অনলাইন ডেস্ক :
পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তী মার্কিন পপ শিল্পী টনি বেনেট। ৯৬ বছর বয়সে আজ ২১ জুলাই শুক্রবার সকালে তিনি নিউইয়র্কে মারা যান।
টনি বেনেটের মুখপাত্র সিলভিয়া ওয়েনার গণমাধ্যমকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
২০১৬ সাল থেকে আলঝেইমারে (স্মৃতিবিভ্রম জাতীয় রোগ) ভুগছিলেন টনি।
যুক্তরাষ্ট্রে ইতালির একটি অভিবাসী পরিবারে ১৯২৬ সালে টনির জন্ম। মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন এই গায়ক। ১৯৫২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম অ্যালবাম।
আট দশকে ২০টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন টনি। ১৯৬২ সালে মুক্তি পায় তার অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘আই লেফট মাই হার্ট ইন সান ফ্রান্সেসকো’।
অনলাইন ডেস্ক :
সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার তার পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। তিনি ব্রিটিশ সরকারের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও তার বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ।
টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ এবং লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট উপহার নিয়েছেন তিনি। অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপকে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে আহ্বান জানান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনক।
এর একদিন পরই টিউলিপকে পদ ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানায় দুর্নীতিবিরোধী জোট ইউকে অ্যান্টি-করাপশন কোয়ালিশন। এই জোটে রয়েছে ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ও অক্সফামের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন।
বিবৃতিতে জোটটি জানিয়েছে, টিউলিপ ব্রিটিশ সরকারে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ও অর্থনৈতিক অপরাধ মোকাবিলার দায়িত্বে রয়েছেন। অথচ তার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা শপথ ভঙ্গের শামিল। তাই পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিৎ টিউলিপের।
এদিকে, শেখ হাসিনার সাথে রাজনৈতিক বিষয়ে কখনোই আলোচনা হয়নি দাবি করলেও গণভবনে মিলেছে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনি প্রচারপত্র, লেবার পার্টির পোস্টারসহ টিউলিপ সিদ্দিকের রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু জিনিস।
যুক্তরাজ্যের দ্য সানডে টাইমস বলছে, টিউলিপকে বিদেশি বিশিষ্টজনদের উপহার দেওয়া পোশাক-গয়না, দামি কলমের মোড়কসহ নানা জিনিস গণভবনে তাদের প্রতিবেদক পড়ে থাকতে দেখেছেন।
চলারপথে ডেস্ক :
কুয়েত ঢাকা রুটে যাতায়তকারী প্রবাসীদের জন্য সু খবর দিল বিমান বাাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অন্যান্য ব্যবসার মতো বর্তমান এয়ারলাইন্সের ব্যবসায় প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এবার কুয়েত প্রবাসীদের জন্য অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও মূল্যহ্রাসের সুখবর নিয়ে এলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ১০ মে হতে ৫কেজি ১৪ কুয়েতি দিনার, ১০ কেজি ব্যাগেজ ১৯ কুয়েতি দিনার, ২৩ কেজি ব্যাগেজ ৩২ কুয়েতি দিনার এবং সাথে ১ দিনার সার্ভিস চার্জ যাত্রীরা নিতে পারবে। ইকনোমিক ক্লাসে ৫০ কেজি ব্যাগেজ ও ০৭ কেজি হাতে এবং বিজনেস ক্লাসে ৬০ কেজি ব্যাগেজ ও ৭ কেজি হাতে নিতে পারে যাত্রীরা। অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও ব্যাগেজের মূল্যহ্রাসের খবরে উচ্ছ্বাসিত কুয়েত প্রবাসীরা।
চট্টগ্রামের কুয়েত প্রবাসী মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, অতিরিক্ত ব্যাগেজে দাম কমানো আমরা অনেক খুশি। আমারা পরিবার ও প্রিয়জনদেন জন্য জিনিস নিয়ে যেতে পারবো । নির্ধারিত ওজনে বেশি হলে এবং ওজন চার্জ বেশি বেশি হওয়ার কারণে মালপত্র পেলে যেতে হতো।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাজে আমাদের একটা অনুরোধ বিমানে শিডিউল ঠিক রাখে এবং আগের মতো কুয়েত চট্টগ্রাম রুটে বাংলাদেশ বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু করে।
স্কাই টাচ এবং বদুর ট্রাভেল এজেন্সি সিনিয়র কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসনে মোবারক ও সেলিম হাওলাদার বলেন, আমরা র্দীঘদিন এই ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার সাথে জড়িত গ্রাহকের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স সম্পর্কে নানা অভিযোগ ও আবদার জানায়। আমরাও চেষ্টা করি গ্রাহকে আবদার ও অভিযোগ গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষে কাজে পৌছেয়ে দিতে। অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও ব্যাগেজের মূল্যহ্রাস সময় উপযোগী গ্রাহকের চাহিদা ছিল। এতে কুয়েত বাংলাদেশ বিমানের প্রবাসী যাত্রী যাতায়ত বাড়বে লাভবান হবে বিমান এবং বাড়বে দেশের রেমিট্রান্স। কুয়েত থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম রুটে বিমানে আরো ফ্লাইট বাড়ানো জরুরী বলেন মনে করেন এই কর্মকর্তারা।
কুয়েতে বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, যাত্রীদের অভিযোগ এবং চাহিদা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা সব সময় অব্যাহত থাকে। অতিরিক্ত ব্যাগেজ সুবিধা ও ব্যাগেজে মুল্যহ্রাস করেছি।বহিঃবিশ্বে লাল সবুজ পতাকা বাহী বাংলাদেশের বিমানআমাদের নিজেদের বিমান। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রবাসীদের কর্ষ্টজিত আয়ে প্রবাসীদের নিয়মিত বাংলাদেশ বিমানে যাত্রায়তের আহ্বান করেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস উইংয়ে মিনিস্টার (প্রেস) পদে নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিবিসির ঢাকা ব্যুরোর সাংবাদিক আকবর হোসেন মজুমদারকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ নিয়োগের ব্যাপারে আজ ২৪ নভেম্বর রবিবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তার নিয়োগের মেয়াদ চাকরিতে যোগদানের তারিখ হতে দুই বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেনে বোমা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জাপোরিঝিয়ায় রুশ সামরিক বাহিনীর হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
আজ ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জাপোরিঝিয়ায় রাশিয়ার বোমা হামলায় অন্তত ১৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
৮ জানুয়ারি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির টেলিগ্রাম পেইজে পোস্ট করা গ্রাফিক ফুটেজে দেখা গেছে, শহরের রাস্তায় আহত রক্তাক্ত বেসামরিক নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন জরুরি পরিষেবার কর্মীরা।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জেলেনস্কি লিখেছেন, “শহরে বিমান বোমা হামলার চেয়ে নৃশংস আর কিছু নেই, সাধারণ বেসামরিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে জেনেও (এই হামলা চালানো হয়েছে)।”
ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় বলেছে, হামলায় বহু উঁচু আবাসিক ব্লক, শিল্প স্থাপনা এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, ধ্বংসাবশেষ একটি ট্রাম ও বাসের ওপর আছড়ে পড়ে যার ভেতরে যাত্রীরা ছিলেন।
আঞ্চলিক গভর্ণর ইভান ফেডোরভ বলেছেন, রাশিয়ার বাহিনী শহরের একটি আবাসিক এলাকায় গাইডেড বোমা নিক্ষেপ করেছে এবং হামলায় অন্তত দুটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রায় তিন বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধের সময় মস্কো প্রায়ই সময়ই বেসামরিক অবকাঠামোতে বিমান হামলা চালিয়েছে। যদিও ধারাবাহিকভাবে বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করে হামলার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। রুশ সেই আগ্রাসনের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর মাধ্যমে এবং অন্যান্য সহযোগী দেশগুলোর মাধ্যমে ইউক্রেনকে অস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা সরবরাহের কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া- চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। অবশ্য যুদ্ধরত এই দুই দেশের কেউই তাদের নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ না করলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং’এর সাথে ফোনালাপ করেছেন। এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে, চীন ঘোষণা করে যে তারা সোমবার ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেংকে ওয়াশিংটনে পাঠাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম “ট্রুথ সোশ্যাল” ‘এ এই ফোনালাপকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের জন্য “খুব ভালো” বলে অভিহিত করেন এবং বলেন যে তাঁরা বাণিজ্যিক ভারসাম্য, ফেন্টানিল, টিকটক ও “আরও অনেক বিষয়ে” আলোচনা করেন। ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয় এ তথ্য।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই পোস্টে লেখেন,“এটি আমার আশা যে আমরা একত্রে বহু সমস্যার সমাধান করতে পারবো এবং তা অবিলম্বে শুরু হবে। এই পৃথিবীকে আরও শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করার জন্য প্রেসিডেন্ট শি এবং আমি সাধ্যমত সবকিছু করবো”।
আরও পড়ুন
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি: ট্রাম্প ও বাইডেনকে নিয়ে নেতানিয়াহু যা বললেন
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানায় ফোনালাপের সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর নির্বাচনী বিজয়ের জন্য শি শুভেচ্ছা জানান এবং আগামি চার বছর যুক্তরাষ্ট্র চীন সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়ে তাঁর এবং নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের গভীর প্রত্যাশা রয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক সিসিটিভিতে প্রকাশিত শি’র বক্তব্যে বলা হয়,“আমরা উভয়ই আমাদের মধ্যে আলাপকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছি, আমরা উভয়ই আশা করছি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই নতুন মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের সূচনা হবে শুভ এবং আমরা উভয়ই চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চাই যাতে নতুন করে এই সূচনা পর্ব থেকে আমরা আরও অগ্রগতি সাধন করতে পারি।”
শি বলেন যদিও বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে তবু প্রধান বিষয়টি হচ্ছে, “পরস্পরের মূল স্বার্থ ও প্রধান উদ্বেগগুলির প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং সমস্যার যথার্থ সমাধান খুঁজে বের করা”।
শি তাইওয়ানের বিষয়টি “যত্নসহকারে” দেখার জন্য ট্রাম্পের প্রতি জোর আবেদন জানান। বেইজিং দাবি করে যে গণতান্ত্রিক তাইওয়ান হচ্ছে তাদের এলাকার অংশ এবং ওই দ্বীপটিকে চীনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনবোধে শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছে।
চীনের বিবরণ অনুযায়ী, শি ও ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার সংঘাত আর প্রধান সব আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
১৭ জানুয়ারি শুক্রবার দিনে আরো আগের দিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে যে অভিষেক অনুষ্ঠানে শি ‘র প্রতিনিধিত্ব করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং।
আরও পড়ুন
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার
তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রেসিডেন্ট শি ও অন্যান্য বিদেশি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর এক মাসেরও বেশি সময় পরে এ ঘোষণাটি আসলো। এটি অভূতপূর্ব একটি পদক্ষেপ যা আগের ঐতিহ্য থেকে ভিন্ন কারণ অতীতে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হানকে পাঠিয়ে বেইজিং নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি তাদের “বন্ধুত্বের মনোভাব” প্রদর্শন করছে।
বেইজিং’এ শিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি এন্ড স্ট্র্যাটেজির সিনিয়র ফেলো ঝোও বো ভয়েস অফ আমেরিকাকে ফোনে বলেন, “চীনের এমন কোন প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্য নেই যে অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টকেই যোগ দিতে হবে। ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে ভাইস প্রেসিডেন্টকে পাঠানো সব চেয়ে ভাল একটা বিকল্প এবং এতে নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি বেইজিং’এর বন্ধুত্বের মনোভাবই ব্যক্ত হয়েছে।”
