স্পোর্টস ডেস্ক :
প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে নাগালে পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৯৫ রানে আটকেও জিততে পারেনি স্বাগতিকরা। টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে অবশ্য ভুল করেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ভারতের নারী দলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে নিগার সুলতানারা।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। সুলতানা-রাবেয়াদের বোলিং তোপে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১০২ রান।
দলটির হয়ে তিনে নামা জেমিমাহ রদ্রিগুয়েজ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন। চারে নামা হারমনপ্রীত কাউর আউট হন দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলে।
জবাব দিতে নেমে ১৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে ওপেনার শামীমা সুলতানা ও নিগার সুলতানার ব্যাটিংয়ে। অধিনায়ক নিগার ১৪ রান করে আউট হন।
অন্য প্রান্তে ছিলেন ওপেনার শামীমা সুলতানা। তিনি ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন দলের ৮৫ রানে। তার ব্যাট থেকে ৪৬ বলে আসে ৪২ রানের ইনিংস। তিনটি চারের শটে ওই রান করেন তিনি। বাকি পথটা ঋতু মনি ও নাহিদা আক্তার পাড়ি দেন। ঋতু ৭ রান ও নাহিদা খেলেন ১২ রানের হার না মানা ইনিংস।
এর আগে বাংলাদেশ দলের হয়ে সুলতানা খাতুন ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। রাবেয়া খান ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। এছাড়া নাহিদা, ফাহিমা ও স্বর্ণা একটি করে উইকেট নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রিয়েলবোটিক্স সম্প্রতি উন্মোচন করেছে এক অভিনব রোবট সঙ্গী। এটি একজন নিঃসঙ্গ মানুষের জীবনের সঙ্গী হবে, প্রেমিকারও প্রয়োজন মেটাবে! মার্কিন সংস্থাটির দাবি, রেগে গেলে প্রেমিকা ঠিক যেমন আচরণ করে, রোবট গার্লফ্রেন্ড আরিয়াও তেমনই করবে।
আরও পড়ুন
অভিষেকের আগে শি জিনপিংকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোন
এমনকি মন খারাপে সে আপনার কথা শুনবে, দেবে সমস্যার সমাধান। এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের অবদান রোবটদের আগের তুলনায় আরো মানবিক করে তুলছে। অর্থাৎ, আরিয়া সব কিছু বুঝতে পারে। আপনার সঙ্গে একেবারে গার্লফ্রেন্ডের মতোই আচরণ করবে।
ভালোবাসা, কথা, গান এবং কখনও কখনও অভিমানও করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবটটির ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত রয়েছে ১৭টি মোটর। যা আরিয়ার মুখ এবং চোখের নড়াচড়া, অন্যান্য অঙ্গভঙ্গি হুবহু মানুষের মতো করতে সহায়তা করছে। আরিয়াকে প্রথম দেখা গেছে গত সপ্তাহে লাস ভেগাসে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স শো ২০২৫-এ। তার দাম ধরা হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা (১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার)।
আরও পড়ুন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি
রিয়েল বোটিক্সের সিইও অ্যান্ড্রু কিগুয়েল জানান, তার কোম্পানির লক্ষ্য এমন রোবট তৈরি করা, যা মানুষের কাছ থেকে প্রায় আলাদা করা যাবে না। একই সাথে তা পুরুষদের একাকিত্ব দূর করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা রোবট নির্মাণে এক অনন্য স্তরে পৌঁছেছি। এটা মানুষের রোমান্টিক সঙ্গী হতে পারে, আপনার কথা মনে রাখবে এবং বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের মতো আচরণ করবে।’
সূত্র : এনডিটিভি
স্পোর্টস ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ও শাহদাত দিপুর ব্যাটে কিছুটা বিপর্যয় এড়ালেও দ্বিতীয় সেশনে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে নড়বড়ে অবস্থায় থেকে চা পান বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। তবে দলীয় ২৯ রানের মাথায় মিচেল স্যান্টনারের বলে তুলে মারতে গিয়ে উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েন জাকির। এতে ভাঙে ওপেনিং এই জুটি। ২৪ বলে ৮ রান আসে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে। এরপরের ওভারেই এজাজ প্যাটেলের বলে লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়। ৪০ বলে ১৪ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর উইকেটে থিতু হতে পারেনি মমিনুলও। নিজের নামের পাশে ৫ রান যোগ করতেই এজাজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেরেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ন শান্ত। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডবিøউ হন তিনি।
