অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমার দলের নেতাকর্মীদের সবসময় বলি, ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়, মাথা নিচু করে চলতে হয়, বিনয় মানুষকে মহান করে।’
আজ ১৫ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে চট্টগ্রামের ষোলশহরে এলজিইডি ভবনের কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী মিলনায়তনে রাঙ্গুনিয়া সমিতি আয়োজিত সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি সবসময় এলাকার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। সরকারের মন্ত্রী ও দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমি প্রতি সপ্তাহে চট্টগ্রামে ও রাঙ্গুনিয়ায় যাই।’
কেউ স্বীকার করুক বা না করুক গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে ভুলত্রুটি থাকবে, ভুলত্রুটি মানুষেরই হয়। পৃথিবীর কোনো সরকার শতভাগ নির্ভুল কিছু করতে পারে না। পাঁচশ’ বছর অতীতের সরকারেও ভুল ছিল, আগামী পাঁচশ’ বছর পরের সরকারেরও ভুল থাকবে। তবে দেখতে হবে সরকার দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে কিনা।’
আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের এই অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য সবার সহযোগিতা চেয়ে তথ্যমন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সুধীজনের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি সব দল ও মতের মানুষের এমপি হওয়ার চেষ্টা করেছি। গত সাড়ে ১৪ বছর সবার জন্য আমার দুয়ার খোলা ছিল। ভবিষ্যতেও যদি কোন নিবেদন নিয়ে আপনাদের দুয়ারে আসি দয়া করে আপনাদের দুয়ারটাও দলমত নির্বিশেষে খোলা রাখবেন, সেটিই আপনাদের কাছে প্রত্যাশা।’
রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়ন নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে এমন কোনো স্কুল, কলেজ ও আলিয়া মাদ্রাসা নেই নতুন ভবন হয়নি। এমন কোনো বেসরকারি মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডা নেই বরাদ্দ পায়নি। নতুনভাবে ২৮টি মসজিদ নির্মিত হয়েছে। কালিন্দীরাণী সড়ক ও মরিয়মনগর ডিসি সড়ক প্রশস্তকরণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কৃষিপ্রধান জনপদ রাঙ্গুনিয়ায় চাষাবাদে সুবিধার জন্য তিনটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো জমি অনাবাদী রাখা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আগেও অনেকে রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচিত এমপি ও মন্ত্রী ছিল, তারা কতটুকু করতে পেরেছেন আপনারা জানেন। আমি চেষ্টা করেছি রাঙ্গুনিয়ার মানুষের কল্যাণে কাজ করার। কয়েক হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি হয়েছে। আমার এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
রাঙ্গুনিয়া সমিতির আহ্বায়ক খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়েট ভিসি ড. রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, এলজিইডির তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী তফাজ্জল হোসেন, পরিবেশ অদিপ্তরের পরিচালক হিন্দোল দাশ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম চিশতি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব জহির আহমদ চৌধুরী, সিডিএ’র বোর্ড সদস্য মুহাম্মদ আলী শাহ, জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার আসলাম খান, আবুধাবী বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা বিএনপির সঙ্গে খেলতে চাই। কিন্তু বিএনপি খেলা থেকে বার বার পালিয়ে যায়।
আজ ৮ মে সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর ও আগামী নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববাসীর মনে যে প্রশ্ন সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ বা সরকারের অবস্থান কী জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের মনোভাব যখন ব্যক্ত করেছেন, তখন সরকারের মনোভাবও ব্যক্ত করেছেন। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দুটি বিষয়ই পরিষ্কার হয়েছে।
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা অবশ্যই চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপি অতীতের মতো পালিয়ে বেড়াক সেটা আমরা চাই না। আমরা বিএনপির সঙ্গে খেলতে চাই। কিন্তু বিএনপি খেলা থেকে বার বার পালিয় যায়। এটিই হচ্ছে দুঃখজনক।
বিএনপির দাবি মেনে নিয়ে তাদের নির্বাচনে আনা সম্ভব কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির আবদারটা হচ্ছে মূলত, তারা নানা ভাষায় বলে, নানা ছুতোয় বলে, নানা কৌশলে বলে। কিন্তু তাদের সব কথার সারমর্ম হচ্ছে- তারা এমন একটি ব্যবস্থা চায়, যে ব্যবস্থার মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানো হবে। সে নিশ্চয়তা দরকার। সেটিতো নির্বাচন কমিশন ও জনগণ দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হয় সেভাবেই আমাদের দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে আশা করব বিএনপি অংশগ্রহণ করবে।
বিএনপি আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে, সে আন্দোলনে অংশ নিতে আসনের বণ্টন চাচ্ছে দলটির শরিক দলগুলো। এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শরিকরা আসন চাইবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বিএনপিকে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ কি না।
তিনি বলেন, শরিকরা আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করছে, তার মানে বিএনপি নির্বাচন না চাইলেও শরিকরা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে শরিকরাও বিএনপি থেকে পালিয়ে যাবে। সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এটি।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সুহিলপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ মাহিন খন্দকার। ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আলামিন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ইয়াছিন। ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আরাফাত হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য মোঃ এহসানুল হক রিপন, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. মোশাররফ হোসেন সানি, যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল মোল্লা, ইউপি যুবলীগ নেতা মনির ভূইয়া।
