চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পিছিয়ে পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহকে আইসিটি বিষয়ক জ্ঞানে আরো পারদর্শী করতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য ৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ট্যাব, সাউন্ড সিস্টেম, স্কুল বেঞ্চ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহনেওয়াজ পারভীন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাগন প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে আইনশৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মোঃ মোজাহারুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি জমির উদ্দিন বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাছুম, উপজেলা জামাতের আমীর আবু সাঈদ, উপজেলা হেফাজত নেতা মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ জিয়াদুল হক বাবু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দবীর উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার আইনের শাসন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। কেউ যাতে বিনা অপরাধে মামলায় হয়রানি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আইন নিজের হাতে তোলা যাবে না। মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে মাদক থেকে দূরে রাখা যাবে।
বিজয়নগর প্রতিনিধি :
প্রতিটি স্টল সাজানো হয়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী বাহারি ও সুস্বাদু পিঠায়। চিতোই, পাকানো, গোলাপ ফুল পিঠা, জোঁক পিঠা, পাকোয়ান, পক্কন, পাটিসাপটা, কুশলি, ভাপা, ভাত পিঠা, কাটা পিঠা, নকশি, পুলি পিঠা, দুধ পিঠা, লাউ পায়েস, ছিট পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, রসপুলি পিঠাসহ প্রায় শতাধিক রকমের পিঠা রয়েছে পুরো মেলা প্রাঙ্গণে। পিঠামোদী দর্শকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। একদিকে সাংস্কৃতিক মঞ্চ অন্যদিকে পিঠাঘর দিয়ে সাজানো হয়েছে বিজয়নগর উপজেলার বেগম মরিয়ম মেমোরিয়াল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণ।
গ্রামের মানুষদের বাঙালীর অনন্য এই ঐতিহ্যের সঙ্গে নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করার লক্ষ্যে বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম আয়োজন করেছে ‘ পিঠা উৎসব ২০২৩’।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ৯ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত এই পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান খাঁন শাওন।
বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি আব্দুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিধান নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী।
বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল হাসান শান্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল আক্তার, সংরক্ষিত সদস্য রুমানুল ফেরদৌস রুমা, ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রাণী, বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বিমল কর্মকার, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন, ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক বকুল, ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ ইসহাক সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিন, সহকারী শিক্ষা অফিসার মানিক ভূঁইয়া, অবঃপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ কুতুব উল আলম, বিজয়নগর উপজেলা পুজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চৌধুরী, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী এসোসিয়েশন সাংগঠনিক সম্পাদক আলা উদ্দিন, বিজয়নগর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম মৃধা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাস্টার, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াস সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সুর্নিমল সাহা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি হালিমা চৌধুরী, বিজয়নগর থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মোঃ হৃদয় আহমেদ প্রমুখ।
পিঠা উৎসব এ মোট ১০ টি প্রতিষ্ঠানের স্টল অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে বেগম মরিয়ম মেমোরিয়াল মডেল স্কুল প্রথম, ডালপা রংধনু বিদ্যানিকেতন দ্বিতীয় ও বিজয়নগর পাইলট হাই স্কুল তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। পাশাপাশি অনুষ্ঠান জুড়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে শেখ রাসেল মিনি ফুটবল স্টেডিয়ামে হৃদয় নামে এক শিশু বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে ঐ স্টেডিয়ামের ছাদ থেকে ফুটবল আনতে গিয়ে সে বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায়। মৃত হৃদয় (১৪) উপজেলার ক্ষুদে হারিয়া গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে।
চম্পকনগর পুলিশ ক্যাম্পের এসআই ইব্রাহিম জানান, ঐ শিশুটি কয়েকজনকে নিয়ে মাঠে ফুটবল নিয়ে খেলা করছিলো। এ সময় তাদের ফুটবলটি ছাদে আটকে যায়। ছাদ থেকে ফুটবল আনতে গিয়ে সেখানে থাকা বিদ্যুতের তারে আটকে হৃদয় মারা যায়।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ফাইটার দীন ইসলাম জানান, স্টেডিয়ামের একটি ভবনের ওপর বিদ্যুতের তার ছিলো। তারটি বেশ নিচু। ধারণা করা হচ্ছে- হৃদয় ঐ তার পেরিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে যায়। ছাদে পানিও ছিলো। যে কারণে সে সহজেই বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল ৮৩ কেজি গাঁজা ও একটি পিকআপসহ রকিব (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
৩০ আগস্ট শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া এলাকার ইটাখোলা মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব সূত্র জানায়, একজন মাদক ব্যবসায়ী পিকআপে করে গাঁজা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল থেকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে র্যাবের দলটি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া ইটাখোলা মোড়ের কাছে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের ওপর তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে একটি পিকআপ বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। র্যাবের দলটি সংকেত দিয়ে পিকআপটি থামায়। এ সময় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি পিকআপ থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব তাকে আটক করে। পরে পিকআপ তল্লাশি করে গাড়ির পিছনের বডির উপরে একটি বক্সের ভিতর থেকে ৮৩ কেজি গাঁজা এবং আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে দুটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার নাম রকিব বলে জানান।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার রকিব পিকআপে করে গাঁজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর এলাকা থেকে পাইকারি বিক্রির জন্য ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিল বলে স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকার ইয়াকুব আলী চৌধুরী সড়ক সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বের পুকুরে মুখ বাধা অবস্থায় একটি বস্তা ভেসে উঠে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম জানান, বস্তার মুখ খুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ৫টি টুপি, ১টি ব্যাগ, ২টি হেলমেট, ২টি বেল্ট, ১টি ক্যাপ, ৫টি রেংক ব্যাজ, ৫টি নেইম প্লেট।
যাহাতে মহসিন নামটি লেখা, ১টি প্রসেস যাহাতে ক্যাপ্টেন মহসিন নামটি লেখা, ৩টি কেমোফ্লাগ ক্রিম, ১টি ব্যাজ, ২ জোড়া পিটি সু, ১টি টেপ সাদৃশ সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। এসব জিনিস পাওয়ায় আমার নিকটতম আর্মি ক্যান্টনমেন্টগুলোতে খবর পাঠিয়েছি। তবে আমাদের প্রাথমিক ধারনায় হয়তো কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে এসব ব্যবহার করত।