অনলাইন ডেস্ক :
বেসরকারি রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল শিক্ষার্থীদের (ট্রেইনি চিকিৎসক) ভাতা ২৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ আজ ১৬ জুলাই রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কিছুক্ষণ আগে এ সিদ্ধান্ত এসেছে। আমরা সবাইকে এমনটি নিশ্চিত করছি।’
তবে এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন বেসরকারি রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসক ডা. তানভির বলেন, ভাতা বাড়ানো হয়েছে কিনা আমাদের এখনও জানানো হয়নি। যদি হয়ে থাকে, আগে আমাদের বলার কথা। খবরে জানতে পারলাম ৫ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। এটা হয়ে থাকলে আমরা মানি না।
এর আগে, ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আজ রোববার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। বিকেল ৫টার দিকে প্রায় ৭ ঘণ্টা পর শাহবাগ-সায়েন্স-ল্যাবমুখী রাস্তা ছাড়েন আন্দোলনকারীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন চিকিৎসকদের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে ফিরে এসে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, উপাচার্য আমাদের লিখিত আশ্বাস দিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং সুখবর জানাবেন।
গত ৮ জুলাই থেকে ভাতা বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএসএমএমইউ) ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এরপর দাবি আদায়ে শাহবাগ ও বিএসএমএমইউতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপিও দেন।
চিকিৎসকরা ভাতা ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন। তাদের দাবি—তাদের ভাতা ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত ও নিয়মিত ভাতা প্রদান করতে হবে।
প্রসঙ্গত, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকরা দুই বছর থেকে পাঁচ বছর উচ্চশিক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন এবং এই সময়টা তারা হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা দেন।
একই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী, তারা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। এজন্য তারা সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন। তবে এ টাকা একটা বড় শহরে থেকে সংসার পরিচালনার জন্য সামান্য বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
তারা বলছেন, বাড়ি ভাড়া ও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে উচ্চ বাজার মূল্যের এই কঠিন সময়ে সংসার চালানো কষ্টের। তাই তারা ভাতা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে আসছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বা শেষ ধাপে বুধবার ৬০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়। এরপর ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
উপজেলার ফলে দেখা গেছে, জয়ী প্রার্থী সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
এবার মোট চার ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তৃতীয় ধাপের ২২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি উপজেলার ভোট গ্রহণ হয় চতুর্থ ধাপে। বাকি ২০টি উপজেলায় ভোট হবে ৯ জুন।
শেষ ধাপে ৬০ উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস) প্রতীক ৯২,৫৫২ ভোট পেয়ে বে-বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৪ ভোট।
বিজয়নগর উপজেলায় জাবেদ আহমেদ (আনারস) প্রতীক ৪৫ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৮৫ ভোট।
নবীনগর উপজেলায় মো. ফারুক আহম্মেদ (আনারস) প্রতীক ৫৮ হাজার ৩৪৭ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮১ ভোট।
কুমিল্লা : জেলার উত্তর জেলা মহিলা লীগের সদস্য রেহানা বেগম আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ২৭৭ ভোট পেয়ে পুনরায় হোমনা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান আবুল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৩০ ভোট। রেহানা কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদের স্ত্রী।
নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বাছির ভূঁইয়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪৭ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম ছুফু কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ১১২ ভোট।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল আনারস প্রতীকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম গোলাম ফারুক দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৭ ভোট।
সুনামগঞ্জ : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের খায়রুল হুদা চপল জয়ী হয়েছেন। ৭৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে জেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণ পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৫৪ ভোট। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার ২ লাখ ২৮ হাজার ৫৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৯১ ও নারী ভোটার ১ লাখ ১১ হাজার ৭৪১ জন। হিজড়া একজন। উপজেলায় ভোটকেন্দ্র ৭৮টি।
বরগুনা : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বরগুনার আমতলীতে গোলাম সরোয়ার ফোরকান ও তালতলীতে মনিরুজ্জামান মিন্টু উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোলাম সরোয়ার ফোরকান আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ১৮৮ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এলমান উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন, ১০ হাজার ৮৯১ ভোট। ২৬ হাজার ২৯৭ ভোট বেশি পেয়ে গোলাম সরোয়ার ফোরকান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তালতলী উপজেলা পরিষদে মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু আনারস প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৩৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকততম প্রার্থী রেজবিউল কবির জোমাদ্দার পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৩ ভোট। এক হাজার ৯৮৩ ভোট বেশি পেয়ে মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চাঁদপুর : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৪র্থ ধাপে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হিসেবে চিংড়ি প্রতীকের খাজে আহমেদ মজুমদার বিজয়ী হয়েছেন। মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৬৯ ভোটারের মধ্যে শতকরা ২২.৩০ ভাগ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে খাজে আহমেদ মজুমদার ৬০৮৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিককটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আমীর আজম রেজা ২০০২১ ভোট পেয়েছেন। দুই জনের ভোটের ব্যবধান ৪০৮৫৩ ভোট বেশি পেয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৬৯ জন ভোটার রয়েছে। এদেরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ১২২ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৭ জন। ১১৮ টি ভোট কেন্দ্রের ৮৭৪টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এছাড়া মোট ১১৮ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের জন্য নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কচুয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলম টেলিফোন প্রতীকে ৩৪ হাজার ৪৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শাহজাহান কাপ-পিরিচ পেয়েছেন ২৭ হাজার ৫৮৪ ভোট।
