অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন তারা নাকি সংবিধানের বাইরে এক চুলও নড়বেন না। বিএনপিও সংবিধানের বাইরে যাবে না। তবে সেটা কোন সংবিধান? খায়রুলের সংবিধান নাকি বাংলাদেশের সংবিধান। আমরা চাই অখণ্ড সংবিধান, যে সংবিধানে এক চুলও কাটাছেঁড়া করা হয়নি।
আজ ১৯ জুলাই বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে আব্দুল্লাহপুরের পলওয়েল মার্কেটের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, যে সংবিধান থেকে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে, ওই সংবিধান আমরা চাই না। আমরা চাই যে সংবিধানে কাটাকাটি ছিল না, পোস্টমর্টেম ছিল না। বাংলাদেশের জনগণ যে সংবিধান তৈরি করেছিল, সেই সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো। এছাড়া আপনাদের তৈরি, খায়রুল হকের তৈরি ওই সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভোটের অধিকার আদায় করে নেবে। গত ১৫ বছর আপনাদের অত্যাচার আমরা সয়েছি। এ অত্যাচার আর সইবো না। আমরা আপনাদের অত্যাচারের জবাব দেবো। মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরে আমাদের লোক মেরেছেন। আপনারা শান্তি মিছিলের নামে অশান্তি তৈরি করছেন। আমাদের মিটিং-মিছিলে ঝামেলা হয় না। আর আপনারা ঝামেলা তৈরি করতে চান।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা যেদিন মিছিল মিটিং করি সেদিন আপনারা কর্মসূচি দিয়েন না। আপনারা যেদিন করবেন আমরা দেবো নো। গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা মিছিল মিটিং করবো। আপনারা বাংলা কলেজ থেকে ইট মারবেন পাথর মারবেন আমরা ছেড়ে দেবো এটা হবে না। ছেড়ে দেওয়ার দিন শেষ। এখন খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। আর কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। আমাদের অধিকারকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল ২৪ অক্টোবর বুধবার রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিল শেখ হাসিনার পতনের অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর পরদিনই নির্বাহী আদেশে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। এ সিদ্ধান্তে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অজ্ঞাত স্থান থেকে গতকাল রাতেই বিবৃতিতে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান নিষিদ্ধকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়েছেন।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ কয়েকজন ছাত্রনেতা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনটির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে।
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শক্তি ছিল ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠন। তবে স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগের অনেকের বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর এই ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারিত্ব, মারামারি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, মাদক বাণিজ্য, বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচিতে হামলা, দমনপীড়ন, অস্ত্রবাজির মতো অপরাধের শত শত অভিযোগ ওঠে।
এই সময়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অন্তত অর্ধশত প্রাণহানি ঘটেছে। ২০১২ সালে বিশ্বজিৎ দাস এবং ২০১৯ সালে আবরার হত্যায় সংগঠনটি ধিকৃত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘গেস্ট রুম’ নামে নিপীড়নের কুখ্যাতিও রয়েছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগ ছিল দমনকারীর ভূমিকায়। গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান শুরুর পর শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মারমুখী ছিল। গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের নজিরবিহীন মারধর করে, যা থেকে সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগের দিনেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর অভ্যুত্থান দমনে অস্ত্র হাতে রাজপথে দেখা যায়। অভ্যুত্থানের সময় এবং শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র পাওয়া যায়। মধ্য জুলাই থেকেই অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগকে বের করে দিয়েছে অভ্যুত্থানকারীরা। ৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
