চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পিছিয়ে পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহকে আইসিটি বিষয়ক জ্ঞানে আরো পারদর্শী করতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য ৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ট্যাব, সাউন্ড সিস্টেম, স্কুল বেঞ্চ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহনেওয়াজ পারভীন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাগন প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাঙ্গা-ফ্যাসাদরোধ কল্পে বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের ২৫০টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার দিনব্যাপী উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের শিবির, লক্ষীপুর, লক্ষীমুড়া, মনিপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান এই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১২টি এক্কাইট্টা, ৪০টি বল্লম, ৮টি টেটা ও ১৯০টি বাঁশের লাঠি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, অনেক সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছোট-খাটো ঝগড়া-ফ্যাসাদ হয়। অনেক সময় তা আবার বড় আকারও ধারন করে।
পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে আমার দাঙ্গা-ফ্যাসাদরোধকল্পে বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করছি। অভিযানের ধারাবাহিকতা রবিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের ২৫০টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘১৯৭৩ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৫০ বছর পবিত্র কুরআনের শিক্ষকতা করেছেন হাফেজ মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। দীর্ঘকাল গৌরবময় শিক্ষকতার পাশাপাশি একাধারে সমাজ চিন্তা ও পরিবর্তনে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। কয়েক সহস্রাধিক শিক্ষার্থীকে কুরআন শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় সংস্কারমূলক কাজেও নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি।’
গতকাল শনিবার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর খেলার মাঠে আয়োজিত স্মরণ সভায় দেশের বিশিষ্ট আলেম ও হাফেজ মোহাম্মদ নূরুজ্জামানের শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেছেন। হাফেজ নূরুজ্জামানের গৌরবময় শিক্ষকতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দিনব্যাপী এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রয়াত হাফেজ নূরুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু-সহকর্মী দারুল উলুম ইসলামিয়া হরষপুর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সিরাজুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে ‘গৌরবময় শিক্ষকতার ৫০ বছর: রঈসুল হুফফাজ হাফেজ মোহাম্মদ নূরুজ্জামান রহ. স্মারকগ্রন্থ জীবন ও সংগ্রাম’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এর আগে গত ২৭ মে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নিজ গ্রামের বাড়ি গোবিন্দপুরে আনুমানিক ৭৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন হাফেজ মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। মৃত্যুর আগে বেশ কিছুদিন অসুস্থ হয়ে বিছানায় শায়িত ছিলেন তিনি।
সভায় বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব ও জামিয়া রাহমানিয়া আজিজিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, হাফেজ নূরুজ্জামান কুরআনের দীর্ঘদিনের খাদেম ছিলেন। মরহুম হাফেজ নূরুজ্জামান সাহেবের পরিবারের সঙ্গে আমার বহু বছর আগে সম্পর্ক হয়েছিল। তার শিক্ষাদানের মাধ্যমে দেশের বহু এলাকায় কুরআনের আলোয় আলোকিত হয়েছেন অনেকে। যিনি হাজার হাজার হাফেজ তৈরির শিক্ষক ছিলেন। তিনি যখন হেফজ পড়ানো শুরু করেন, তখন আজকের মতো সুবিধাজনক পরিস্থিতি ছিল না।
আলোচনা সভায় হাফেজ নূরুজ্জামানের ছাত্র, ভক্ত ও অনুরাগীসহ বিপুল লোকের সমাগম হয়। বক্তারা তাদের বক্তব্যে তার শিক্ষকতা জীবনের স্মৃতি, সমাজ সংস্কার, সমাজচিন্তা, ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় ঐকান্তিক প্রচেষ্টার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
আলোচনা সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা অংশ নেন।
মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব হাফেজ মাওলানা এনায়েতুল্লাহর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা সভা।
এতে আরো বক্তব্য দেন হেফাজত মহাসচিব ও হাইয়াতুল উলিয়ার কো-চেয়ারম্যান মাওলানা সাজিদুর রহমান, বসুন্ধরা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা নুরুল ইসলাম খান, হেফাজত নেতা মুফতি মুবারকুল্লাহ, শায়খুল হাদিস পরিষদের সভাপতি মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আবদুর রহিম কাসেমী, শায়খুল হাদিস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ, মাওলানা মহসিনুল হাসান, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা আল আবিদ শাকির ও পীর ইয়ামেনি মার্কেট মসজিদের খতিব মাওলানা ইমরানুল বারী সিরাজী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি গ্রামে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সাঁতার প্রতিযোগীতা।
স্থানীয় ভূইয়া মানবকল্যাণ পরিষদ এই সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করে। প্রতিযোগীতায় মোট ১০টি ইভেন্টে শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন।
প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া সাতারু মোস্তাক মিয়া বলেন, সাঁতার প্রতিযোগীতা গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। এই প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।
ভূঁইয়া মানবকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ভূঁইয়া বলেন, সাঁতার একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্যই আমরা এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করি। তিনি বলেন, সরকারিভাবে সহযোগীতা পেলে আগামীতে আরো বড় পরিসরে সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করব। তিনি বলেন, মূলক ঈদের আনন্দ উদযাপন করতেই আমরা এই আয়োজন করি।
এ ব্যাপারে ভূঁইয়া মানবকল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা গত বছরও সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছিলাম। এ বছরও করেছি। তিনি বলেন, সাঁতার প্রতিযোগীতা যুব সমাজকে মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম থেকে দূরে রাখতে সহায়ক। সেজন্যই আমরা এই আয়োজন করি।
প্রতিযোগীতা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শামীম আহমেদ সহ অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন। এদিকে বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে সাঁতার প্রতিযোগীতা উপভোগ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী উপস্থিত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে আইনশৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মোঃ মোজাহারুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি জমির উদ্দিন বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাছুম, উপজেলা জামাতের আমীর আবু সাঈদ, উপজেলা হেফাজত নেতা মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ জিয়াদুল হক বাবু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দবীর উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার আইনের শাসন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। কেউ যাতে বিনা অপরাধে মামলায় হয়রানি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আইন নিজের হাতে তোলা যাবে না। মাদক ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে মাদক থেকে দূরে রাখা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
১৫১ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউপির কাশিনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর গ্রামের মো. আতিক মিয়া (৩৬) ও একই গ্রামের আজিজুল ইসলাম বাচ্চু (৩৭)।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেলের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, সোমবার রাতে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউপির কাশিনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আতিক ও বাচ্চুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাসী করে ১৫১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।