রংপুর : চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বদরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টানা তৃতীয়বারের মতো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুইট। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাসান তবিকুর চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫২ ভোট।
অন্যদিকে তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান লিটন। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম মার্শাল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ১৮৬ ভোট।
ফেনী : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মজুমদার কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৫৪ হাজার ৯২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এএসএম সহিদ উল্ল্যাহ মজুমদার পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ ভোট।
যশোর : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে যশোর সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৫৭ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফতেমা আনোয়ার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৬১০ ভোট।
ভোলা : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ভোলার দুটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে মনপুরা উপজেলায় মো. জাকির হোসেন, চরফ্যাশন উপজেলায় জয়নাল আবেদীন আকন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
মনপুরা উপজেলায় আনারস প্রতীক নিয়ে মো. জাকির হোসেন ২১ হাজার ৬৬৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শারিয়ার চৌধুরী দীপক পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৭৬ ভোট।
সিলেট : জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৫ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান বাহার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭৬৫ ভোট।
জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান উদ্দিন চৌধুরী দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৪ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জমিয়ত নেতা মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরান কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৬৮ ভোট।
সিরাজগঞ্জ : কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ২৮৬ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৭৮ ভোট।
রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম হোসেন শোভন সরকার ঘোড়া প্রতীকে ৭০ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮০৫ ভোট।
জামালপুর : সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ২১৩ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. তালেব উদ্দিন দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৭ ভোট।
বরিশাল : বরিশাল জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসা. ফারজানা বিনতে ওহাব আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার খালেদ হোসেন স্বপন পেয়েছেন ২৫ হাজার ১১৪ ভোট।
ময়মনসিংহ : জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হাজী রফিকুল ইসলাম রফিক আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৮ হাজার ৬৯৪ ভোট পেয়ে ভালুকা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তুফা দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৩৪ হাজার ১৬৯ ভোট পেয়েছেন।
গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন বাদল আনারস প্রতীক নিয়ে ৭১ হাজার ৩০৪ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন দীপু পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭৪৫ ভোট।
নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৪৬ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এমদাদুল হক ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫৮৭ ভোট।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম ৬১ হাজার ৫১১ ভোট পেয়ে বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমরানুল হক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৭৯ ভোট।
ফরিদপুর : বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪৩ হাজার ২৩৬ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৫৫ ভোট।
কাজী মনিরুল হক মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৩ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদ হাসান কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৪২৯ ভোট।
বগুড়া : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪১ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫১ ভোট।
অন্যদিকে ধুনটে ৪০ হাজার ৬০ ভোটে আনারস প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আসিফ ইকবাল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআইএম নুরুন্নবী তারিক মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৬২ ভোট।
দিনাজপুর : ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মিল্টন ৫৭ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭ ভোট।
পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রামাণিক ৭১ হাজার ১৬৭ ভোট পেয়ে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল গফুর পেয়েছেন ৬ হাজার ২২৪ ভোট।
নবাবগঞ্জ উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম ৪৯ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নিজামুল হাসান পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৫৫ ভোট।
হবিগঞ্জ : মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মো. শাহজাহান ঘোড়া প্রতীকে ৬২ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৫২ ভোট।
চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান ঘোড়া প্রতীকে ৫২ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৬২ ভোট।
টাঙ্গাইল : জেলার গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কেএম গিয়াস উদ্দিন, মির্জাপুরে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত ও সখীপুরে মুহাম্মদ আবু সাইদ মিয়া চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়াও বাসাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাজী অলিদ ইসলাম পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি জানান, চার উপজেলার ৩৬৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এসব উপজেলায় ২০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান ১৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গোপালপুর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীরা আগেই বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ওই উপজেলায় শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত আনারস প্রতীকে ৫৫ হাজার ৬৪৪ ভোট পেয়ে মির্জাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম মোজাহিরুল ইসলাম মনির কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট।
মুহাম্মদ আবু সাঈদ মিয়া আনারস প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৯১ ভোট পেয়ে সখীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সানোয়ার হোসেন সজিব গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪১ ভোট।
কাজী অলিদ ইসলাম আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৮৫৪ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহা. শহীদুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬৫৯ ভোট।
রাজশাহী : জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে বাঘা উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের লায়েব উদ্দিন লাভলু। তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের মো. রোকনুজ্জামান রেন্টু পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৯৯ ভোট।
এছাড়া চারঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের কাজী মাহমুদুল হাসান। তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৮১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের ফকরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪১ ভোট।
কিশোরগঞ্জ : রেজাউল হক কাজল আনারস প্রতীকে ৩৬ হাজার ২১২ ভোট পেয়ে বাজিতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রকিবুল হাসান শিবলী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭৭ ভোট।
আবুল মনসুর কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৪০ হাজার ৩৫০ ভোট পেয়ে ভৈরব উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৫৬ ভোট।
কুলিয়ারচর একক প্রার্থী হিসেবে আবুল হোসেন লিটন আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
খুলনা : জেলার দাকোপ উপজেলায় আবুল হোসেন ৩৬ হাজার ৩২৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বটিয়াঘাটা উপজেলায় মো. মোতাহার হোসেন ৩৩ হাজার ৭৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া রূপসা উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন এস এম হাবিবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৭৭ ভোট।
চলারপথে ডেস্ক :
আসন্ন রমজানে প্রায় এক কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন ও ‘বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তিকেন্দ্র’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রমজানের সময় আমরা প্রায় এক কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেবো, সেই সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। যাতে দেশের মানুষের কখনো খাদ্যে কষ্ট না পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ’
দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের দেশে যারা হতদরিদ্র তাদেরকে আমরা প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দিচ্ছি। এই চালের সঙ্গে আমরা পুষ্টি চালও মিশিয়ে দিচ্ছি যাতে তাদের পুষ্টিহীনতা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সময়ে আমরা নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, স্যাংশন, পাল্টা স্যাংশনের ফলে বিশ্বব্যাপী যখন মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে আমরা আমাদের দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রায় এক কোটি মানুষকে ৩০ টাকা কেজিতে চাল দিতে টিসিবি কার্ড বিতরণ করেছি। তার থেকেও যারা নিম্নবিত্ত, তারা ১৫ টাকায করে কেজিতে চাল নিতে পারবে আমরা সেই ব্যবস্থা প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জন্য করেছি। ’
নিজে ফসল ফলানো গর্বের
স্কুল জীবন থেকে শিক্ষার্থীদের কৃষি কাজে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিতে আমাদের যুব সমাজকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা দরকার। আমার মনে হয় স্কুলজীবন থেকেই সম্পৃক্ত করা দরকার। মাঠে কাজ করা, ফসল ফলানো এটা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়, লজ্জার বিষয় না। কাজেই সেভাবেই আমাদের দেশের মানুষকে গড়ে তুলতে হবে। ’
কৃষি নিয়ে শিক্ষিত যুবকদের মানসিকতা বদলেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আমি সত্যি খুব আনন্দিত। অনেক ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শিখে মাঠে যেতে চায় না, এমনও ছিল যে, বাবা কৃষক সেটা বলতেও লজ্জা পেতো। আজকে কিন্তু সেই লজ্জাটা আর নাই, সেই লজ্জাটা আমরা ভেঙে দিয়েছি। ’
তিনি বলেন, ‘যেটা খেয়ে আমাদের জীবন বাঁচে, সেই কাজ করাটা লজ্জার না। সেই কাজ করাটা গর্বের। কাজেই মানসিকতার পরিবর্তন করা একান্ত প্রয়োজন। সেটাও আজকে অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। ’
(প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন প্রজাতির ধান, সরিষা, মধু, প্রায় সব ধরনের শাক-সবজি, ফলমূল, হাঁস-মুরগি, কবুতর, গরু, মাছ চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। )
আরও গবেষণা বাড়াতে হবে
কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় মনে করি গবেষণা ছাড়া কখনো উৎকর্ষ সাধন করা যায় না। আর যেহেতু কৃষিনির্ভর দেশ, আমরা গবেষণার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। পাশাপাশি আমরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান সেগুলো গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। ’