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই আমন্ত্রণে যদিও বেইজিং ইতিবাচক ভাবে সাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে, অন্যান্য বিশেষজ্ঞ বলছেন হানের উপস্থিতি হবে প্রধানত আনুষ্ঠানিক।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাকেল ইউনিভার্সিটির চীনা পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ঝিকুন ঝু বলেন, “হানের ওয়াশিংটন সফর থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু বেরিয়ে আসবে তেমনটি আমি আশা করছি না।”
আরও পড়ুন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকে মাস্ক, বেজোস ও জাকারবার্গ উপস্থিত থাকবেন
ঝু বলেন অভিষেক অনুষ্ঠানে হানের উপস্থিতি আনুষ্ঠানিক হলেও বেইজিং’এর এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের এই দ্বিতীয় আমলের প্রশাসনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের “একটি ভাল ভিত্তি রচনা” হতে পারে।
তিনি টেলিফোনে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “আশা করি, একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং সামনের সপ্তাহগুলিতে, মাসগুলিতে তা টিকে থাকবে যখন দু পক্ষই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনায় বসবে এবং সম্ভবত একটা চুক্তি স্বাক্ষর করা হতে পারে”।
হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন চীনের জন্য অনিশ্চয়তার জন্ম দিয়েছে। চীন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে।
তাঁর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিয়ানে ট্রাম্প চীনে উৎপাদিত পণ্যের উপর ৬০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপের সংকল্প ব্যক্ত করেছিলেন। ঝু বলেন উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের সম্ভাবনায় ট্রাম্পের এই দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের বিষয়ে বেইজিং সতর্ক বোধ করছে।
তিনি বলেন, “আমরা জানিনা ট্রাম্প কি খেলা খেলবেন, কাজেই আমি মনে করি চীনের প্রতি তাঁর কি নীতি হবে সেটা দেখার জন্য চীন অপেক্ষা করবে”।
চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করার হুমকি সত্ত্বেও, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন দু’টি দেশের সম্পর্ক ভাল হতে পারে এবং তিনি তাঁর প্রতিনিধিদের মাধ্যমে চীনের নেতাদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে চলছেন।
৬ জানুয়ারি টক শো’ এর একজন রক্ষনশীল উপস্থাপক হিউ হিউইটকে এক সাক্ষাত্কারে বলেন, “আর আমার মনে হচ্ছে আমরা সম্ভবত ভালো ভাবেই চলবো, আমার ভবিষ্যদ্বাণী”। তিনি আরো বলেন যে সম্পর্কটা হওয়া উচিত, “দেয়া-নেয়ার”।
তা ছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কিছু রাজনীতিককে নিয়োগ দিচ্ছেন যারা চীনের প্রতি তাদের যুদ্ধংদেহী মনোভাবের জন্য পরিচিত, তাদের মধ্যে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে সেনেটার মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য মাইক ওয়াল্টজ।
বুধবার সিনেটে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিতকরণের শুনানীতে রুবিও চীনকে, “এ জাতির সামনে সব চাইতে শক্তিসম্পন্ন ও বিপদজনক নিকটতম প্রতিপক্ষ” বলে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, “তাদের কাছে এমন উপাদান আছে যা কখনই সোভিয়েট ইউনিয়নের কাছে ছিল না। তারা প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে আমাদের প্রতিপক্ষও প্রতিদ্বন্দ্বি, অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী , বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বি”।
তবে শুনানির সময়ে চীন সম্পর্কে রুবিওর বাহ্যত এই কঠোর বক্তব্য সত্ত্বেও, ঝু বলেন, এটা এখনও বলার সময় আসেনি যে নতুন প্রশাসনের সময়ে এই ভাষা সত্যিকারের নীতিতে পরিণত হবে কীনা।
তিনি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “ট্রাম্প নিয়োগকৃত কোন কোন ব্যক্তি চীন সম্পর্কে যুদ্ধংদেহী মনোভাব পোষণ করলেও যেহেতু তারা ট্রাম্পের জন্য কাজ করছেন, তারা ট্রাম্পের নীতি লংঘন করবেন না।”
ঝু বলেন যেহেতু এটা পরিস্কার নয় ট্রাম্প চীনের প্রতি কি ভাবে তাঁর নীতি গঠন করবেন, ওয়াশিংটন ও বেইজিং “সতর্কতার সঙ্গেই এগিয়ে যাবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম আমলে দু’পক্ষেরই মারাত্মক অভিজ্ঞতা হয়েছিল, সুতরাং মনে হচ্ছে এবার তারা নতুন করে শুরু করবে”।