চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২৪ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনকে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) পদে বদলি করা হয়। অন্যদের পুলিশের অন্যান্য বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। আজ ১৭ জুলাই সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পুলিশ সুপার পদে বদলি: সিনিয়র সহকারী সচিব মাহাবুর রহমান শেখ সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী- ঢাকার বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসানকে ঝিনাইদহ, ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি মনজুর রহমানকে মৌলভীবাজার, ঢাকা টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীনকে বান্দরবান, বান্দরবান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামকে নাটোর, নাটোর পুলিশ সুপার সাইফুর রহমানকে রাজশাহী, অপরাধ তদন্ত বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরকে খাগড়াছড়ি, ঢাকা মেটোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার উত্তম প্রসাদ পাঠককে ঠাকুরগাঁও, ঢাকার বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জি এম আব্দুল কালাম আজাদকে রাজবাড়ী, ঢাকা মেটোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবুল হাসনাত খানকে বাগেরহাট, ঢাকা মেটোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার তারেক বিন রশিদকে লক্ষ্মীপুর এবং শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানকে জামালপুরে পুলিশ সুপার পদে বদলি করা হয়েছে।
অন্যান্য বিভাগে বদলি: একই কর্মকর্তার অপর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আশিকুর রহমানকে ঢাকার বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়াকে হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার, রাজশাহী পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার নাইমুল হককে ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার, ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার, রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার, জামালপুর পুলিশ সুপার নাছির আহমেদকে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের পুলিশ সুপার, বাগেরহাটের পুলিশ কে এম আরিফুল হককে রাজশাহী মহানগরের উপপুলিশ কমিশনার, লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার, পিরোজপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামকে ঢাকা বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার, পুলিশ অধিদপ্তর ঢাকার (টিআর) পুলিশ সুপার শামীমা আক্তারকে ঢাকা স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশনের পুলিশ সুপার, পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সরকার ওমর ফারুককে রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ অধিদপ্তর ঢাকার (টিআর) পুলিশ সুপার তাহিয়াত আহমেদ চৌধুরীকে সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার পদে বদলি করা হয়েছে।
জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, এক মাস পেরোতেই আবার পুলিশের মাঠ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন পদে রদবদল হলো। আগের দিন রোববার ১৬ উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও ৩৫ অতিরিক্ত ডিআইজির পদমর্যাদার কর্মকর্তা বদলি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজিসহ একই পদমর্যাদার ১৩ কর্মকর্তারও কর্মস্থল বদল করা হয়েছে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে গত ১৩ জুন পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার সাত কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ২২ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছিল। নির্বাচনের আগে পুলিশের মাঠ প্রশাসনে এই রদবদলকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ পদক্ষেপ বলে অনেকে মনে করছেন। পুলিশ সদরদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, এসপি পদে রদবদল হলে ২৫তম ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তারা অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া ২৮ ব্যাচের একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতিপ্রত্যাশী।