১৪ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন তিনি। ফলে দ্রæত চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পরা টাইগারদের পঞ্চম উইকেটে চাপ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং শাহাদাত হোসেন দিপুর ব্যাটে।৪ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
এ দুজন মিলে গড়েন ৫৭ রানের এক জুটি। তবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হাত দিয়ে বল আটকিয়ে মিস্টার ডিপেন্ডেবল সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। ৪১তম ওভারের চতুর্থ বলটি ডিফেন্ড করেন মুশফিক। বল মাটিতে লাফিয়েছিল। অফস্টাম্পের ধারেকাছেও ছিল না বল। কিন্তু কী মনে করে যেন ডান হাত দিয়ে বল ঠেকালেন বাংলাদেশি ব্যাটার। এতে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন।
মুশফিকুর রহিম ও শাহদাত দিপুর ব্যাটে কিছুটা বিপর্যয় এড়ায় টাইগাররা। ৪ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে দলীয় ১০৪ রানে ৮৩ বলে ৩৫ রান করে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিক। এতে পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রানের জুটি ভাঙে টাইগারদের। এরপর দিপুও ফেরেন ব্যক্তিগত ৩১ রানেই। পরে নুরুল হাসান সোহান এবং মেহেদী মিরাজরাও দলের হাল ধরতে পারেননি আজ। ফলে চা বিরতিতে যাওয়ার আগে আরও চার উইকেট হারায় টাইগাররা।
১৪৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে চা বিরতি থেকে ফেরার পর শেষ সেশনের ব্যাটিংয়ে নেমে নাইম হোসেন কিছুটা আশার আলো দেখালেও অপরপ্রান্তে সঙ্গীর অভাবে ইনিংস এগিয়ে নিতে পারেননি। ফলে প্রথম দিনেই ১৭২ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। কিউইদের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার এবং ফিলিপস।
অনলাইন ডেস্ক :
বাঁচামরার ম্যাচ। এশিয়া কাপে টিকে থাকতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ রবিবার জিততেই হবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া এই ম্যাচেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করলো টাইগাররা।
মেহেদি হাসান মিরাজ আর নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিততে হলে আফগানিস্তানকে করতে হবে ৩৩৫।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য সহায় ছিল সাকিব আল হাসানের। প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওপেনিংয়ে চমক। নাইম শেখের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৪৭ বলে জুটিতে ফিফটি পূরণ করেন এই দুজন। ১০ ওভারে হয় ৬০ রানের জুটি। নাইম শেখকে বোল্ড করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। নাইম ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে করেন ২৮ রান।
পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর বদলে তিন নম্বরে নামেন তাওহিদ হৃদয়। সুবিধা করতে পারেননি। নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয় (০)। তার উইকেটটি নেন গুলবাদিন নাইব।
এরপর মিরাজ-শান্তর রূপকথার ব্যাটিং। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ১৯৪ রান। ৬৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন মিরাজ। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকিকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেন শান্ত।
আফগান বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছেন মিরাজ আর নাজমুল হোসেন শান্ত। ওপেনিংয়ে নেমে মিরাজ করেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ১১৫ বলে। এরপর শান্তও ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার।
তার আগেই অবশ্য উঠে গেছেন মিরাজ। শান্তর সঙ্গে জুটিতে ১৯৪ যোগ করে রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংসে মিরাজ ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকান ৩টি ছক্কা।
