ডাকাতির ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫

জাতীয়, 20 July 2023, 701 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুরে ডাকাতির ঘটনায় বিদেশী আগ্নোয়াস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় নগদ টাকা, ১টি বিদেশী পিস্তল, ২০ রাউন্ডগুলি, ১টি কেসি গেইট কাটার যন্ত্রসহ মালামাল উদ্ধার করা হয়।

আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার এসপি মো.শহীদুল ইসলাম তার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, সুধারাম থানা ও বেগমগঞ্জ থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন সদস্যরা বেগমগঞ্জ, লক্ষীপুর, রামগঞ্জ ও চাটখিল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন আরিফ হোসন (২৮), মো. জুয়েল (২৩), ইমরান হোসেন সুজন (৩০), মো. মাসুদ আলম (৪০) ও ফজর আলী ওরপে কেসি জাহাঙ্গীর (৪৫)।

জানা যায়, গত ৯ জুলাই বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর গ্রামের প্রবাসী বাহার মিয়ার বাড়িতে এ সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুট করা হয়।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক রনি জানান, চৌমুহনীর হাজীপুর গ্রামের ডাকাত ইমরান হোসেন সুজন ওরপে খালাশি সুজনের সাথে ডাকাত জাহাঙ্গীরের জেল খানায় পরিচয় হয়। জেল থেকে বেরিয়ে পরিকল্পনা করে প্রবাসী বাহার মিয়ার বাড়িতে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করে নগদ টাকা সহ প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বেশি মালামাল লুটপাট করে তারা। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদক ও চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

Leave a Reply

ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আযহায়…

অনলাইন ডেস্ক : আগামী বছরের (২০২৫ সাল) সরকারি ছুটির তালিকা Read more

৩০ লাখ টাকা করে পাবে ছাত্র…

অনলাইন ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য Read more
ফাইল ছবি

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক : ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দূর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশীয় অস্ত্র-নগদ টাকা উদ্ধারসহ দুই…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামীসহ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনির্দিষ্টকালের জন্য…

চলারপথে রিপোর্ট : পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও Read more

আন্দোলনে নিহত তানজিল মাহমুদ সুজয় এইচএসসি…

চলারপথে রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর Read more

পল্লীবিদ্যুতের ১০ জেলা কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুৎ, বিদ্যুৎ…

চলারপথে রিপোর্ট : বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকটি জেলার ১০ Read more
ফাইল ছবি

শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানা

অনলাইন ডেস্ক : পদত্যাগের পর দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী Read more

ভারত ৪৬ রানে অলআউট

অনলাইন ডেস্ক : ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছিল ভারত। Read more

কসবায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদ্যুৎ…

চলারপথে রিপোর্ট : অস্ত্র মামলায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মো. মোস্তাফিজুর Read more
ফাইল ছবি

৮ জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ…

অনলাইন ডেস্ক : আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ জারি Read more

বঙ্গবন্ধু অবিচার মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিয়েছিলেন: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

জাতীয়, 29 February 2024, 300 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রধান বাহক ছিলেন। তিনি গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি হিসেবে স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পাশাপাশি তিনি সমাজের প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচারের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আইনি সহায়তা প্রদানের গুরুত্ব অনুধাবন করেন এবং সমাজে অবিচার ও অসমতা মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।

আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘স্ট্রেংদেনিং ক্যাপাসিটি অব জুডিসিয়াল সিস্টেম ফর চাইল্ড প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিশু সংবেদনশীল আদালত কক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

ন্যায়বিচার ও সমতার নীতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় দূরদৃষ্টি, সাহস ও নিষ্ঠা বাঙালি জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথপ্রদর্শক উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রথমেই নব্য স্বাধীন দেশের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, যাতে সকলের নাগরিক অধিকার সু-প্রতিষ্ঠিত হয় ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, নতুন অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু বিশ্বমানের একটি সংবিধান প্রণয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন এবং মাত্র ১০ মাসের মধ্যে তা সম্ভব করে তুলেছিলেন। এই সংবিধানে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতি নির্ধারণ করা হয়, যা দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে।

মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বঙ্গবন্ধু সংবিধান প্রণয়ন ছাড়াও সকল নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইনের সংস্কার ও নতুন নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, শিশুদের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, স্বাস্থ্য এবং সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ প্রণয়ন করা হয়। এরও ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শিশু আইন প্রণয়ন করেন, যা বাংলাদেশে শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষার ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।

আনিসুল হক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের কল্যাণে যুগান্তকারী বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০১৩ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়, যা শিশুদের সুরক্ষা, অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য একটি আইনি কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করেছে। শিশুদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত প্রচেষ্টা আমাদের সকলের নিকট অনুসরণীয় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাঁর সরকারের আমলে প্রণীত শিশু আইনের বিভিন্ন ধারায় আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু, আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর অধিকার রক্ষাসহ শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের কার্যকর বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। এই আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণে পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট, পৃথক আদালত কক্ষ, উপযুক্ত পরিবেশ এবং প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন। একই সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রাসঙ্গিক জ্ঞান ও দক্ষতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট বলেন, ইউনিসেফ সুরক্ষা ও পরিচর্যার প্রয়োজন রয়েছে, এমন সকল শিশুর ক্ষেত্রে অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার প্রয়োগে বিশ্বাস করে। আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশুদের স্বাধীনতা হরণ এবং আটকাবস্থা শুধু শেষ উপায় এবং যতটা সম্ভব কম সময়ের জন্য ব্যবহার করা উচিত।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক শেখ হুমায়ুন করীর বক্তৃতা করেন।

পূজায় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলেন সেনাপ্রধান

জাতীয়, 11 October 2024, 20 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। এতো দিন খুব ভালোভাবেই চলেছে, বাকি যে সময়টা আছে সেটাও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে রমনা কালী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসে এ নিশ্চয়তা জানান তিনি।

এ সময় তার সাথে ছিলেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে সেনাপ্রধান বলেন, ‘শতাব্দীর পর শতাব্দী আমরা বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসঙ্গে বসবাস করে আসছি। এটা আমাদের ঐতিহ্য। একজনের প্রতি অন্যজনের যে সহমর্মিতা, এটা অতীতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।

তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা উৎসবমুখর সুন্দর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারছেন, তা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। শুধু ঢাকাতেই না, ঢাকার বাইরে সব জায়গায় আমাদের লোকজন মোতায়েন আছে।’

ভাঙ্গায় স্মার্ট মাদ্রাসা বিনির্মাণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জাতীয়, 13 June 2023, 885 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ভাঙ্গায় স্মার্ট মাদ্রাসা বিনির্মাণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার বিকালে ভাঙ্গার ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল মাদ্রাসার উদ্যোগে মাদরাসা চত্বরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আবু ইউসুফ মৃধার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জালালউদ্দিন, মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান, ভাঙ্গা উপজেলা একাডেমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রহ্লাদ বিশ্বাস, কাউলিবেড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম প্রমুখ।

সভায় মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

নিষিদ্ধ হ্যালোসিন পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাতীয়, 15 June 2024, 175 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
অস্ত্রোপচারের সময় রোগীকে অচেতন করার জন্য ব্যবহৃত নিষিদ্ধ হ্যালোথেন গ্রুপের ওষুধ হ্যালোসিন যেখানে পাওয়া যাবে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ ১৫ জুন শনিবার বিকালে রাজধানীর মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ওষুধটি সরকার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, যা ব্যবহার করার অধিকার কারো নেই। এটি বিক্রির দায়ে রাজধানী থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চেতনানাশক এ ওষুধের উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি বন্ধে অধিদপ্তরের অভিযান চলমান থাকবে।
এটি বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করার সঙ্গে মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে দেওয়া হবে না বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

তিনি আরো বলেন, এ নিষিদ্ধ চেতনানাশক ব্যবহার করা হলে ক্লিনিকগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হবে। পরিপত্র জারি করে এ ওষুধ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা যেখানেই পাবো সেখানেই আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আসল নকল পরের কথা ব্যানড মানে ব্যানড।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচ কমিশনারের পদত্যাগ ঘোষণা

