চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া আনুমানিক ১০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা শিশুটি অবশেষে মারা গেছে।
আজ ২২ জুলাই শনিবার বেলা ১১টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। শিশুটি দুইদিন জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অচেতন অবস্থায় ছিলো।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানি রেলওয়ে স্টেশনে অতিক্রমকালে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যায় ১০ বছর বয়সী ছেলে শিশুটি। স্থানীয়রা শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসক ও পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে শিশুটি মারা গেছে।
তিনি আরো বলেন, শিশুটির নাম-পরিচয় সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাতিঘর নামক একটি সংগঠনের কাছে তার লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
৮ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের টিয়ারা গ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-কসবা উপজেলার দরুইল গ্রামের মো. আনোয়ার (৩৮) ও বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের আলফু মিয়া (৪৮)।
আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার সকালে পুলিশের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে নবীনগর উপজেলার বিটঘর টিয়ারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে, একই রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল এলাকা থেকে ৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মো. আলফু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় নবীনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এর সভাপতিত্বে বিচারকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি এবং অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন।
অন্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেল সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি এ.কে.এম কামরুজ্জামান মামুন এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
মাসিক সভার সঞ্চালনা করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নি।
সভায় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির বিভিন্ন সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিগ্যাল এইডের প্রাতিষ্ঠানিক প্রচারের লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষামূলক সেশন ও কুইজ প্রতিযোগিতা ও গণশুনানী অনুষ্ঠান আয়োজন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সম্পত্তির লোভে জাহানারা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মাকে তিন মাস ধরে তালাবদ্ধ ঘরে বন্দি রেখেছিল সন্তানরা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পৌরসভার গোর্কণঘাট এলাকার প্রয়াত হাজী মো. আবদু মিয়ার স্ত্রী।
আজ ১৬ আগস্ট শুক্রবার সকালে তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৩৩ বীর। এই সময় আটক করা হয় সন্তানদের। তার ৯ ছেলে ও ৩ মেয়ে তারা তাদের মায়ের কাছ থেকে সম্পত্তি নেওয়ার জন্য পাশবিক এই কান্ড করেন।
গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৩৩ বীর একটি অভিযানিক দল জেলা শহরের গোর্কণঘাট এলাকায় বৃদ্ধ জাহানারা বেগমকে উদ্ধার করেন। এসময় সেনাবাহিনীর দলটি ঘটনাস্থল থেকে তার ৮ সন্তানকে আটক করে নিয়ে আসে। এই সময় তার সন্তানরা মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করেন।
পৌরসভা ৭ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর মো. ফারুক আহামেদ মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদে থাকা সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ ৩৩ বীরের ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলম দিদার জানান, সম্পত্তির জন্য তাদের মাকে তিন মাস ঘরবন্দি করে রাখে সন্তানরা। পাশাপাশি তাদের মাকে মারধর করে, নিয়মিত খাবার না দেওয়া, বস্তায় ভরে হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছিল।
তারা তাদের ভুল বুঝতে পারায় স্থানীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে তাকে মায়ের কথামত তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড জনবীমা ব্রাহ্মণবাড়িয়া এরিয়া-১৯ এর আয়োজনে ফেব্রুয়ারি ক্লোজিং মাস উপলক্ষে ব্যবসা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টি.এ রোডস্থ ফারুক টাওয়ারে এরিয়া কার্যালয়ে ব্যবসা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কোম্পানীর সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১৯ এর এরিয়া ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম সভাপতিত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রধান ইনর্চাজ মো: জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম। প্রধান অতিথি বিমা কর্মীদের সঠিক সুন্দর দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করে বলেন, দেশের বীমা খাতে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স প্রথম বেসরকারি বীমা কোম্পানী। ১৯৮৫ সালের জম্ম। আগামী ২৩ এপ্রিল আমার ৪০ বছরে পা রাখবো। দীর্ঘ ৩৯ বছরের পথচলায় স্বচ্ছতা ,বিশ্বস্ততা আর উন্নত গ্রাহক সেবার কারণে ন্যাশনাল লাইফ পৌঁছে গেছে মানুষের আস্থার শীর্ষে এবং ন্যাশনাল লাইফ দেশে এক নম্বরে রয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট (উন্নয়ন) হেলাল আহমেদ জনবীমা পূবাঞ্চল, কোম্পানীর সহকারী এরিয়া ইনচার্জ মো: কামাল হোসেন, সহকারী এরিয়া ইনচার্জ মো: জামাল উদ্দিন। উন্নয়ন সভায় বক্তব্য রাখেন, সহকারী জোন ইনচার্জ মো: আকবর আলী, আক্তার হোসেন, সাদেুকুল ইসলাম, এজিএম বাবুল মিয়া,তাকলিমা বেগম, আসমা বেগম,শাবান আক্তার, ঝুমা বেগমসহ ব্রাঞ্চ ম্যানেজারগন। এসময় ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড জনবীমার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নাসিরনগর ও নবীনগর বিকেন্দ্রীক জেলায় কর্মরত সহকারী জোন ইনচার্জ, এজিএম, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার,সুপারভাইজার ও কালেক্টররা অংশগ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের সময় ৩ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্হানীয়রা। ২০ অক্টোবর রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউপির ভাটপাড়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার নাটাই বটতলী গ্রামের আমীর খাঁর ছেলে মো. আশিক (২৫), জেলা শহরের কান্দিপাড়া এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজিবুর রহমান সানি (২৭) ও ঢাকার খিলগাঁও এলাকার রুবেল আহম্মদের ছেলে মো. সফিক (২৬)।
জানা যায়, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউপির ভাটপাড়া গ্রামের লোকমান হোসেনের বাড়িতে কিছু লোক ঘোরাফেরা করছিল। তখন লোকমান তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। তারা লোকমানকে বলে, সে গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে আসামি। তখন লোকমান তাদেরকে গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি দেখাতে বললে, তাদের মধ্যে একজন লোকমানের মুখ চাপ দিয়ে ধরে টেনেহিঁচড়ে তাদের সঙ্গে থাকা একটি নোহা গাড়িতে তুলে ফেলে। এ সময় লোকমানের স্ত্রী, ছেলেমেয়েরা ঘর থেকে বাইরে এসে চিৎকার শুরু করলে তারা এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে আশিক, শফিক ও সানিকে আটক করে। তাদের সঙ্গে থাকা আরো ৪ জন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি নোহা গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত ৩ জন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, লোকমানের ছোট ভাই খান জাহান আলী রমজানের নির্দেশে তারা লোকমানকে তুলে নেয়ার জন্য আসে। জাহান আলী লোকমানকে তুলে নেয়ার জন্য তাদের ৭০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. মোজাফ্ফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় লোকমান হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৭ জনের নামোল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত ৩ জনকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।