প্রজ্ঞাপনেও ছাত্রলীগকে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে হত্যা, নির্যাতন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল ছাত্রলীগ। এসবের প্রমাণ দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীর অপরাধ আদালতেও প্রমাণ হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও জনগণের ওপর আক্রমণ করে শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী; অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক, উস্কানিমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। সরকারের কাছে এসব কর্মকাণ্ডের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন নামাঙ্কিত রাজনৈতিক শাখা-২-এর জারি করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮-এর উপধারা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলো।
আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী, নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদনে ৩০ দিন সময় পাবে ছাত্রলীগ। আবেদন করলে সরকার তা ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে। নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আপিলের সুযোগ পাবে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ২০ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সত্তার কার্যালয় বন্ধ করবে সরকার। ব্যাংক হিসাব বা অন্য সম্পদ জব্দ হবে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা দেশ ত্যাগ করতে পারবে না। সংগঠনের পক্ষে বা সমর্থনে বিবৃতি, বিজ্ঞপ্তি, প্রকাশনা, প্রচারণা, সংবাদ সম্মেলন বা জনসমক্ষে বক্তৃতা নিষিদ্ধ হবে।
গত ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার একই আইনে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। তাদের আবেদনে অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৮ আগস্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধে বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ মিছিলের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নুসরাত তাবাসসুম বলেন, জীবনের অন্যতম আনন্দের দিন আজ। ছাত্রলীগ দীর্ঘ ১৬ বছর ধরেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ ছিল না। এই ছাত্রলীগ ১৫ জুলাই আমাদের ওপর হামলা করেছে। সারাদেশে তারা অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে শহীদ করেছে। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায়। আর কোনো ছাত্র সংগঠন যেন এমন সন্ত্রাসী না হয়।
সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, যারা কথায় কথায় আন্দোলনে জঙ্গিবাদ খুঁজত, তাদেরকেই জঙ্গি ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের গর্ত থেকে বের করে ধোলাই দিতে হবে।
আশরিফা খাতুন বলেন, আবু সাঈদের মৃত্যুর পর ছাত্রলীগ রাজাকার দমন হয়েছে বলে উল্লাস করেছিল। যখনই কোনো ন্যায্য দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে দাঁড়িয়েছি, ছাত্রলীগ মেরেছে। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য গেলে, সেখানেও মারত। কোনোভাবেই ছাত্রলীগ যেন ফিরতে না পারে।
অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে না বললেও উচ্ছ্বাস দেখায়নি। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ছাত্রলীগ খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি, গণহত্যাসহ সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। সব জঙ্গি সংগঠন মিলে যত মানুষ খুন করেছে; ছাত্রলীগ এককভাবে বেশি করেছে। ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী গুমের শিকার হয়েছে এবং শহীদ হয়েছে। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে ছাত্র রাজনীতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। সুস্থ রাজনীতিচর্চার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। তবে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধই সমাধান নয়। সংগঠনটির যারা সন্ত্রাস করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আবদুল্লাহ বলেন, ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করেছে ছাত্রলীগ। সন্ত্রাস, নিপীড়ন, নির্যাতনের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে চায় না। ছাত্রলীগের অপরাধীদের বিচার চায়।
ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড বলেন, ছাত্রলীগের নিষিদ্ধকে সাধুবাদ জানাই। নিষিদ্ধ হলেই অপতৎপরতা বন্ধ হবে না। অপরাপর সংগঠনের সঙ্গে আলাপে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন ছিল। ছাত্রলীগের তৎপরতা বন্ধে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বোস বলেন, নির্বাহী আদেশে কয়েক দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ক্ষমতার পরিবর্তনে তা বদলেও গেছে। একটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা কতখানি ফলপ্রসূ হবে, জানি না। নির্বাহী আদেশে ছাত্রলীগকে কতটুকু নিঃশেষ করা যাবে, জানি না। ছাত্রলীগকে মোকাবিলা করতে হবে আদর্শের জায়গায় এবং মাঠের রাজনীতিতে। রাজনৈতিকভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি ২৮ অক্টোবরকে সরকারের পতন যাত্রা ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আসলে ২৮ তারিখ বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হবে। আর ২৮ তারিখ কিংবা কয়েক দিন পর তাদের ঘোষণা করতে হবে, আগামী নির্বাচনের পর তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
এই ঘোষণা বিএনপিকে করতে হবে।
আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সদস্যদের সন্তানদের মেধাবৃত্তি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিএসইসি।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৮ অক্টোবর বুধবার ঢাকা শহরে দুটি বড় সমাবেশ হয়েছে। দুটি সমাবেশের মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র দুই কিলোমিটার। দুই কিলোমিটারের মধ্যে দুটি বড় সমাবেশ হয়েছে এবং ঢাকা শহরে কোনো গণ্ডগোল হয়নি। রাজনীতির চর্চা এমনই হওয়া উচিত। কিন্তু নয়াপল্টনের সামনে যে সমাবেশ হলো, সেখানে মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, ২৮ তারিখ তারা সমাবেশ করবেন। সরকারের পতনের যাত্রা তখন থেকে শুরু হবে। এখন মানুষ হাস্যরস করে বলে, এটা এবারের ২৮ তারিখ নাকি আগামী বছরের ২৮ তারিখ, নাকি তার পরের বছরের ২৮ তারিখ।
আজকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী ২৮ অক্টোবরের আগেই সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি কিছু দিন আগে বলেছিল, অক্টোবর মাসে হচ্ছে ফাইনাল খেলা। আমরা আশা করেছিলাম, অক্টোবর মাসের শুরু থেকে তারা ফাইনাল খেলার দিন-তারিখ ঘোষণা করবেন। তারপর বললেন, পূজার পরে। এখন দেখলাম সেটি ২৮ অক্টোবর নিয়ে গেছে। খুব সহসা ২৮ অক্টোবর তারা নির্বাচনের পরে আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন। আগামী নির্বাচনের পরে বিএনপি আবার একটি আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা ২৮ তারিখ দেবে বলে মানুষ ধারণা করছে। আমরা প্রায় ১৫ বছর ধরে এই আন্দোলনের হুমকির মধ্যে আছি। বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপির কর্মীরা ছাড়া জনগণের সেখানে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের হাসপাতালে চালানো হামলায় কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শত শত শিশু মারা গেছে। তাদের কবর দেওয়ার জন্য জায়গাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সব দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সেই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে। ফ্রান্স থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এটার প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বুধবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন, এর আগেও জানিয়েছেন। আমি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম থেকে এই হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সবাই এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি একটি কথা এই প্রসঙ্গে বলেনি। তারা শুধু বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য, তারেক জিয়ার শাস্তি নিয়ে ব্যস্ত। আজকে যে পুরো পৃথিবী এর বিরুদ্ধে কথা বলছে সেই বিষয় তাদের কানে পৌঁছায় না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, আশ্চার্যজনক এবং প্রতিবাদ না জানিয়ে বিএনপি কার্যত এই বর্বরতার পক্ষ অবলম্বন করেছে। শিশু হত্যার পক্ষ অবলম্বন করেছে।
ফিলিস্তিনি ইস্যুতে নিশ্চুপ থাকছে বিএনপি, তাহলে বিএনপি কী ইহুদি ও ইসরায়েলের পক্ষ অবলম্বন করছে প্রশ্ন ছুড়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতও এই বিষয়ে নিশ্চুপ। স্লোগান দেয় আল্লাহর আইন চাই এবং সৎলোকের শাসন চাই। আজকে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতও নিশ্চুপ। অর্থাৎ এরা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের কোমল হৃদয়ে আঘাত হানে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। এরা হচ্ছে ধর্ম ব্যবসায়ী। আজকে তাদের নীরবতা ইহুদি ও ইসরায়েলকে সমর্থন করার সামিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা কেউ রাজনীতির বাইরে নই। কেউ রাজনীতি না করলেও রাজনীতির একটি প্রভাব প্রত্যেকের জীবনে রয়েছে। সেজন্য আমি মনে