অনলাইন ডেস্ক :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশে এখন তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এর পেছনে ‘ডেমোনেস্ট্রেশন অভ ওয়েলথ’ বা বিত্ত-বৈভব প্রদর্শনীর মতো মনস্তাত্ত্বিক বিষয় যেমন আমার এতো সুন্দর বাড়ি, এতো সুন্দর গাড়ি -সেটিকে ‘ডেমোনেস্ট্রেট’ করা, এটি সমাজকে কলুষিত করছে, অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি করছে।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) প্রতিষ্ঠার ৪ দশক উপলক্ষে আজ ২৩ জুলাই রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ক্র্যাবের ৪ দশক উদযাপন উপলক্ষে দ্বিতীয় অধিবেশনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো, সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া কিংবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য অপরের উপর আক্রমণ করা, এগুলো রাজনৈতিক অপরাধ। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে লেখা প্রয়োজন। তাহলে ক্রাইম রিপোর্টারদের ভুমিকা আরও শাণিত হবে এবং দেশ, সমাজ, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় রাজনৈতিক অপরাধ ও বিত্ত-বৈভব প্রদর্শনীর কলুষতা থেকে সমাজ রক্ষায় কাজ করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, নানাভাবে অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে মানুষ অর্থনৈতিক ও সামাজিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে, অন্যায্যভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়াচ্ছে, মুনাফা লুটছে; যা পুরো সমাজ ও রাষ্ট্রকে কলুষিত করছে।
এসব রাষ্ট্রের স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি যেন না হয় সেজন্য এর বিরুদ্ধে আপনারা সাংবাদিকরা লিখবেন।
সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অপরাধও বৃদ্ধি পেয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো, মানুষের সহায়-সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া পৃথিবীর কোথাও ঘটেছে কি-না আমি জানি না। কোনো জায়গায় কমিটি নিয়ে বিরোধ হলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া কি সমীচীন! কমিটি পছন্দ হলো না বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা লাগিয়ে দিলো, এটি কি সমীচীন! এগুলো কোনভাবে সমীচীন নয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলাম না, তখনও আপনাদের পাশে ছিলাম। যখন মন্ত্রী থাকবো না তখনও আপনাদের পাশে থাকবো এবং আমি কখনও কোনো সাংবাদিক বা কোনো সাংবাদিক সংগঠনকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখি না।
ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে সংগঠনটির সহসভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল, মিজান মালিক ও আবুল হোসেন, ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং ক্র্যাবের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে কেক কাটায় অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
যাত্রীদের দ্রুত টিকিট সংগ্রহ নিশ্চিত করতে রেলওয়ে স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় টিকিট সংগ্রহের (ভেন্ডিং) মেশিন বসানো হয়েছে। এরই মধ্যে কমলাপুর, বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্টেশনে ১৫টি ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। তবে যাত্রীরা রেলওয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও টিকিট সংগ্রহে অতিরিক্ত ২০ টাকা চার্জ কাটায় যাত্রীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘কমলাপুরে দুটি অটোমেটিক টিকিট ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে।
মোট চারটি ভেন্ডিং মেশিন বসানো হবে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ ২১ স্টেশনে ভেন্ডিং মেশিন বসানো হবে।’
গত ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ রেলওয়ের টিসি উপ পরিচালক মো. আনসার আলীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৫টি টিকিট ভেন্ডিং মেশিন ও ৬০টি জায়ান্ট স্ক্রিন ডিসপ্লে স্থাপন করার বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষে অনুমোদিত হয়েছে।
এদিকে রেলওয়ে পরিচালন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আধুনিক এ মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে সহজ ডটকম।
এর মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই নিজের টিকিট নিজে কাটতে পারবেন। তবে এ জন্য অনলাইনে টিকিট কাটতে যে পরিমাণ চার্জ (২০ টাকা) দিতে হয়, ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট কাটলে একই পরিমাণ চার্জ কাটা হবে। ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ১৬ মে বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান আছে সেগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে হবে।