সম্মেলনে আলোচনা শেষে মোঃ আলামিন মিয়াকে সভাপতি ও ইউনুছ মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ০১নং ওয়ার্ড যুবলীগের আংশিক ঘোষণা করা হয়। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তরে জমাদানের নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুহিলপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ মাহিন খন্দকার বলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভিভাবক ও উন্নয়নের রূপকার র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর হাতকে শক্তিশালী করে দল ও দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। মাহিন বলেন- তৃণমূলে যুবলীগের নেতাকর্মীরা সুহিলপুরের প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে নিরলস কাজ করে যাবে। তিনি যুবলীগের কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। জেলা যুবলীগ ও সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশক্রমে আমি এই ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করিলাম।
চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। আমরা পাঁচ সিটিতেই জিততে চাই। আমাদের প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা আছে। কিন্তু ভোটারদের অনেক প্রশ্ন-ভোটাররা বলছে আমরা ভোট দিতে পারব তো? আমরা ভোট দিলে সেই ভোট গণনা হবে তো? নাকি আওয়ামী লীগ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে? এটাই বাস্তবতা। এটা বুঝতে এখন খুব জ্ঞানী হতে হয় না। গ্রামের কৃষক থেকে রিকশাওয়ালা পর্যন্ত এই প্রশ্ন করছে।
তিনি আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রের নামে বড় বড় কথা বলে, যারা মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলে, তারাই ভোটের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি করেছে? রাজনীতি নিয়ে মানুষের মধ্যে বিতৃষ্ণা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, সাধারণ মানুষ মনে করে আমরা ভোট দেই বা না দেই, সরকার সমর্থকরাই জিতে যাবে। মানুষের মনে শঙ্কা, ভোট দিতে গেলে মার খেতে হবে কিনা, বাড়িতে হামলা হবে কিনা। শঙ্কা ও হতাশা দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। দেশের মানুষকে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য করছে। এমন বাস্তবতা থেকে আমরা দেশকে উদ্ধার করতে চাই।
আজ ৬ মে শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা জনগণের পক্ষে থাকব। জনগণ যা চায় আমরা তাই করব সংসদ নির্বাচনে। আমরা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। মানুষের ভাতের অধিকার দরকার হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ খেতে পারছে না। মানুষ আধাপেট খেয়ে জীবনযাপন করছে, সামনে হয়তো আরও খারাপ দিন আসছে। যেসব দেশকে আমরা খারাপ দেশ বলি, আমাদের অবস্থা এখন তাদের চেয়েও খারাপ। তাই ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতেই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ভালো কাজ করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে এখনো অপপ্রচার চলছে। কেউ বলছে, আমরা কারও বি-টিম। আমরা সব সময় দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছি। আমরা কখনোই কারও বি-টিম হতে কাজ করি না। কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে কাজ করি না। জাতীয় পার্টির রাজনীতি কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নয়।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের দাবি তোলেন। তারা ক্ষমতায় থাকলে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায়। ক্ষমতায় গেলেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেহারা এক। ১৯৯৬ সালে আমরা মানুষের ভোটাধিকারের প্রশ্নে ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করেছিলাম, আওয়ামী লীগও তখন ভোট বর্জন করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। বিএনপির মতোই আওয়ামী লীগও নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে ছক এঁকেছে। নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিতে প্রয়োজন মতো সংবিধান সংশোধন করেছে। আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেছিলেন, আমরা আজীবন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন ভালো হতে পারে না। এখন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান ছাড়া নির্বাচন হবে না। আসলে, ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জনগণের রায়কে ভয় পায়। আবার ক্ষমতায় গেলে বিএনপিও একই কাজ করবে।
সভায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রমাণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি জিতলে আওয়ামী লীগ বলে কারচুপি হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগ জিতলে বিএনপি বলে ভোটে কারচুপি হয়েছে। আসলে, বর্তমান ব্যবস্থায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশোধন হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এই আইন নিয়ে তিনি আগেও যা বলেছেন, ঠিক সেই কথাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলকে বলেছেন।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরো বলেন, তারা বলেছেন, তারা সব দেশেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। গতকাল বুধবার আইন ও বিচার বিভাগের সচিব ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলকেও বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য কাঠামো (আইনি কাঠামো) দেশে আছে। সেসব সহায়ক আইনের কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের কাছেও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
গাজীপুরে হত্যাকান্ডের শিকার শ্রমিকনেতা শহীদুলের বিষয়টিও আজকের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেন, আগের সংস্কৃতি নেই যে বিচার হবে না। যে কোনো অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার হয়।
তত্ত্বাবধায়ক বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলে দাবি করেন আইনমন্ত্রী।
এ বৈঠকে সময় দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে শপথ নিয়ে আমরা সংসদে যাবো।
আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর সেনপাড়ার বাসায় রংপুর বিভাগের এমপি প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি, তাই এ মুহূর্তে শপথ না নিয়ে পিছু হবো না। জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে আমরা সংসদে যাবো।’
তিনি সমালোচনা করে বলেন, ‘এ নির্বাচন সরকার যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে, সেখানে সুষ্ঠু করেছে। আর যেখানে চেয়েছে তাদের লোকজনকে জেতাতে, সেখানে জোর করে সিল মেরে আমাদের লোকজনকে হারিয়ে দিয়েছে।’
‘রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির হেরে যাওয়া প্রার্থীদের অনেকেই হতাশায় ভুগছিলেন’ জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এজন্য সবার সঙ্গে বসে সমস্যা শুনলাম এবং লিখিত স্টেটমেন্ট নিলাম। এ তথ্যগুলো পরবর্তী ফলোআপে কাজে লাগবে আমাদের।
এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাকসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।