চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সংবিধান মেনে চলি। তার কারণ হচ্ছে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে এই সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। সেই সংবিধান মেনেই নির্বাচন করব। যারা সংবিধান মানে না তারা নিজেদেরকে বাংলাদেশের নাগরিক বলাটা সঠিক হবে না।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা অনেক কথাই বলতে পারে।
এর আগে তিনি আখাউড়া ষ্টেশনে উপস্থিত নেতাকমীর্দের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন এক উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিত হয়েছে। আমরা শেখ হাসিনার পলিকল্পনা অনুয়ায়ী তাঁর নেতৃত্বে কাজ করব এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে সকাল সাড়ে ১০টায় আখাউড়া এসে পৌঁছেন।
এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল’সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ সহ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি সড়ক পথে নিজ উপজেলা কসবার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তিনি বিকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টানমান্দাইল গ্রামে ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তখনকার কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পাশাপাশি এ অনুষ্ঠানে ওই বছরের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার প্রণীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠ করা হয়। এদিন থেকে স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে।
দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধানমন্ত্রী মুজিবনগর দিবসকে ‘বাঙালি জাতির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন’ উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, শহীদ মোহাম্মদ মনসুর আলী ও শহীদ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে। শ্রদ্ধা জানাই মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ অকুতোভয় বীর শহীদের স্মৃতির প্রতি এবং দুই লাখ সম্ভ্রমহারা নির্যাতিত মা-বোনের প্রতি।’
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে সরকারের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। সকাল ৯টায় মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে এবং মুজিবনগরের আম্রকাননে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউটস, গার্লস গাইড ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী কর্তৃক গার্ড অব অনার প্রদান এবং বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ৩৪ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি অটোরিক্সা জব্দ করা হয়েছে।
আজ ১৩ মার্চ বুধবার দুপুরের দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম। এর আগে একই দিনে সকাল ৭টার দিকে পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে আখাউড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়া এলাকার বাইপাস পাকা সড়কের উপর থেকে ৩৪কেজি গাঁজাসহ মাদক বহন কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়। এসময় পুলিশের সংকেত পেয়ে সিএনজি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায় চালক ও মাদক ব্যবসায়ীরা।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম জানান, পুলিশ চেকপোষ্টে থামানোর সংকেত দিলে সিএনজি চালক সিএনজি ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সিএনজি তল্লাশী করে ২টি প্লাস্টিকের বস্তায় ৩৪ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। মাদক বিরোধী এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা। এই সরকারে ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৬ জন উপদেষ্টা রাখা হয়েছে।
আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা হলেন :
১. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ২. ড. আসিফ নজরুল, ৩. আদিলুর রহমান খান, ৪. হাসান আরিফ, ৫. তৌহিদ হোসেন, ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ৭. মো. নাহিদ ইসলাম, ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, ১০. সুপ্রদিপ চাকমা, ১১. ফরিদা আখতার, ১২. বিধান রঞ্জন রায়, ১৩. আ ফ ম খালিদ হাসান, ১৪. নূরজাহান বেগম, ১৫. শারমিন মুরশিদ ও ১৬. ফারুকী আযম।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় এবং একই দিন দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, ইরান, আর্জেন্টিনা, ফিলিস্তিন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেদারল্যান্ডসসহ আরো কিছু দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত আছেন।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে আছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, খাইরুল কবীর খোকন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, তাবিথ আউয়াল ও মিজানুর রহমান মিনু।
বামপন্থি দলের নেতাদের মধ্যে আছেন মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রুহিন হোসেন প্রিন্স ও জোনায়েদ সাকি। এ ছাড়াও আছেন কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না ও নূরুল হক নূর।
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানও আছেন।
