ওসি হিসেবে পদায়নের জন্য পরিদর্শক পদে গ্রুপ-৩ এর যে কোনো ইউনিট বা গ্রুপ-৪ এর ৬ থেকে ১০ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত ইউনিটে ন্যূনতম ১ বছর চাকরি করতে হবে।
গ্রুপ-১ এ রয়েছে, ডিএমপি, সিএমপি, কেএমপি, আরএমপি, বিএমপি, এসএমপি, জিএমপি, আরপিএমপি ও রেলওয়ে পুলিশ।
গ্রুপ-২ এ রয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট রেঞ্জ।
গ্রুপ-৩ এ রয়েছে, বিপিএ, পিএসসি, পিটিসি টাঙ্গাইল, পিটিস খুলনা, পিটিসি নোয়াখালী, পিটিসি রংপুর, টিডিএস, এএসটিসি, আইএসটি, প্রশিক্ষণ, এপিবিএন, র্যাব ও এসপিবিএন।
গ্রুপ-৪ এ ছয় থেকে ১০ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে, আইপি, এমআরটি, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌ পুলিশ।
ফিটলিস্টভুক্ত পরিদর্শককে গ্রুপ-১ বা ২ এর যে কোনো একটির ইউনিটের সর্বোচ্চ তিনটি থানায় ওসি হিসেবে পদায়ন করা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ মার্চ। এছাড়া মৃত্যুজনিত কারণে একই দিন কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এই দুই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোটগ্রহণ।
আনিছুর রহমান বলেন, এবারও ৫ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এপ্রিলে প্রথম ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা আছে।