চলারপথে রিপোর্ট :
তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নবীনগর পৌর এলাকার সোহাতা গ্রামে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকালে সোহাতা গ্রামে তিন শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উঠান বৈঠকে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী মল্লিকা রানী দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক নুরুন্নাহার বেগম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইউপি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ইসমত আরা জাহান, মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য নার্গিস বেগম, শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাকিয়া সুলতানা, শেফালী বেগম, খালেদা বেগম, মনি রানি দাস, রুবেল মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক নুরুন্নাহার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করছে। দেশের সর্বক্ষেত্রে যে পরিমাণ উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে অতীতে কোনো সরকারের আমলে হয়নি, তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে নৌকায় ভোট দিতে হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেতনায় আমার বেঁচে থাকার প্রাণ, শক্তি ও পথ চলার অনুপ্রেরণা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র আস্থার ঠিকানা তাই শেখ হাসিনা সরকার বার বার দরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটি ইউনিয়নের গ্রাম ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও কাজ করে যাবো।
নবীনগর বাসীর সেবা করার লক্ষ্যে তিনি সকলের সহযোগিতা চান ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইবেন বলে ঘোষণা দেন। উঠান বৈঠকে উপস্থিত লোকজনের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ ও কষ্টের কথা মনযোগসহকারে শোনেন এবং সমস্যার সমাধানের আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
১০ বছর আগে শাহনূর আলম নামে ব্যবসায়ীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ মামলা হিসেবে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি সগীর হোসেন লিয়নের বেঞ্চ এ রায় দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আগের আদেশ বাতিল করে মামলাটি নেয়ার নির্দেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর এ রুলটির শুনানি হয়নি। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা বিষয়টি শুনানির জন্য হাইকোর্টে উপস্থাপন করি। এরপর হাইকোর্ট রুল শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন। বৃহস্পতিবার রুলটি অ্যাবসোলুট করে রায় দিলেন হাইকোর্ট। ফলে শাহনূর আলম হত্যার অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণে বাধা কাটলো।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১৪) নয়জন সদস্যের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১৪ সালের ১ জুন একটি নালিশি আবেদন করেন শাহনূরের ভাই মেহেদি হাসান। ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল শাহনূরকে র্যাব-১৪ এর সদস্যরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। পরে ৬ মে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাহনূর মারা যান। র্যাবের নির্যাতনে শাহনূরের মৃত্যু হয়েছে।
পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্যাতনে শাহনূরের মৃত্যুর অভিযোগের আবেদনটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু এ আদেশের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন অভিযুক্ত এক র্যাব সদস্য।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ বাতিল করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তবে এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন শাহনূরের ভাই মেহেদি হাসান।
২০১৪ সালের ১৬ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি শওকত হোসেন ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ সংশোধন করে জেলা দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সে রুল ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে বিধিনিষেধ অমান্য করে কৃষিজমির মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় ফসলি জমির এসব মাটি দিচ্ছেন সাতজনের ওই সিন্ডিকেট। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষি জমির মাটি কাটার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িঘর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবনির্মিত সড়ক দিয়ে সারিবদ্ধভাবে জমির মাটি নিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর। নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে ট্রাক্টর চলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান চলাচল কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কের পাশের কৃষি জমি থেকে বেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করে ট্রাক্টরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আশপাশের অন্তত ছয়টি ইট ভাটায়। প্রতিটি জমি থেকে ৩ থেকে পাঁচ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রকাশ্যে শত শত একর কৃষি জমি থেকে মাটি পুড়ানো হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সালাম, সুমন, জাহান, মক্কা, প্রভাতি ও তিতাস নামক ইটভাটায় হাসান, আনিস, শাহ আলম, হাকিম, মোবারক, সৈয়দ ও মজিদ মাটি সরবরাহ করছেন।
জমিতে বেকু দিয়ে মাটি উত্তোলনের সময় দুজন ট্রাক্টরচালক জানান, আমরা মাটি নিচ্ছি প্রতিদিন ৮০০ টাকা বেতনে। মাটি জমির মালিক থেকে কিনে মক্কা ও তিতাস নামের দুটি ইটভাটায় বিক্রি করেছেন মজিদ ও শাহ আলম।
আলফাজ নামের এক ট্রাক্টর চালক জানান, আমরা শুধু মাটি পরিবহন করছি। কৃষিজমি থেকে মাটি কিনেছেন হাসান।
মজিদ নামে ইটভাটায় মাটি সরবরাহকারী বলেন, মাটিতো অনেকে কাটছেন। তাতে কোনো সমস্যা নাই। আমরা মাটি কিনেছি জমির মালিক থেকে।
