চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাওর অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন হয়েছে।
আজ ২৪ জুলাই রবিবার নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদমিনার সংলগ্ন রাস্তায় সাধারণ ভুক্তভোগী ও খামারীবৃন্দের ব্যানারে এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাওর অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নারীদের প্রশিক্ষণের পর ১৫টি করে হাঁস, একটি ছোট্ট ঘর ও ৫০ কেজি হাঁসের খাবার দেওয়ার কথা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রায় দুই বছর আগে তালিকায় নাম উঠিয়ে এবং পরবর্তী সময়ে প্রশিক্ষণে অংশ নিলেও তাঁদের বাদ দিয়ে বিশেষ বিবেচনায় অন্যদের নামে হাঁসের খামার করে দেওয়া হয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরে আলম বলেন, ‘প্রাথমিক তালিকা করার পর কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাম বাদ পড়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের যে বিধি আছে, সেটা লঙ্ঘন করা হয়নি।’
ইউএনও মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত পরাজিত প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় দায়েরকৃত মামলা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
থানায় মামলা দায়েরের জন্য পাঠানো চিঠির কার্যকারিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন নিজের সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনাক্রমে পরিবর্তন করে সাবেক সংসদ সদস্যকে সর্তক করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন কমিশনের এই চিঠি নাসিরনগর থানায় পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ৪৩ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা (কলার ছড়ি প্রতিক) আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের কাছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা, সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি) ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বি.এম. ফরহাদ হোসেন-(নৌকা প্রতিক) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (আইন) আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত পরিবর্তিত নতুন আদেশের একটি চিঠি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলামের কাছে পৌঁছে। নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংক্রান্তে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনাক্রমে পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অবগতকরণের জন্য গত মঙ্গলবার আবার চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠি সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বদরুন্দোজা মোঃ ফরহাদ হােসেন।
গত ২২ ডিসেম্বর নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেন ফরহাদ হোসেন। হুমকি প্রদানের ঘটনায় গত ১১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ১৮ এর অধীনে ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় এজাহার দায়েরের জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
নির্বাচন কমিশন মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনাক্রমে তা পরিবর্তন করেন। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের আলোকে এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ,
ক্ষমতাবলে গত ১১ জানুয়ারি জারিকৃত চিঠির কার্যকরতা রহিতপূর্বক বণিত প্রার্থীকে (ফরহাদ হোসেন) সর্তক করে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রদান করেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের নেয়া সর্বশেষ সিদ্ধান্তের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হয়।
এর আগে গত রোববার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী নাসিরনগর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
যা নাসিরনগর থানার মামলা হিসেবে রজু করা হয়। এজাহারে বলা হয়, গত ২২শে ডিসেম্বর নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসভায় তৎকালীন সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি প্রদান করেন।
এতে ওই ব্যক্তি (ফরহাদ হোসেন) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এর বিধান এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ১১ বিধির বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দিয়েছেন। বর্নিত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ১৮ এর অধীন এজাহার দায়ের করার জন্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারী (নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম)কে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা বলেন, আগের আদেশ রহিত করে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ এই মামলা আর চলবেনা। আর সাবেক সংসদ সদস্যকে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে জাতীয় ভিটামিন “এ”প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায়ের সভাপতিত্বে ও মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট(ইপিআই) শাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মিয়া। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাঃ সুব্রত চক্রবর্তী।
