চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বঙ্গোপসাগরে সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষিদ্ধ সময়ে আনুমানিক ৪শ কেজি ল্যাইটা,ছুরি,পোয়া মাছ ধরার অপরাধে উপজেলা মৎস্য অফিস অভিযান পরিচালনা করেছে।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার দুপুরে আনোয়ারা উপজেলার কালাবিবি দীঘির মোড়ে পিএবি সড়কে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: রাশিদুল হকের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
জব্দকৃত মাছ সমূহ উমুক্ত নিলামে ১৩হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি করা হয়। জব্দকৃত মাছ ৫ টি এতিমখানায়ও দেয়া হয়েছে।
এ সময় মৎস্য অফিসের মেরিন ফিসারিজ অফিসার হুজ্জাতুল ইসলাম ও অফিস সহকারী মোহাম্মদ এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশিদুল হক জানান,সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। সাগরে মাছ ধরার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে রয়েছে ৭৬ কিলোমিটার সড়ক।
আসন্ন ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের ভোগাবে এই অংশের অন্তত ৪০ কিলোমিটার সড়ক।
দুটি সড়কে চারলেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের কারণে এ শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সড়কের বেহাল দশা ও খানাখন্দের কারণে যান চালানো এখন বড় দায়। যানজট ও ধীর গতির কারণে প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে সড়কে। এতে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে, তেমনি চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সড়ক বিভাগ জানায়, ২০২০ সালের মার্চে শুরু হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটারের চারলেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। এর আওতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় থেকে ধরখার পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে।
তবে করোনাকালীন সময়সহ নানা জটিলতায় বড় এই প্রকল্পের কাজে অনেকটাই ধীরগতি এসেছে। ফলে এখনও শেষ হয়নি রাস্তা নির্মাণ কাজ। এ কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে এই সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে। এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের ৩০/৩৫ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। এরমধ্যে যাত্রীবাহী যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।
ঈদ মৌসুমে দেশের সব সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এর ব্যতিক্রম হবে না ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অধ্যুষিত এই রাস্তায়ও। এমতাবস্থায় আসন্ন ঈদে এ সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হবে ঘরমুখো যাত্রীসাধারণের।
চালক ও যাত্রীরা জানান, দুটি সড়ক দিয়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করার কারণে সড়কগুলোর অবস্থা করুণ। নির্মাণকাজ করতে সড়ক খুঁড়ে রাখাসহ একপাশ বন্ধ করে রাখায় প্রতিদিনই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে তীব্র ধুলোবালির কারণে এসব পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই।
তারা আরো জানান, সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সড়কে বিভিন্ন সময়েই ঘটেছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। ফলে ঝুঁকি নিয়েই সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। রাস্তার খানাখন্দ ও যানজটের কারণে এক ঘণ্টার যাত্রাপথ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।
এ সময় সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রাকে নির্বিঘ্নে করতে অবশিষ্ট সড়ক দ্রুত মেরামত করা হবে।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যানজট নিরসনে চালক ও হেলপারদের সচেতন করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশের সাতটি টিম সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিরসনে কাজ করছে।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৫ সালের জন্য হজের প্রাক-নিবন্ধন আজ ১২ আগস্ট সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত আগামী বছরের ২০২৫ (১৪৪৬ হিজরি) হজের প্রস্তুতিমূলক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১২ আগস্ট থেকে হজের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রাক-নিবন্ধনের ভাউচারমূলে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজে গমনেচ্ছুরা এই কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকে ৩০ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধনের অনুরোধ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পাচারকালে মালিকবিহীন ভারতীয় ৯৯ বস্তা চিনিসহ ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ট্রাকটি শিমুলতলী এলাকা থেকে আটক করা হয়। তবে বড় এই চালানের সাথে জড়িত কাউকে পায়নি পুলিশ। এমনকি ট্রাক চালককেও ধরতে পারেনি।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান, ৯৯ বস্তা চিনিসহ ট্রাক জব্দ রয়েছে। চালক পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা যায়নি। তবে এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। চোরাকারবারিদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ পথে মাদকের সাথে চিনি পাচার হচ্ছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর সীমানা দিয়ে। স্থানীয়রা দেখে ফেললে মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযানে অল্প পরিমাণ মাদক ও চিনি ধরা পড়ে। এরই ধারবাহিকতায় সোমবার সন্ধ্যার পর দুর্গাপুরের শিমুলতলী এলাকা দিয়ে একটি ট্রাক ভর্তি চিনি নেত্রকোনায় আসার পথে স্থানীয় ও গোয়েন্দাদের নজরে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকটি জব্দ করে। তবে চালক পালিয়ে যায়।
সোমবারের চালানে জব্দ ৯৯ বস্তায় ৪ হাজার ৪৫৫ কেজি চিনি যার বর্তমান বাজারদর ৪ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকা বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্বাস আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান, চিনি কার সেটি জানা নেই তবে মামলা হয়েছে। পাচারকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চিনি পাচারে পুলিশের সরাসরি সহযোগিতা থাকার বিষয়টি এক চোরাকারবারীর ফোনালাপে ফাঁস হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, সবটাই মিথ্যা।
এদিকে জব্দ চিনির বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদের কাছে জানতে মঙ্গলবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে ট্রেনে নাশকতার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তাই নাশকতা এড়াতে ট্রেনে বসানো হচ্ছে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। এরই মধ্যে বিভিন্ন ট্রেনে সিসি ক্যামেরা বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) এসব সিসি ক্যামেরা স্থাপন করছে। প্রথম পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃনগর ট্রেন ও পরবর্তীতে অন্য ট্রেনগুলোতেও সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
জানা যায়, শুধু ট্রেনেই নয়, যেসব স্টেশনে আগে থেকে সিসি ক্যামেরা নেই সেসব স্টেশনেও এ ক্যামেরা বাসানো হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনগুলো এরই মধ্যে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১০ জানুয়ারি থেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন ট্রেনে সিসি ক্যামেরা বসানো শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিতা, মহানগর প্রভাতী ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে ১২টি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ট্রেনে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এতে রেল সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের জানমালেরও ক্ষতি হয়েছে। তাই নাশকতা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব ট্রেকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে। রেলওয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করা হবে।