চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার অবসর প্রাপ্ত সৈনিক সমাজ কল্যাণ সমিতির ৪৩ বছর পূর্তি ও ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার দুপুরে নবীনগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ও সমিতির সভাপতি আবু জাহের এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধাণ অতিথির বক্তব্য রাখেন আগরতলা সরযন্ত্র মামলার আসামী সার্জেন্ট মুজিবুর রহমানের ছেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া —৫ আসনের সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল।
এ সময় তিনি বলেন উপজেলার অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যদের সন্তানরা সহ হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া খরচের জন্য সাধ্যমত সহযোগিতা করে যাবেন, এছাড়াও উপজেলার হত দরিদ্র যে কোনো মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য তিনি সহযোগিতা করনে।আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেলে তার পাশে থাকার জন্য উপস্থিত অবসর সেনা সদস্যদের আহবান করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অবসর প্রাপ্ত লেফটেন্টে কর্ণেল মো. জি.আর জাহাঙ্গীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহান, রফিকুল ইসলাম, এনামুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক ভাবে সংগঠনে সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলকে আজীবন সদস্য ঘোষণা করা হয় এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে ক্রেস তুলে দেন সভাপতি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় গলিত ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিহীন অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ৭ জুলাই রোববার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। নিহত ওই নারীর নাম রাবেয়া ইসলাম রাবু (৩৩)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামের মৃত আলী আজম সরকারের মেয়ে। মাদক ব্যবসার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কাশিরামপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে সামসুল ইসলাম প্রকাশ মিন্টু (৪৮), একই ইউনিয়নের রঘুরামপুর দক্ষিণপাড়ার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল আলীম (৪২) ও একই গ্রামের মৃত সামসু মিয়ার ছেলে মো. কুডু মিয়া (৩৮)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সোনাহর আলী জানান, গত ২ জুলাই কসবা উপজেলার বায়েক ইউপির কাশিরামপুরে পাহাড়ের ঢালে বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে মাথাবিহীন অর্ধগলিত একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহটির হাত ও পায়ের তালুতে চামড়া না থাকায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। দৈহিক গড়ন পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, এটি একটি নারীর মরদেহ এবং ৫-৭ দিন আগে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে কিছু আলামত পাওয়া যায় এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিহত নারীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। তার পরিবারের লোকজনকে সংবাদ দিলে তারা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে নিহত রাবেয়া ইসলাম রাবুর ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তিনি জানান, পুলিশ তদন্তে বায়েকের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সামসুল ইসলাম প্রকাশ মিন্টুকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কসবা থেকে গ্রেফতার করা হয় আব্দুল আলীম ও মো. কুডু মিয়াকে। ৬ জুলাই শনিবার বিকেলে তারা সবাই আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী আরও জানান, পুলিশের কাছে তিন আসামি জানিয়েছেন তারা তিনজনই মাদক ব্যবসায়ী।
