চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীতে ডুবে রিফাত হোসেন (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বন্ধুদের সাথে মহানন্দা নদীর আনসারের ঘাটে গোসল করতে গিয়ে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয় রিফাত। পরে বিকেল তিনটার দিকে রাজশাহীর একটি ডুবুরি দল এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
রিফাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ হরিমোহন স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ও শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়া পাখিয়া ইউনিয়নের গোলাপের হাট এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে। রিফাতের পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে গিয়ে নদীতে স্রোতের কারনে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে রাজশাহী থেকে ১১ সদস্যের একটি ডুবুরি দল নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরি জোবায়ের আহমেদ জানান, কারও অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বিএনপি নিজেরাই তাদের অফিসে তালা মেরে রেখেছে। তারা অফিসে ঢুকতে চাইলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধদের দেখতে আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি কার্যালয়ে আপনারা তালা মেরে রেখেছেন, ঢুকতে দিচ্ছেন না, ঘিরে রেখেছেন– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিএনপি কার্যালয়ে তালা মেরে রাখিনি, তারা নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে। তাদের কার্যালয়ে তারা যেকোনো সময় আসতে পারবে। এতে আমাদের কোনো বাধা নেই। তবে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সেখানে মোতায়েন থাকবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, অবরোধ কর্মসূচিতে নৃসংসভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নাঈম নামে একজন পরিবহন শ্রমিককে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহতরা অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এখানে যেসব পরিবহন শ্রমিকরা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার চিন্তা করেছি, আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।
গতকাল সোমবার খিলক্ষেত এলাকায় পুলিশের এক এএসআইকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতের ঘটনায় করা এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো ঘটনার সম্পৃক্ততা নেই। খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
অবরোধে বেশিরভাগ বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে সন্ধ্যার পর এবং ভোরে– এ বিষয়ে আপনারা কী পদক্ষেপ নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে আমি এটি বলব, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় সজাগ রয়েছে। তবে তারা কিছু চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০২৪ সালের হজের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে সাধারণ প্যাকেজে খরচ পড়বে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কম।
এ ছাড়া এবার একটি বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ এই হজ প্যাকেজে খরচ পড়বে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হজ প্যাকেজ-২০২৪ ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিমসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ হজ প্যাকেজের বৈশিষ্ট্য নিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, এতে প্যাকেজ আপগ্রেডেশন, অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে মক্কার হোটেলে ২ ও ৩ সিটের রুমের সুবিধা, মক্কায় হারাম শরিফের চত্বর থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ মিটারের মধ্যে উন্নতমানের হোটেলের ব্যবস্থা, মদিনায় মারকাজিয়া এলাকায় আবাসন ব্যবস্থা, এক রুমে সর্বোচ্চ চার সিট, মিনায় ‘এ’ ক্যাটাগরির তাঁবুতে আবাসন ও বুফে খাবার ব্যবস্থা এবং মিনা-আরফাহ মুজদালিফা-মিনায় যাতায়াতে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য বাসে সিট নিশ্চিত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৪৪৫ হিজরি ৯ জিলহজ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৪ সালের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালে হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি এজেন্সির কোটা ১ লাখ ১৭ হাজার।
সরকারি মাধ্যমের হজ প্যাকেজের বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, সাশ্রয়ী মূল্যে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের সাধারণ প্যাকেজ, সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের সাধারণ প্যাকেজের মূল্য এবং সুযোগ-সুবিধা সমান, প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৬ সিট থাকবে, প্যাকেজ আপগ্রেডেশনের সুবিধায় অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে মক্কার হোটেলে ২ ও ৩ সিটের রুম নেওয়া যাবে।
সরকারি মাধ্যমের সাধারণ প্যাকেজ মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের জন্য হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে এবং হজযাত্রীদের জন্য অনুরূপ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে। উন্নতমানের বাড়ি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে এজেন্সি একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সাধারণ প্যাকেজের ব্যয় ২০২৩ সালের হজের চেয়ে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কমানো হয়েছে এবং বিমানভাড়া ২ হাজার ৯৯৭ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাব সভাপতি জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেসরকারি প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। আগামী রোববার সংবাদ সম্মেলনে তা ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দ্রুত বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে হজযাত্রীর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হবে। ২০২৪ সালের ১ মার্চ থেকে হজ ভিসা ইস্যু শুরু হবে এবং ৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হবে।
বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে হজের জন্য সরকারিভাবে হজ প্যাকেজ ধরা হয় ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
আগের বছর সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ ধরা হয়েছিল ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। ওই বছর কোরবানি ছাড়া প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৪৯ টাকা।
এর আগে ২০২০ সালে এই প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছিল জনপ্রতি ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকা।
অনলাইন ডেস্ক :
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবৈধ অটোরিক্সা জব্দ করতে গেলে পুলিশ সদস্যকে ঝুলিয়ে এক কিলোমিটার নিয়ে যান চালক। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় চালককে আটকসহ অটোরিক্সাটি জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃত অটোরিক্সা চালক জনি আহমেদ (২৪) ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের মো. আহমেদ আলীর ছেলে। তিনি মাওনা হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল কমল দাসকে অটোরিক্সায় ঝুলিয়ে এক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যান। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ কন্সস্টেবল কমল দাস বলেন, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিয়মিত অবৈধ অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার অংশ হিসেবে বিকেলে উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় অভিযান চলাকালে একটি অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে আসে। থামানোর জন্য অটোরিকশাকে সিগন্যাল দেয়া হয়। রিকশা থামানোর পর চাবি নেয়ার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে অটোরিক্সা চালাতে শুরু করে। আমি অটোরিকশায় উঠার চেষ্টা করি, কিন্তু চালক রিকশার গতি আরোও বাড়িয়ে দেয়। অটোরিকশা চালককে অনুরোধ করলেও গতি কমায়নি। আমাকে মহাসড়কে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে। আমাকে ঝুলিয়ে কমপক্ষে এক কিলোমিটার নিয়ে যায়।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ সদস্য ইউনিফর্ম পড়া অবস্থায় চলন্ত অটোরিক্সার রড ধরে ঝুলে আছে। পেছনে কয়েকজন যাত্রী চালককে অনুরোধ করছেন অটোরিকশা থামানোর জন্য কিন্তু অটোরিকশা চালক থামাচ্ছেন না। অটোরিকশার পাশদিয়ে বিভিন্ন পরিবহন যাচ্ছে। পরবর্তীতে একটি স্থানে পৌঁছালে জ্যামে উপস্থিত স্থানীয় জনতা ও পুলিশ সদস্য মিলে চালককে আটক করেন।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পাশ্ববর্তী ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া এলাকার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে অভিযুক্ত চালককে আটক করা হয়। জব্দ করা হয়েছে অটোরিকশাটি। এবিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাতাসে যেন মিষ্টি এক আনন্দের আমেজ। শীতের রুক্ষতাকে বিদায় জানিয়ে ফুলে ফুলে সেজে উঠতে প্রস্তুত প্রকৃতি। একই দিনে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে ভালোবাসার দিন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা দিবস আর বসন্তের রঙ যেন মিলেছে একই দিনে। সবার মুখে মুখে তাই আজ উচ্চারিত হচ্ছে, ‘বসন্তে রঙিন ভালোবাসার দিন। আজ বসন্ত, আজ ভালোবাসার দিন।’
প্রকৃতিতে ফাল্গুনের হাওয়া, বাতাসে বসন্তের উন্মাদনা। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি সেজেছে বর্ণিল সাজে। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। প্রকৃতিও আগুনরঙা ভালোবাসার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়েছে। সবমিলিয়ে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে আজ পহেলা ফাল্গুন।
একই দিনে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে ভালোবাসার দিন। ভালোবাসা দিবস আর বসন্তের রঙ যেন মিলেমিশে এক হচ্ছে আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি)। ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। সেই সঙ্গে ঋতুরাজের হাত ধরে এবারও এলো ভালোবাসার বিশেষ দিনটি। একদিকে বাসন্তী রঙ, অন্যদিকে ভালোবাসার রঙের জোয়ারে প্রকৃতি একাকার আজ।
ফাগুনের আগুনে মন রাঙিয়ে বাঙালি তার দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবে আজ। বাসন্তী রঙের শাড়ি, কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, পায়ে নূপুর, খোঁপায় ফুল অথবা রিং জড়িয়ে আজ বেরিয়ে পড়বেন তরুণীর দল। প্রকৃতির সঙ্গে নতুন সাজে সাজবেন তারাও। তাদের উচ্ছ্বাস মনে করিয়ে দেয় কবির কবিতার লাইন, ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত’।
বেশ কয়েক বছর ধরে ঋতুরাজের হাত ধরে আসছে ভালোবাসার দিন। যদিও ভালোবাসা ক্ষণিকের নয়, চিরন্তন। ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার নয়, শুধু স্বামী-স্ত্রীর নয়, এ ভালোবাসা বয়সের ফ্রেমে বাঁধা নয়, এটা প্রসারিত হয় বন্ধু-বান্ধব, পরিচিতজনসহ সবার মাঝে। ইংরেজি বর্ষপঞ্জির ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবে পরিচিত সারা বিশ্বে। বাংলাদেশেও দিবসটি ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে।