জাতীয়, 5 September 2024, 68 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছে। পদত্যাগ ঘোষণার আগে ‘বিদায়ী ব্রিফিং’–এ ভবিষ্যতের প্রতিটি সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠানের পরামর্শ দিয়েছেন হাবিবুল আউয়াল। তাঁর আরও পরামর্শ, এ নির্বাচনে বিরতি দিয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে হবে।

হাবিবুল আউয়ালের ব্রিফিংয়ে পড়া লিখিত ভাষণের শব্দসংখ্যা ছিল সাত শতাধিক। লিখিত ভাষণের শেষে ‘নিজের অভিজ্ঞতার নিরিখে’ তিনি কিছু প্রস্তাবনা দেন। হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বর্তমান ও অতীত থেকে আহৃত অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও উপলব্ধি থেকে ভবিষ্যতের জন্য কিছু প্রস্তাবনা সরকারের সদয় বিবেচনার জন্য রেখে যাওয়া কর্তব্য মনে করছি। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সমরূপতার কারণে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (দলীয়–ভিত্তিক) নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ ক্ষেত্র হতে পারে। সেই সঙ্গে নির্বাচন চার বা আটটি পর্বে, প্রতিটি পর্বের মাঝে তিন থেকে পাঁচ দিনের বিরতি রেখে, অনুষ্ঠান করা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে সহজ ও সহায়ক হতে পারে। আমাদের প্রবর্তিত অনলাইনে নমিনেশন দাখিল অব্যাহত রেখে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহার অপটিমাইজ করতে পারলে উত্তম হবে। প্রতিটি সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হলে উদ্দেশ্য অর্জন আরও সুনিশ্চিত হতে পারে।’

ভাষণে দেশের প্রতিটি নির্বাচনের ইতিহাস তুলে ধরেন হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, দেশের প্রথম সাংবিধানিক সাধারণ নির্বাচন ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক ছিল। ১৯৭৯ ও ১৯৮৭ সালের সাধারণ নির্বাচন সামরিক শাসনামলে হয়েছে। ফলাফল নিয়ে বিতর্ক ছিল। ১৯৯১ সালের নির্বাচন রাজনৈতিক রূপরেখার ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন হয়েছিল। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচন সাংবিধানিক নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন, সূক্ষ্ম বা স্থূল কারচুপির সীমিত সমালোচনা সত্ত্বেও সার্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছিল।

হাবিবুল আউয়াল আরো বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন সেনাসমর্থিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনে বিএনপি সংসদে মাত্র ২৭টি এবং আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পেয়েছিল। নির্বাচন বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না। নিরাপদ প্রস্থান বিষয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সেনাসমর্থিত অসামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দর–কষাকষির বিষয়টি প্রকাশ্য ছিল। সে প্রশ্নে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অবস্থানও গোপন ছিল না। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন সংবিধানমতে দলীয় সরকারের অধীন হয়েছে।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ অনেক দলই অংশগ্রহণ করেনি উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ফলে সেই নির্বাচনও ২০২৪ সালের অনুরূপ অন্তর্ভুক্তিমূলক ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করে। আসন পেয়েছিল মাত্র ৬টি। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৫৮টি। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে বর্তমান কমিশনের অধীন। ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৮টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে। নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। কমিশন বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য একাধিকবার আহ্বান করা সত্ত্বেও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না–করার বিষয়টি দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন স্থগিত বা বাতিল করে দেওয়ার মতো কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি ছিল না। সে কারণে অনেকেই কমিশনকে দোষারোপ করছেন। নির্বাচন কখন, কী কারণে, কত দিনের জন্য স্থগিত করা যাবে, তা–ও সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। অতীতে কখনোই কোনো কমিশন নির্বাচন বাতিল করে দিয়ে পদত্যাগ করেননি। সম্প্রতি ভেঙে দেওয়া সংসদের ২৯৯টি আসনে নির্বাচন প্রার্থীদের মধ্যে ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হয়েছে; দলের মধ্যে নয়। ২৯৯ আসনে ১ হাজার ৯৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