করি, আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কর্ণধারদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠার জন্য সুস্থ রাজনীতি দরকার। অসুস্থ রাজনীতি সমাজকেও অসুস্থ করে দেয়। সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং সবকিছুতে না বলার রাজনীতির যে সংস্কৃতি আমরা চালু করেছি, এটি রাজনীতিকে অসুস্থ করে দিচ্ছে। সেটি আমাদের সমাজের ওপর প্রভাব ফেলছে। আজকে যারা নতুন প্রজন্ম, ভবিষ্যতে দেশ চালাবে, তাদের ওপর প্রভাব ফেলছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতিতে মেধাবীরা আসছে না। রাজনীতি থেকে মেধাবীরা দূরে সরে যাচ্ছে। কিন্তু রাজনীতির মঞ্চ তো সেজন্য খালি থাকছে না। মেধাবীরা রাজনীতিতে না আসায়, মেধাহীনরা রাজনীতির মঞ্চ দখল করছে। মেধাহীনরা সংসদেও যাচ্ছে, দেশও পরিচালনা করছে। সেজন্য মেধাবীদের রাজনীতিতে আসা প্রয়োজন। মেধাবীরা যদি রাজনীতিতে না আসে, তাহলে মেধাহীনরা রাজনীতিতে জায়গা করে নেয়। যারা সুযোগ সন্ধানী তারা রাজনীতিতে জায়গা করে নেয়।
তিনি বলেন, রাজনীতি যে একটা ব্রত, দেশসেবা, সমাজসেবা, দেশ পরিবর্তন, সমাজ পরিবর্তন, সমাজ উন্নয়ন, রাষ্ট্রের উন্নয়নের। রাজনীতি কোনো পেশা নয়, বরং একটি ব্রত। সেটি অনেক রাজনীতিবিদরা জানেন না বা মনে করেন না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। এই কল্যাণ ট্রাস্ট এখন সাংবাদিকদের একটি ভরসার স্থলে হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে দুস্থ কিংবা অসচ্ছল সাংবাদিকদের এই কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা করা হতো কিংবা কারো মৃত্যু হলে তার পরিবারকে সহায়তা করা হতো। আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের এককালীন বৃত্তি দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে গেছে এবং বিধিমালাও চূড়ান্ত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বৃত্তি পাওয়া শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা আজকে পুরস্কৃত হয়েছো, তোমাদের জীবনকে সংগ্রাম হিসেবে নিতে হবে। জীবন সংগ্রামে তোমরা অন্যদের পথ প্রদর্শক হবে এবং তোমরা নিজেরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে, তোমাদের হাত ধরে দেশও স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে।
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।
আজ ২৭ নভেম্বর সোমবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
এসময় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৯টির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন তিনি। বাকি ১১টি আসনে প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান চুন্নু।
প্রার্থীরা হলো :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) মোঃ শাহানুল করিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) এডভোকেট আব্দুল হামিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) তারেক আহমেদ আদেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) মোঃ মোবারক হোসেন দুলু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) এডভোকেট আমজাদ হোসেন,
পঞ্চগড়-১ মোঃ আবু সালেক/মোঃ আব্দুর রহিম, পঞ্চগড়-২ লুৎফর রহমান রিপন, ঠাকুরগাঁও-১ মোঃ রেজাউল রাজী স্বপন চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-২ নুরুন্নাহার বেগম, ঠাকুরগাঁও-৩ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (সাবেক এমপি), দিনাজপুর-১ মোঃ শাহিনুর ইসলাম, দিনাজপুর-২ এ্যাড. জুলফিকার হোসেন মাহবুবুর রহমান, দিনাজপুর-৩ আহমেদ শফি রুবেল, দিনাজপুর-৪ মোঃ মোনাজাত চৌধুরী, দিনাজপুর-৫ এ্যাড. নুরুল ইসলাম, দিনাজপুর-৬ মোঃ ফিরোজ সুলতান আলম, নীলফামারী-১ লেঃ কর্ণেল (অবঃ) তসলিম, নীলফামারী-২ মোঃ শাহজাহান আলী চৌধুরী, নীলফামারী-৩ মেজর (অবঃ) রানা মোঃ সোহেল, নীলফামারী-৪ আহসান আদেলুর রহমান, লালমনিরহাট-১ মোঃ হাবিবুল হক বশু মিয়া, লালমনিরহাট-২ মোঃ দেলোয়ার, লালমনিরহাট-৩ (লালমনিরহাট সদর উপজেলা) জাহিদ হাসান, রংপুর-১ এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, রংপুর-২ আনিসুল ইসলাম মন্ডল, রংপুর-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, রংপুর-৫ মোঃ আনিছুর রহমান, রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ উপজেলা) মোঃ নূর আলম মিয়া, কুড়িগ্রাম-১ একেএম. মো স্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-৩ আব্দুস সুবহান, কুড়িগ্রাম-৪ একেএম সাইফুর রহমান, গাইবান্ধা-১ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২ আব্দুর রশীদ সরকার, গাইবান্ধা-৩ ইঞ্জিনিয়ার