চলারপথে রিপোর্ট :
‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যে হবিগঞ্জে বৃক্ষরোপন অভিযান ও জেলা বৃক্ষমেলা ২০২৩ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের নিমতলায় হবিগঞ্জ বন বিভাগের আয়োজনে মেলার উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি, সিলেট বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক তারেক রহমান বক্তব্য দেন। পরে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
এর আগে অতিথিরা মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। মেলায় ফুল, ফল, ওষুধিসহ বিভিন্ন জাতের গাছের চারা প্রদর্শন করা হয়েছে। এতে ২০ স্টল স্থাপন করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
গোপন বৈঠক, উসকানিমূলক মিছিল বা পোস্ট করলেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আজ ১২ মে সোমবার সকালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন এ উপদেষ্টা। পোস্টারের শিরোনামে লেখা রয়েছে, ‘ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেফতার।
ভেতরে আরো লেখা হয়েছে, নেতাকর্মীরা গোপনে কোথাও বৈঠক, সমাবেশ কিংবা মিছিল করলে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারবে। বর্তমানে শুধু মিছিল-সমাবেশ নয়, ফেসবুক-ইউটিউবে কেউ আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেও তাকে গ্রেফতার করা যাবে। বিদেশ থেকে যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দেবেন, কমেন্ট করবেন, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা যাবে।
পোস্টারের ক্যাপশনে আসিফ মাহমুদে লিখেছেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে রেহাই নেই! গোপন বৈঠক, উসকানিমূলক মিছিল বা পোস্ট করলেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) -সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের আন্দোলনের মুখে ১০ মে শনিবার আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১০ মে শনিবার রাত ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
তবে, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ছাত্র-জনতা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি এবং জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের আগে রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয় রাজধানীর শাহবাগ থেকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্বামীর দায়ের কোপে হাত-পা বিচ্ছিন্ন হওয়া সেই আকলিমা খাতুন (৩৫) মারা গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট নেওয়ার পথে আজ ২৬ আগস্ট শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হবিগঞ্জের আউশকান্দি নামক স্থানে তার মৃত্যু হয়।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে স্বামীকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ের করার অভিযোগে আকলিমা খাতুন (৩৫) নামে ওই গৃহবধূর হাত-পা কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের সোনাচং গ্রামের খেলার মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার মাত্র ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হলো।
গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী সুজন মিয়াকে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ। সুজন ওই উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের সোনাচং এলাকার আহম্মদ আলীর ছেলে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের ভালুকায় দুটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে পৌরসভার প্রতিশ্রুতি কোচিং সেন্টার ও প্রতিফলন কোচিং সেন্টার নামে দুটি প্রতিষ্ঠানে দশ হাজার টাকা করে মোট বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমাইয়া আক্তার ওই অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমাইয়া আক্তার বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং সেন্টারে পাঠদান করায় দণ্ডবিধি ১৮৬০ এ দুইটি কোচিং সেন্টার -কে দশ হাজার টাকা করে মোট বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান চলমান থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে জ্বালানি, ব্যবসা ও বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশি জনশক্তি এবং মুসলিম উম্মাহ, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এই বৈঠকটি অত্যন্ত উষ্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।’
জ্বালানি সম্পর্কে কাতারের আমির বলেন, ‘কাতার থেকে বাংলাদেশে আরও বেশি পরিমাণে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা কয়েক মাস ধরে বিবেচনাধীন রয়েছে। আমি আমির হিসাবে, আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, বন্ধু দেশ হওয়ায় আমি আপনাকে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেব।’
ড. মোমেন বলেন, এটি (প্রতিশ্রুতি) বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। এই নতুন চুক্তি শিগগিরই স্বাক্ষরিত হবে।
২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ১৫ বছরের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন প্রায় ৪০ কন্টেইনার অর্থাৎ ১.৮ থেকে ২.৫ এমটিএ জ্বালানি আমদানি করছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশ কাতার থেকে আরও এলএনজি সরবরাহ চায়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও প্রশংসা করে কাতারের আমির বলেন, তারা একসময় জানত বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশ। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতি দূর করেছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার গত সাড়ে ১৪ বছরে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করেছি। দারিদ্র্য একটি অভিশাপ।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার পিতার (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) স্বপ্নের বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছুটা এগিয়েছি। কিন্তু আমার কাজ শেষ হয়নি। আমি আরও কাজ করতে চাই। কিন্তু আমি একা তা করতে পারবো না। আমি আপনার সাহায্য চাই। আমার আরও বিনিয়োগ দরকার। আমি আমার দেশকে বিনিয়োগের জন্য খুলে দিয়েছি। আপনি পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারেন।’
শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে এ বছরের মধ্যে সম্ভব হলে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেন, তিনি অবশ্যই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং এটি এই বছরের মধ্যেই হবে।
মুসলিম উম্মাহ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুসলিম দেশগুলো কোনো কোনো ক্ষেত্রে তুচ্ছ বিষয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে, যা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য অন্তরায়।’ তিনি কাতারের আমিরকে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়নে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য কাজ করার অনুরোধ জানান।
জবাবে আমির বলেন, তিনি হয়তো মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন না, তবে, মুসলিম উম্মাহ যাতে আরও অগ্রসর হয় সে বিষয়ে তার প্রচেষ্টা থাকবে।
কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা সম্পর্কে আমির বলেন, ‘এখন তিন লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি এখানে আছেন এবং তারা কাতারের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। কাতার নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশিরা এখানেই থাকবে এবং তারা পরিশ্রমী ও আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশিদের নিয়ে খুবই খুশি।’
ড. মোমেন বলেন, ‘বৈঠকটির পরিবেশে ছিল খুবই আন্তরিক। এটি একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় যে, তিনি তাঁকে তাঁর গাড়ি থেকে নামার সময়ই স্বাগত জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী দোহায় কাতার ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য একটি বিশেষায়িত স্কুল আওসাজ একাডেমি পরিদর্শন করেন। শেখ হাসিনা একাডেমির বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেন। আওসাজ একাডেমিতে ৩ বছর থেকে ২৫ বছর বয়সী প্রায় ৫০০ জন ছাত্র এবং ১৮৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।
এর শিক্ষার্থীদের আঁকা শিল্পকর্ম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়। তিনি একাডেমিতে বাংলাদেশি অটিস্টিক শিশুদের আঁকা চারটি শিল্পকর্মও উপহার দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং বাংলাদেশে অটিস্টিক শিশুদের দ্রুত শনাক্তকরণে কাতারের সহায়তা চান। ড. মোমেন জানান, কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে যে, তারা একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে প্রতিটি হত্যা ও অন্যায়ের বিচার হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এ সময় তার ওপর আস্থা রাখতে বলেন জনগণকে। সেনা প্রধান বলেন, ‘প্রতিটি হত্যার বিচার হবে। তিনি সবাইকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান।’
আজ ৫ আগস্ট সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন সেনাপ্রধান। সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট ফরম (অন্তবর্তী সরকার) করবো। আমরা দ্রুত মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাবো।’ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। একটি অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখেন।’
তিনি বলেন, ‘মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত হোন। সবাই মিলে সুন্দর দেশ গড়েছি। তিনি সবার সাহায্য কামনা করেন। এ সময় তার ওপর আস্থা রাখতে বলেন জনগণকে।’