এদিকে, পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের ৭২০ কর্মকর্তার পদোন্নতি চেয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রস্তাবটি পাওয়ার পর তা মূল্যায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শূন্য পদ না থাকলেও সুপারনিউমারারি বা সংখ্যাতিরিক্ত পদোন্নতি দিয়ে ইনসিটু (পদোন্নতির পরও আগের পদে দায়িত্ব পালন) করা যেতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব ইজতেমায় এবার টঙ্গীর তুরাগ তীরের পাশাপাশি নদীর পশ্চিম পার ও উত্তরার দিয়াবাড়িতে মূল প্যান্ডেল হচ্ছে। টঙ্গীর মূল মঞ্চের পাশাপাশি দিয়াবাড়িতে আরেকটি মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। তবে টঙ্গীতে অবস্থিত মূল মঞ্চ থেকে দিয়াবাড়ি মঞ্চে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বয়ান প্রচারিত হবে। কিন্তু ইজতেমা ময়দানের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হবে পৃথকভাবে।
অতিরিক্ত মুসল্লির ভিড় সামলাতে ও দুর্ভোগ কমাতে এই আয়োজন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ঘুরে দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের বয়ান মঞ্চের জিম্মাদার হাজী মোহাম্মদ রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘এবার টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের মূল বয়ান মঞ্চের পাশাপাশি উত্তরার দিয়াবাড়িতে আরেকটি মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের মূল মঞ্চের বয়ান আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দিয়াবাড়ি মঞ্চে সরবরাহ করা হবে।
সেখান থেকে দিয়াবাড়ি মাঠে মুসল্লিরা বয়ান ও আখেরি মোনাজাতে শরিক হবেন। তবে প্রতিবছরের মতো এবার টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হবে এবং দিয়াবাড়িতে আলাদাভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হবে।’
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান বলেন, ‘আগামীকাল বিকেলে টঙ্গীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসবেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস ব্রিফিং করে বিশ্ব ইজতেমার বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।’
তিনি বলেন, ‘এবার বিশ্ব ইজতেমায় ১০৫টি খিত্তা থাকবে। টঙ্গীর মূল মঞ্চে ৭২টি, টঙ্গীর তুরাগ তীরের পশ্চিম পারে ১০টি ও উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরে দিয়াবাড়ি মাঠে ২৩টি খিত্তা থাকবে। দিয়াবাড়িতে এবার নতুনভাবে মাঠ প্রস্তুত করায় বেশ কিছু কাজ করা হচ্ছে। দিয়াবাড়িতে ৬০ একর জায়গার মাঠ হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় মাঠ। দিয়াবাড়ি ময়দানে আটটি গভীর নলকূপ, ১৪টি বড় চৌবাচ্চা ও দুই হাজার ৫০০ টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে।’
দিয়াবাড়ি ইজতেমা ময়দানের জিম্মাদার মাওলানা ফরিদ আহমদ বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমার প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান সাহেব। আমি দিয়াবাড়ি ময়দানের জিম্মাদার।’
দিয়াবাড়ি ময়দানের প্রস্তুতি কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ময়দান প্রস্তুত করার কাজ চলছে। টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সর্বসম্মতিক্রমে দুটি ময়দান করা হয়েছে। তবে টঙ্গীর ময়দানের মূল মঞ্চ থেকে বয়ান সরবরাহ করে দিয়াবাড়িতে শোনানো হবে। আখেরি মোনাজাতও বয়ানের মতো সরবরাহ করা হবে। তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ দুই ময়দানে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
আয়োজকরা বলছেন, টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে ১০ লাখ, তুরাগ নদীর পশ্চিম পারে এক লাখ ও দিয়াবাড়িতে দুই লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন। আখেরি মোনাজাতে প্রায় ৪০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২০১১ সালে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আর এবারই প্রথম দুটি ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্ব ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ও ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাতাসে যেন মিষ্টি এক আনন্দের আমেজ। শীতের রুক্ষতাকে বিদায় জানিয়ে ফুলে ফুলে সেজে উঠতে প্রস্তুত প্রকৃতি। একই দিনে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে ভালোবাসার দিন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা দিবস আর বসন্তের রঙ যেন মিলেছে একই দিনে। সবার মুখে মুখে তাই আজ উচ্চারিত হচ্ছে, ‘বসন্তে রঙিন ভালোবাসার দিন। আজ বসন্ত, আজ ভালোবাসার দিন।’