মাইনুর রাব্বী চৌধুরী, গাইবান্ধা-৪ ( গোবিন্দগঞ্জ) কাজী মোঃ মশিউর রহমান, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) মোঃ আতাউর রহমান সরকার, জয়পুরহাট-১ ডা. মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ নুরুল্লাহ, বগুড়া-১ মোঃ গোলাম মো স্তফা বাবু মন্ডল, বগুড়া-২ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, বগুড়া-৩ এ্যাড. নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, বগুড়া-৪ শাহীন মো স্তফা কামাল ফারুক, বগুড়া-৫ মোঃ ওমর ফারুক, বগুড়া-৬ আজিজ আহমেদ রুবেল, বগুড়া-৭ এটিএম আনিসুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ মোঃ আফজার হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এ্যাড. আব্দুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ মোঃ মো স্তাফিজুর রহমান মুকুল, নওগাঁ-১ মোঃ আকবর আলী, নওগাঁ-২ অ্যাড. মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, নওগাঁ-৩ মাসুদ রানা, নওগাঁ-৪ (মান্দা) মোঃ আলতাফ হোসেন, নওগাঁ-৫ (নওগাঁ সদর) মোঃ ইফতারুল ইসলাম বকুল, নওগাঁ-৬ আবু বেলাল হোসেন, রাজশাহী-১ সামসুদ্দিন মন্ডল, রাজশাহী-২ সাইফুল ইসলাম স্বপন, রাজশাহী-৩ সোলায়মান হোসেন, রাজশাহী-৪ মোঃ আবু তালেব প্রামাণিক, রাজশাহী-৫ অধ্যাপক আবুল হোসেন, রাজশাহী-৬ মোঃ শামসুদ্দিন রিন্টু, নাটোর-১ মোঃ আশিক হোসেন, নাটোর-২ ডা. মোঃ নুরুন্নবী মৃধা, নাটোর-৩ আনিসুর রহমান, নাটোর-৪ অধ্যাপক মোঃ আলাউদ্দিন মৃধা, সিরাজগঞ্জ-১ মোঃ জহিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-২ মোঃ আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, সিরাজগঞ্জ-৩ মোঃ জাকির হোসেন, সিরাজগঞ্জ-৪ মোঃ আব্দুল্লাহ আল হাসেম, সিরাজগঞ্জ-৫ মোঃ ফজলুল হক, সিরাজগঞ্জ-৬ মোঃ মো৩ার হোসেন, পাবনা-১ সরদার শাহজাহান, পাবনা-২ শহিদুল ইসলাম দায়েন, পাবনা-৩ মীর নাদির মোঃ ডাবলু, পাবনা-৪ মোঃ রেজাউল করিম, পাবনা-৫ তারিকুল আলম স্বাধীন, মেহেরপুর-১ মোঃ আব্দুল হামিদ, মেহেরপুর-২ কেতাব আলী, কুষ্টিয়া-১ শাহরিয়ার জামিল জুয়েল, কুষ্টিয়া-২ শহীদুল ইসলাম ফারুকী, কুষ্টিয়া-৩ নাফিজ আহমেদ খান টিটু, কুষ্টিয়া-৪ মোঃ আয়ান উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গা-১ এ্যাড. সোহরাব হোসেন, চুয়াডাঙ্গা-২ মোঃ রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ-১ মনিকা আলম, ঝিনাইদহ-২ মেজর (অব.) মাহফুজুর রহমান, ঝিনাইদহ-৩ মোঃ আব্দুর রহমান, ঝিনাইদহ-৪ এমদাদুল ইসলাম বাচ্চু, যশোর-১ মোঃ আক্তারুজ্জামান, যশোর-২ ফিরোজ শাহ, যশোর-৩ মোঃ মাহবুব আলম, যশোর-৪ মোঃ জহুরুল হক, যশোর-৫ এম এ হালিম, যশোর-৬ জি এম হাসান, মাগুরা-১ মোঃ সিরাজুস সায়েফিন সাঈফ, মাগুরা-২ মোঃ মুরাদ আলী, নড়াইল-১ মিল্টন মোল্লা, নড়াইল-২ এ্যাড. খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, বাগেরহাট-১ মোঃ কামরুজ্জামান, বাগেরহাট-২ হাজারা শহীদুল ইসলাম, বাগেরহাট-৩ মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, বাগেরহাট-৪ সাজন কুমার মিস্ত্রী, খুলনা-১ কাজী হাসানুর রশিদ, খুলনা-২ গাউসুল আজম, খুলনা-৩ আব্দুল্লাহ আল মামুন, খুলনা-৪ মোঃ ফরহাদ আহমেদ, খুলনা-৫ মোঃ শহীদ আলম, খুলনা-৬ মোঃ শফিকুল ইসলাম মধু, সাতক্ষীরা-১ সৈয়দ দিদার বখত, সাতক্ষীরা-২ মোঃ আশরাফুজ্জামান আশু, সাতক্ষীরা-৩ অ্যাড. মোঃ আলিফ হোসেন, সাতক্ষীরা-৪ মোঃ মাহবুবুর রহমান, বরগুনা-১ মোঃ খলিলুর রহমান, বরগুনা-২ মিজানুর রহমান, পটুয়াখালী-১ এ.বি.এম. রুহুল আমিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-২ মোঃ মহসিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-৩ মোঃ নজরুল ইসলাম, পটুয়াখালী-৪ আব্দুল মান্নান হাওলাদার, ভোলা-১ শাহজাহান মিয়া, ভোলা-২ মোঃ মিজানুর রহমান, ভোলা-৩ মোঃ কামাল উদ্দিন, ভোলা-৪ মোঃ মিজানুর রহমান, বরিশাল-১ ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী, বরিশাল-২ রঞ্জিত কুমার বাড়ৈ, বরিশাল-৩ গোলাম কিবরিয়া টিপু, বরিশাল-৪ মোঃ মিজানুর রহমান, বরিশাল-৫ ইকবাল হোসেন তাপস, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রত্না, ঝালকাঠী-১ মোঃ এজাজুল হক, ঝালকাঠী-২ মোঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পিরোজপুর-১ মোঃ নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-২ মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, পিরোজপুর-৩ মোঃ মাশরেকুল আজম রবি, টাঙ্গাইল-১ মোহাম্মদ আলী, টাঙ্গাইল-২ মোঃ হুমায়ুন কবির তালুকদার, টাঙ্গাইল-৩ মোঃ আব্দুল হালিম, টাঙ্গাইল-৪ মোঃ লিয়াকত আলী, টাঙ্গাইল-৫ মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, টাঙ্গাইল-৬ আবুল কাশেম, টাঙ্গাইল-৭ জহিরুল ইসলাম জহির, টাঙ্গাইল-৮ মোঃ রেজাউল করিম, জামালপুর-১ এস.