চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন পৌর এলাকার মেড্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোকিল টেক্সটাইল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা সড়ক ও জনপথের জায়গাসহ সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মান করেছিলো। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা উচ্ছেদ করা হয়। কিছুদিন পরেই আবার প্রভাবশালীরা ওই জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করেন।
শনিবার পুনারায় ওই স্থাপনাগুলো পুনরায় উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানকালে পুলিশ, ভূমি অফিসের কর্মচারীগণ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সার্ভেযারসহ জেলা বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং, লক্ষ্য নির্ধারণ, যোগাযোগ ও হ্যাপিনেস নিয়ে আত্ম উন্নয়নমূলক কর্মশালা আজ ২ আগস্ট বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে শহরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের একটি শ্রেণিকক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
হুসাইন আলি রুবেল কোচিং অ্যান্ড কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ ও স্নাতকের শিক্ষার্থীরা এই আত্ম উন্নয়নমূলক কর্মশালায় অংশ নেয়।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.এস.এম শফিকুল্লাহ। বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহিম। কর্মশালা পরিচালনা করেন প্রশিক্ষক, সাক্সেস মাইন্ডসেট কোচ ও সুডেন্ট কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসাইন আলী রুবেল। সংগঠনের পক্ষে স্টুডেন্ট কাউন্সিল ও মোটিভেশনাল স্পিকার সাবিহা বেগম কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় ছাত্রীরা কিভাবে তারা নিজের ক্যারিয়ার গড়বে, তাদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কিভাবে নির্ধারণ করবে, কিভাবে যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং কিভাবে নিজের উপর পুরো নিয়ন্ত্রণ রেখে একটি সুস্থ এবং সুন্দর জীবন যাপন করা যায় এসবের উপর আলোচনা হয়।
কর্মশালায় মোহাম্মদ হুসাইন আলী বলেন, আমরা নানা কারণে ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে ভারাক্রান্ত হয়ে থাকি। দুঃখে আমাদের মন ভারী হয়ে ওঠে। ভালো থাকার জন্য দুঃখকে সুখে রূপান্তর করা জরুরি। তাই সব কিছুর মধ্যে হ্যাপিনেস খুঁজতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য নির্ধারণ করতে না পারলে জীবনে উন্নতি করা যায় না।
মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসা, মাওয়া আক্তার বলেন, এই কর্মশালায় অংশ গ্রহন করতে পেরে আমরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। কারণ এটা তাদের আত্ম উনয়নে, ক্যারিয়ার গঠনে এবং আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।
আশুগঞ্জ উপজেলার আশুগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হুসাইন আলি রুবেল ব্যক্তিগত উদ্যোগে দীর্ঘ এক বছর ধরে এই ধরণের কর্মশালার আয়োজন করে যাচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নে বজ্রপাতে শাহজাহান (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে বজ্রপাতে ৩টি গরু মারা গেছে। আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে।
মৃত শাহজাহান সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত জালু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল জানান, দুপুরের পর বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় কাঞ্চনপুর গ্রামে শাহজাহান নামে এক ব্যক্তি মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান। পাশাপাশি একই সময়ে বজ্রপাতে খেওয়াই গ্রামে কৃষক মনা ভূঁইয়ার ৩টি গরু মাঠে ঘাস খাওয়া অবস্থায় মারা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, বজ্রপাত মাছিহাতা ইউনিয়নে এক ব্যক্তি ও ৩টি গরু মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট করারোপ, এমআরপি তে সিগারেট বিড়ি বিক্রি নিশ্চিত করা এবং তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ভিডিসি) এর উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল ৩১ মে বুধবার সকালে তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়ক ও ভিডিসি’র নির্বাহী পরিচালক এসএম শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অগ্রগামী সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র এর নির্বাহী পরিচালক এ.কে.এম. বাবুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষানবীশ আইনজীবী লোকমান হোসেন ও শিপনুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুর রাহিম, এসএম মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তাগণ তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে আরো বলেন, তামাকমুক্ত সমাজ গড়তে তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। বিকল্প শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করে উক্ত ভূমিতে অধিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য ফলাতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
