অনলাইন ডেস্ক :
উত্তরাখণ্ডে একটি ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে এক পুলিশ সদস্য এবং তিনজন গার্ড রয়েছেন। একটি সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
যে সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছিল সেটি নমামি গঙ্গে প্রকল্পের অংশ। ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ২০১৪ সালের ১০ জুলাই নমামি গঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন। নমামি গঙ্গের লক্ষ্য গঙ্গা নদীর দূষণ কমানোর পাশাপাশি নদীর তীর সংরক্ষণ ও পুনর্জীবিত করা। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার অলকানন্দা নদীর তীরে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ওই দুর্ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক অশোক কুমার বলেন, একজন পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর এবং তিনজন গার্ডসহ ১৫ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। এই ঘটনার তদন্ত চলছে।
চামোলির পুলিশ সুপার প্রমেন্দ্র দোভাল জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে ফোন পাই যে, একজন প্রহরী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। পুলিশ কর্মীরা গ্রামবাসীর সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গেলে ২১ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৫ জনের মৃত্যু হয় এবং বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরাইলের চলমান নৃশংস হামলায় গাজা উপত্যকায় আরো প্রায় ৫৬জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু উত্তর গাজায় মধ্যরাতের পর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০ জন। দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় ও নাসের হাসপাতালের ওপর চালানো পৃথক হামলায় নিহত হয়েছেন আরো ৩০ জন।
আলজাজিরার খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, হাসপাতালগুলোতে হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই উত্তর গাজায় শুরু হয় এই নতুন দফার হামলা।
আলজাজিরা আরো জানায়, দক্ষিণ গাজার দুটি হাসপাতাল—ইউরোপীয় ও নাসের—লক্ষ করে চালানো বোমা হামলায় অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও ছিলেন, যিনি চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন।
স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের বরাতে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া হামলায় কেবল উত্তর গাজায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন।
প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরাইল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এরপর প্রায় দুই মাস অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকলেও, হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আবারও গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই নতুন দফার হামলায় এখন পর্যন্ত আরও ২ হাজার ৭৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ৭ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার মাধ্যমে ইসরাইল চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলি আগ্রাসনের ফলে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুহারা হয়েছেন। পাশাপাশি, অবরুদ্ধ এই উপত্যকার অধিকাংশ অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২১ জুন শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এ ঘোষণা দেন। পাল্টা বার্তায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করেছেন।
ইরানে হামলার পর ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানগুলো ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় পূর্ণমাত্রায় বোমা বর্ষণ করেছে এবং সব বিমান নিরাপদে ফিরে গেছে।