এছাড়া প্রতি তিন মাস পরপর এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একনেকে প্রতিবেদন দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম জানান, যেসব সরকারি কর্মকর্তা নানা সময়ে বিদেশে প্রশিক্ষণে যান। সেখান থেকে ফেরার পর তাদের প্রশিক্ষণের ধরন অনুযায়ী প্রকল্পে নিয়োগ দিতে বলেছেন। এ ছাড়া যাদের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে তাদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব বলেন, চলতি অর্থবছরে ৩০ জুনের মধ্যে ৩৫৬টি প্রকল্প শেষ হবে। যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ প্রকল্প এক অর্থবছরে শেষ হচ্ছে। এ ছাড়া এবার এডিপিতে ৪ হাজার কোটি টাকা সরকারি খরচ কমেছে। বিদেশি অর্থায়ন ৬ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। মোট এডিপি বেড়েছে ২ হাজার কোটি টাকা।
চলারপথে ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ কবলিত কক্সবাজার জেলায় চারটি মোবাইল অপারেটরের ৯৭৪টি সাইটের মধ্যে ২৪৩টি সাইট বর্তমানে অচল রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
আজ ১৫ মে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিটিআরসি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরগুলো বিদ্যমান অসচল সাইটগুলো সচল করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ অসচল সাইট মূলত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকার কারণে বর্তমানে অসচল রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যকর হলে ওই সাইটগুলো দ্রুত সচল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা কবলিত কক্সবাজার জেলায় দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরের ৯৭৪টি সাইটের ২৪৩টি সাইট বর্তমানে ‘অসচল’ রয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোন লিমিটেডের মোট ২১৯টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৬০টি। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের মোট ৪৬১টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৮৭টি, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের মোট ১৮৫টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৫১টি এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মোট ১০৯টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৪৫টি।
গত ১৩ মে ঘূর্ণিঝড় মোকা মোকাবিলায় দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে যাতে সব ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন সংশ্লিষ্ট সব লাইসেন্সধারী সংস্থাকে এবং টেলিযোগাযোগ সেবাপ্রদানকারী টেলিকম অপারেটরকে ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন ও কন্ট্রোল রুম স্থাপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। এছাড়াও বিটিআরসি ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ও নিয়ন্ত্রণকক্ষও চালু করে। এসব টিম ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলোর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণসহ নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতে সমন্বয় সাধন করে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সব দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা সেই নীতিই মেনে চলি। আমাদের উন্নয়নে বা আমাদের অগ্রযাত্রায় কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করুক- সেটা আমরা চাই না, সেটা আমরা বরদাশত করব না।
আজ ২ জুলাই রবিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী রূপ তো এ দেশের মানুষ দেখেছে। এদের কাছে রাজনীতি বলে কিছু নেই, ক্ষমতা হচ্ছে তাদের অর্থ বানানোর মেশিন; ক্ষমতা হচ্ছে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী দল। ওরা যদি ক্ষমতায় আসে, আবার এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে; এ দেশের সর্বনাশ করে দেবে। কাজেই সেটা যেন তারা করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘কানাডার ফেডারেল কোর্ট এই কথাই বলেছিল যে বিএনপি একটা সন্ত্রাসী সংগঠন। ওই সন্ত্রাসী সংগঠনের কোনো অধিকার নেই বাংলাদেশের মানুষ নিয়ে কথা বলার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক আছে, কথায় কথায় নালিশ করে, তো নালিশ করে কি হয়! ওই যে কথায় আছে না, ‘নালিশ করে বালিশ পাবে’। ওরা কিন্তু ওটাই পাওয়ার যোগ্য।
বিএনপির হাতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতিত হওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে আওয়ামী সভাপতি বলেন, ‘২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- কেউই বাদ যায়নি তাদের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে, মানুষকে গুলি করে মারা, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মারা, চোখ তুলে নেওয়া, হাত কেটে নেওয়া- এমন কোনো সন্ত্রাসী কাজ নাই বিএনপি না করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর কারও প্রতি প্রতিশোধ নিতে চায়নি। প্রতিশোধ যদি নিতে যেতাম, তাহলে ওই বিএনপি বা জামায়াতের অস্তিত্ব থাকত না।’