প্রকৃতিতে ফাল্গুনের হাওয়া, বাতাসে বসন্তের উন্মাদনা। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি সেজেছে বর্ণিল সাজে। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। প্রকৃতিও আগুনরঙা ভালোবাসার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়েছে। সবমিলিয়ে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে আজ পহেলা ফাল্গুন।
একই দিনে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে ভালোবাসার দিন। ভালোবাসা দিবস আর বসন্তের রঙ যেন মিলেমিশে এক হচ্ছে আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি)। ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। সেই সঙ্গে ঋতুরাজের হাত ধরে এবারও এলো ভালোবাসার বিশেষ দিনটি। একদিকে বাসন্তী রঙ, অন্যদিকে ভালোবাসার রঙের জোয়ারে প্রকৃতি একাকার আজ।
ফাগুনের আগুনে মন রাঙিয়ে বাঙালি তার দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবে আজ। বাসন্তী রঙের শাড়ি, কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, পায়ে নূপুর, খোঁপায় ফুল অথবা রিং জড়িয়ে আজ বেরিয়ে পড়বেন তরুণীর দল। প্রকৃতির সঙ্গে নতুন সাজে সাজবেন তারাও। তাদের উচ্ছ্বাস মনে করিয়ে দেয় কবির কবিতার লাইন, ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত’।
বেশ কয়েক বছর ধরে ঋতুরাজের হাত ধরে আসছে ভালোবাসার দিন। যদিও ভালোবাসা ক্ষণিকের নয়, চিরন্তন। ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার নয়, শুধু স্বামী-স্ত্রীর নয়, এ ভালোবাসা বয়সের ফ্রেমে বাঁধা নয়, এটা প্রসারিত হয় বন্ধু-বান্ধব, পরিচিতজনসহ সবার মাঝে। ইংরেজি বর্ষপঞ্জির ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবে পরিচিত সারা বিশ্বে। বাংলাদেশেও দিবসটি ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে।
আজ ঋতুরাজ বসন্ত বরণের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। পহেলা ফাল্গুন বসন্তবরণ উৎসব। ২২৫ নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বসন্তবরণের আয়োজন করেছে একাডেমি। রাজধানী রমনায় বিকাল সাড়ে ৩টায় শতায়ু অঙ্গনের পাশের মঞ্চে পরিবেশিত হবে শিশু-নৃত্যদল ও শিশু সঙ্গীত দলের বিশেষ পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিকাল সাড়ে ৪টায় বসন্তের রঙিন শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাটি রমনা পার্ক থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সমবেত হবে। বিকাল সাড়ে ৫টায় একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে আয়োজন করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আজকের বসন্তের এ উৎসবে চারুকলার বিনোদনপ্রেমী মানুষের স্রোত গিয়ে মিলবে বইমেলায়। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত থাকবে এ কোলাহল। বসন্ত মানেই যেন নতুন কলেবর, তাই তো সর্বত্র রঙিন হবে মানুষের ঢলে।
ঋতুরাজ বসন্ত বরণের উন্মুক্ত মঞ্চের আয়োজনে শুরুতে পরিবেশিত হবে দলীয় ‘ঢাক-নৃত্য’। পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদল। পরে তারা পরিবেশন করবে দলীয় নৃত্য ‘শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা’। এরপর দলীয় সংগীত ‘আনন্দ লোকে’ পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু সংগীত দল। দ্বৈত আবৃত্তি ‘রুমঝুম কে বাজায়’ পরিবেশন করবেন ডালিয়া আহমেদ ও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। একক সংগীত ‘যেথা রামধনু ওঠে হেসে’ পরিবেশন করবেন মেহরিন মাহমুদ।
এরপর দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করবেন নওশিন তাবাসসুম স্মরণ ও মোমিন বিশ্বাস। ধারাবাহিক পরিবেশনায় দলীয় নৃত্য ‘সুন্দরের অতন্দ্র প্রহরী’ পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু নৃত্য দল। এরপর দ্বৈত নৃত্য ‘আজি দক্ষিণ পবনে’ পরিবেশন করবে আবু নাইম ও আনন্দিতা খান। দ্বৈতসংগীত পরিবেশন করবেন শারমিন সাথী ইসলাম ও বুলবুল ইসলাম। এরপর আবার দলীয় সংগীত ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’ পরিবেশন করবে ঢাকা সাংস্কৃতিক দল। দ্বৈত আবৃত্তি করবেন তামান্না তিথি ও মাহিদূল ইসলাম।