তারপরই কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে তেহরান থেকে। গত ১৮ জুন বুধবার খামেনী টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, দেশটি যদি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তারা এমন ক্ষতির মুখে পড়বে যা ইরানের যে কোনো ক্ষতির চেয়েও বহুগুণ বেশি হবে। ভাষণটিই শনিবার ট্রাম্পের ঘোষণার পর খামেনীর অফিসিয়াল টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পুনরায় প্রকাশ করা হয়। খামেনি কোথায় সেটি স্পষ্ট না হলেও তার বার্তার মাধ্যমে তেহরান ওয়াশিংটনকে চাপে রাখতে চায়।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানায়, ক্বোম প্রদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পর ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার একটি অংশ শত্রু বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্বোম প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সদর দপ্তরের মুখপাত্র মোরতেজা হেইদারী বলেন, শত্রুর লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত হওয়ার পর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে যায় এবং ফোরদোর একটি অংশে বিমান হামলা হয়।
অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা নাতানজ ও ইসফাহানেও হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইসফাহানের গভর্ণরের সহকারী আকবর সালেহি বলেন, নাতানজ ও ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর আশপাশে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এতে স্পষ্ট, ওই এলাকাও হামলার শিকার হয়েছে।
এসব স্থাপনায় তেজস্ক্রিয় কোনো উপাদান ছিল না বলে দাবি করেছে ইরান। ইরনা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার এক কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যেসব স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, সেগুলোয় এমন কোনো পদার্থ ছিল না যা তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করতে পারে।
ওই কর্মকর্তার বক্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হামলার সম্ভাবনার কথা আঁচ করে ইরানি কর্তৃপক্ষ পূর্বেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামসহ সব তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে নিয়েছিল। ফলে বোমার আঘাতে পরিবেশগত তেজস্ক্রিয় ঝুঁকি তৈরি হয়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে হত্যা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
২০ আগস্ট মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফেন ডুজারিক। এ সময় তিনি ইউনূস সরকারের কাছে জাতিসংঘের প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘দেখামাত্র গুলি’ করার নির্দেশে হতাহত হয়েছে উল্লেখ করে প্রেস ব্রিফিংয়ে তার কাছে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ৮১৯ জন মানুষকে হত্যা ও ২৫ হাজার মানুষের আহত হওয়ার জন্য যারা দায়ী, জাতিসংঘ মহাসচিব কি তাদের বিচার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডুজারিক বলেন, হ্যাঁ।
এই প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর করার আগে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতিসংঘের মহাসচিবের আন্তোনিও গুতেরেসের দেওয়া একটি চিঠির বিষয়ে কথা বলেন।
আন্তোনিও গুতেরেসকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, চিঠিতে মহাসচিব বাংলাদেশে শান্তি ফেরানো এবং সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মহাসচিব বলেছেন, জাতিসংঘ প্রত্যাশা করে যে ড. ইউনূসের সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা গ্রহণ করবে। সেখানে তরুণদের পাশাপাশি নারী, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণও বিবেচনা করা হবে।
এই মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের সব নাগরিক, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ভরসা করছেন মহাসচিব।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও সিভিল ডিফেন্সের ১৫ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। তারা কেউ যোদ্ধা ছিলেন না, সন্ত্রাসীও ছিলেন না। তারা ছিলেন মানবিক সহায়তাকর্মী। যারা আহতদের পাশে দাঁড়াতে ছুটে গিয়েছিলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
গত ২৩ মার্চ, দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী একটি অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবার গাড়িবহরে হামলা চালায়। এতে ৮ জন রেড ক্রিসেন্ট কর্মী, ৬ জন সিভিল ডিফেন্স সদস্য এবং ১ জন জাতিসংঘকর্মী নিহত হন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করে, যানবাহনগুলো ‘চিহ্নিত’ ছিল না এবং সন্ত্রাসী পরিবহন করছিল বলে সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু এটি ছিল একটি ‘মিথ্যা’।