পদত্যাগী সিইসির কথা, ‘নির্বাচন নিষ্পন্ন করা অতিশয় কঠিন একটি কর্মযজ্ঞ। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হওয়ার সব দোষ বা দায়দায়িত্ব সব সময় কেবল নির্বাচন কমিশনের ওপর এককভাবে আরোপ করা হয়ে থাকে। একটি কমিশন না হয় অসৎ বা পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে; কিন্তু সব সময় সব কমিশনই অসৎ বা পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে না। কমিশন বিভিন্ন কারণে নির্ভেজাল গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে অক্ষম বা অসমর্থ হতে পারে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় আমাদের বিশ্বাস, কেবল কমিশনের পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ, কালোটাকা ও পেশিশক্তি-বিবর্জিত এবং প্রশাসন-পুলিশের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না। নির্বাচনী পদ্ধতিতে দুর্ভেদ্য মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও আচরণে এবং বিশেষত প্রার্থীদের আচরণে পরিবর্তন প্রয়োজন হবে।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে হওয়া অতীতের অন্যান্য নির্বাচন ছাড়াও ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের বিতর্কিত বা সন্দিগ্ধ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে কমিশন পরবর্তী সব নির্বাচন সতর্কতার সঙ্গে আয়োজনের চেষ্টা করেছে। জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে দিনের বেলায় ব্যালট পেপার প্রেরণ, কিছু উপনির্বাচনে ভিডিও পর্যবেক্ষণ, ইভিএম ব্যবহার, দেশের সব জেলায় একই দিনে তবে প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক সীমানার মাঝে তিন থেকে পাঁচ দিন বিরতি দিয়ে পাঁচ থেকে ছয়টি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠান, সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপকভাবে রদবদল ইত্যাদি গৃহীত ব্যবস্থা নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুশৃঙ্খল করতে অনেকটাই সহায়ক হয়েছিল। নির্বাচন মূলত একদলীয় হওয়ার কারণে কারচুপি বা সরকারিভাবে প্রভাবিত করার প্রয়োজনও ছিল না। নির্বাচন দলের ভেতরেই হয়েছে; মধ্যে হয়নি। উইথইন হয়েছে, নট বিটুইন।

নিজেদের কমিশনের কর্মকাণ্ড নিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই বছর সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের ৯৯২টি, উপজেলা পরিষদের ৪৯৬টি, জেলা পরিষদের ৭১টি, পৌরসভার ৯০টি এবং সিটি করপোরেশনের ১৬টি নির্বাচন করেছে। নির্বাচনগুলোর সততা, সিদ্ধতা, নিরপেক্ষতা অবাধ হওয়া নিয়ে অতীতের মতো ব্যাপক বিতর্ক বা সমালোচনা হয়নি। উপনির্বাচনসহ জাতীয় সংসদের মোট ৩১৮টি আসনে কমিশন নির্বাচন করেছে। দলীয়ভাবে ইনক্লুসিভ না হওয়ার কারণে নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে। এটি সঠিক ও যৌক্তিক। কিন্তু বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে কোনো নির্বাচন কমিশন সংবিধান উপেক্ষা করে স্বেচ্ছায় নির্বাচন বাতিল করে দিয়ে পদত্যাগ করেছে এবং সেই কারণে নির্বাচন হয়নি-এমন উদাহরণ নেই। সরকার বারবার বলছে, ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। নির্বাচন বারবার ব্যর্থ হওয়ার প্রকৃত সত্য ও কারণ এ কথার মধ্যেই নিহিত।

হাবিবুল আউয়াল আরো বলেন, ‘কমিশনের সদস্যরা সংবিধান মেনে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আমাদের কর্মকালে আমরা গণমাধ্যম, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনীসহ আবশ্যক সবার সহযোগিতা পেয়েছি। কৃতজ্ঞচিত্তে তা স্মরণ করছি।’