চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বিকালে নাসিরনগর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমি সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি। ১৯৯১ইং সালে প্রথমে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রাপ্ত হই। পরবর্তীতে উপজেলা বিএনপির একক আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা কালীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে নাসিরনগরের তৎকালীন জাতীয় পার্টির সম্মানিত এমপি সৈয়দ মোর্শেদ কামাল সাহেব হাজার হাজার নেতাকর্মী সহ বিএনপিতে যোগদান করেছিলেন। আমি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিগত ১৫ ডিসেম্বর ২০০৪ইং সালে জনাব এসএকে একরামুজ্জামান বিএনপিতে যোগদান করেন। আমি উভয় নেতার দলে যোগদানকে সমর্থন করায় দল আজ বৃহৎ সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আমি সবসময় দলকে কুক্ষিগত না করে বড় করার চেষ্ঠা করেছি। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দল-মত এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপনাদের সর্বাত্বক সহযোগিতা কামনা করি । আশা করি আগামী নির্বাচনে দল আমার কাজের মুল্যয়ন করবেন। এমপি হতে পারলে সবাইকে নিয়ে অবহেলিত জনপদটি উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মীর মোস্তফা জালাল, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এম এ মঈন, উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক সদস্য জুয়েল রানা, মোঃ হাফিজ, জেলা কৃষকদলের সদস্য মিন্টু মিয়া, উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব শাহ আলম পাঠান, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাঈম মিয়া, সানাউল হক, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, ছাত্রদল নেতা ইশতিয়াক আহমেদ তপু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রোমা আক্তার ও সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মো. শের আলম জয়লাভ করেছে।
আজ ৮ মে বুধবার রাত ১০টার দিকে জেলা পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোমা আক্তার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শের আলম সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নাসিরনগরে এই প্রথমবারের মতো কোনো নারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন। সরাইলে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিক উদ্দিন ঠাকুর ধরাশায়ী হয়েছেন।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ি, বেসরকারিভাবে নির্বাচিত রোমা আক্তার পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯০০ এক ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক বিএনপি নেতা ওমরাও খান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ ভোট। এদিকে সরাইলে ৩৯ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে শের আলম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর পেয়েছেন ২৮ হাজার ৯৪৪ ভোট।
বুধবার সুষ্ঠু পরিবেশে ওই দুই উপজেলাতে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। মূলত ধান কাটার মৌসুমের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয় বলে অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে নিখোঁজ হওয়ার ২০ঘণ্টা পর শিশু সুমাইয়া আক্তারের (৮) মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। আজ ৬ মে শনিবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুনিয়াউক গ্রামের এক নম্বর ওয়ার্ডে ঘরের ছাদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সুমাইয়া ওই এলাকার মৃত আছমত আলীর মেয়ে।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লা সরকার।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৫ মে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সুমাইয়া। আত্মীয়-স্বজনসহ আশপাশের বাড়ি-ঘরে খোঁজাখুঁজির পর সুমাইয়াকে না পেয়ে গ্রামের মাইকে নিখোঁজের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও তার নিখোঁজের বিষয়টি প্রচার করা হয়।
আজ শনিবার সকালে নিহতের বাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত দোকানের ছাদে আম পাড়তে যায় স্থানীয় অন্য এক শিশু। তখন সুমাইয়ার মরদেহ ছাদের ওপর পড়ে থাকতে দেখে সে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গুনিয়াউক গ্রামের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মালেক মিয়া বলেন, সুমাইয়ার বাবা নেই। তার মা হোসনা বেগম নিজ বাড়িতে দোকান ঘর দিয়ে ব্যবসা করে পরিবার চালান। মায়ের দোকান ঘরের ছাদ থেকে আম পাড়তে যায় শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে। এরপর থেকে সে নিখোঁজ। আজ শনিবার সকালে তার লাশ দোকানের ছাদ থেকে নামানো হয়েছে।
নাসিরনগর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, জানতে পেরেছি নিজ বাড়ির ছাদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সুমাইয়া নামে এক শিশু মারা গেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর :
নাসিরনগরে অসহায়, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১১ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের দৌলতপুর নতুন বাজার মাঠে ” সূর্যতরুণ সমাজ কল্যাণ সংস্থা” (সূসকস) এর উদ্যোগে প্রায় ২ শতাধিক শীতার্ত পরিবারের মাঝে এই শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়। সূর্যতরুণ সমাজ কল্যাণ সংস্থা (সূসকস) এর প্রতিষ্ঠাতা ও মাতৃছায়া ইসলামী একাডেমি এর পরিচালক বাবুল মিয়ার সঞ্চালনায় ও ধরমন্ডল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. ফিরোজ মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সূর্যতরুণ সমাজ কল্যাণ সংস্থার (সূসকস) সভাপতি মো. আব্দুল বাছির, সাধারণ সম্পাদক জামিল আহমেদ, ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওঃ সালা উদ্দিন, সহ-সভাপতি শাহারুখ মিয়া, ধরমন্ডল ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব আশিকুর রহমান চৌধুরী পনি, সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক তোফায়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক তন্ময় আহমেদ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহিদ মিয়া, কামাল মিয়া, বিএনপি নেতা কাজী শাবাল মিয়া, বিএনপি নেতা শানু মিয়া, মীর খা প্রমুখ।
এছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম বলেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ‘মানুষ মানুষের জন্য’। আমি বিএনপির হয়ে মানুষের জন্য কাজ করি, দল আমাকে মনোনয়ন দিলে নাসিরনগরের উন্নয়নে কাজ করে যাব এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাসিরনগর উপজেলার লঙ্গণ নদীতে একটির ধাক্কায় তীরে বাধাঁ অবস্থায় আরেকটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একই মায়ের দুই সন্তানের একজন মারা গেছে, অন্যজনকে সংকটাপন অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত ওই শিশু গোয়ালনগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রুহুল আমিনের ছেলে জুমেল (৪)।
আজ ৭ জুন বুধবার বিকাল ৫টায় নাসিরনগর বাজার গুডাউন ঘাটে গোয়ালনগরের উদ্যেশে যাওয়ার জন্য অবস্থানকালে অন্য একটি নৌকার ধাক্কায় যাত্রীবাহী এ নৌকা ডুবে যায়।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার বিকালে নাসিরনগর নৌকা ঘাটে গোয়ালনগরে যাওয়ার জন্য যাত্রী ও মালামাল নিয়ে নৌকাটি অপেক্ষা করছিল। এমন অবস্থায় চাতলপাড় থেকে ছেড়ে আসা অন্য একটি নৌকা ঘাটে থাকা ওই নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। পরে বাধাঁ থাকা নৌকাটি ঘাটেই ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া অবস্থায় নৌকাটিতে শতাধিক যাত্রী ও মালামাল বোঝাই ছিল।
নৌকায় থাকা নাজমুল হাসান জানান, আমরা ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় অন্য একটি নৌকা ধাক্কা দিলে আমাদের নৌকাটি ডুবে যায়। আমার সাথে অনেক মালামাল ছিল সব ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন জানান,আরেকটি নৌকার ধাক্কার কারণে নৌকাটি ডুবে গেছে। আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনা স্থলে যাই। দুটি শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নৌকাটিও উপরে তোলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম জানান, নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। নৌকাটি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য শিশুটির খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লা সরকার বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। এ ঘটনায় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছাত্রলীগের এক কর্মী উপস্থাপনা করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নানামহলে সমালোচনার ঝড় উঠলেও উল্টো বিষয়টি নিয়ে থোরাই কেয়ার করছেন নাসিরনগরের এসিল্যান্ড কাজী রবিউস সারোয়ার। গতকাল ১৪ এপ্রিল সোমবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও ‘কিছু যায় আসে না’ বললেন ঐ এসিল্যান্ড। তবে জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও তাৎক্ষণিক সমালোচনার মুখে অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত করতে বাধ্য হয় উপজেলা প্রশাসন।
অভিযোগ উঠেছে, পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন শাকিলের ব্যক্তিগত পছন্দেই ঐ ছাত্রলীগ কর্মীকে উপস্থাপক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ওই কর্মীর নাম দিদার হোসেন। ১৪ এপ্রিল সোমবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে দিদারের ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিল – মিটিং এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সবার একটাই প্রশ্ন উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার দায়িত্বে কীভাবে একজন ছাত্রলীগ কর্মী থাকে?
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম. এ. হান্নান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন শাকিল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিমুল আরেফিন, শিক্ষা কর্মকর্তা ইসহাক মিয়াসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মী নিহারেন্দু চক্রবর্তী তার ফেসবুকে লিখেন (হুবহু তুলে দেওয়া হল), সকালে উঠেই একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস চোখে পড়লো। ওই লোক লিখেছে “ফ্যাসিষ্টমুক্ত প্রথম বৈশাখ” একটা লাইক দিয়েছিলাম। এর কিছুক্ষণ পর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দেখলাম ঐ লোকের লেখায় ভুল ছিল। দেখলাম প্রশাসন আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের মূল উপস্থাপক দিদার নামে একটি ছেলে। সে শুধু ফ্যাসিষ্টের দোসর বললে ভুল হবে। সে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একজন কর্মী।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নানসহ সকল প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গগণ।
এছাড়াও একই পোস্টে তিনি দুইটি ভিডিও আপলোড করে লিখেন, ১নং ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রলীগ (নিষিদ্ধ) এর সিনি. সহ সভাপতি আরমান নূর এর সাথে ছাত্রলীগের মিছিল ও শোডাউনে দিদার। ২নং ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম বৈশাখে উপজেলা প্রশাসনের হতে প্রাপ্ত উপহার বিশ্বরঙ ফ্যাশন হাউসের রঙিন পাঞ্জাবি পড়ে প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বীরদর্পে উপস্থাপনা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন শাকিল বলেন, আমরা তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে জানতাম না। ছাত্রলীগের মিছিলে তার ভিডিও দেখার পর তাকে আর উপস্থাপনা করতে দেওয়া হয়নি। পরে আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত করা হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে সাংবাদিকদের উপর মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার। তিনি বলেন, সংবাদ হলে কি হবে..? কিছুই হবেনা।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ কর্মীর উপস্থাপনার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।