চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুষ্ঠরোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহযোগিতায় ও দি লেপ্রোসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (প্রয়াস) এর উদ্যোগে আজ ২৩ জুলাই রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় কুষ্ঠরোগ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ডাঃ মফিজুর রহমান ফিরোজ।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, দি লেপ্রোসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (প্রয়াস) এর টেকনিক্যাল সাপোর্ট অফিসার জুয়েল খিয়াং ও ফিল্ড ফেসিলেটর নূরে আলম।
কর্মশালায় বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১৬জন কুষ্ঠরোগী সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ জন, কসবায় ২ জন, নাসিরনগরে ৪ জন, আশুগঞ্জে ১ জন, বিজয়নগরে ১ জন,বাঞ্ছারামপুরে ৩ জন ও নবীনগরে ১ জন রয়েছে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত জেলার আখাউড়া ও নবীনগর উপজেলায় কোনো কুষ্ঠরোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০১৯ সালে ৫৪ জন, ২০২০ সালে ৩৮ জন, ২০২১ সালে ৩৭ জন ও ২০২২ সালে ৪৪ জন রোগী সনাক্ত করা হয়। সনাক্তকৃত রোগীদের ধরণ দেখে দুইভাগে ভাগ করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় রোগীদেরকে ৬ মাস ও গুরুতর রোগীদের ১২ মাস করে চিকিৎসা দেয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া ১২৯ রোগীর মধ্যে সবাই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ২০২২ সালের ৪৪ জন রোগীর মধ্যে ৩৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তবে ২০২২ সালের ৯ জন ও ২০২৩ সালে ১৪ জনসহ মোট ২৩জন রোগী বর্তমানে ১২ মাসের চিকিৎসায় অর্ন্তভুক্ত হয়ে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কর্মশালায় বলা হয়, এক সময় কুষ্ঠরোগীকে সমাজে বহু বঞ্চনার শিকার হতে হলেও এখন সে চিত্র পাল্টে গেছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে কুষ্ঠরোগ শতভাগ নিরাময় সম্ভব। কুষ্ঠরোগ ব্যাকটেরিয়াজনিত ছোঁয়াচে রোগ হলেও চিকিৎসার আওতায় এলে ছোঁয়াচের মাধ্যমে অপর ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার মাত্রাও বহুলাংশে কমে যায়।
কর্মশালায় কুষ্ঠরোগ সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার বিকালে শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহসভাপতি মো.হেলাল উদ্দিন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মাহবুবুল আলম খোকন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, মহসিন মিয়া, হাজি ফারুক আহমেদ, জায়েদুল হক, সেলিম রেজা হাবিব, সৈয়দ মো. আসলাম, খোকন আচার্য, মাহমুদুর রহমান জগলু, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
দোয়া পরিচালনা করেন মাও.ক্বারী আনিসুর রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসায় কোন রোগীর মৃত্যু হলে সেটি “ভুল চিকিৎসা নয়, এটি দুর্ঘটনা এবং এটি অপরাধ হিসেবে গন্য করা যাবেনা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেছেন জেলা বিএমএর নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ এফ. জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ।
লিখিত বক্তব্যে ডাঃ আবু সাঈদ বলেন, চিকিৎসকরা রোগীদের সম্মতি নিয়ে অস্ত্রোপচার করে থাকেন। দণ্ডবিধির ধারা ৮৮ ও ৮৯ অনুসারে চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক এক্ষেত্রে রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার পরও রোগীর মৃত্যু হলে সেটা কোনোভাবেই হত্যা মামলা হতে পারে না। তিনি বলেন, এই আইনে চিকিৎসকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সততার সাথে নিঃসংকোচ চিত্তে কর্তব্য পালন করার নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে এবং হত্যা মামলার মতো ফৌজদারি মামলা হতে ‘দায়মুক্তি’ প্রদান করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ধারা ৮৮ ও ৮৯ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ধারা ৮৮ অনুসারে ভাল উদ্দেশ্যে বা রোগ উপশমের উদ্দেশ্যে সম্মতিসহ কোনো রোগীর অস্ত্রোপচার করার সময় বা পরবর্তীতে যদি ‘মৃত্যু’ ঘটে তবে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। আর দণ্ডবিধির ধারা ৮৯ অনুসারে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা মানসিক প্রতিবন্ধী কোনো ব্যক্তি সম্মতি দিতে অসমর্থ হলে এবং তাকে সুস্থ করার উদ্দেশ্যে কোনো অস্ত্রোপচার করা হলে এবং সেটি করতে গিয়ে মৃত্যু ঘটলে তা কোনো অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।
তিনি বলেন, তারপরও সম্প্রতি চিকিৎসা দুর্ঘটনায় কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে চিকিৎসকদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। অথচ চিকিৎসা সঠিক নাকি ভুল সেই মতামত দেয়ার একমাত্র এখতিয়ার বিএমডিসির।
তিনি বলেন, তদন্তে চিকিৎসকের ভুল বা অপরাধ প্রমাণিত হলে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে বিচার হবে। চিকিৎসা দুর্ঘটনা কোনো অপরাধ নয়। তবে রোগীর স্বজনরা জানে না চিকিৎসা নিয়ে কোনো সন্দেহ হলে বিচারের জন্য বিএমডিসির কাছে অভিযোগ দায়ের করতে হয়। এই সুযোগে কতিপয় অতিউৎসাহী মিডিয়া জনগণকে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেয়। বিচার প্রক্রিয়া যেমন আদালতে বিচারকের কাছে গোপনীয়, তেমনি চিকিৎসকের কার্যক্রম ও তার নিজের পেশাগত গোপনীয়তা বিএমডিসির আইন দ্বারা নির্ধারিত এবং সংরক্ষিত। রোগীর শরীর অস্ত্রোপচারে আকস্মাৎ দুর্ঘটনা ঘটে যায় যেমন জ্ঞান না ফেরা, হার্ট ব্লক হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ জখম হওয়া যা চিকিৎসকের কাছে অনাকাঙ্খিত। এ কারণেই বাংলাদেশ পেনালকোড-এ সার্জনকে দায়মুক্তি দেয়া আছে।
তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪, ৩০৪ এর উপধারা ক ও খ প্রয়োগ করে যদি কোনো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করতে হয়, সেক্ষেত্রে আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মতামত লাগবে। এবং উপযুক্ত মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক তদন্তে দোষী সাব্যস্থ হলেই কেবল এই ধারাটি প্রযোজ্য হবে। রোগীর মৃত্যুকে হত্যাকান্ড হিসেবে নথিভূক্ত করা অনাকাঙ্খিত। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি চিকিৎসক আবু সাঈদের অনুরোধ, তারা যেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করেন এবং সঠিক কারণ অনুসন্ধ্যানে বিএমডিসি, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্য করেন। সেই সাথে চিকিৎসায় কোনো রোগী মারা গেলে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন প্রকাশের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সাবেক তত্বাবধায়ক ডাঃ মো. শওকত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রানা নূর সামস্, ডাঃ ফয়েজুর রহমান ফয়েজ, ডাঃ আজহারুর রহমান তুহিন, খোকন দেবনাথ, মাহফিদা আলম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্য পাঠের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হন চিকিৎসক নেতারা। কিভাবে মিডিয়া ক্রাইম হলো? একজন চিকিৎসক অধিক হাসপাতালে কিভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং তার মান কতুটুকু? বেসরকারি হাসপাতালে রাতে কেন কোনো চিকিৎসক থাকেন না? সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের দূর্ব্যবহারসহ সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক।
মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন, নীপিড়ন ও অন্যায়ের কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় হয়েছে। তবে বিগত সময়ে প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে সাধারণ মানুষের যেমন বক্তব্য ছিলো, এখনো মানুষের কণ্ঠে একই বক্তব্য। তাই প্রশাসনকে এমন কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে যার দুর্নাম বিএনপি বা ফ্যাসিস্ট সরকার উৎখাতে যারা ভূমিকা রেখেছে তাদের উপরে আসে। এছাড়াও জনবিচ্ছিন্ন হতে হবে এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সকল নেতাকর্মীকে জনসেবায় কাজ করতে হবে।
আজ ২৭ অক্টোবর রবিবার সকালে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ শামীম মোল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডাক্তার মো: নোমান মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সহ সভাপতি এডঃ শফিকুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবিএম মমিনুল হক, জেলা ড্যাবের সভাপতি ডাক্তার মকবুল হোসেন, ড্যাব নেতা আক্তার হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, সহ-সভাপতি রাশেদ কবির আকন্দ, যুবদল নেতা সৈয়দ তৈমুর, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জিয়াউল হক, তানভীর রুবেল, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক এডভোকেট আরিফুল হক মাসুদ, সদস্য সচিব এডভোকেট ইয়াছিন মিয়া প্রমুখ।
পরে রক্তদান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়।
মেডিকেল ক্যাম্পে হৃদরোগ, গাইনীসহ বিভিন্ন বিষয়ে ২২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা ও ফ্রি ওষুধ সেবা প্রদান করছেন।
চিকিৎসা সেবা নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবা গ্রহীতারা ভীড় করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্মরণানুষ্ঠান ও ইফতার আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত আবৃত্তিশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান আরিফের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ১ এপ্রিল সোমবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ মিলনায়তন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের উদ্যোগে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠন পরিচালক মো মনির হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সহকারী পরিচালক সুজন সরকারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দাস।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশিষ্ট সংস্কৃতিসেবী অ্যাড. নাসির মিয়া, কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবদুর রহিম, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার সভাপতি কবি আমির হোসেন, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ পার্থ তলাপাত্র, গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ সভাপতি আবুল বাসেত, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, কবি শৌমিক সাত্তার, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম সুজন, সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসীর।
এসময় হাসান আরিফ, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি মো আতিকুল ইসলাম, আবৃত্তিশিল্পী শরীফ মুহাম্মদ সাঈম, কন্ঠশিল্পী জুমানা কামালের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুকুরে ডুবে নূর মোহাম্মদ খাঁন নামে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাপুইর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত নূর মোহাম্মদ খান চাপুইর গ্রামের মোঃ কামাল খানের ছেলে।
মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির উঠানে অন্য শিশুদের সাথে খেলা করছিলো নূর মোহাম্মদ খান। এক পর্যায়ে সবার অগোচরে সে বাড়ির পাশের পুকুরে পানিতে পড়ে যায়।
পরে স্বজনেরা শিশুটিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।