চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির কর্মকাণ্ডে সমালোচনা করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি মানে বগুড়া-নোয়াখালী পার্টি। এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়।
এটি স্বাধীনতাবিরোধীদের আশ্রয়স্থল। বড় আশা করে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগাযোগ করেছিল। তারা এসে ঘুরেও গেছে। তাদের একটিই প্রশ্ন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরাও চাইছি সেটা। এখন তারা বিপদে পড়ে গেছে। ভাঙচুর ও জ্বালাও-পোড়াও থেকে তাদের বের হয়ে আসতেই হবে।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার বিকেলে নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় রাজনৈতিক-সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বলেন, বিএনপি নির্বাচনকে বানচাল করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে যদি নির্বাচন করতে ব্যর্থ হই তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সুতরাং নির্বাচন সময়মতো হবে। সেই নির্বাচনে জনমত কাজে লাগিয়ে কীভাবে আমরা আবারও সরকার গঠন করতে পারি- সেই চেষ্টা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
নবীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত কুমার দেব, জেলা পরিষদের সদস্য নাসির উদ্দিন ও সংস্কৃতিকর্মী শুকলা রানী ভট্টাচার্য প্রমুখ। মতবিনিময় সভা শেষে পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে মেয়াদোত্তীর্ন লাইসেন্স ও ডিপ্লোমা বিহীন ল্যাব টেকনিশিয়ান দিয়ে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একটি প্রাইভেট হাসপাতালকে অর্থদন্ড করা হয়েছে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার এ অভিযান পরিচালনা করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম। এসময় এই অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান।
জানা যায়, উপজেলার পৌরশহরে অবস্থিত মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদ বিগত দুই বছর পূর্বে শেষ হয়ে যাওয়া সহ ল্যাব টেকনিশিয়ান ডিপ্লোমা বিহীন এস এস সি পাস স্টাফ দিয়ে ল্যাব পরিচালনা করার দায়ে মেডিকেল প্র্যাক্টিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, মেয়াদোত্তীর্ন লাইসেন্স ও এস এস সি পাস ল্যাব টেকনিশিয়ান দিয়ে ল্যাব পরিচালনা করার দায়ে অর্থদন্ড করা হয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা সুনিশ্চিত করতে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চরের ফসলি ও খাস জমির উর্বর মাটি কেটে বাল্কহেড দিয়ে মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র।
কৃষকরা ইটভাটার মালিক ও তাদের দালালদের প্রলোভনে পড়ে দেদারসে বিক্রি করছে ফসলি জমির উপরিভাগের (টপ সয়েল) উর্বর মাটি। এতে ফসলি জমির আবাদ
হুমকিতে পড়েছে।
আইন অমান্য করে ক্ষমতাসীন দলের কয়েক প্রভাবশালী নেতা ২৪টি পাওয়ার ট্রলির মাধ্যমে দিনরাত চরের ফসলি জমির মাটি কেটে বড় বড় দুটি বাল্কহেডের মাধ্যমে নিচ্ছে বিভিন্ন জেলার ইটভাটায়।
ব্যক্তি মালিকানা জমির পাশাপাশি চরাঞ্চলের সরকারি খাস জমির মাটিও কেটে নিচ্ছে তারা। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এসব জমির মাটি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ছয় চাকার নম্বরবিহীন পাওয়ার ট্রলির চাপে নষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাঘাট।
শুধু তাই নয়, চর মানিকনগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর তীরে অবৈধভাবে অস্থায়ী ফেরি দিয়ে পল্টুন বানিয়ে বড় বড় মালবাহী বাল্কহেডের মাধ্যমে এসব মাটি চলে যাচ্ছে নরসিংদী, নায়ারণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার ইটভাটায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চর মানিকনগরের চরের ফসলি জমি ও সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কেটে তার পাশেই সদ্য খননকৃত একটি বিশাল পুকুর।
স্থানীয়রা জানান, নিষিদ্ধ ভেকুর সাহায্যে প্রায় দেড় মাস ধরে মাটি কেটে বিভিন্ন ভাটায় নেয়া হয়েছে। এখন তারই পাশে ফসলি জমি থেকে এক্সকেভেটরের সাহায্যে মাটি কেটে নিয়ে গভীর গর্ত করা হচ্ছে।
গত দেড় মাস ধরে ২৪টি পাওয়ার ট্রলির মাধ্যমে মাটি কাটা হচ্ছে, এতে ফসলি জমির আয়তন হ্রাস পাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই মাটিকাটার সঙ্গে জড়িত নাসিরাবাদ গ্রামের সাবেক মেম্বার কাদির, নাসিরাবাদ পুরানপাড়ার জামাল, শ্রীঘর গ্রামের যুবলীগ নেতা আলমগীর, চর মানিকনগর ওসমান মিয়া।
স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ইটভাটার মালিকরা কৃষকদের প্রলোভন দেখিযে দেদার ভেকু মেশিন দিয়ে এসব ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে।
এরপরও স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আইন অনুযায়ী, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী পুকুর, খাল-বিল, নদ-নদী, চরাঞ্চল, পতিত ও আবাদি জমি থেকে মাটি কাটা নিষিদ্ধ।
অন্যদিকে জমির মাটি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ছয় চাকার পাওয়ার ট্রলির চাপে নষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাঘাট।
মাটিকাটার সঙ্গে জড়িত জামাল মিয়া বলেন, আমরা দেড় মাস ধরে মাটি কিনে কেটে নিচ্ছি। সরকারি খাস জমি পাশে হলে আমরা ওই জমি কাটি না। এসব মাটি বিভিন্ন জেলার ইটভাটায় বিক্রি করি ১০ টাকা ফুট হিসেবে।
আমার সঙ্গে অনেক বড় বড় মানুষই এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে, কিন্তু তাদের নাম বলা যাবে না।
মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা তো কৃষকের কাছ থেকে মাটি কিনে ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করছি। এই জমির পাশে হয়তো খাস জমি আছে, এইসব খাসজমি থেকে মাটি না কাটার জন্য ভেকু চালককে বলে দিয়েছি।
এবিষয়ে শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মেহেদী হাসান জালাল মিয়া বলেন, চর মানিকনগর আমার ওয়ার্ডে পড়েছে। মাটি কাটার বিষয়ে আমি শুনেছি।
শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি এখান থেকে কোন টাকা-পয়সাও নেই না, আমি এসবের সঙ্গে জড়িতও না। ওরা মাটি কাটে শুনছি, তবে খাস জমি নাকি মালিকানা জমি থেকে কাটছে জানি না। দুই একদিনের মধ্যে আমি সরজমিনে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে নবীনগর ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান বলেন, যেহেতু অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নিচ্ছে শুনলাম এখন আমি স্থানীয় তহসিলদারকে পাঠাবো ঘটনাস্থলে। যদি ঘটনা সঠিক হয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন, আমি তো বিষয়টা জানি না। এখনই এ্যাসিল্যান্ডকে বলছি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।
এছাড়াও ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন সংবলিত একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। ৮ মার্চ শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন এই প্রতিপাদ্যে নবীনগর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রকল্পের আবৃত্তি শিক্ষক শুভেন্দু চক্রবর্তী শুভ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুমন ভূঁইয়া, নবীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল, উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা মো. তৌহিদ মিয়া, পৌরসভার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দীন, নারী উদ্যোক্তা ইসরাত জাহান সাবা, শারমিন আক্তার প্রিয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নারী প্রশিক্ষণার্থী ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নারী উদ্যোক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তবে নির্বাচন কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
এজন্য কমিশনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান, সিইসি।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসবেন। সেই পরিবেশই থাকবে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রার্থীদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রার্থীদের পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে আচরণবিধি মেনে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
রাজশাহী সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভা শেষে সিইসি সাংবাদিকদের আরও বলেন, কোথাও যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়ে থাকে, তাৎক্ষণিকভাবে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন ব্যবস্থা নেয়, সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা বিশ্বাস রাখুন, নির্বাচন সুন্দর হবে।
তিনি বলেন, সবার প্রয়াসে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আপনারাও (সাংবাদিকরা) কিন্তু সব সময়ই স্বচ্ছতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকেন। আপনাদের চেষ্টায়, আমাদের চেষ্টায়, প্রার্থীদের চেষ্টায় এবং ভোটারদের চেষ্টায় এ নির্বাচন সফল হবেই। আজকের মতবিনিময় সভায় আলোচনা শেষে আমরা সবাই এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছি।
তিনি বলেন, মতবিনিময় সভায় প্রার্থীদের সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারাও যথেষ্ট আন্তরিক। তবে কিছু সমস্যার কথা এসেছে। আমরা শুনেছি। স্থানীয় প্রশাসন কথা বলেছে। সমস্যাগুলো কীভাবে নিরসন করা যায়, সে গাইডলাইনও আমরা দিয়েছি। আশা করি, তারা আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত তা তারা আন্তরিকভাবে পালনের চেষ্টা করবেন।
এর আগে সকাল ১০টায় রাজশাহী সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইসি। এ সময় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলামসহ নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রাজশাহীর স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সভায় প্রার্থীদের অনেকে নানা অভিযোগ তুলে ধরেছেন বলে তারা জানিয়েছেন। সিইসি এসব বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সার্কিট হাউজে মতবিনিময় শেষে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যার হাতেই নৌকা তুলে দেবেন আমরা সেই নৌকায় ভোট দেব। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পঞ্চম বারের মত প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতে হবে, নৌকা যার আমরা তার বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ মিলয়াতনে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভা, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল চন্দ্র চৌধুরী। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম মাহবুব হাসান।
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান আরিফ, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অসীম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু এবং উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তারসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।