তবে আওয়ামী লীগের কাউকে দেখা যায়নি। অনুষ্ঠানে প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের সচিবও উপস্থিত আছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে পবিত্র মক্কায় ওমরাহ শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত তিন বাংলাদেশির পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সন্তান, নাতি-নাতনিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বৃদ্ধা মা আলেয়া বেগম। শুধু অবাক চোখে চেয়ে রয়েছেন ছেলে, নাতি-নাতনির ছবির দিকে; আর তার দুই চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি।
সরেজমিনে আজ ৬ আগস্ট রবিবার নিহত মোবারক হোসেনের শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলীর বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, সন্তান, নাতি-নাতনিকে হারিয়ে বৃদ্ধা আলেয়া বেগমের শুধু চোখ বেয়ে পানি ঝড়ছে। অসুস্থ আলেয়া বেগম কোনো কথাই বলতে পারছেন না। মোবাইলে ছেলে, নাতি নাতনিদের ছবির দিকে চেয়ে আছেন। এ ছাড়া বড় ভাইকে হারিয়ে ভাই-বোনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।
সৌদি আরবে পবিত্র মক্কায় ওমরাহ পালন শেষে দাম্মামে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে আরবের আল-কাসিম এলাকায় ৫ আগষ্ট বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিন বাংলাদেশি মারা যান। নিহতরা হলেন মোবারক হোসেন (৪৮), তার ছেলে তানজিল আব্দুল্লাহ মাহি (১৫) ও মেয়ে মাহিয়া (১৩)। মাহি ওই দেশের নবম শ্রেণিতে ও মাহিয়া সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো।
একই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন মোবারক হোসেনের স্ত্রী শিখা আক্তার (৪০) ও বড় মেয়ে মিথিলা ফারজানা মীম (১৯)। উচ্চ শিক্ষার জন্য চলতি মাসের ২৩ তারিখ মীমের কানাডা যাওয়ার কথা ছিল। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলিতে ২০০৬ সাল থেকে বসবাস করে আসছেন শেখ মোহাম্মদ আলী। তিনি ৫ ছেলে ও ৩ মেয়ের জনক। ভাই বোনদের মধ্যে দ্বিতীয় মোবারক হোসেন।
পরিবার সূত্রে আরও জানা যায়, মোবারক হোসেন দারিদ্রতা ঘুচাতে বিশ বছর আগে পাড়ী জমান সৌদি আরবে। এরপর দুই ভাইকে নিয়েছেন সৌদি এবং এক ভাইকে পাঠিয়েছেন দুবাইয়ে। মোবারক হোসেন স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে বসবাস করতেন। সেখানে তার কার রিপেয়ার শপ (গাড়ী মেরামতের দোকান) রয়েছে।
মোবারক হোসেনের ছোট ভাই জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, ৬ মাস আগে বড়ভাই ও তার স্ত্রী সন্তান দেশে এসে কিছুদিন থেকে পুনরায় সৌদি চলে যান। ভাইয়ের বড় মেয়ে মিথিলা ফারজানা মীমের ২৩ আগস্ট উচ্চ শিক্ষার জন্য কানাডায় যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে স্ত্রী, ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে ওমরাহ করতে যান তিনি। ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মোবারক হোসেনের বাবা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার মোবারকের জন্যই আজ আমাদের অবস্থার উন্নতি। কি করলে আমরা একটু ভালো থাকবো, সব সময় ওর মাথায় এই চিন্তাই থাকতো। বলতো আব্বা আপনি কোনো চিন্তা করবেন না, যখন যা লাগবে আমাকে জানাবেন। আমার কোনো কিছুই চাওয়া লাগতো না ওর কাছে।
তিনি বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর আমার ছেলের শ্যালক সৌদি চলে গেছেন। আমার ছেলে, নাতি-নাতনিদের মরদেহ দেশে আনার কথা বলেছি। ওদের এক নজর শেষ দেখা দেখতে চাই। সরকার যেন আমার ছেলে ও নাতিদের মরহেদ দেশে আনার ব্যবস্থা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
এক থেকে দুই মিনিট। এর মধ্যে তালা ভেঙে একটি মোটরসাইকেল চুরি করতো। সেটিকে গ্যারেজে এনে ইঞ্জিন-চেচিস নম্বর ১০ মিনিটে পরিবর্তন করতো। পরিবর্তন করতো রঙও। তারপর ক্রেতার কাছে সেকেন্ড হ্যান্ড বলে বিক্রি করতো। কখনো কখনো মোটর সাইকেলের যন্ত্রাংশ আলাদা করে বিক্রি করতো। এমন একটি চক্রকে আটক করেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পুলিশ। একটি মোটর সাইকেল চুরির সূত্র ধরে এই সাতটি মোটরসাইকেলসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো দুই চোর পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলাসার গ্রামের মো. সাদ্দাম হোসেন (৩২) ও বিষ্ণপুর গ্রামের মো. ফরহাদ হোসাইন (২৬)। পলাতক আসামিরা হলেন বিষ্ণপুর গ্রামের মো. সোহেল (৩০) ও ঝিকড্ডা গ্রামের শাহ আলম (৩২)।
আজ বুধবার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ৯ অক্টোবর চৌদ্দগ্রাম থানায় মোটরসাইকেল চুরির একটি অভিযোগ পেয়ে ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী লাটিমি রাস্তার মাথা থেকে সাদ্দামকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যমতে ১০ অক্টোবর রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঝিকড্ডা গ্রামের শাহ আলমের গ্যারেজে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় শাহ আলম ও সোহেল পালিয়ে যায়। সাদ্দাম ও ফরহাদকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটর সাইকেল চুরি করে একটি গ্যারেজে রাখতেন। সেখান থেকে ইঞ্জিন ও চেচিস নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রি করতেন। যারা পালিয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারলে আরো অনেক চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) নাজমুল হাসান, চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ও চৌদ্দগ্রামের ওসি ত্রিনাথ সাহা তন্ময়।