অবহিতকরণ সভায় সরকারি কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও সাংবাদিকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট(ইপিআই) শাখাওয়াত হোসেন জানান, ১৫ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৩১৩টি টিকাদান কেন্দ্র থেকে (৬মাস থেকে ১১ মাস পর্যন্ত) ৫ হাজার ৩২১ জন ও (১২ মাস থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত) ৪৬ হাজার ৪’শ ১৯ জন শিশুকে ভিটামিন‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এজন্য উপজেলায় টিকাদান কেন্দ্রে স্বাস্থ্য কর্মীসহ ৬২৬ জন সেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছেন।
মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর :
মো. রাসেল মিয়া- পরিবারকে স্বচ্ছলতার আলো দেখানোর স্বপ্ন নিয়ে ২০২৪ সালে পাড়ি জামান লিবিয়া। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে যে এক নিষ্ঠুর ফাঁদ অপেক্ষা করছিল, তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। অবশেষে মাফিয়া চক্রের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে নিভে গেল এক তরুণ প্রাণ। তার মৃত্যুর খবরে এখন পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
রাসেল উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের ধরমন্ডল গ্রামের লাউস মিয়া আউলিয়া বেগম দম্পতির বড় ছেলে। পরিবারের দাবি, ২১ ফেব্রæয়ারি লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের লোকজন বিষাক্ত ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে রাসেলকে হত্যা করে। ২২ ফেব্রুয়ারি এক প্রবাসীর মাধ্যমে মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারে পরিবার।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে রাসেল সবার বড়। ২০২৪ সালের প্রথম দিকে, পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে পরিবারের শেষ সম্বল, পৈত্রিক ভিটা বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা তুলে দেন একই গ্রামের মানব প্রাচারকারী লিলু মিয়ার হাতে। কথা ছিলো লিবিয়া থেকে ইতালি পাঠানো হবে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে পৌঁছে তার কপালে জোটে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। সেখানে গিয়ে তাকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় লিবিয়ার একটি স্থানীয় দালাল চক্রের হাতে। এর পরই শুরু হয় দুঃস্বপ্নের অধ্যায়। মাফিয়া চক্র রাসেলকে নির্যাতন করে একাধিকবার ভিডিও পাঠিয়ে পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ৩০ লাখ টাকা। সবশেষ আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করে চক্রটি। কিন্তু টাকা না দেওয়ায় ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।
নিহতের বাবা আউয়াল মিয়া বলেন,‘ আমার জীবনের শেষ সম্বল বসত ভিটা ও ফসলি জমি বিক্রি কইরা কয়েক ধাপে ৫০ লাখ টাকা দিছি। আরো টাকা চাইত। কিন্তু পরবর্তীতে টাকা দিতে না পারায় আমার ছেলেরে হত্যা করছে দালাল লিলু মিয়া ও মাফিয়া চক্র।
রাসেলের মৃত্যুর বিষয়ে কথা বলতে দালাল লিলু মিযার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার পরিবার ও সে পলাতক আছে। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
ধরমন্ডল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, রাসেলকে বাঁচাতে তার পরিবার প্রায় ৫০ লাখ টাকা দিয়েছে। কিন্তু টাকা দিয়েও বাঁচাতে পারেনি। যারা মানব প্রাচারের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। রাসেলের মতো আর কোন তরুণ যেন অকালে প্রাণ হারায়।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাসরিন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যারা মানব প্রাচারের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১- (নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামানের সর্বশেষ জনসভায় জনতার বাঁধভাঙ্গা স্রোত।
আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশিষ্ট শিল্পপতি (সিআইপি) সৈয়দ একে আনোয়ারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জামান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, লন্ডন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হক, সির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিম (গরীবুল্লাহ সেলিম), উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহীন, ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি আদেশ চন্দ্র দেব, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সকল ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কলার ছড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করার আহবান জানান। তিনি বলেন, আমি বিজয়ী হলে আজীবন আপনাদের কল্যানে কাজ করব। তিনি বলেন আমি বিজয়ী অনুকরণীয় নাসিরনগর প্রতিষ্ঠা করবো। হয়রানিমূলক মামলা নিরসনসহ নাসিরনগরের বিশ্বমানের হাসপাতাল নিমার্ণ ও শিল্প কারখানা গড়ে ৫০ হাজার যুবক যুবতীকে চাকরির ব্যবস্থা করবো।
তিনি বলেন এবারের নির্বাচন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার সারা বিশে^র কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ^ দরবারে নির্বাচন নিয়ে হারিয়ে যাওয়া আস্থা ফিরিয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।