এম আবু সায়েম, জামালপুর-২ মোস্তফা আল মাহমুদ, জামালপুর-৩ মীর সামসুল আলম লিপটন, জামালপুর-৪ বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, জামালপুর-৫ মোঃ জাকির হোসেন খান, শেরপুর-১ মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুল হক মনি, শেরপুর-৩ মোঃ সিরাজুল হক, ময়মনসিংহ-১ কাজল চন্দধ মহন্ত, ময়মনসিংহ-২ মোঃ এনায়েত হোসেন, ময়মনসিংহ-৩ ডা. মো স্তাফিজুর রহমান আকাশ, ময়মনসিংহ-৫ সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৬ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান বাবুল, ময়মনসিংহ-৭ মোঃ আব্দুল মজিদ, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম এমপি, ময়মনসিংহ-৯ আলহাজ¦ হাসমত মাহমুদ তারিক, ময়মনসিংহ-১০ মোঃ নাজমুল হক, ময়মনসিংহ-১১ মোঃ হাফিজ উদ্দিন, নেত্রকোণা-১ গোলাম রাব্বানী, নেত্রকোণা-২ রহিমা আক্তার আসমা সুলতানা, নেত্রকোণা-৩ মোঃ জসীম উদ্দীন ভূঁইয়া, নেত্রকোণা-৪ এডভোকেট লিয়াকত আলী খান, নেত্রকোণা-৫ ওয়াহিদুজ্জামান আজাদ, কিশোরগঞ্জ-১ ডা. মোঃ আব্দুল হাই, কিশোরগঞ্জ-২ আবু সাঈদ আজাদ খুররম ভূইঁয়া, কিশোরগঞ্জ-৩ এ্যাড. মুজিবুল হক চুন্নু, কিশোরগঞ্জ-৪ মোঃ আবু ওহাব, কিশোরগঞ্জ-৫ মোঃ মাহবুবুল আলম, কিশোরগঞ্জ-৬ নুরুল কাদের সোহেল, মানিকগঞ্জ-১ জহিরুল আলম রুবেল, মোঃ হাসান সাঈদ, মানিকগঞ্জ-২ এস.এম. আব্দুল মান্নান, মানিকগঞ্জ-৩ জহিরুল আলম রুবেল, মুন্সিগঞ্জ-১ এ্যাড. শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ-২ মোঃ জয়নাল আবেদীন, মুন্সিগঞ্জ-৩ এএফএম রফিকুল্লাহ সেলিম, ঢাকা-১ এ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, ঢাকা-২ শাকিল আহমেদ শাকিল, ঢাকা-৩ মোঃ মনির সরকার, ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, ঢাকা-৫ মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ঢাকা-৬ এ্যাড. কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, ঢাকা-৭ তারেক এ আদেল, ঢাকা-৮ মোঃ জুবায়ের আলম খান রবিন, ঢাকা-৯ কাজী আবুল খায়ের, ঢাকা-১০ হাজী মোঃ শাহজাহান, ঢাকা-১১ মোঃ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, শামীম আহমেদ রিজভী, ঢাকা-১২ খোরশেদ আলম খুশু, ঢাকা-১৩ শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ঢাকা-১৪ শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মোঃ আলমাস উদ্দিন, ঢাকা-১৫ মোঃ শামসুল হক, ঢাকা-১৬ মোঃ আমানত হোসেন আমানত, ঢাকা-১৭ গোলাম মোহাম্মদ কাদের, ঢাকা-১৮ শেরীফা কাদের, ঢাকা-১৯ বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, ঢাকা-২০ খান মোঃ ইসরাফিল খোকন, গাজীপুর-১ এমএম নিয়াজ উদ্দিন, আল আমিন সরকার, গাজীপুর-২ জয়নাল আবেদীন, গাজীপুর-৩ আলহাজ¦ মোঃ কামরুজ্জামান মন্ডল, এফএম সাইফুল ইসলাম, গাজীপুর-৪ মোঃ সামসুদ্দিন খান, গাজীপুর-৫ এমএম নিয়াজ উদ্দিন মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান, নরসিংদী-১ মোঃ ওমর ফারুক মিয়া, নরসিংদী-২ এ এন এম রফিকুল ইসলাম সেলিম, নরসিংদী-৩ এ এস এম জাহাঙ্গীর পাঠান, নরসিংদী-৪ মোঃ কামাল উদ্দিন, নরসিংদী-৫ প্রকৌশলী মোঃ শহীদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ-১ মোঃ সাইফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ-২ আলমগীর সিকদার লোটন, নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৪ আলহাজ্ব ছালাহ্ উদ্দিন খোকা মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ-৫ একেএম সেলিম ওসমান, রাজবাড়ী-১ এ্যাড. খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু, রাজবাড়ী-২ এ্যাড মোঃ শফিউল আজম খান, ফরিদপুর-১ আক্তারুজ্জামান খান, ফরিদপুর-৩ এস.এম. ইয়াহিয়া, গোপালগঞ্জ-১ শহিদুল ইসলাম মোল্লা, গোপালগঞ্জ-২ কাজী শাহীন, মাদারীপুর-১ মোঃ মোতাহার হোসেন সিদ্দিকী, মাদারীপুর-২ একেএম নুরুজ্জামান জামান, মাদারীপুর-৩ মোঃ আব্দুল খালেক, শরীয়তপুর-২ মোঃ ওয়াহিদুর রহমান, শরীয়তপুর-৩ এডভোকেট মোঃ আব্দুল হান্নান, সুনামগঞ্জ-১ মোঃ আব্দুল মান্নান তালুকদার, সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুল রহমান মিজবাহ, সুনামগঞ্জ-৫ নাজমুল হুদা হিমেল, সিলেট-১ নজরুল ইসলাম বাবুল, সিলেট-২ মাকসুদ ইবনে আজিজ লামা, সিলেট-৩ আতিকুর রহমান আতিক, সিলেট-৪ এটিইউ তাজ রহমান, সিলেট-৫ আলহাজ¦ সাব্বির আহমদ, সিলেট-৬ সেলিম উদ্দিন, মৌলভীবাজার-১ আহম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, মৌলভীবাজার-২ আব্দুল মালিক, মৌলভীবাজার-৩ রুহুল আমিন, হবিগঞ্জ-১ এম.এ. মুনিম চৌধুরী বাবু, হবিগঞ্জ-৩ আব্দুল মুমিন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৪ আহাদ উদ্দিন চৌধুরী শাহীন,
