চলারপথে রিপোর্ট :
বাইরের কোনো দেশকে চাপ দিয়ে বাংলাদেশকে কোনো কিছুই করানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। বাংলাদেশের এখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো ক্ষমতা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে কসবা উপজেলার জয়নগর লিয়াকত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আনিসুল হক আরো বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় এবং এখানে নির্বাচনে যাতে সহিংসতা না হয় সেটাই তাদের কাম্য। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করার।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ওনারা বলেছেন, র্যাব অনেক ভালো কাজ করছে। তারা র্যাবের বিষয়ে বিবেচনা করবেন।
এর আগে মন্ত্রী উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা কসবা উপজেলা থেকে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউপি কৈখলা থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই (নি:) সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কালে তাহের ফকিরের বাড়ির পশ্চিম পাশে নতুন ব্রিজগামী ব্রিক সলিং রাস্তার উপর থেকে ১৪ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামি চট্টগ্রামের মধ্যম সোনাপাহাড় ৮ নং ওয়ার্ড জোরারগঞ্জের শেখ ফরিদের ছেলে মো. মামুন (৩০)।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ লক্ষ্যে জব্দকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে কসবা থানায় উল্লেখিত বিষয়ে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ১৫ জুলাই সোমবার সন্ধ্যার দিকে পৌর শহরের খারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, খারপাড়া এলাকার সুমন মিয়ার স্ত্রী কুলসুম বেগম (৪১) ও তার ছেলে আরিফ মিয়া (২০)। আহত হয়েছেন মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৫)।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়িতে নতুন ঘর বানিয়েছেন সুমন মিয়া। নতুন ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। সুমনের ছেলে আরিফ ইলেক্ট্রিশিয়ান হওয়ায় ঘরে বিদ্যুতের কাজ নিজেই করছিলেন। কাজ করার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। এ সময় মা কুলসুম বেগম তাকে বাঁচাতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দেখতে পেয়ে আরিফের বোন সানজিদা তাদেরকে উদ্ধার করতে যায়। এ সময় সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে। পরিবারের লোকজনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এসে তিনজনকেই উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা ও ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সানজিদাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশংকাজনক।
এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিষয়টি খুবই হৃদয় বিদারক। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে চলাচলকারী ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও কর্ণফুলি ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রেন দুটি এক থেকে দুই ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করেছে।
আজ ১৪ মে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা স্টেশনে ও চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলি এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পড়ে। তবে বিকল্প একাধিক লাইন থাকায় ওই সময়ে ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা এলাকায় পৌঁছলে ট্রেনের “গ”-বগি সংযোগ স্থলের নিচের দিকে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ট্রেনটি কসবা স্টেশন এলাকায় থেমে যায়। পরে বিকল হওয়া “গ”-বগিটি বিচ্ছিন্ন করে ওই বগিটি কসবা স্টেশনে রেখে দুই ঘন্টা পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে কসবা স্টেশন ত্যাগ করে। অপর দিকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পরে। পরে ইঞ্জিন সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সফিকুল ইসলাম জানান, বিকল হওয়ার পর দুই ঘন্টা বিলম্বে চট্টলা ট্রেনটি গ-বগি রেখে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দীর্ঘক্ষণ বিলম্বের কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পরে। তবে ওই পথে বিকল্প একাধিক রেলপথ থাকায় ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। পরে ১ঘন্টা বিলম্বের পর ট্রেনের ইঞ্জিনটি সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সহযোগীতায় ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ২০ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) এবং নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (তালা প্রতীক) মোঃ মনির হোসেন।
আজ ২২ মে বুধবার দুপুরে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের বাসভবনের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভূইয়া জীবন অভিযোগ করে গত ২১ মে মঙ্গলবার কসবায় প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে উপজেলার ৮৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মান্দারপুর ভোট কেন্দ্র, শাহপুর ভোট কেন্দ্রসহ ২০টি ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের ( আনারস প্রতীক) বের করে দিয়ে প্রতিপক্ষ ও বিজয়ী প্রার্থী ছাইদুর রহমান স্বপনের (কাপ পিরিচ প্রতীক) সমর্থকরা আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগীতায় ব্যালেট পেপারে সীল মেরেছে।
তিনি বলেন, আমি ও মনির (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) বার বার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিহিত করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের দিন আইন-শৃংখলা বাহিনীর এলোপাথারি মারধোরে তার ৫ শতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ২০টি ভোট কেন্দ্রের সামনে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের কর্মী সমর্থকদেরকে মারধোর করে সরিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ব্যালেট পেপারে সীল মারে। এসব ঘটনার স্থিরচিত্র ও ভিডিও তার কাছে আছে দাবি করে তিনি প্রহসনের এই ভোটের ফলাফল বাতিল করে ২০টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মনির হোসেন বলেন, উপজেলার বায়েক এলাকার তাদের একজন কর্মীকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে তুলে নিয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান এখনো তারা পাননি। তারা বলেন, প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের হামলা-মামলার ভয়ে তাদের সমর্থকরা এখন আতঙ্কে আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (তালা প্রতীক) মোঃ মনির হোসেন, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মানিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ পিরিচ প্রতীক) ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট।
অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন।
অপর দিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ শফিকুল ইসলাম (চশমা প্রতীক) ৭৬৫৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন (তালা প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯১৯১ ভোট।