আজ ঋতুরাজ বসন্ত বরণের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। পহেলা ফাল্গুন বসন্তবরণ উৎসব। ২২৫ নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বসন্তবরণের আয়োজন করেছে একাডেমি। রাজধানী রমনায় বিকাল সাড়ে ৩টায় শতায়ু অঙ্গনের পাশের মঞ্চে পরিবেশিত হবে শিশু-নৃত্যদল ও শিশু সঙ্গীত দলের বিশেষ পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিকাল সাড়ে ৪টায় বসন্তের রঙিন শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাটি রমনা পার্ক থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সমবেত হবে। বিকাল সাড়ে ৫টায় একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে আয়োজন করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আজকের বসন্তের এ উৎসবে চারুকলার বিনোদনপ্রেমী মানুষের স্রোত গিয়ে মিলবে বইমেলায়। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত থাকবে এ কোলাহল। বসন্ত মানেই যেন নতুন কলেবর, তাই তো সর্বত্র রঙিন হবে মানুষের ঢলে।
ঋতুরাজ বসন্ত বরণের উন্মুক্ত মঞ্চের আয়োজনে শুরুতে পরিবেশিত হবে দলীয় ‘ঢাক-নৃত্য’। পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদল। পরে তারা পরিবেশন করবে দলীয় নৃত্য ‘শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা’। এরপর দলীয় সংগীত ‘আনন্দ লোকে’ পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু সংগীত দল। দ্বৈত আবৃত্তি ‘রুমঝুম কে বাজায়’ পরিবেশন করবেন ডালিয়া আহমেদ ও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। একক সংগীত ‘যেথা রামধনু ওঠে হেসে’ পরিবেশন করবেন মেহরিন মাহমুদ।
এরপর দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করবেন নওশিন তাবাসসুম স্মরণ ও মোমিন বিশ্বাস। ধারাবাহিক পরিবেশনায় দলীয় নৃত্য ‘সুন্দরের অতন্দ্র প্রহরী’ পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু নৃত্য দল। এরপর দ্বৈত নৃত্য ‘আজি দক্ষিণ পবনে’ পরিবেশন করবে আবু নাইম ও আনন্দিতা খান। দ্বৈতসংগীত পরিবেশন করবেন শারমিন সাথী ইসলাম ও বুলবুল ইসলাম। এরপর আবার দলীয় সংগীত ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’ পরিবেশন করবে ঢাকা সাংস্কৃতিক দল। দ্বৈত আবৃত্তি করবেন তামান্না তিথি ও মাহিদূল ইসলাম।
দলীয় নৃত্য ‘বসন্ত মুখর আজি’/‘নীল দিগন্তে’ পরিবেশন করবে রেওয়াজ পারফর্মার্স স্কুল। নৃত্য পরিচালনা করবেন মুনমুন আহমেদ। দ্বৈত নৃত্য ‘বিশ্ববীণা রবে/আজ সখি’ পরিবেশন করবেন সামিনা হোসেন ও মাহতাব মেহেদী। একক সংগীত ‘চেনা চেনা লাগে’ পরিবেশন করবেন মো. ইউসুফ আহমেদ খান। দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করবেন কিরণ চন্দ্র রায় ও চন্দনা মজুমদার। দ্বৈত নৃত্য ‘ফাগুন লেগেছে শাখে শাখে’ পরিবেশন করবেন জুয়েইরিয়াহ মৌলি ও মারিয়া ফারিহ উপমা। এরপর দলীয় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী নৃত্য পরিবেশন করবে তপস্যা নৃত্যদল। পরিচালনা করবেন নৃত্যপরিচালক ফিফা চাকমা।
দ্বৈত আবৃত্তি করবেন শিমুল মোস্তফা ও রূপা চক্রবর্তী। দ্বৈত নৃত্য ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’ পরিবেশন করবেন অনিক বোস ও কস্তুরী মুখার্জী। এরপর দলীয় নৃত্য ‘অবাক চোখে’ পরিবেশন করবে কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়। এটি পরিচালনা করবেন নৃত্যপরিচালক সাজু আহমেদ। পরে পরিবেশিত হবে দ্বৈত নৃত্য ‘বাগিচায় বুলবুলি’, পরিবেশন করবেন আরোহী ইসলাম (আরিফুল ইসলাম অর্ণব) ও হেনা হোসেন। সবশেষ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদলের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হবে ‘ফ্যাশন ডান্স প্যারেড’।
এদিকে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এ বছর বসন্তবরণ উৎসব ও ভালোবাসা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘ভালোবাসার দিনে বসন্ত উৎসব’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বেলা ১২টায় ডিআরইউ বাগানে বাউল গানের আসর বসবে। ফকির লালন সাঁই, বাউলসাধক শাহ আব্দুল করিমসহ বাংলার লোককবিদের বাউল গান শোনাবেন শিল্পকলা একাডেমির বাউল দল।
চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সাদা মনের আলোকিত গুণী ব্যক্তিত্ব ছিলেন কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত। জাতীয় জীবনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
আজ ১৯ মে শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ বিচিত্রার সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদের সম্পাদনায় ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
শিরীন শারমিন বলেন, অল্প সময়ে স্মারকগ্রন্থটি সম্পাদনা করা হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। তরুণ প্রজন্মকে তাঁর সম্পর্কে জানতে ও অনুপ্রাণিত করতে সহায়তা করবে এই গ্রন্থ। ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত ট্রাস্ট’ও গঠন করা হয়েছে, যা উন্নত জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, আমলা, কূটনীতিবিদ, ভাই হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিতের ব্যক্তিত্বের উপস্থাপনা গ্রন্থটির অনন্য বৈশিষ্ট্য। বয়স ছাপিয়ে উঠেছিল তাঁর কর্মোদ্দীপনা। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এই কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা রেখে গেছেন।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে এবং এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী ও শাইখ সিরাজ। অনুষ্ঠানে প্রয়াত আবুল মাল আবদুল মুহিতের বোন জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন এবং তাঁর বন্ধু, সুহৃদ, পেশাগত ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।