কুমিল্লা-১ মোঃ আমির হোসেন ভূঁইয়া, কুমিল্লা-২ এটিএম মঞ্জুরুল ইসলাম, কুমিল্লা-৩ মোঃ আলমগীর হোসেন, কুমিল্লা-৪ এ্যাড. ইউসুফ আজগর, কুমিল্লা-৫ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা-৬ এয়ার আহমেদ সেলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল করিম মোহন, কুমিল্লা-৭ লুৎফর রেজা খোকন, কুমিল্লা-৮ এইচ এন এম ইরফান, কুমিল্লা-৯ মোঃ গোলাম মো স্তফা কামাল, কুমিল্লা-১০ জোনাকী মুন্সি, কুমিল্লা-১১ মোস্তফা কামাল, চাঁদপুর-১ একে এস এম শহীদুল ইসলাম, চাঁদপুর-২ মোঃ এমরান হোসেন মিয়া, চাঁদপুর-৩ এ্যাড. মহাসিন খাঁন, চাঁদপুর-৪ সাজ্জাদ রশিদ, চাঁদপুর-৫ মোঃ ওমর ফারুক, ফেনী-১ শাহরিয়ার ইকবাল, ফেনী-২ খন্দকার নজরুল ইসলাম, ফেনী-৩ লেঃ জেঃ (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, নোয়াখালী-১ ফজলুল করিম মোঃ ইয়াসিন, নোয়াখালী-২ মোঃ তালেবুজ্জামান, নোয়াখালী-৩ ফজলে এলাহী সোহাগ মিয়া, নোয়াখালী-৪ মোবারক হোসেন আজাদ, নোয়াখালী-৫ ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ, নোয়াখালী-৬ মুশফিকুর রহমান, লক্ষীপুর-১ মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, লক্ষীপুর-২ বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু, লক্ষীপুর-৩ মোঃ রাকিব হোসেন, চট্টগ্রাম-১ মোঃ এমদাদ হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-২ মোঃ শফিউল আজম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ এম এ সালাম, চট্টগ্রাম-৪ মোঃ দিদারুল কবির, চট্টগ্রাম-৫ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৬ মোঃ শফিউল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ মুসা আহমেদ রানা, চট্টগ্রাম-৮ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৯ সানজিদ রশীদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ মোঃ নুরুচ্ছফা সরকার, চট্টগ্রাম-১৩ আব্দুর রব চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৪ আবু জাফর মোঃ ওলিউল্ল্যাহ, চট্টগ্রাম-১৫ মোঃ সালেম, চট্টগ্রাম-১৬ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার-১ খোসনেআরা, কক্সবাজার-২ মাহমুদুল করিম, কক্সবাজার-৩ এ্যাড. মোঃ তারেক, কক্সবাজার-৪ নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টু, পার্বত্য খাগড়াছড়ি সোলায়মান আলম শেঠ, পার্বত্য রাঙ্গামাটি হারুনুর রশীদ মাতুব্বর, পার্বত্য বান্দরবন এটি এম শহীদুল ইসলাম।
ঘোষিত তালিকায় দেখা যায়, রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
২৪ নভেম্বর শুক্রবার বনানীর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নির্বাচনের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা। আমরা চেয়েছি, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, ভোটাররা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত ২০ নভেম্বর থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে জাপা। ২৩ নভেম্বর ছিল ফরম বিক্রির শেষ দিন। পরে তা শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন আগামীকাল ১০ জানুয়ারি বুধবার। এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে এ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। শপথ বাক্য পাঠ করাবেন চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দত্তপাড়ায় তাঁর বাবা সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
চিফ হুইপ বলেন, ‘আগামীকাল সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নব নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বেলা ১২ টায় আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির সভা অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে বিকেলে পার্লামেন্টারি পার্টির সিদ্ধান্তের আলোকে রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের জন্য বলা হবে। সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘আজ গেজেট হওয়ার পর শপথ অনুষ্ঠিত হবে। শপথ হওয়ার পর সরকার গঠন করার জন্য রাষ্ট্রপতি যখন সম্মতি দেবে তারপর কেবিনেট।’
সংসদে বিরোধী দলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চীফ হুইপ বলেন, ‘বিরোধী দলের ব্যাপারে সরকারি দলের করণীয় কিছু নাই। বিরোধী দলের যারা আছেন তারা মিলে সংবিধানের আলোকে ঠিক করবেন।