নিহত চিকিৎসাকর্মী রিফাত রাদওয়ানের মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, যানবাহনগুলোতে লাল আলো জ্বলছিল। পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত ছিল এবং কোনো অস্ত্রের অস্তিত্ব ছিল না। রিফাতের মৃতদেহ একটি গণকবরে পাওয়া যায়, সেখানে আরও ১৩টি মরদেহ ছিল, যাদের কারও মাথায়, কারও বুকে গুলির চিহ্ন এবং অনেকের হাত ছিল বাঁধা।
মৃত্যুর পরও তাদের প্রমাণ করতে হয়েছে যে তারা সহায়তাকর্মী ছিলেন।
এতোকিছুর পরেও পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোর বেশিরভাগই প্রথমে ইসরায়েলের বক্তব্য প্রচার করছে: “ইসরায়েল বলছে…”, “আইডিএফ জানাচ্ছে…”, “একটি সামরিক সূত্র জানিয়েছে…”। বিষয়টা এমন যে, এই মিথ্যা শব্দগুচ্ছগুলো যেন রক্তমাখা চিকিৎসাকর্মীর ইউনিফর্ম থেকেও বেশি ‘প্রমাণস্বরূপ’ হয়ে ওঠে।
তবে, এটা কিন্তু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি একটি সংগঠিত ও পরিকল্পিত মিথ্যাচার। যে মিথ্যাচার তারা যুগ যুগ ধরে করে আসছে।
পশ্চিমা মিডিয়া আমাদেরকে তাই বিশ্বাস করাতে বাধ্য করে যা ইসরায়েল বলছে। এই অবস্থানে থেকে হাসপাতালকে প্রমাণ করতে হয় যে তারা হাসপাতাল, স্কুলকে প্রমাণ করতে হয় তারা শিশুদের স্কুল, আর শিশুদের প্রমাণ করতে হয় যে তারা সন্ত্রাসীদের ঢাল নয়। পশ্চিমা মিডিয়ার এই ব্যবস্থায় ফিলিস্তিনি অস্তিত্বকেই ‘হুমকি’ হিসেবে দেখা হয়।
এই অবস্থা, এই অবমূল্যায়ন, মানবিকতা ধ্বংসের নামান্তর।
গাজার বাসিন্দা হিসেবে আমি জানি রেড ক্রিসেন্টের ভেস্ট (পোষাক) কী বোঝায়। এই ভেস্ট বোঝায় যখন চারপাশে মৃত্যু আর ধ্বংস, তখনও কেউ সাহায্য করতে আসছে, আসছে জীবন বাঁচাতে। কিন্তু এখন সেই ভেস্ট পরা মানুষদের লাশ গণকবরে পাওয়া যায়।
আমরা শুধু শোক পালন করি না, আমাদের শোককেও প্রমাণ করতে হয়। আমরা শুধু মরদেহ কবর দেই না, বরং তাদের মৃত্যুকেও ‘নির্দোষ’ প্রমাণ করতে হয়।
এই ১৫ জন চিকিৎসাকর্মী ও উদ্ধারকর্মীর মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ফিলিস্তিনি হতে গেলে কেবল জীবন বাঁচানোই যথেষ্ট নয় বরং প্রমাণ করতে হয়, তোমরা মানুষ।
লেখক: আহমেদ নাজার
ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষক
সূত্র : আলজাজিরা।
হাকিকুল ইসলাম খোকন :
যুক্তরাষ্ট্র এর ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে ৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দেশটির দ্বিতীয় বড় এই শহরের আশপাশে দাবানলে এরই মধ্যে দেড় হাজারের বেশি বাড়িঘর পুড়ে গেছে। বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে লাখের বেশি মানুষ। বাতাসের গতি বেশি হওয়ায় দ্রুত দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের প্রধান অ্যান্থনি মেরন বলেন, ‘দাবানল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি। কিন্তু লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির সব বিভাগ মিলেও দাবানল সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট অগ্নিনির্বাপণকর্মী নেই।’
লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরে অভিজাত এলাকা প্যাসিফিক প্যালিসেডস। হলিউডের অনেক তারকা সেখানে বসবাস করেন। তীব্র গতির বাতাসের কারণে প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকায় আগুন এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ছে।
দাবানলে ৮ জানুয়ারি বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল পর্যন্ত প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকার প্রায় ১৬ হাজার একর ভূমি পুড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পুড়ে গেছে প্রায় এক হাজার বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
অন্যদিকে নগরের উত্তরের আলতাদেনা এলাকার চারপাশে অন্য একটি দাবানলে প্রায় ১০ হাজার ৬০০ একর জমি পুড়ে গেছে। সেখানে শহরতলির সড়কগুলোয়ও দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন
নিউইয়র্কেও বাংলাদেশের ফ্যাশন হাউস ‘সিগনেচার কালেকশন’
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা জানিয়েছেন, ৫ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তিনি বলেন, ‘দেখুন, পরিস্থিতি এখনো দ্রুত বদলাচ্ছে। এই দাবানলের ওপর এখন পর্যন্ত আমাদের বিন্দুমাত্র নিয়ন্ত্রণ নেই। আমি সত্যি প্রার্থনা করছি যে আমাদের যেন আর শুনতে না হয়। আমার মনে হয় না এ ক্ষেত্রে এমন কিছু হতে চলেছে।’ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরে একাধিক স্থান থেকে শুরু হয় ভয়াবহ এই দাবানল। সূত্র-রয়টার্স