চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ কেজি গাঁজা এবং ৩ হাজার ৭৭৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে ও গতকাল শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের কোড্ডা রেলগেইটের পাশ থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ডহরগাঁও গ্রামের মোঃ জালাল উদ্দিন (৩২), একই জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বাটিকবালিয়াপাড়ার মোঃ রবিন মিয়া রনি (২৩), কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবপুর গ্রামের নিবির মিয়া (২১) ও ভৈবর টিনবাজার এলাকার অন্তর দাস (১৯)।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সকালে আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। পরে প্রাইভেটকারে তল্লাশী চালিয়ে ২৪ কেজি গাঁজাসহ জালাল উদ্দিন ও রবিন মিয়া রনিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে।
অপর দিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার সুলতানপুর-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের কোড্ডা রেলগেইটের পাশে অভিযান চালিয়ে নিবির মিয়া-ও অন্তর দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পাঁচ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আয়েশা খাতুন (৩৪) নামে এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায় এনা সার্ভিসের একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক আয়েশা খাতুন ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দলেশ্বরী কলেজ রোড এলাকার সাব্বির মিয়ার স্ত্রী।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বিল্লাল হোসাইন জানান, প্রতিদিনের মতো ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের টোলপ্লাজা এলাকায় থানার এসআই মো. ইসাহাক মিঞার নেতৃত্বে পুলিশের অভিযান চলছিল। অভিযানকালে এনা সার্ভিসের ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে (ঢাকা মেট্টো-ব-১৫-৩৪৯৩) তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এ নারীকে আটক করা হয়। এ সময় তার সাথে থাকা ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার জাজিরা গ্রামের সাদেম হোসেনের ছেলে মাসুদ (৩৫) পালিয়ে যায়। আটক আয়েশাকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা উভয়েই মাদক কারবারের সাথে জড়িত বলে জানা যায়। এ ঘটনায় আটক নারী এবং পালিয়ে যাওয়া যুবকসহ দু’জনকে আসামি করে আশুগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়া আয়েশাকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে অটোমেটিক ডায়ার রাইস মিলের কারণে জনজীবনে নেমে আসা দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আবু তাহের মার্কেট প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দূর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওবায়দুল হক। তিনি বলেন, আশুগঞ্জের দূর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা গ্রামে প্রকৃতি ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে স্থানীয় দুটি অটোমেটিক ডায়ার রাইস মিল তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কোনো রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ফসলি জমির পাশে ও জনবহুল এলাকাতে মিলগুলো পরিচালিত হওয়ায় স্থানীয়রা মারাত্মক দুর্ভোগের মুখে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, মিলগুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া, উড়ন্ত ছাই ও ধুলাবালির কারণে স্থানীয়রা শ্বাসকষ্ট ও চোখের রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সেইসঙ্গে মিলের গরম পানি মিশ্রিত ছাই পার্শ্ববর্তী খালে ফেলায় পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ছে। এসব বিষাক্ত পানি ফসলি জমিতে গিয়ে পড়ায় উর্বরতাসহ ফসল নষ্ট হচ্ছে। খালটির বেশিরভাগ অংশ ছাই মিশ্রিত পানিতে ভরাট হয়ে পড়ায় প্রভাব পড়েছে জীব-বৈচিত্র্যের ওপর। গ্রামবাসী বিষয়টি মিল মালিকদের বার বার জানালেও তারা তাতে কোনো কর্ণপাত করেনি। বরং উল্টো গ্রামবাসীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বে-আইনিভাবে মিলের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরকে লিখিত অভিযোগ দিলেও এর কোনো প্রতিকার হয়নি। পরবর্তীতে গ্রামবাসী পরিত্রাণ পেতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। বক্তারা, জনস্বার্থ রক্ষায় অবিলম্বে দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য মো. ছাদির, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবরু মিয়া, স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহজাহান, মো. হানিফ মিয়া, মো. আব্দুল হাইসহ গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ সার কারখানায় অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। এছাড়া তিনদিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ না করা হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আজ ২৩ জুলাই রবিবার সকালে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। এজন্য সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রধান ফটক দিয়ে কারখানা থেকে সার সরবরাহ বন্ধ ছিল।
কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, একটি ইঞ্জিন দীর্ঘদিন চলার পর যখন কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে তখন যন্ত্রাংশ খুলে পরিষ্কার, মেরামত ও পরিবর্তন করে পুনঃসংযোগ করাকে ওভারহলিং বলে। গত ১ মার্চ থেকে ওভারহলিংয়ের জন্য আশুগঞ্জ সার কারখানায় দুই মাস উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। ওভারহলিং শেষে মে মাস থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। তাই প্রায় পাঁচ মাস ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, দ্রুত গ্যাস সরবরাহ না করা গেলে কারখানাটি পুনরায় চালু রাখা সম্ভব হবে না। তাই কারখানা বাঁচাতে শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন এবং তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কর্মসূচির মধ্যে ২৪ জুলাই ও ২৫ জুলাই কারখানায় গেটে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। এছাড়া তিনদিনের মধ্যে দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উৎপাদন চালু থাকলে আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যের শুভ উদ্বোধন ২ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয় বিতরণ কার্যের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
অনুষ্ঠানে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোহবাব হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেক মিয়া, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক সহ ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবের আল জুবাইলে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরির বয়লার বিস্ফোরণে এক প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সোহেল শিকদার।
নিহত সোহেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের জহিরুল হক শিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পরিবারের সচ্ছলতার জন্য সৌদি আরবের আল জুবাইলে গিয়েছিলেন সোহেল। সৌদি আরবে ফ্রি ভিসায় গিয়ে চুক্তিভিত্তিক ভাবে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে একটি ক্যামিকেল ফ্যাক্টরিতে ওয়েলডিং এর কাজ করছিলেন সোহেল। হঠাৎ ফ্যাক্টরির বয়লার বিকট শব্দ হয়ে বিস্ফোরণ হলে পুরো ফ্যাক্টরিতে আগুন ধরে যায়। এসময় সোহেল অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এ বিস্ফোরণের ঘটনায় সোহেলসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি ও আরেকজন ভারতীয় নাগরিক।
আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার সোহাগপুর গ্রামে নিহত সোহেলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শোকের মাতম চলছে।
নিহত সোহেলের ভাই সবুজ শিকদার বলেন, আমার ভাই দুই বছর আগে প্রবাসে যান। প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে ভালোই চলছিল। তার স্ত্রী দুই শিশু সন্তানও রয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা চিন্তিত। এছাড়া পরিবারটিও এখন আর্থিক সংকটের পড়বে। আমার বড় ভাইয়ের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।