তিনি বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে ভৌগলিক অবস্থানের কারণে সব সময় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আঘাত আমাদের ওপর আসে। সেজন্য গবেষণা সবসময় অব্যাহত রাখতে হবে এবং এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ফসল উৎপাদন করতে হবে। শুধু ধান উৎপাদন নয়, ধানের সঙ্গে আমাদের তরকারি, ফলমূল সবকিছু উৎপাদনে বাংলাদেশ একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ’
কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কথা স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সব সময় বলে গেছেন এবং ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। আজকে আমরা সে ব্যাপারে যথেষ্ট এগিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা যান্ত্রিকীকরণের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিচ্ছি, ভর্তুকি দিচ্ছি, উপকূল অঞ্চলে প্রায় ৭০ শতাংশ আমরা ভর্তুকি দিই এবং অন্যান্য অঞ্চলে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি। ’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। সেজন্য দক্ষ মানবশক্তি তৈরি করতে আমরা ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশ্বে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে, আমাদেরও সেসঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। ’
এর আগে গাজীপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে ‘বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্র’র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনের পর তিনি বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্রের বিভিন্ন উদ্ভাবন ঘুরে ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্স ইনস্টিটিউটের (আইআরআরআই) মহাপরিচালক জেইন বালিই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটির (সিইইউ) নির্বাহী পরিচালক ড. স্টেভিন ওয়েব, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবির।
উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন নিয়ে সংবিধান বা প্রচলিত আইনে যা আছে, তার বাইরে কোনো সংলাপ হতে পারে না বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার মতে, সংবিধান ও আইন মেনে যদি কেউ নির্বাচনে আসে, তাহলে আলোচনারও প্রয়োজন থাকে না।
আজ ১৫ অক্টোবর রবিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে বসতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সমন্বয়ে গঠিত মার্কিন প্রতিনিধি দলটি গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করে। পাঁচ দিনের মিশন শেষে মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশনসহ অংশীজনদের কাছে পাঁচটি সুপারিশ করেছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাকস্বাধীনতা, ভিন্নমতসহ বিভিন্ন সরকারের অবস্থান তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা যে কথাগুলো বলেছেন, তার প্রায় সবই মেনে ফেলেছি। আরেকটি কথা, দেশে একটি সংবিধান আছে এবং সেই সংবিধানে বলা আছে নির্বাচন কিভাবে হবে। দেশে আইনও আছে। সংবিধান ও আইন মেনে নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে বা প্রচলিত আইনে যা আছে, তার বাইরে কোনো সংলাপ হতে পারে না। সংবিধান ও আইন মেনে যদি কেউ নির্বাচনে আসে, তাহলে কিন্তু আলোচনারও প্রয়োজন থাকে না।
‘গায়েবি’ মামলায় দ্রুত সাজা দিতে আইন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ শাখা খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইন মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষ শাখা খোলা হয়েছে, যাদের কাজ হলো বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও গায়েবি মামলার তালিকা করে নির্দিষ্ট কিছু মামলার দ্রুতবিচার করে সাজা দিতে আদালতকে নির্দেশ দেওয়া। এ কাজ শুরু হয়েছে। এ অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আশা করব বিএনপির মহাসচিব জেনেশুনে কথা বলবেন।
মামলা জটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহবান আইনমন্ত্রীর
এদিকে রোববার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একটি ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এখানে তিনি বিচার বিভাগের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত মামলাজটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মেধা, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তি দ্বারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আহবান জানান। একই সঙ্গে তিনি বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষকে দ্রুত ও সহজে ন্যায়বিচার প্রদানের মাধ্যমে জাতিসংঘের এসডিজি ও সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার আহবান জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধাপে ধাপে সফলতার সাথে অগ্রসর হচ্ছে। প্রথম ধাপ রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের পথ ধরে এখন তার সরকার এসডিজি ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে দুর্বার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার দেখানো পথে ২০৪১ সালে আমরা অবশ্যই নতুন আরেক বাংলাদেশ দেখতে পাবো, যে বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ-উন্নত বাংলাদেশ; আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী স্মার্ট বাংলাদেশ, যেখানে গড়ে উঠবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ।
একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিগত প্রায় দেড় দশক যাবৎ জ্ঞান অন্বেষণ, জ্ঞানচর্চা, জ্ঞানসৃষ্টি ও জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্র বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহু যুগান্তকারী ও অভূতপূর্ব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে বলে আনিসুল হক বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
আনিসুল হক বলেন, নব্য বিশ্বায়নের এ যুগে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারই জ্ঞান অন্বেষণ, জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্র বৃদ্ধির প্রধান মাধ্যম হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ নামক নতুন এক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে প্রবেশে কোনো শ্রেণি-ভেদ নেই, নতুন এই বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিকের সমান প্রবেশাধিকার রয়েছে। স্মরণ রাখা প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০৪১ সালে যে স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে জ্ঞানই হবে সবচেয়ে বড় শক্তি। যার জ্ঞান থাকবে স্মার্ট বাংলাদেশে সেই সমাজের উঁচু স্তরে পৌঁছে যাবে, তার বংশ পরিচয় যাই-হোক না কেন?