নিহত রাবেয়া ইসলাম রাবু মাদক পরিবহন করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতেন। বেশ কিছুদিন আগে রাবু তাদের কাছ থেকে ১২ কেজি গাঁজা নিয়ে যান সরবরাহ করতে। কিন্তু সেই গাঁজার টাকা আর পোরিশোধ করেননি। এনিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এরই জেরে রাবুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তারা। গত ২৫ জুলাই রাবু কসবায় আবারো মাদক নিতে এলে সামসুল ইসলাম প্রকাশ মিন্টু, আব্দুল আলীম ও মো. কুডু মিয়া তাকে ধরে বায়েকের সীমান্তবর্তী একটি পাহাড়ে নিয়ে যান। সেখানে রাবুকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বাঁশের ঝোপে ফেলে চলে যান। নীরব এলাকা হওয়ায় মরদেহটি কারো নজরে পড়েনি। এক সপ্তাহ পর স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে সেটি উদ্ধার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এর মুখপাত্র ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ট্রাষ্ট্রের চেয়ারম্যান কাজী মামুনূর রশিদ বলেছেন- জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখী দল।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে জাতীয় পার্টি। নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারি হউক কিংবা ফেব্রুয়ারিই হউক, তখনই প্রস্তত আছে জাতীয় পার্টি। তবে একটি অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার সকল প্রস্ততি নেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেন কাজী মামুন। এ সময় তিনি আরো বলেন- জাতীয় পার্টি সন্ত্রাস নৈরাজের রাজনীতি বিশ্বাস করে না।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে নবীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত দলীয় কার্যলয়ে বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ সব কথা বলেন। উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি রজব আলী মোল্লার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন মৃধা, উপজেলা যুবসংহতি আহবায়ক মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন রানা, পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ। বিশেষ এই বর্ধিত সভায় জাতীয় পার্টিও উপজেলা ও পৌরসভা সহ প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য নবীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রার্থী এইচ এম আল আমিন তার মোটর সাইকেল মার্কা প্রতীকের পক্ষে অনুষ্ঠিত গণসংযোগ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
আজ ২১ মে মঙ্গলবার বিকালে কৃষ্ণনগর আবদুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত গণসংযোগ সভায় তিনি বলেন, আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হতে পারলে এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের সুখে দুখে পাশে থাকতে চায়। দাঙ্গা প্রবন বাইশমৌজাকে শান্তি ও নিরাপদে রাখতে চেষ্টা করবো।
তিনি নিজকে একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসাবে পরিচয় দিয়ে বলেন পরবর্তী সময়ে রাজনীতির মাঠে থাকার অঙ্গীকার করেন।
সাবেক মেম্বার আলী আকবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসংযোগ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজি মলাই মিয়া, সহ-সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, লায়ন ফিরোজুর রহমান রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়াজ মোহাম্মদ কাজল, কালাচান মেম্বার, অলেক ব্যাপারী, কবীর আহমদ, কোহিনুর মেম্বার, আবু কালাম মেম্বার, মোস্তফা কামাল মেম্বার ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে এক কাজীর বিরুদ্ধে আরেক কাজীর সংববাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ মে শনিবার সকালে শ্যামগ্রাম বাজারে কাজী মোঃ জয়নাল আবেদিনের অফিসে এ সংবাদ সম্মেল অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে জয়নাল আবেদিন লিখিত বক্তব্য বলেন দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের চলমান মামলা অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নে বিবাহ নিবন্ধনের জন্য আমিই একক কাজী।
এদিকে মোসাদ্দেক কাজী জানায় এই সংবাদ সম্মেলন মিথ্যা ভিত্তিহীন, আমার বাবা দীর্ঘদিন এই ইউনিয়নের কাজীর দায়িত্বে ছিলেন, তারিই ধারাবাহিকতায় শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশন সাপেক্ষে আমি এই ইউনিয়নের কাজীর দায়িত্ব পালন করে আসছি। জয়নাল কাজী নিজেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী দাবি করছেন কিন্তু মামলা চলমান অবস্থায় কাউকে নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার নাই। তাহলে তিনি কি করে নিজেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী দাবি করেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আমি রিকল পিটিশন দায়ের করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নিপুণ বাসা তৈরিতে দক্ষ কারিগর বাবুই পাখি ও এর বাসা এখন আর আগের মত চোখে পড়ে না। পরিবেশ বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজার, নতুন বনায়নে বাসযোগ্য পরিবেশ ও খাদ্যের অভাব, নির্বিচারে তালগাছ কর্তন, অসাধু শিকারীর ফাঁদসহ বহুবিধ কারণে কালের আবর্তে প্রকৃতির স্থপতি, বয়ন শিল্পী এবং সামাজিক বন্ধনের প্রতিচ্ছবি বাবুই পাখি ও এর দৃষ্টিনন্দন বাসা ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে।
আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও গ্রাম-গঞ্জে ব্যাপক ভাবে বাবুই পাখির বাসা চোখে পড়ত। নিরীহ, শান্ত প্রকৃতির এই বাবুই পাখি উচু এবং নিরিবিলি পরিবেশে বাসা তৈরি করে। এরা গ্রাম-গঞ্জের তাল, সুপারি, নারিকেল, খেজুর গাছে বাসা তৈরি করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। এ সব গাছের সংকটে মাঝে মাঝে হিজল গাছেও বাসা বাধতে দেখা যায়। কিন্তু কালের বিবর্তনে বড় বড় গাছ নিধন ও পাখি শিকারের কারণে পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখি। উঁচু তাল, নারিকেল ও খেজুর গাছে বাসা বাঁধলেও এ সব গাছ বিলুপ্ত হওয়ায় বাবুই পাখিও হারিয়ে যেতে বসেছে প্রকৃতি থেকে। এই পাখি বাসা তৈরির কাজে ব্যবহার করে খড়ের ফালি, ধানের পাতা, তালের কঁচি পাতা, ঝাউ ও কাঁশবনের লতা। চমৎকার আকৃতির এই বাসা বিশেষ করে তাল গাছের ডালে এমন ভাবে সাটানো থাকে যাতে কোনো ঝড়-তুফানে সহসাই ছিড়ে না পড়ে। এদের বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই নয়, মানুষের মনে চিন্তার খোরাক জোগায় এবং স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করে। ঠোট দিয়ে বাবুই পাখি আন্তর ছড়ায়। পেট দিয়ে ঘঁষে তা আবার মসৃণ করে। বাসা বানাতে শুরুতই দুটি নিম্নমুখী গর্ত করে থাকে। পরে তা একদিকে বন্ধ করে ডিম পাড়ার জায়গা করে। অন্যদিকে লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ তৈরি করে। ব্যালেন্স করার জন্য বাসার ভিতরে কাদার প্রলেপ দেয়। আধুনিক যুগে যা বড়ই যুক্তি সংগত। বাসার ভিতরে ঠিক মাঝখানে একটি আড়া তৈরি করে বাবুই পাখি। কি অপূর্ব বিজ্ঞান সম্মত চেতোনাবোধ। ছোট হলেও বুদ্ধিতে সব পাখিকে হার মানায়।
বাবুই ডিমে তা দেয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা ফোটে। কৃষকের ধান ঘরে ওঠার মৌসুম হল বাবুই পাখির প্রজনন মৌসুম। বাবুই পাখির বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই না, মানুষকে আত্মনির্ভশীল হতে উৎসাহ দেয়। কৃষ্ণনগর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি অলেক মিয়া বলেন- “গত কয়েক বছর ধরে তাদের গ্রামের কয়েকটি তালগাছে বাবুই পাখিন বাসা দেখছেন। পাখি ও পাখির বাসা দেখতে এবং কিচির মিচির শব্দ শুনতে খুবই ভাল লাগে। গৃহিনী আসমা বেগম বলেন- তাদের বাড়ির সামনের তাল গাছে বাবুই পাখি বাসা বানিয়েছে। সাংস্কৃতিককর্মী মাহমুদ জানান- দিন দিন তাল গাছ নিধনের ফলে বাবুই পাখি আজ বিলুপ্তির পথে। তাই বড় বড় তাল গাছ রক্ষা ও নতুন করে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পাখি সংরক্ষণের দাবি জানান তিনি। সুর সম্রাট আলাউদ্দীন খাঁ ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “সারাবিশ্বে বাবুই পাখির প্রজাতির সংখ্যা ১১৭টি। তবে বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বাবুই পাখির বাস।
তিনি আরও বলেন- বাবুই পাখির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করার জন্য এরা জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দেয়। ধান, চাল, গম ও পোকা-মাকড় প্রভৃতি তাদের প্রধান খাবার। বাবুই পাখির জন্মগত ভাবেই শৈল্পিক দক্ষতা থাকে। কি ভাবে বাসা বাঁধবে এটা তারা তাদের মায়ের কাছ থেকেই শিখে নেয়। এই গুণ অন্য পাখির মধ্যে নেই। এরা সমাজবদ্ধ ভাবে বসবাস করে বলে তাদের সামাজিক পাখিও বলা হয়। এরা শস্য দানা, ধান, গম ইত্যাদি খেয়ে জীবনধারণ করে। তিনি বলেন, এ পাখির মধ্যে একটি বৈজ্ঞানিক গুণও আছে। পুরুষ পাখিরা বিশ্রামের জন্য বাসা বাঁধে আর নারী পাখিরা বাসা বাঁধে ডিম ফুটানো ও বাচ্চা সংরক্ষণের জন্য। যখন বাচ্চা ফোটার সময় হয় তখন মা পাখিরা এক টুকরা গোবর নিয়ে বাসায় রাখে। যাতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে বাচ্চাদের ক্ষতি করতে না পারে”।