দলীয় নৃত্য ‘বসন্ত মুখর আজি’/‘নীল দিগন্তে’ পরিবেশন করবে রেওয়াজ পারফর্মার্স স্কুল। নৃত্য পরিচালনা করবেন মুনমুন আহমেদ। দ্বৈত নৃত্য ‘বিশ্ববীণা রবে/আজ সখি’ পরিবেশন করবেন সামিনা হোসেন ও মাহতাব মেহেদী। একক সংগীত ‘চেনা চেনা লাগে’ পরিবেশন করবেন মো. ইউসুফ আহমেদ খান। দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করবেন কিরণ চন্দ্র রায় ও চন্দনা মজুমদার। দ্বৈত নৃত্য ‘ফাগুন লেগেছে শাখে শাখে’ পরিবেশন করবেন জুয়েইরিয়াহ মৌলি ও মারিয়া ফারিহ উপমা। এরপর দলীয় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী নৃত্য পরিবেশন করবে তপস্যা নৃত্যদল। পরিচালনা করবেন নৃত্যপরিচালক ফিফা চাকমা।
দ্বৈত আবৃত্তি করবেন শিমুল মোস্তফা ও রূপা চক্রবর্তী। দ্বৈত নৃত্য ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’ পরিবেশন করবেন অনিক বোস ও কস্তুরী মুখার্জী। এরপর দলীয় নৃত্য ‘অবাক চোখে’ পরিবেশন করবে কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়। এটি পরিচালনা করবেন নৃত্যপরিচালক সাজু আহমেদ। পরে পরিবেশিত হবে দ্বৈত নৃত্য ‘বাগিচায় বুলবুলি’, পরিবেশন করবেন আরোহী ইসলাম (আরিফুল ইসলাম অর্ণব) ও হেনা হোসেন। সবশেষ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদলের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হবে ‘ফ্যাশন ডান্স প্যারেড’।
এদিকে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এ বছর বসন্তবরণ উৎসব ও ভালোবাসা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘ভালোবাসার দিনে বসন্ত উৎসব’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বেলা ১২টায় ডিআরইউ বাগানে বাউল গানের আসর বসবে। ফকির লালন সাঁই, বাউলসাধক শাহ আব্দুল করিমসহ বাংলার লোককবিদের বাউল গান শোনাবেন শিল্পকলা একাডেমির বাউল দল।
চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজতে ইসলামের সংগ্রামী মহাসচিব আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতৃবৃন্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলমের সাথে আজ ১৯ সেপ্টেম্বর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতের শুরুতে নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, ২০২১ সনের হত্যাকান্ডের মূলহোতা উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী সহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানান। মূল হোতা সহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনেক শান্ত হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২০২১ সনে আমার সন্তানরা শহীদ হয়ছে। পুনরায় আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা কেহ দুই বৎসর, কেহ এক বৎসর কেহ নয় মাস কারাবরণ করেছে। কারো বিরুদ্ধে ৪১ মামলা, কারো বিরুদ্ধে ৩০ মামলা, কারো বিরুদ্ধে ২৬ মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা যেন আর হাজিরা দিতে না হয় এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আপনাদের আর কোন নেতাকর্মী হাজিরা দিতে হবে না এই বলে হেফাজতে ইসলামের সংগ্রামী মহাসচিব কে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের সভাপতি আল্লমা মুফতি মোবারক উল্লাহ, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা মেরাজুল হক, কাসেমী হাফেজ ইদ্রিস, মাওলানা আব্দুল হাফিজ নাটাই, মাওলানা তানভীরুল হক সিরাজী, মাওলানা শরিফ উদ্দিন, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মুফতি জাকারিয়া খান, মুফতি এনামুল হাসান, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ মাদানী, মাওলানা রাকিবুল হাসান মুফতি জুনায়েদ কাসেমী, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা বেলাল হোসাইন, মাওলানা তারেক জামিল, মাওলানা সাব্বির প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়ন সকলের সামনে তুলে ধরতে হবে। দেশ গড়ার যে সুযোগ পাওয়া গেছে সেটি সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগাতে হবে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে এই সুযোগ আর আসেনি। শিক্ষার্থীদের দেখছি আর ভাবছি, কী একটা স্বপ্ন আমাদের সামনে, জাতির সামনে তোমরা নিয়ে এসেছ। যে সুযোগ তোমরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছ, এটা যেন হাতছাড়া না হয়। এই সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশ আর রাষ্ট্র থাকবে না। এটা শুধু রাষ্ট্র না, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্রে যেন পরিণত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যারা শহীদ হয়েছে আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসতে পারত। কিন্তু সেই সুযোগ তাদের দেওয়া হয়নি। যখন হাসপাতালে আহতদের দেখার জন্য যাই, তাদের দিকে তাকাতে কষ্ট হয়।
ড. ইউনূস বলেন, একজন তরুণকে যখন দেখতে যাই তখন সে জিজ্ঞেস করে স্যার, ক্রিকেট খেলব কীভাবে? ক্রিকেট খেলার কথা তার মাথা থেকে সরছে না। যতবার দেখি, মনে প্রশ্ন জাগে এটাই আমরা বাংলাদেশ বানিয়েছি? কালকে একটা হাসপাতালে গেলাম, আবার সেই দৃশ্য। তরুণ প্রাণ, অনেকের মাথার খুলি উড়ে গেছে। অনেকের শরীরে গুলি রয়ে গেছে। বেঁচে আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যতবার শুনি, যতবার দেখি, আবার নতুন করে প্রতিজ্ঞা করতে হয়, যে স্বপ্নের জন্য তারা প্রাণ দিয়েছে সেই স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করব। এটা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমি সাক্ষাতের সময় যে দৃশ্য দেখছি সেটা তো সবাই দেখছে না। যারা হাসপাতালে আসছেন তারা হয়তো অনুধাবন করতে পারছে। মানুষকে জানাতে হবে, বোঝাতে হবে। কী নৃশংসতা ছিল।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় শাপলা হলে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মতবিনিময় সভা চলে।
ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অনুরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর তিনি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পত্রিকার সম্পাদক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এরই অংশ হিসেবে আজ নিজ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ড. ইউনূস।
অনলাইন ডেস্ক :
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত আজ বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- ডেসটিনির পরিচালক লে. জে. (অব.) হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মো. হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, মো. সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর মো. জসিম উদ্দীন ভূইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ও সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান।
আরও পড়ুন
ছাগলকাণ্ডের আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেফতার
গ্রাহকের ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমীনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরকার। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৪ সালের ২০ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার। তদন্তে আরো ৭ জনের নাম আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিলেন ৪ সংস্কার কমিশন প্রধান
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট মামলাটি অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত। এ মামলায় বিচার চলাকালে ১৪০ জন সাক্ষী দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের মামলায় আসামিরা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীর সাথে প্রতারণা করেছেন। এই সময় ঋণ প্রদান, অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ, নতুন প্রতিষ্ঠান খোলার নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা পরবর্তীতে আসামিরা লভ্যাংশ, সম্মানী ও বেতন-ভাতার নামে সরিয়ে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জনবল নিয়োগ, লাখ টাকা বেতন
অন্যদিকে, ২০০৬ সালের ২১ মার্চ থেকে ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে গাছ বিক্রির নামে ডেসটিনি ট্রি-প্লান্টেশন লিমিটেডের জন্য দুই হাজার কোটিরও বেশি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। যা পরবর্তীতে আসামিরা বেতন-ভাতা, সম্মানী, লভ্যাংশ, বিশেষ ভাতা বা কমিশনের আকারে আত্মসাৎ করেছেন।