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যতবেশি দক্ষ হবেন, যিনি যত দ্রুত মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারবেন, স্মার্ট বাংলাদেশে তিনি ততবেশি এগিয়ে যাবেন। সেই কারণে বিচারকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম উপায় হলো সুষম মানবসম্পদ উন্নয়ন। আর মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হলো প্রশিক্ষণ। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও দরকার প্রশিক্ষণ।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সাভারে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভোর রাতে ছিনতাই করার সময় তাদেরকে গ্রেফতার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আজ ৪ জুলাই ভোর রাতে সাভারের শাহীবাগ এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার শান্তসহ বাকিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছিনতাই করার সময় স্থানীয়রা তাদের ধরে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গ্রেফতার করে।
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, গ্রেফতারকৃতদের নামে সাভার মডেল থানায় আগে থেকে কোন মামলা নেই। তবে আশেপাশে যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেগুলা নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এই কিশোররা জড়িত কিনা। যদি জড়িত থাকে এই মামলায় তাদেরকে শোন এরেস্ট করা হবে। এই ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০১৫ সালে আমরা যখন বেতন ভাতা বৃদ্ধি করি, আমরা একটা গবেষণায় দেখেছিলাম যে ইনফ্লেশনের (মুদ্রাস্ফীতি) সঙ্গে সঙ্গে একটা শতকরা হারে বেতন বাড়বে। প্রতি বছরের হিসাব মতে ইনফ্লেশন যত বাড়বে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা বেতন বাড়াই। অনেক সুযোগও দিয়েছি, বৈশাখী ভাতা থেকে শুরু করে, ফ্ল্যাট কেনার ভাতা, গাড়ি কেনার লোন ইত্যাদি।’
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ ১৫ মে সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু মুদ্রাস্ফীতি কিছু বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরা সেই জায়গায় আবার কতটুকু পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া যায় সেই চিন্তা-ভাবনা করছি। কমিশন কর, এটা কর, সেটা কর, এতে খুব বেশি লাভ হয় না। কিছু লোক বঞ্চিত হয়ে যায়, আর কিছু লোক লাভবান হয়। এ জন্য প্রতি বছরের হিসাব মতো মুদ্রাস্ফীতি যত বাড়বে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা বেতন বাড়াব। তাছাড়া অনেক সুযোগও দিয়েছি। বৈশাখী ভাতা থেকে শুরু করে ফ্ল্যাট কেনার লোন, গাড়ি কেনার লোনসহ অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেতন যেভাবে বাড়িয়ে দিয়েছিলাম সেটা কিন্তু সবার জন্যই। তাই আমাদের মহার্ঘ্য ভাতার দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। যেহেতু ইনফ্লেশন বেড়ে গেছে, তাই ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন যেন বাড়তে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।’
বেসরকারি খাতের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তাদের বিষয়। এটা সরকারের ব্যাপার না। বেসরকারি খাত করোনাভাইরাসের সময় যেন বিপদে না পড়ে তার জন্য প্রণোদনা দিয়েছি। তাদেরকে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমরা ভর্তুকিও দিয়েছি। এই ভর্তুকিটা বাজেটে বিপদে ফেলেছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এমন ভর্তুকি দেয় না। বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়ায় কে বেশি লাভ পায়? যে সবচেয়ে বেশি এয়ারকন্ডিশন চালায় তার লাভ হয়। গরীব মানুষের তো লাভ হয় না। আসলে লাভবান হচ্ছেন বিত্তশালীরা। সব জায়গায় জ্বালানি তেল, পরিবহন এত বেড়েছে। এটা টানা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। যে দামে উৎপাদন হবে সেই দামে কিনতে হবে। যে যতটুকু পারবেন ততটুকু কিনবেন। সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে এসব জায়গায় ভর্তুকি দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। এই করোনার সময়, ইউক্রেন যুদ্ধের সময় বাজেট যে করতে পারছি এজন্য ধন্যবাদ জানাবেন। বাজেটের প্রস্তুতি ঠিকঠাক করে দিয়েছি।’