চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ছাত্রদল করার অভিযোগে মোঃ মামুন (২৩) নামে এক যুবককে চাকুরি থেকে ‘ছাটাই’ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও তাকে চাকুরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আজ ২৩ জুলাই রবিবার দুপুরে মামুন নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের ভবনের সামনে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ব্যানার হাতে মানববন্ধন করেছে মামুন।
চাকুরি হারানো মামুনের বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার নাসিরপুর গ্রামে। তিনি নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মামুন জানান, তিনি ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতাধীন প্রকল্পের কর্মী হিসেবে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে চাকরি করতেন। দুই বছরের ওই প্রকল্প থেকে মাসে ছয় হাজার টাকা বেতন পেতেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি অস্থায়ী ভিত্তিতে দুই বছরের জন্য কাজে যোগ দেন। সম্প্রতি ছাত্রদলের সাবেক নেতা নাসির উদ্দিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ সংক্রান্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই তার উপর নেমে আসে অফিসিয়াল খড়গ। তাকে চাকুরি ছেড়ে চলে যেতে বলা হয় এবং এটা না করলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
মামুন জানান, এপ্রিল ও মে মাসে তার বেতন দেওয়া হয়নি। জুন থেকে অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়। তবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ বিধায় এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। এখন তিনি অফিসে যেতে পারছেন না এবং দুই মাসের বেতনও বুঝে পাননি। উল্টো তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের চাকুরিবিধিতে কোনো রাজনৈতিক দল করা যাবে না, এমন উল্লেখ না থাকলেও তার সাথে অন্যায় করা হচ্ছে। এ অবস্থায় মামুন চাকরি ফিরে পেতে চান।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নূরে আলম বলেন, ‘মামুন কোন রাজনৈতিক দল করে না করে সেটা কোনো বিষয় না।
তবে সে নিয়মিত ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতো না। তাকে এ বিষয়ে বললেও কর্ণপাত করেনি। তাকে অফিসে আসতে না করা হয়েছে এমন কোনো ডকুমেন্ট থাকলে দেখাক।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরের বার্ষিক কীর্তনে সংঘবদ্ধভাবে চুরি করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছেন আন্তঃজেলা চোরচক্রের ২৭ জন সদস্য।
আজ ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে গোলাপগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্বে গোলাপগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পিপিএম। আটককৃতদের মধ্যে ২৪ জন নারী ও তিনজন পুরুষ সদস্য রয়েছেন।
তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের ধরমন্ডল গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী নারজিন বেগম (৩০), শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩২), শিপন মিয়ার স্ত্রী রিমা আক্তার (২৮), নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী মহিমা আক্তার (৩৫),আব্দুল্লাহ স্ত্রী পপি বেগম (৩০), রনি মিয়ার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩৫), জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী সুমি বেগম (৩০),মতিন মিয়ার স্ত্রী বিলকিস বেগম (২৮,) হৃদয় মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (২২), আজিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহিদা বেগম (২৮) আলফাজ মিয়ার স্ত্রী লুৎফা বেগম (২৫), সুবারক মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০), শামীম মিয়ার স্ত্রী রোকসানা বেগম (২৫), কুফাদ মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম (৩৫), আব্দুল ছত্তারের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৩৫), জাকারিয়া হোসেনের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০), শাহিন মিয়ার স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৫), শামসুদ্দিনের স্ত্রী আছমা বেগম (৩৮), বাছির মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম (৩০), আলমগীর মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩৫), জলিল মিয়ার স্ত্রী অনুফা আক্তার (৩০), তাহের মিয়া স্ত্রী আমেনা বেগম (৩০), মোবারক মিয়ার স্ত্রী ফুলচান বিবি(২৮), তোফাজ্জেল মিয়ার স্ত্রী আছমা বেগম (২৫)।
বাকি তিনজন হলে, হবিগঞ্জের মাধবপুরের বাঘশুরা গ্রামের ইজাজ আলীর ছেলে সুহেল মিয়া, একই থানার ফতেপুর গ্রামের মো.শামীম মিয়ার ছেলে শাহিন আলম (২০) ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ছত্তিশ গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে ছাইদুল ইসলাম।
এসময় তাদের কাছ থেকে নয়টি সোনার চেইন, এক জোড়া হাতের বালা, ৪ জোড়া চুড়ি, ১৪ জোড়া কানের দুল, আটটি রূপাসদৃশ্য চেইন, আটটি রূপাসদৃশ্য নুপুর, ছয়টি শাঁখা, সাতটি মোবাইল ফোন এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুজ্জামান পিপিএম জানান, চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরের বার্ষিক কীর্তনে আগত পূণ্যার্থীদের বিভিন্ন জিনিস খোয়া যাওয়ার খবরে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে একে একে ২৭ জন চোরকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে তারা সংঘবদ্ধভাবে চুরি করে এবং সকলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানাধীন ধরমণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা। মূলত চুরির উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা দল বেধে অংশ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় দুটি গাড়ি যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সিলেটে আসে তারা।
সোমবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ওসি শ্যামল বণিক।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর বেমালিয়া নদী থেকে ফরিদ মিয়া (৬৫) নামের এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১০ জুলাই সোমবার দুপুরের দিকে নাসিরনগর উপজেলার ঘুজিয়াখাইল এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফরিদ মিয়া সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন বিকেলে মেঘনা ও বেমালিয়া নদীতে রিং জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে যেতেন ফরিদ মিয়া। সারারাত মাছ ধরে সকালে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে বাড়িতে ফিরতেন তিনি। রবিবার মাছ বিক্রি করে নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে না আসার কারণে পরিবারের লোকেরা তার খোঁজে বের হন।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সোমবার দুপুরে বেমালিয়া নদীতে ফরিদ মিয়ার মরদেহ ভাসতে দেখেন স্বজনেরা। পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ্ সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩০ মার্চ শনিবার বিকেল পাঁচটায় উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামের পার্শ্ববর্তী ফসলি জমির মাঠে এ ঘটনা ঘটে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সোহাগ রানা। নিহত আপন বেগম (৩৫) বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর (হাজী বাড়ির) মাহফুজ মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ শনিবার বিকেলে হঠাৎ করে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর থেকে এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে থাকে। বৃষ্টির মধ্যেই আপন বেগম বাড়ির পাশে ফসলি জমির মাঠ থেকে গরু আনতে যান। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পারিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো রুহুল আমিন বলেন, শুনেছি মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে আপন বেগম নামে এক নারী নিহত হয়েছে। তিনি বজ্রপাতের সময় ঘর থেকে বের না হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অসিম কুমার পালের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি জনগনের জন্য কাজ করে। আশা করি আগামীতেও দেশের এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি বক্তব্যে তিনি টানা চতুর্থ বারের মত বিজয়ী হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
এছাড়াও তিনি বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান সুখনকে অভিনন্দন জানিয়ে তার পাশে থেকে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ জিতু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক রায়হান আলী ভূঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল চন্দ্র চৌধুরী, ভলাকুট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কার্তিক চন্দ্র দাস প্রমুখ। এছাড়াও সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাজার মনিটরিং করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদর বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে বাজারে যান উপজেলা তিনি।
এসময় তিনি মুদির দোকান, সবজির দোকান, ফলের দোকান, মুরগির দোকানে অভিযান চালান। অভিযানে মূল্য তালিকা না রাখায় চার ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরকে সর্তক করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়া অভিযানের কথা স্বীকার করে জানান, রমজান মাস উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়।
নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন অসাধু ব্যবসায়ী যদি বাজার অস্থিতিশীল করতে চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।