এ সময় তিনি বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলসহ বিভিন্ন সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রাণহানি ও নির্যাতনের যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেসব বিষয়ে বিচার নিশ্চিতে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের কাজ করার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে মারা, পুলিশ মারা, বিভিন্ন সময় আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা, বহু আসামি এখনও ঘুরে বেড়ায়। এরা যেন ঘুরে বেড়াতে না পারে। এদের যেন যথাযথ শাস্তি হয়। এদের যেন বিচার হয়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফিউজিটিভ (পলাতক) হয়ে ওই লন্ডনে বসে এখন সোশাল মিডিয়ায় বড় বড় কথা বলে। চোরের বড় গলা- কথায় আছে, সেই চোরের বড় গলাই আমরা শুনি। এত সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসে না কেন?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১০ ট্রাক অস্ত্র, একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাদের হত্যার চেষ্টা, আইভী রহমানসহ আমাদের ২২ জন নেতাকর্মী হত্যা করেছে- মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি এমন কোনো অপকর্ম নাই যে না করে গেছে। আজকে সাজাপ্রাপ্ত, পলাতক।’
দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। ‘মাই হাউস, মাই ফার্ম’, কমিউনিটি ক্লিনিক, ডিজিটাল বাংলাদেশ, ‘মাই ভিলেজ, মাই টাউন’ ইত্যদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং নানা সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মাধ্যমে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। গ্রামগুলো এখন আর গ্রাম নাই। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আমার লক্ষ্যই হলো দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা।
তিনি বলেন, ‘৬ বছর নির্বাসনে থেকে ফেরার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছি। দেশের এমন কোনো অঞ্চল নেই যেখানে যাইনি। নৌকা, সাম্পান, লঞ্চ, রিকশা-ভ্যানে চড়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছি। সে অভিজ্ঞতা থেকেই গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন করছি।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তিনি দেশবাসীর মুখে হাসি ফোঁটাতে চেয়েছিলেন। যার জন্য দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করা হয়। একই বছরের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। দেশের অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়ার জন্যই এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। বঙ্গবন্ধুকে এমন সময়ে হত্যা করা হয়েছিল যখন দেশ অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।’
টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া আসনের সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী এলাকার মানুষকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাকে অনেক বেশি সময় দিতে হয়। সাধারণত অন্য সংসদ সদস্যরা শুধুমাত্র তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার দেখাশোনা করেন। আমাকে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হয়। কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দারা আমার এলাকার দায়িত্ব নিয়েছেন বলেই আমি সারা দেশে বেশি নজর দিতে পারছি।’
মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ার উন্নয়ন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চান। এ সময় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বার্ধক্যজনিত কারণে অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে রাজনীতিতে থাকার অনুরোধ জানান। তারা শেখ হাসিনাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাবুদ্দিন আজম উপস্থিত ছিলেন।
মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পথ হারানো বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও সঠিক পথে নিয়ে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চত্বরে শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। যেসব রাজাকার, আলবদররা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে তারাই আবার বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছে। পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার পরেও তারা ক্ষমতায় এসে দাপটের সঙ্গে দেশকে লুণ্ঠন করেছে। তারা ইতিহাস বিকৃত করে, বঙ্গবন্ধুর সঠিক জায়গা দিতে চায়নি।
তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও এই দেশকে সঠিক পথে নিয়ে এসেছেন। এই পথ ধরেই তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান।
পরে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলার ছয় উপজেলায় ৩৩০ জন এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মধ্যে এক লাখ ১২ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।