চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) অর্থায়নে এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে স্কুল মিল্ক ফিডিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ শুভজিত পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ইকবাল মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফ হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নুরে আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মাজারুল হুদা, মোহাম্মদ কবির হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল হক, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন ভূইয়া, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোড়কান দাস, প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলামসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুষ্টির চাহিদা মেটাতে এবং পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে সরকার পাইলট প্রকল্প হিসেবে সারাদেশে ৩শত উপজেলায় একটি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল চলাকালীন প্রতিদিন ২শত মিলিমিটার করে দুধ খাওয়ানো হবে।
নাসিরনগর উপজেলার নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯২ জন শিক্ষার্থী এই মিল্ক ফিডিং কার্যক্রমের আওতায় স্কুলে এলেই দুধ খেতে পারবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হাওর বেষ্টিত ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন উপজেলার এই ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধুর কোন ম্যুরাল না থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ম্যুরাল চেয়ে চিঠি দিয়েছেন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরমান হোসেন।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার আরমান হোসেন কয়েকজন সহপাঠীকে সাথে নিয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন পত্রটি জমা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা আবেদন পত্রে উল্লেখ করেছেন, ‘চাতলপাড় হাওর এলাকায় অবস্থিত একটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন। বিভিন্ন দিবসে সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা কাগজের তৈরি মুড়ালে শ্রদ্ধা জানায়।
এ বিষয়ে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজ ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের সভাপতি আরমান হোসেন জানান, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একই সূত্রে গাঁথা। অথচ বাংলাদেশ সৃষ্টির এতো বছর পরও আমাদের কাগজের তৈরি মুড়ালে শ্রদ্ধা জানাতে হয়। তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ম্যুরাল চেয়েছি।
দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সেবা দাস জানান, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরালের আবেদন করেছি। আমাদের বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে চাতলপাড়ে একটি ম্যুরাল স্থাপন করে দিবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, চাতলপাড়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদনের একটি পত্র পেয়েছি। যথাযথ প্রক্রিয়ায় পত্রটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন পূ্জামণ্ডপ পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান।
৫ অক্টোবর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে নাসিরনগর উপজেলা দত্তবাড়ি পূ্জামণ্ডপ এবং আন্দ্রাবহর পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শকালে পুলিশ সুপার মন্দির কমিটি ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী সাথে আলোচনা করেন এবং দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।
এসময় নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় হাঁস নিয়ে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ ২৮ মার্চ শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ২০ দিন আগে রোশেনা বেগম নামে এক নারীর কয়েকটি রাজহাঁস ঘুজিয়াখাই গ্রামের জয়দর মিয়ার ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জয়দর মিয়া রোশেনা বেগমকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন।
এর দুইদিন পর প্রতিশোধ নিতে রোশেনার লোকজন জয়দর মিয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুই পক্ষ আপোসে রাজি হয়।
তবে আপোসের পরও জয়দর মিয়ার লোকজন রোশেনার পক্ষের সাইফ মিয়াকে মারধর করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় ও আদালতে মামলা করে।
সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে দুই পক্ষের লোকজন বাড়িতে আসতে শুরু করে। পূর্বের বিরোধের জের ধরে তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই এলাকায় ফিরে আসে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুইপক্ষের লোকজন ঘোষণা দিয়ে কবরস্থানের পাশে খোলা মাঠে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলে দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন। তবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জমিতে রাজহাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগেও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এ নিয়ে থানায় ও আদালতে মামলা রয়েছে। আজ সেই পুরনো ঘটনার জের ধরেই আবার সংঘর্ষ হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাতলপাড় ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রার্থী বদরুদ্দোজ্জা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে হুমকি দেওয়া আওয়ামী লীগ নেত্রী রোমা আক্তারকে শোকজ করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ রেজাউল হক এই বিষয়ে শোকজ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই আদালতের পেশকার শাহজাহান বলেন, রোমা আক্তারকে ৩১ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটার মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অনুসন্ধান কমিটির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রোমা আক্তারের দেওয়া বক্তব্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৭৭ (১) অনুচ্ছেদ ও সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ১১ বিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন মর্মে কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয়।
গত বুধবার রাতে নাসিরনগর উপজেলা সদরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভা থেকে এ হুমকি দেওয়া হয়। সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। রোমা আক্তার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নাজির মিয়ার স্ত্রী।
এ সময় রোমা আক্তারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা নাসিরনগরের মানুষ সহজ সরল মানুষ। দাঙ্গা হাঙ্গামা চাই না। আমাদের নেতৃবৃন্দ যে জেল খেটেছেন সেটা আমাদের কলঙ্ক। আপনাদের কাছে আকুল আবেদন ভোট দিয়ে অধিকার ছিনিয়ে নিবেন। উনি যে বেইজ্জতি করেছেন তার জন্য ধিক্কার জানাই। তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হয়রানি করেছেন। উনি নাসিরনগর এসেছেন প্রবীণ নেতৃবৃন্দের নাম মুছে ফেলার জন্য। আরে নাম মুছে ফেলা এত সহজ নয়। এটা কাগজে লেখা নাম নয়। মানুষের হৃদয়ে লেখা নাম, মুছে ফেলতে পারবেন না। তবে আপনার নাম কেন, সাত তারিখের পর নাসিরনগরের মাটিতে আমরা আপনাকে পা রাখতে দেবো না।’