মিরাজ উঠে যাওয়ার পরপরই সেঞ্চুরি পূরণ করেন শান্ত। ১০১ বলে শতরান ছুঁয়েছেন এই বাঁহাতি। শান্তর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি এটি। তার দুর্দান্ত ইনিংসটি সমাপ্তি হয়েছে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে।
এক রান নিতে গিয়ে মাঝপথে চলে গিয়েছিলেন শান্ত। ফেরার সুযোগ পাননি। পা পিছলে পড়ে যান মাঝ পিচে। ১০৫ বলে শান্তর ১০৪ রানের ইনিংসটি ছিল ৯ চার আর ২ ছক্কায় সাজানো।
এছাড়া মুশফিক ১৫ বলে ২৫, সাকিব শেষদিকে নেমে ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ আর শামীম পাটোয়ারী ৬ বলে করেন ১১ রান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের তৃণমূল ফুটবলের অত্যন্ত পরিচিত এক নাম মোঃ শাহাদাত হোসেন। এক ফুটবল পাগল ও ফুটবল সংগঠক। দেশের ফুটবলের নানা ক্ষেত্রে রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। বিশেষ করে মতিঝিল পাড়ায় বলতে গেলে তাকে এক নামে সবাই চেনে। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও তিনি দেশের ফুটবল সমর্থকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক।
শাহাদাত জানান, ভালোবাসি ফুটবল, ভালোবাসি দেশকে ভালোবাসি নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে। তিনি আরো বলেন, এক সময় আমাদের জাতীয় পর্যায়ে ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি ক্লাব অংশগ্রহন করেছে। সিলেটের বিয়ানীবাজার, কক্সবাজারের কক্সসিটি, নায়ারণগঞ্জের শুকতারা, চট্টগ্রামের আবাহনী-মোহামেডান ছাড়াও আরো বেশ কিছু ক্লাব জাতীয় পর্যায়ে খেলার কারনে উক্ত জেলা ও জেলার ফুটবলের সার্বিক পরিচিতি লাভ করেছিলো। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে আমাদের আশাবাদ হলো এটির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দেশের গন্ডি পেরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নামকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই।
শাহাদাত বলেন, আমার বিশ্বাস ও আস্থা আছে যে, যদি আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকজন এটাকে ভালোভাবে গ্রহন করে আপন করে নিতে পারে তাহলে একদিন এটিই হতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পরিচিতির জন্য অন্যতম মুখপাত্র। আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে। ফুটবলের এ প্রয়াসের মাধ্যমে আমার ইচ্ছা ও আকাংক্ষা এই যে এর মাধ্যমে আমি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নামকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই যেমনি ভাবে আজকে রিয়াল-বার্সাকে সবাই এক নামেই চিনে।
২০১৭ সালে ঢাকা পাইওনিয়ার ফুটবল লিগে প্রথমবারের মতো এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশগ্রহণ করে। এরপর ২০১৯ সালের ওই আসরে অংশ নিয়ে দলটি তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। চলতি ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে অংশ নিয়েছে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এছাড়াও নারী ফুটবল লিগে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ফুটবল দল ২০২১ সালে তৃতীয় এবং ২০২২ সালে দশম স্থান অর্জন করে।
শাহাদাত নিজের ক্লাবের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা জানান, মূলত আমি এবং আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার হাতেগোনা কিছু ফুটবল পাগলদের নিয়ে কোনরকমে দলটি পরিচালনা করে আসছি। আমার নিজের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নামে দলটি হলেও তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পাচ্ছি না। গুটিকয়েক ব্যক্তি এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাত্র একজন ব্যক্তির বদ্যানতায় দলটি পরিচালনা করছি। শাহাদাত আরও বলেন, আমার একান্ত চাওয়া-দলটি বাংলাদেশের ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত হোক। এ লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি, এজন্যই সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমাদের দলটির বিষয়ে যদি দেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে সুন্দরভাবে তুলে ধরা যেত, তাহলে আশা করি অনেকেই এগিয়ে আসতো।