এসময় মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। যেসব আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন সেগুলোর একটি। এখানে জাপা তথা জোটের প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া (লাঙ্গল প্রতীক)। তবে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা জাপার প্রার্থীর পক্ষে থাকবেন না। তাঁরা এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিনের (কলার ছড়ি প্রতীক) পক্ষে থাকবেন।
গত সোমবার রাতে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ের একটি হোটেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাশেদের নেতৃত্বে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জের একটি হোটেলে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর সভা করে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাঁরাও জাপার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন না। তবে তাঁরা আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নয়, এ নির্বাচনে কাজ করবেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জাপার বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধার (ঈগল প্রতীক) পক্ষে। ওই সভায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়া। জিয়াউল হক মৃধা রওশনপন্থী হিসেবে পরিচিত। তিনি জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউল হক মৃধা এ আসনে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মনোনীত (লাঙ্গল) হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ এ আসনে দলীয় প্রার্থী না দিয়ে মহাজোটের প্রধান শরিক জাপাকে ছেড়ে দেয়। ওই নির্বাচনে জিয়াউল হক মৃধার জামাতা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে দেওয়া হয়েছিল লাঙ্গল প্রতীক। তবে সুবিধা করতে না পেরে নির্বাচনের দুই দিন আগে রেজাউল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিএনপির প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার কাছে পরাজিত হন। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন মঈন উদ্দিন। তিনি এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এবারের সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলম। তিনি মাত্র ২ মাস আগে গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মাধ্যমে ৫০ বছর পর এ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী জয় পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক দুই বারের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা পান ৩৭ হাজার ৭৫৮ ভোট।
জাপার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে শাহজাহান আলমকে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রত্যাহার করে নিলে লাঙ্গলের প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া হন জোটের প্রার্থী। তবে শুরু থেকেই তাঁকে মেনে নিচ্ছেন না স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং জাপার একটি অংশ।
সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু হানিফ, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সাবেক সদস্য জয়নাল উদ্দিন, অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হাবিবুর রহমান, পানিশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হাসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন মিয়া, বাবুল হাসেন প্রমুখ।
আবু তালেব বলেন, ‘১৭ ডিসেম্বর জোটের প্রার্থীর (লাঙ্গল) জন্য আমাদের নৌকার প্রার্থীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু এখানে লাঙ্গল প্রতীক প্রার্থীর শ্বশুরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের দ্বন্দ্ব শেষ হচ্ছে না। তাঁদের বিরোধের কারণে আমরা জামাই-শ্বশুর কারও পক্ষেই থাকতে পারছি না। এ ছাড়া আমরা ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। কেন্দ্র বা জেলা থেকে কোনো নির্দেশনা আসে কি না। এমনকি উপজেলা থেকেও কোনো নির্দেশনা পাচ্ছিলাম না। ২৬ ডিসেম্বর থেকে আমরা কলার ছড়ির পক্ষে কাজ শুরু করি। এরপর ২৮ ডিসেম্বর উপজেলার তিন নেতা আমাদের বলেন ঈগলের নির্বাচন করার জন্য। তাঁরা আমাদের ওপরের নির্দেশ আছে বলে জানান। আমরা তখন তাঁদের লিখিত নির্দেশনা দেখাতে বলেছি। তাঁরা তখন মৌখিক নির্দেশনার কথা বলেন। আমরা বলেছি, চারটি ইউনিয়নের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যে কলার ছড়ির পক্ষে নেমে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। আমাদের এখন ঘোষণা হচ্ছে, আমরা কলার ছড়ির নির্বাচন চালিয়ে যাব।’
আবদুর রাশেদ বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিনের পক্ষে আছি। দলের নেতা-কর্মী এবং এলাকার লোকজন তাঁকে নিয়েই আছেন।’