চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পিছিয়ে পড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহকে আইসিটি বিষয়ক জ্ঞানে আরো পারদর্শী করতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য ৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ট্যাব, সাউন্ড সিস্টেম, স্কুল বেঞ্চ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহনেওয়াজ পারভীন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাগন প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে নৈশ প্রহরীকে বেঁধে ফেলে একটি মার্কেটের দুইটি দোকানে ডাকাতি হয়েছে। গতকাল ভোর রাতে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের সাতবর্গ বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম মার্কেটে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোর রাতে ১০/১৫ জনের একটি ডাকাতদল মাকের্টে হানা দেয়। তারা মার্কেটের নৈশ প্রহরী নূর মিয়াকে বেদম মারধোর শেষে তাকে বেঁধে ফেলে।
পরে ডাকাতরা দোকানের তালা কেটে মেসার্স আল মদিনা ব্যাটারি এন্ড আইপিএস দোকানে প্রবেশ করে। পরে তারা দোকানে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় দোকানের মালিক মনিরুল ইসলাম মনির মারধোর করে এবং তাকেও বেঁধে দোকানে থাকা আইপিএস-ব্যাটারিসহ অন্যান্য মালামাল ও নগদ টাকা লুটে নেয়।
এসময় ডাকাতদল মার্কেটে থাকা জহিরুল ইসলামের দোকানের তালা ভেঙ্গে পুরাতন ব্যাটারী ও যন্ত্রপাতি পিকআপে তুলে নিয়ে যায়। ডাকাত দল চলে যাওয়ার পর নূর মিয়া ও মনিরের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ নাসির (৩৫) নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে সরাইল ২৫-বিজিবি ব্যাটালিয়নের লক্ষীপুর বিওপির সদস্যরা।
উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ধোরানাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ওই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। আটককৃত মো. নাসিরকে বিজয়নগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিজিবি সদস্যরা মো. নাসিরকে ১৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে বিজয়নগর থানায় সোপর্দ করে। তবে এসময় অপর দুই মাদক কারবারি টিটু ও দুলাল পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তাদের তিনজনের নামে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। নাসিরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া পলাতক টিটু ও দুলালকে ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ২৫৪ বোতল ফেনসিডিলসহ আহাদ মিয়া (২৭) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
৭ আগস্ট সোমবার রাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আহাদ মিয়া জেলার সদর উপজেলার রামরাইলের মনা মিয়ার ছেলে।
র্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের সদস্যরা। অভিযানকালে সন্দেহভাজন একটি মোটরসাইকেলে থাকা দু’জন আরোহীকে থামার জন্য সংকেত দেওয়া হয়। এসময় মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় একজন আরোহী পড়ে যায়। পরে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, পালিয়ে যাওয়া মোটরসাইকেলসহ অপর মাদক কারবারিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় বিজয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, আমরা এখনও ক্ষমতায় আসিনি। মাত্র টেস্ট পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছি। সামনে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা। তাই সাধারণ মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে। বিএনপি জনগণের ভোটের নির্বাচিত হতে চায়। আমরা ছাপানো ভোটে নির্বাচিত হতে চাই না।
১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর কলেজ মাঠে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তারা রাতের অন্ধকারে ছাপানো ভোটে নির্বাচন করতে করতে জনগণের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তারা প্রশাসনের মাধ্যমে ১৮ ও ২৪ সালে ভোট ছাপিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। আওয়ামী লীগের নেতারা ও শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত দল। জনগণের ভোটের অধিকারে বিএনপি বিশ্বাসী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সহ-সভাপতি অ্যাড. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ জহিরুল হক খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আনিছুর রহমান মঞ্জু, গোলাম সারোয়ার খোকন, এবিএম মমিনুল হক।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. জমির হোসেন দস্তগীরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাড. ইমাম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মো. আলী আজম, মো. জসিম উদ্দিন (রিপন), মো. নুরুল হুদা সরকার, মাইনুল হোসেন (চপল), জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহমেদ, মো. নিয়ামুল হক, জেলা যুবদল সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদ, মোল্লা সালাউদ্দিন, মো. হেবজুল বারী, কাজী মুহিবুল ইসলাম ডিকন, ফুজায়েল চৌধুরী, সাজিদুর রহমান সাজিদ, মো. রেজাউনুর হক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম, হৃদয় আহমেদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলমান বন্যায় ৪ উপজেলার ৮৬০টি পুকুরের অন্তত ৭৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আখাউড়া উপজেলার খামারিসহ মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পুকুর, দিঘি ও খামারের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৮। এগুলোর মোট আয়তন ৬২১ হেক্টর। এসব জলাশয়ে প্রায় ৫০০ ব্যবসায়ী মাছ চাষ করেন। আর চাষির সংখ্যা ২ হাজার ১০৭। বন্যায় ১২১ দশমিক ৮৬ হেক্টর আয়তনের ৪৩০টি দিঘি, খামার ও পুকুরের সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা মূল্যের মোট ৪৫৬ টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। আর ১ কোটি ১৫ লাখ পোনা পানিতে ভেসে গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের খামারি বলেন, ‘বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা সামলে ওঠা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। বন্যার পানিতে পাঁচ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করব, বুঝতে পারছি না।’
বন্যার পানিতে প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ার দাবি করেছেন কর্ণেল বাজারের বাসিন্দা বাছির মিয়া। তিনি বলেন, পুকুরে মাছ মাত্র বড় হয়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে বিক্রি করতেন। কিন্তু বন্যার পানিতে সব মাছ ভেসে দেড় কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা দুলাল মিয়া বলেন, ‘পানি কমলেও আমার পুকুরে আর মাছ নেই। যা মাছ ছিল সব পানিতে ভেসে গেছে। প্রায় এক কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।’
এ বিষয়ে ক্ষয়ক্ষতি-সংক্রান্ত প্রাথমিক একটি তালিকা করেছে আখাউড়া উপজেলার মৎস্য কার্যালয়।
আখাউড়া উপজেলার মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বড় ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারিদের ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
এদিকে কসবা উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বন্যার পানিতে ২০০ পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। এগুলোর আয়তন ৩৮ হেক্টর। ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ ও ১০ লাখ টাকার পোনা পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আখাউড়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয় জানিয়েছে, সদর উপজেলায় ৬০ হেক্টর আয়তনের ১৪৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ ভেসে গেছে। ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ১২ লাখ পোনা ও ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অবকাঠামো ভেঙে যাওয়াসহ বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ায় মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলায় ১১ হেক্টর আয়তনের ৮৫টি পুকুর, দিঘি ও খামারের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ পোনা ও ৪০ লাখ টাকার বড় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ভেঙে যাওয়ায় মোট ৫৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, বন্যার পানিতে ৮৬০টি পুকুর প্লাবিত হয়ে সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। খামারি ও ব্যবসায়ী মিলিয়ে ৮৬০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
২০ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ইমিগ্রেশন-সংলগ্ন খাল দিয়ে ভারতে থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে শুরু করে। এরপর আখাউড়া উপজেলাসহ পর্যায়ক্রমে কসবা উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়।