হাসান নামের আরেক মাটি সরবরাহকারী বলেন, আমিও কিছু কেটেছি। অনেকেই তো ইটভাটায় মাটি দিচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, আমরা ইটভাটায় মাটি দিতে একজনকে কন্ট্রাক্ট দিয়েছি। সে মাটি দিচ্ছে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অ্যাসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বলেন, মাটি কেটে টপ সয়েল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা অত্যন্ত খারাপ কাজ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন থেকে অভিযান পরিচালনা করে ৭-৮টি বেকু জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন করা উচিৎ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামার শিল্পীদের ব্যস্থতা। পশু কুরবানিতে ধারালো দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি তৈরি করছে হরদম। তাই যেন দম ফেলার ও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন কামাররা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলে ও কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েক গুণ ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কামারদের। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছে কামার পট্টিতে। বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। কামার শিল্পীরা জানান- পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০-২০০, দা ২০০-৩৫০ টাকা, বটি ২৫০-৫০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ – ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৫০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কামার শিল্পীরা বলেন- কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে। তবে ক্রেতাদের বলেন- ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। ক্রেতা আব্দুল রহিম বলেন- আমি একটি চাপাতি ৫০০ টাকায় কিনেছি। এ ছাড়া ছুরি, দা, জবাই করার ছুরিসহ ৪টি জিনিস রিপেয়ারিং করার জন্য এসেছি। কামার শিল্পীদের কাছে বটি ক্রয় করতে আসা আনোয়ার হোসেন জানান- কুরবানির ঈদের সময় কসাই পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই একটা নতুন বটি কিনেছি, আর পুরনো চাপতি, দা শাণ দিয়ে নিচ্ছি নিজেরাই কাজে লেগে যাব। তিনি বলেন- গেল বছরের চেয়ে এ বছর পুরনো জিনিষ শাণ দিতে মানভেদে ২০-৫০ টাকা বেশি নি”্ছ।ে ঈদ যতই এগিয়ে আসছে দা/ছুরি কিনতে গ্রাহকদের আনাগোনাও বাড়ছে। কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- কুরবানির ঈদ উপলক্ষে তাদের বেচাকেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তবে ঈদের দুদিন আগে বেশী বেচাকেনা হবে। কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও শ্রমিকের মূল্য বেড়ে গেছে। দুই মাস আগেও প্রতি বস্তা কয়লার দাম ছিল ৪শ- ৪৫০ টাকা। সেই কয়লা এখন ৮শ-৮৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই তারা চাপাতি, ছুরি ও দা’র দাম একটু বেশি নিচ্ছেন। ভোলাচং, সোহাতা,শ্যামগ্রাম ,কাদৈর, শ্রীঘরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও কামার পাড়া ঘুরে দেখা যায়- লাল আগুনের লোহায় পিটুনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে কামার পল্লী/দোকান গুলো। টুংটাং শব্দের ছন্দে তালমিলিয়ে চলছে হাতুড়ি আর ছেনির কলাকৌশল। ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি আছে, তাই কামার পল্লী গুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রত্যন্ত আঞ্চলে কামার পল্লীগুলো ও ব্যস্থ সময় পাড় করছে। ঈদের বিপুল চাহিদার জোগান দিতে মাস খানেক আগে থেকেই তারা কাজ শুরু হয়েছে। একই ধরনের কথা জানান- উপজেলার তপন ও সুনিল কামার । তারা আরো বলেন- কাজের ব্যস্থতায় নিশ্বাস ফেলার সময় নেই। তারা পুরোদমে ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর ইউনিয়নের আমোদপুর গ্রামে ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৫ নবীনগরের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আইডিপি আর মো. শাহ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম, আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট সুজিত কুমার দেব, বিপি মোশাররফ হোসেন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, নিয়াজুল হক কাজল, প্রণয় কুমার ভদ্র পিন্টু,সাইফুর রহমান সোহেল,ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, আবু মুসা, এম আর মুজিব, সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা লোকমান হোসেন শিশু,প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিনাজ, ,মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো.আবু কাউসার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বললেন হাজার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দৌড়গারায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিটি গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পাশাপাশি বাস্তবায়নও করেছিলেন মাঝখানে ৫ বছর বিএনপির ক্ষমতায় এসে সেই কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আবার কমিউনিটি ক্লিনিক এর কার্যক্রম চালু করেছেন যার সুবিধা আমরা সকলেই এখন ভোগ করছি।কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধনের শেষে গ্রামের রাস্ত দি য়ে যাওয়ার পথে উভয় পাশের বাড়ির মহিলাদের নিকট উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কা ভোট চাইলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের আলিয়াবাদ এলাকায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৩ প্যাকেট নুডুলস, ৩ প্যাকেট সেমাই, ১ প্যাকেট লিচি মাত্র ১০০ টাকায় বিক্রি করছিল নরসিংদীর আকবর আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪০)।
বিষয়টি মামুনের সন্দেহ জনক মনে হলে তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহানকে অবগত করেন।
এরই প্রেক্ষিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান। ভৈরব থেকে এ সকল নকল পণ্য ক্রয় করে নবীনগরে নিয়ে এসে বিক্রি করেন বলে জানান আটককৃত মোহাম্মদ আলী। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান বলেন, এ সব উৎপাদিত পণ্য মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় ও কর্তৃপক্ষের কোন অনুমোদন না থাকায় আটককৃত ব্যক্তিকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।