চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি ঝুট কাপড়ের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই কারখানার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মালিকপক্ষ।
আজ ২১ জুলাই শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার রামরাইলে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্র ও ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা জানান, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ করে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
ঝুট কাপড়ের মালিকপক্ষের আতিকুজ্জামান ভূঁইয়া সুমন বলেন, কিভাবে আগুন লেগেছে তা তিনি জানতে পারেন নি। অগ্নিকান্ডে তার কমপক্ষে ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুস সামাদ জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার বিকালে শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহসভাপতি মো.হেলাল উদ্দিন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মাহবুবুল আলম খোকন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, মহসিন মিয়া, হাজি ফারুক আহমেদ, জায়েদুল হক, সেলিম রেজা হাবিব, সৈয়দ মো. আসলাম, খোকন আচার্য, মাহমুদুর রহমান জগলু, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
দোয়া পরিচালনা করেন মাও.ক্বারী আনিসুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির আয়োজনে “ফার্মেসীতে মানসম্পন্ন ঔষধ বিক্রয় নিশ্চিত করতে ও নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় প্রতিরোধে এক আলোচনা সভা আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সভাপতি আহাম্মদ হুসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু কাউছারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহ, ঔষধ প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ শাহজালাল ভূঁইয়া, প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহরুল ইসলাম মোল্লা।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আপনারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করবেন।স্রষ্টার উপর বিশ্বাস রেখে মানুষকে না ঠকিয়ে ব্যবসা করবেন। ঔষধ নিয়ে কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় না করতে ফার্মেসীর মালিকদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, মানুষ তার জীবন রক্ষা করার জন্য ঔষুধ সেবন করে, তাই জীবন রক্ষাকারী ঔষধ বিক্রিতে আপনারা কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি ঔষধ ব্যবসায়ীদের ন্যায় সঙ্গত দাবির প্রতি সব সময় পাশে থাকার ঘোষনা দেন।
আলোচনা সভায় জেলার ৯টি উপজেলা থেকে প্রায় চারশতাধিক ফার্মেসীর মালিক যোগদান করেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
রিক্সা- ভ্যানের লাইসেন্স নিয়ে দুর্নীতির প্রতিবাদে আজ সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে সদর উপজেলা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নে (রেজি নং- মৌ-০৪০)উদ্যেগে এক প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশসকের নিকট নয় দফা বাস্তবায়নের জন্য স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শ্রমিক নেতা নাজমুল ইসলাম দারু মিয়ার সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা সাহেদ মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা কমরেড সাজিদুল ইসলাম।
সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদের সভাপতি প্রবীর চৌধুরী রিপন, টিইউসির জেলা সদস্য সচিব আল মামুন, সংগঠনের সহ-সভাপতি জয়নাল মিয়া, সহ-সম্পাদক রুহেল খান, সদস্য দুলাল মিয়া, হিরু মিয়া, কালাম মিয়া ও বিদ্যুৎ শ্রমিক নেতা কালাম মিয়া প্রমুখ।সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, শত বছরের পৌর সভায় রাস্তাঘাট নাই।রিক্সা-শ্রমিকদের ষ্ট্যান্ড বিভিন্ন ব্যাক্তি ও পতিষ্ঠান দখল করে ফেলেছে।অনতিবিলম্বে রিক্সা ষ্ট্যান্ড পিনঃ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বলেন রিক্সার লাইসেন্স নিয়ে দুরর্নীতি বন্ধের জন্য সকল রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিকদের পৌরসভা থেকে লাইসেন্স এর পরিবর্তে মাসিক টোকেন ব্যবস্হা করতে হবে। রিক্সার লাইসেন্স নিয়ে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যানজট নিরসনের জন্য মেড্ডা থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত তিতাস নদীর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণ, মৌলভীপাড়া থেকে পুনিয়াউট বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত ও শহর খালকে খনন করে নৌচলাচলের ব্যবস্হারও দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গত ১ জুলাই হতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে শুরু হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশব্যাপী সংঘটিত কোটা সংস্কার এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনে নিহত ছাত্র রংপুরের সন্তান শহীদ আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, জাহিদুজ্জামান তানভীম, উমর সহ কয়েক শত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিশু, গৃহবধূ, ব্যবসায়ীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা, আহতদের সুস্থতা কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১০ আগস্ট শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন পরিষদ নেতা শরীফ আহমেদ খান, আরমান উদ্দিন পলাশ, অ্যাড. শেখ জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, মোঃ বাবুল চৌধুরী, আলী মাউন পিয়াস, আলী হায়দার তুষার, কাজল, ডা. মোফখখারুল ইসলাম ছামী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা শেখ জুলফিকার আলী, পূর্ণ, প্রভাষক মোশাররফ হোসেন, কামরুল হাসান নান্টু, রুমানা আক্তার শ্যামলী, শামছুল আলম বাবুন, নিয়ন প্রমুখ।
এদিকে, সকালে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-নাগরিক সমাজের উদ্যোগে শোকাহত ও সম্প্রীতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. তৌহিদুল ইসলাম মিথিল। অনুভূতি ব্যক্ত করেন শিক্ষক আব্দুস সাকিব ছোটন, বাচিক শিল্পী আল আমিন শাহীন, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, শহীদ তানভীম ও শহীদ উমরের মা বাবা, আন্দোলকারী ছাত্র জাহিদ হাসান, দূর্জয় প্রমুখ। শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র বাবা মা অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। উভয় অনুষ্ঠানে বক্তারা অতি শীঘ্রই আন্দোলনে শহীদ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিশু, নারী পুরুষদের গুলি করে হত্যাকারী ছাত্রলীগ এবং পুলিশদের তদন্ত সাপেক্ষে চিহ্নিত করে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, দেশে কোন রাজনৈতিক দলের লেজুর বৃত্তিক ছাত্র সংগঠন রাখা যাবে না। সমাজে চলমান বৈষম্য দূর্নীতি দূর করতে হবে। আদালতসহ সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। উভয় অনুষ্ঠানে আন্দোলনের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় স্থানীয় আলেমগণ দোয়া মোনাজাত পরিচালনার পর তাবারুক বিতরণ করা হয় এবং ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা সরকারি টাকায় নির্মিত শেখ হাসিনা সড়ক নামফলক ভেঙ্গে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ সড়ক” নামকরণ করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের সঙ্গে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের বৈঠক হয়েছে। আইনজীবী ও কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে এ ঘটনা ঘটে।ঢাকায় আইনমন্ত্রীর গুলশানের আবাসিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বৈঠকের বিষয়ে মফিজুর রহমান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে যা চলছে, সে সম্পর্কে আদ্যপান্ত জানানোর পর আইনমন্ত্রী বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করার ব্যাপারে তাদের আশ্বস্ত করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর নূর দুলালও উপস্থিত ছিলেন।জেলা আইনজীবী সমিতির এই নেতা বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে যে আমরা জেলা জজ শারমিন নিগারের অপসারণ দাবি করছি, তাও তাদের বলেছি। এ ছাড়া বিচারক ফারুক আহমেদও যে চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে তিনটি জরুরি মামলা গ্রহণ না করে, আইনজীবীদের সঙ্গে অসঙ্গত আচরণ এবং ঢালাওভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আইনজীবীদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন। সেটাও অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবারও আইনজীবীদের আদালত বর্জনের কর্মসূচি চলমান থাকবে জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানবীর ভূঁইয়া বলেন, আইনজীবীদের দাবি অনুযায়ী জেলা জজসহ দুই বিচারক ও দুর্নীতিবাজ নাজিরকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আদালত বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, শীতকালীন ছুটির আগে আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল গত ১ ডিসেম্বর। ওই দিন তিনটি মামলা না নেওয়ায় গত ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। এরপর গত ২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাস চলাকালে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গত ৪ জানুয়ারি জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন আদালতের সব এজলাসের দরজা ও প্রধান ফটকে তালা দিয়ে এক দিনের কর্মবিরতি পালন করে। এর প্রতিবাদে ৫ জানুয়ারি আইনজীবীরা সাধারণ সভা করে তিন কার্যদিবসের কর্মবিরতির ডাক দেন। পরে এটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গত সপ্তাহের বুধবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা সাত কার্যদিবস আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ আছে।