চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের মেঘনা নদীতে শহীদ আবদুল হালিম রেলসেতুতে আবারও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভৈরব বিদুৎ বিতরণ বিভাগের সহায়তায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের রিভার ইউনিট।
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সূত্র জানায়, আশুগঞ্জ থেকে ভৈরবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ৩৩ কেভি’র ৩টি লাইন শহীদ আব্দুল হালিম রেলসেতু (প্রথম রেল সেতু) দিয়ে নেয়া হয়। এ ৩টি লাইনের মধ্যে ১টি নতুন ও ২টি পুরাতন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিকট শব্দে একটি বিদ্যুৎ লাইনের কেবল ফেটে গিয়ে আগুন ধরে যায়। বিদুৎ বিভাগ থেকে তাৎক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হলেও সেতুতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে। কিন্তু সেতুর যে স্থানে আগুন তা নদীর মাঝামাঝি দিকে হওয়ায় তারা ফায়ার সার্ভিসের ভৈরব রিভার ইউনিটকে ঘটনাস্থলে আসতে অনুরোধ করে। ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের রিভার ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে পানি দেয় এবং পাশাপাশি ভৈরব বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ অগ্নিনিরোধক গ্যাস নিক্ষেপ করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনে বড় ধরনের কোন ক্ষতি না হলেও এ লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান ও ভৈরব রিভার স্টেশনের লিডার মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের রিভার ইউটিটের সহায়তায় ২৫ মিনিটে আগুন নেভানো হয়।
ভৈরব বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী মো. ইমরান হোসেন তালুকদার বলেন, সেতুতে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের একটি ক্যাবল বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সুত্রপাত। ঘটনার পরপরই বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে অগ্নিনিরোধক দ্রব্য (কার্বন ডাই অক্সাইড ও এবিসি ফোম) নিক্ষেপ করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়। শনিবার এ লাইন মেরামত করা হবে। এতে ভয় বা আতংকের কারণ নেই। কেননা ভালভাবে আর্থিং করা থাকায় সেতু বিদ্যুতায়িত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতেও সেতুতে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। এসময় সতর্ক বার্তা না পাঠানোয় আগুন জ্বলা অবস্থায় সেতু দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস ট্রেন সেতু অতিক্রম করেছিল। ওই ঘটনার পরেও আরো একবার ছোটখাট অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এদিকে বারবার রেল সেতুতে অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে ঝুঁকিপুর্ণ মনে করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। তারা মনে করেন, কখনো সেতুতে ট্রেন থাকা অবস্থায় এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা রয়েছে। তাই গত বছর অগ্নিকান্ডের পর সেতুতে থাকা বিদ্যুৎ লাইন সরিয়ে নিতে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেঘনা নদীতে টাওয়ার নির্মাণ করা না হলে আপাতত সেতু থেকে বিদ্যুতের লাইন সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে রেলওয়ের সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান বলেন, বারবার সেতুতে আগুনের ঘটনা উদ্বেগজনক। সেতু থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের তার সরিয়ে নিতে বা এ ধরনের ঘটনা আর যেন না ঘটে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে মৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত জালু মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫০) ও আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের নাসির মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২২)।
এছাড়া একইদিন মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে বজ্রপাতে তিনটি গরু মারা গেছে।
মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাভেল জানান, বিকেলে বৃষ্টি শুরু হলে শাহজাহান মাঠে গরু আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। পাশাপাশি একই সময়ে বজ্রপাতে খেওয়াই গ্রামে কৃষক মনা ভূঁইয়ার তিনটি গরু মাঠে ঘাস খাওয়া অবস্থায় মারা গেছে।
তিনি জানান, নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা সহায়তা করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, হৃদয় প্রতিদিন মেঘনার চরে চরচারতলা গ্রামের জসীম উদ্দিনের মহিষের পাল দেখভাল করতেন। বিকেলের দিকে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এর পরই মুসলধারে বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় প্রচণ্ড মেঘের গর্জন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের মৃত্যু হয় এবং উজ্জ্বল নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবের আল জুবাইলে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরির বয়লার বিস্ফোরণে এক প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সোহেল শিকদার।
নিহত সোহেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের জহিরুল হক শিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পরিবারের সচ্ছলতার জন্য সৌদি আরবের আল জুবাইলে গিয়েছিলেন সোহেল। সৌদি আরবে ফ্রি ভিসায় গিয়ে চুক্তিভিত্তিক ভাবে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে একটি ক্যামিকেল ফ্যাক্টরিতে ওয়েলডিং এর কাজ করছিলেন সোহেল। হঠাৎ ফ্যাক্টরির বয়লার বিকট শব্দ হয়ে বিস্ফোরণ হলে পুরো ফ্যাক্টরিতে আগুন ধরে যায়। এসময় সোহেল অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এ বিস্ফোরণের ঘটনায় সোহেলসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি ও আরেকজন ভারতীয় নাগরিক।
আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার সোহাগপুর গ্রামে নিহত সোহেলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শোকের মাতম চলছে।
নিহত সোহেলের ভাই সবুজ শিকদার বলেন, আমার ভাই দুই বছর আগে প্রবাসে যান। প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে ভালোই চলছিল। তার স্ত্রী দুই শিশু সন্তানও রয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা চিন্তিত। এছাড়া পরিবারটিও এখন আর্থিক সংকটের পড়বে। আমার বড় ভাইয়ের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে আজ ১১ অক্টোবর বুধবার আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ বিভিন্ন পার্টির ৬জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। প্রার্থীরা সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ও জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত মোঃ শাহজাহান আলম, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ আবদুল হামিদ, জাকের পার্টি মনোনীত জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত মোঃ রাজ্জাক হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম।
বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ আবদুল হামিদ, দুপুর পৌনে ১টার দিকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, পরে পর্যায়ক্রমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত মোঃ রাজ্জাক হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম।
অপরদিকে দুপুর সোয়া ১টার দিকে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল।
মনোনয়রপত্র দাখিল শেষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম বলেন, ১৯৭৩ সালের পর এই আসনে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেনি। নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছে মহাজোটের শরীকদল জাতীয় পার্টির প্রার্থী। উপ-নির্বাচনে দল আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা খুশী। জনগনের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে আসনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিব ইনশাল্লাহ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আমার অসমাপ্ত কাজগুলোসমাপ্ত করার জন্য উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমি জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদের অনুসারী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। জাতীয় পার্টিতে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা আছে। যার কারনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আশা করি নির্বাচনে জনগণের দোয়া এবং ভালোবাসা নিয়ে আমি বিজয়ী হবো।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, এক মাসের জন্য নির্বাচন হলেও এটি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে আমার বিশ্বাস। কেননা এর পরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আশা করি নির্বাচন কমিশন এবং সরকার চাইবেনা নির্বাচনটি বিতর্কিত হোক। আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হবো।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহগীর আলম বলেন, উপ-নির্বাচনে ৬জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি ১২ অক্টোবর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপীল ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর, আপীল নিষ্পত্তি ১৮ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২০ অক্টোবর ও আগামী ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জন্ম নিবন্ধনের কাগজে সই আনতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে সংরক্ষিত নারী সদস্য ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী বিয়ের জন্য চাপ দিলে চেয়ারম্যান প্রথমে রাজি হলেও পরে অস্বীকার করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত চেয়াম্যানের নাম মো. সোলাইমান মিয়া। তিনি তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। অন্যদিকে ভুক্তভোগী একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য।
ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় সাত মাস আগে একটি জন্ম নিবন্ধনে স্বাক্ষর নিতে তিনি চেয়ারম্যান সোলাইমান মিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে একা পেয়ে চেয়ারম্যান তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারী ঘটনা প্রকাশ করে দিতে চাইলে, সোলাইমান মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে তার কাছে মাফ চান এবং তাকে বিয়ে করবেন বলে কথা দেন। পরে ওই নারী সদস্যকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রায় ৭ মাস ধরে ঢাকার ঈশা খাঁ হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন।
দুই মাস আগেও তিনি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানান। পরে চেয়ারম্যানের কথায় সেই বাচ্চাও নষ্ট করে ফেলেন ভুক্তভোগী।
এখন ইউপি চেয়ারম্যান সোলাইমান মিয়া তাকে বিয়ে না করলে ভুক্তভোগী ওই নারী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। পাশাপাশি তাকে বিষের বোতল হাতে নিয়ে ঘুরতেও দেখা গেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এদিকে এসব ঘটনা ওই নারীর স্বামী জেনে ফেলেন এবং এর জেরে গত ২৫ মে তাকে তালাক দেন।
অন্যদিকে গত ২৯ মে রাতে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ৬ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি জোরপূর্বক আপস মীমাংসা করে দিয়েছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
এ বিষয়ে তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোলমান মিয়া বলেন, এ ধরনের অভিযোগের কথা আমি শুনেছি। তবে এখনো মূল কারণ সম্পর্কে অবগত হইনি। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।