১ মার্চ থেকে চালু হয়েছে ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন পদ্ধতি। এই নিয়মে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে টিকিট ক্রয় করতে হয়। তবে, নতুন এই নিয়ম চালুর দুইদিন পর আসন বিহীন টিকিট ক্রয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের বাধ্যবাধকতা বাতিল করেছে রেলওয়ে। এতোকিছুর পরও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি। বরং নতুন নিয়মের সঙ্গে সঙ্গে টিকিট কালোবাজারিতেও এসেছে নতুনত্ব।
মূলত টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে এই নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এতেও প্রতিরোধ করা যায়নি রেলওয়ের টিকিটের কালোবাজারির স্বর্গ হিসেবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে। কালোবাজারিরা বিভিন্ন জনের আইডি দিয়ে টিকিট কেটে চড়া দামে সেগুলো বিক্রি করছেন সাধারণ যাত্রীদের কাছে। পাশাপাশি যাত্রীদের একটি স্ট্যান্ডিং টিকিট নিতে বলছেন, যেন চেকিংয়ের সময় সেটি দেখাতে পারেন।
১৪ মার্চ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতোই স্টেশনের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন টিকিট কালোবাজারিরা। কয়েকজন উচ্চস্বরে ডাকছেন- ‘ঢাকা-ঢাকা, চট্টগ্রাম-চট্টগ্রাম’ বলে। তাদের কাছে টিকিট কিনতে আসছেন যাত্রীরাও। কিন্তু টিকিট বিক্রির সময় নতুন পদ্ধতিতে শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন কালোবাজারিরা। তাদের তৈরি নিয়মে আসনসহ টিকিটের সঙ্গে আসন বিহীন টিকিট নিতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় ট্রেনের শোভন আসনের ভাড়া ১৪৫ টাকা এবং এসি ২৭০ টাকা। কালোবাজারিরা প্রতি শোভন আসনের টিকিট বিক্রয় করছেন ৪০০ টাকা। এছাড়া এসি আসনের টিকিট ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রয় করছেন তারা।
সামিয়া আক্তার নামের ঢাকাগামী এক ট্রেনযাত্রী জানান, পারিবারিক একটি কাজে দ্রুত ঢাকা যেতে হচ্ছে। কাউন্টারে টিকিট শেষ হয়ে গেছে। বাসে যেতেও অনেক সময় লাগে। রেলস্টেশনে দেখলাম ব্ল্যাকাররা (কালোবাজারি) টিকিট বিক্রি করছেন। সন্ধ্যার মহানগর ট্রেনের টিকিট নিয়েছি ৪০০ টাকায়। এর সঙ্গে একটি স্ট্যান্ডিং টিকিট কিনতে বলেছেন তারা। ট্রেনে চেকিং করলে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেখাতে বলেছেন।
মহিবুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী বলেন, বাসে যেতে অনেক সময় লাগে। তাই ঢাকায় যেতে হলে সবসময় ট্রেনেই যাতায়াত করি। নতুন নিয়মে আমিও রেজিস্ট্রেশন করেছি। কিন্তু কাউন্টারে টিকিট শেষ। বাধ্য হয়ে ব্ল্যাকারের কাছ থেকে টিকিট নিয়েছি। শুধু একটি স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটতে বলছে। মোবাইল কোর্টে ধরলে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেখাতে বলেছে। আসনসহ টিকিট যেন না দেখাই, তাও বলে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টিকিট কালোবাজারি জানান, নতুন পদ্ধতিতে সরাসরি আমরা টিকিট নিতে পারি না। আলাদা আলাদা পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। যার আইডি কার্ড দিয়ে টিকিট কাটে, তাকে প্রতি টিকিটে ১০০ টাকা করে দিতে হয়।
তবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক হাতেম আলী ভূইয়ার কাছে দাবি করেন, নতুন নিয়মে কালোবাজারিরা টিকিট কিনতে পারেন না। এখন কালোবাজারি নেই স্টেশনে। কিন্তু স্টেশনে কালোবাজারি আছে- এমন প্রমাণ থাকার কথা জানালে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা পরিহার করে শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ আগস্ট রোববার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহ-সভাপতি আবু কাউসার খানের সভাপতিত্বে ও সাঈদ হাসান সানীর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. মোমিনুল হক।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন ও সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, এবং সাবেক সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, অধ্যাপক জিয়াউল হক লাভলু, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে- যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এদেশে চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। এটিকে কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না। তাই দল-মত ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ ধরনের সহিংসতা পরিহার করে শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।