চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারের রোগমুক্তি কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বিকালে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াছেল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আবু হোরায়রাহ, ফসিউর রহমান হাছান, আওলাদ হোসেন খান, রোস্তম আলী ভূঁইয়া, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট (অবঃ) মোঃ তাজুল ইসলাম, আফছারুন নবী মোবারক, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ প্রমুখ।
দোয়া পরিচালনা করেন মাওঃ মোঃ আব্দুল্লাহ্।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী ও কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা দেওয়া হবে। আজ ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে এ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রথম ডোজের এইচভিপি টিকাদান কর্মসূচি। কিশোরী ও মাতৃমৃত্যু ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
সকালে সাবেরা সোবাহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জয়নাল আবেদীন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার গোপা পাল, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মো. শামছুল হাছান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বদিউজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দিন পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ১৪৭৮ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার নয়টি উপজেলা ও পৌরসভার ২৪৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ণরত এক লাখ ৯১ হাজার ২০৬ জন পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে একটি করে ডোজ দেওয়া হবে। পরবর্তীতে ৩০৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যালয় বহির্ভুত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি ১১ হাজার ২২৮ জন কিশোরীকে টিকা দেওয়া হবে।
সূত্রটি আরো জানায়, টিকার জন্য অনলাইন জন্মনিবন্ধন দিয়ে নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে নিজের বিদ্যালয়ের নাম খোঁজে পাওয়া না গেলে, নিকটস্থ বিদ্যালয়ের নামে অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে। টিকাকার্ড প্রিন্ট করে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভবনের দুতলার সানসেটে এক সপ্তাহ ধরে আটকে ছিল একটি বিড়াল। অবশেষে দমকল বাহিনীর সদস্যরা সেটিকে উদ্ধার করে।
আজ ৮ মে সোমবার সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই বাড়ির বাসিন্দারা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিড়াল ডাকার শব্দ পাচ্ছিলেন। রাত হলেই তারা শব্দ পেতেন। রবিবার রাতে বিড়াল ডাকার শব্দ শোনার পর সকালে বিড়ালটিকে খোঁজা শুরু করেন। অবশেষে ছাদে গিয়ে নিচের দিকে তাকাতে দেখেন দুতলার জানালার সানসেটের ওপর বিড়ালটি বসে আছে। কোনোদিকে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছিল না। পরে দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে উদ্ধার করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দমকল বাহিনীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আব্দুস সামাদ বলেন, সকালে বিড়াল আটকে আছে বলে আমাদের খবর দেওয়া হয়। বিড়ালটি জানালার সানসেটে আটকে পড়ায় কোনোদিকে যাওয়ার মতো রাস্তা ছিল না। তাই গত এক সপ্তাহ ধরে বিড়ালটি সেখানে আটকে ছিল। অবশেষে আমরা উদ্ধার করি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার ভাদুঘর ফাটাপুকুর পাড় সংলগ্ন পালকি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত কাঠের ১টি রামদা এবং ৩টি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলার খুশু মিয়া প্রকাশ খুরশিদ মিয়ার ছেলে এনাতুল ওরফে এনাদুল ওরফে এনামুল ওরফে ইমন (৩৩), পৌর এলাকার দক্ষিণ মৌড়াইলের আবদুর রকিবের ছেলে মোঃ রুবেল ওরফে রাজ্জাক (৩৪) এবং পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডা মিন্দালী পাড়ার শহিদ মিয়ার ছেলে মোঃ শরীফ (২৯)।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার মজলিশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব কমরেড শাহরিয়ার মোঃ ফিরোজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। শোকবার্তায় তিনি প্রয়াত শাহরিয়ার মোঃ ফিরোজকে একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হিসাবে আখ্যায়িত করে তাঁর মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে মর্মে উল্লেখ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলমান বন্যায় ৪ উপজেলার ৮৬০টি পুকুরের অন্তত ৭৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আখাউড়া উপজেলার খামারিসহ মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পুকুর, দিঘি ও খামারের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৮। এগুলোর মোট আয়তন ৬২১ হেক্টর। এসব জলাশয়ে প্রায় ৫০০ ব্যবসায়ী মাছ চাষ করেন। আর চাষির সংখ্যা ২ হাজার ১০৭। বন্যায় ১২১ দশমিক ৮৬ হেক্টর আয়তনের ৪৩০টি দিঘি, খামার ও পুকুরের সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা মূল্যের মোট ৪৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। আর ১ কোটি ১৫ লাখ পোনা পানিতে ভেসে গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের খামারি বলেন, ‘বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা সামলে ওঠা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। বন্যার পানিতে পাঁচ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করব, বুঝতে পারছি না।’
বন্যার পানিতে প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ার দাবি করেছেন কর্ণেল বাজারের বাসিন্দা বাছির মিয়া। তিনি বলেন, পুকুরে মাছ মাত্র বড় হয়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করতেন। কিন্তু বন্যার পানিতে সব মাছ ভেসে দেড় কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া বলেন, ‘পানি কমলেও আমার পুকুরে আর মাছ নেই। যা মাছ ছিল সব পানিতে ভেসে গেছে। প্রায় এক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।’
এ বিষয়ে ক্ষয়ক্ষতি-সংক্রান্ত প্রাথমিক একটি তালিকা করেছে আখাউড়া উপজেলার মৎস্য কার্যালয়।
আখাউড়া উপজেলার মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারিদের ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
এদিকে কসবা উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বন্যার পানিতে ২০০ পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। এগুলোর আয়তন ৩৮ হেক্টর। ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ ও ১০ লাখ টাকার পোনা পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় জানিয়েছে, সদর উপজেলায় ৬০ হেক্টর আয়তনের ১৪৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ১২ লাখ পোনা ও ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অবকাঠামো ভেঙে যাওয়াসহ বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ায় মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলায় ১১ হেক্টর আয়তনের ৮৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ পোনা ও ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে যাওয়ায় মোট ৫৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, বন্যার পানিতে ৮৬০টি পুকুর প্লাবিত হয়ে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। খামারি ও ব্যবসায়ী মিলিয়ে ৮৬০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
২০ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ইমিগ্রেশন-সংলগ্ন খাল দিয়ে ভারতে থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে শুরু করে। এরপর আখাউড়া উপজেলাসহ পর্যায়ক্রমে কসবা উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়।