শাহাদাতের জন্ম ও বেড়ে উঠা দুটিই ঢাকাতে হওয়ায় এবং রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় দলটি পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর্থিক সংকটে ভুগছে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শাহাদাতের ভাষ্য একটি ক্লাব দল পরিচালনার জন্য যে ধরনের কাঠামো দরকার তা আমাদের ক্লাবের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। আর্থিক সীমাবদ্ধতাও একটি বড় বিষয়।
ক্লাবের ঘাটতির বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করেন শাহাদাত, দল পরিচালনার ক্ষেত্রে সব সিদ্ধান্ত আমাকে একাই নিতে হচ্ছে। আমাদের কমিটির বেশকিছু সদস্য দেশের বাইরে অবস্থান করেন এবং জেলাভিত্তিক দল হওয়ায় অনেকেই জেলাতে বসবাস করেন। তাদেরকে আমরা ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি মাত্র। আর বাকি যারা ঢাকায় রয়েছেন তাদের নিয়ে চেষ্টা করছি দলটি পরিচালনা করতে। হাতে গোনা কয়েকজন বাদে তেমন কেউই আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে না।
যদি বিত্তবান কোন ক্রীড়াপ্রেমী থাকেন, তাহলে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন, এটাই শাহাদাতের প্রত্যাশা।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা টেস্টে আফগানিস্তানকে ৬৬২ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। পাহাড়সম এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান সংগ্রহ করে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে আফগানিস্তান। জয়ের জন্য এখনো ৬১৭ রান প্রয়োজন আফগানদের। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮ উইকেট।
পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হন ইব্রাহিম জাদরান। পরের ওভারে তাসকিন আহমেদের পঞ্চম বলে আরেক ওপেনার আব্দুল মালিক ধরা পড়েন লিটন দাসের গ্লাভসে। ৫ রান করেন তিনি। ৭ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে সাবধানী খেলতে থাকে আফগানরা।
এরপর আফগানদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহিদির মাঠ ছাড়া। তাসকিন আহমেদের বাউন্সার সরাসরি তার হেলমেটে লাগে। হাশমতউল্লাহ পড়ে যান সঙ্গে সঙ্গেই। দৌড়ে ছুটে আসেন আফগান দলের ফিজিও। একপর্যায়ে স্ট্রেচারও ডাকেন আফগান ফিজিও। তবে সেটির প্রয়োজন পড়েনি। উঠে দাঁড়িয়ে হেঁটেই মাঠ ছাড়েন শাহিদি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও দাপুটে সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল শান্ত। দুই বছরের বেশি সময় পরে টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুমিনুল হক। এছাড়া জাকির হাসান ও লিটন দাসের ফিফটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। লিড নিয়েছে ৬৬২ রানের।
তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নামা নাজমুল শান্ত ১৫১ বলে ১২৪ রানে আউট হন। ১৫টি চার মেরেছেন তিনি। এর আগে জাকির হাসান ৭১ রান করেছেন। পরে মুমিনুল হক সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন। লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে হার না মানা ৬৬ রানের ইনিংস।
ঢাকা টেস্টে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথমদিন ৫ উইকেটে ৩৬২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয়দিন মাত্র ২০ রান যোগ করেই অলআউট হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে বল হাতে স্বাগতিকরা ছিল দুর্দান্ত। মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট করে দেয় আফগানদের। প্রথম ইনিংস থেকে ২৩৬ রানের লিড ঘরে তোলে।
প্রথম ইনিংসে নাজমুল শান্ত খেলেন ১৪৬ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজান ২৩টি চার ও দুটি ছক্কার শটে। এছাড়া মাহমুদুল জয় ৭৬ রান করেন। মুশফিক ও মেহেদি মিরাজ যথাক্রমে ৪৭ ও ৪৮ রান যোগ করেন।
জবাবে দেড়শ’ রানের আগে অলআউট হওয়া আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন মিডল অর্ডারের আফসার জাজাই। পাঁচে নামা নাসির জামালের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। এছাড়া করিম জানাত ২৩ রানের ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে পাঁচ উইকেট তুলে নেন পেসার নিজাত মাসুদ। অভিষেক টেস্টে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি। বাংলাদেশ দলের হয়ে পেসার এবাদত হোসেন চার উইকেট তুলে নেন। দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদি মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।