অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন তারা নাকি সংবিধানের বাইরে এক চুলও নড়বেন না। বিএনপিও সংবিধানের বাইরে যাবে না। তবে সেটা কোন সংবিধান? খায়রুলের সংবিধান নাকি বাংলাদেশের সংবিধান। আমরা চাই অখণ্ড সংবিধান, যে সংবিধানে এক চুলও কাটাছেঁড়া করা হয়নি।
আজ ১৯ জুলাই বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে আব্দুল্লাহপুরের পলওয়েল মার্কেটের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, যে সংবিধান থেকে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে, ওই সংবিধান আমরা চাই না। আমরা চাই যে সংবিধানে কাটাকাটি ছিল না, পোস্টমর্টেম ছিল না। বাংলাদেশের জনগণ যে সংবিধান তৈরি করেছিল, সেই সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো। এছাড়া আপনাদের তৈরি, খায়রুল হকের তৈরি ওই সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভোটের অধিকার আদায় করে নেবে। গত ১৫ বছর আপনাদের অত্যাচার আমরা সয়েছি। এ অত্যাচার আর সইবো না। আমরা আপনাদের অত্যাচারের জবাব দেবো। মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরে আমাদের লোক মেরেছেন। আপনারা শান্তি মিছিলের নামে অশান্তি তৈরি করছেন। আমাদের মিটিং-মিছিলে ঝামেলা হয় না। আর আপনারা ঝামেলা তৈরি করতে চান।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা যেদিন মিছিল মিটিং করি সেদিন আপনারা কর্মসূচি দিয়েন না। আপনারা যেদিন করবেন আমরা দেবো নো। গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা মিছিল মিটিং করবো। আপনারা বাংলা কলেজ থেকে ইট মারবেন পাথর মারবেন আমরা ছেড়ে দেবো এটা হবে না। ছেড়ে দেওয়ার দিন শেষ। এখন খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। আর কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। আমাদের অধিকারকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সারাদেশে সব থানার ওসিকে পর্যায়ক্রমে বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন ইসি। তার ধারাবাহিকতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৩৩৮ থানার ওসির বদলির তালিকা পাঠানো হয়েছে ইসিতে।
আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচন কমিশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাঠানো হয়। ইসি সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
গত ৪ ডিসেম্বর সোমবার দেশের আট বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর দেশের আট বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ওসি বদলির চিঠি সচিব (নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম) স্যারের কাছে আছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসবো। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা এটি যাচাই-বাছাই করবো।
চলারপথে ডেস্ক :
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্লোগান এনে লাভ নাই। একেবারেই ভুলে যান। ওই অস্বাভাবিক সরকার, অসাংবিধানিক সরকার বাংলাদেশের আসবে না, ইনশাআল্লাহ।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, লাফালাফি-বাড়াবাড়ি যতই করেন, জনগণের কাছে এখনো ডাক দিয়ে সাড়া ফেলতে পারেন নাই। সংবিধান থেকে এক চুলও নড়ব না আমরা। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, কোনো নড়ন-চড়ন হবে না।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মামা বাড়ির আবদার। কোন দোষে সরকার পদত্যাগ করবে। কি কারণে নির্বাচনের আগে সরকার পদত্যাগ করবে। কারণটা কি? হাওয়া ভবনের যুবরাজ তারেককে ক্ষমতায় বসানোর জন্য? ওই খাম্বা সরদার ক্ষমতায় বসবে? বাংলাদেশের মানুষ এই খাম্বা সরদারকে এ দেশের ক্ষমতার মঞ্চে আর বসতে দেবে না। ভুলে যান ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন। কত দুর্নীতি করেছেন ভুলে গেছেন?
বছরব্যাপি কর্মসূচি পালন করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো পাল্টাপাল্টি নয়। প্রতিদিনই প্রোগ্রাম হবে। বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায় হবে। কখনো সম্মেলন হবে। কখনো গণসংযোগ হবে, কখনো শান্তির সমাবেশ হবে, কখনো সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলবে, আওয়ামী লীগ এ কর্মসূচি নিয়ে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে। জনগণের ঘরে ঘরে যাবে।
তিনি আরো বলেন, কাউকে নামতে দেব না- এ কথা বলবেন না। সবাই নামবে। রাজপথ সবার। রাস্তা সবার। কিন্তু রাস্তায় নামবেন ১৩-১৪ সালের মতো ৫০০ মানুষ পুড়িয়ে মারবেন, অগ্নিসন্ত্রাস করতে রাস্তায় নামবেন। সরকারি অফিস পোড়াবেন। রিক্সা ড্রাইভার, বাস ড্রাইভার পুড়িয়ে মারবেন- তা হতে দেয়া হবে না।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালের মধ্যে আটক হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ ২৯ অক্টোবর রবিবার সকাল ৯ টা ২০ মিনিট গুলশান বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে গিয়েছে।
জানা যায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানান, মহাসচিবকে তার গুলশান দুইয়ের বাসা থেকে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
এর আগে বাসা থেকে তুলে নিতে উপস্থিত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, অসুস্থ একজন মানুষকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া মেনে নেয়া যায় না
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, রাত থেকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ বাড়ির প্রধান গেট ভাঙার চেষ্টা করছে। যে কোনো সময় ভেতরে ঢুকে মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে যেতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।