চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় ৫ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পরমানন্দপুর গ্রামের নূর আলী-আইয়ুব গ্রুপ ও মতি-জাফর-গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জেরে মঙ্গলবার উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫ দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পরমানন্দপুর গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়া (২৮), একই এলাকার মোঃ ফারুক মিয়া (৩৫), আবেদ মিয়া (২৫), হাফেজ মাহাদি হাছান (২৩) ও ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্বাস খাঁন (৩৮)।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আতদের মধ্যে মনির (৩০), রনি (৩২), মাহফুজ (৩০), বোরহান (৪৬), রুবেল (২৫), ফারুক (৩০), রামিম (১৫) এর নাম জানা গেছে। আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল, সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে আছে। আমরা ৫ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আলোকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কুট্টাপাড়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্বরোড় মোড়সহ আশপাশ এলাকা প্রদিক্ষণ করে। মহাসড়কের অবস্থান নেওয়ার কারনে উভয় পাশে যান চলাচল ব্যাহত হয়। আন্দোলন চলাকালে যেকোন সহিংসতা এড়াতে মোতায়েন ছিল বিজিবি।
এ সময় পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেন। তবে আন্দোলন চলাকালে কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে কোন প্রকার বিশৃঙ্খল পরিবেশ এড়াতে পুলিশ তৎপর ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ট্রাক্টরের চাপায় মো. হাফিজুর রহমান (৪০) নামে এক ইটখোলার শ্রমিক নিহত হয়েছে। ভোর ৫টার দিকে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চাকসার গ্রামের দৌলত পাড়ার ব্রিকস ফিল্ডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। হাফিজুর রহমান একই এলাকার মো. আবুল কাসেমের ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, হাফিজুর ব্রিকস ফিল্ডে শ্রমিকের কাজ করতো। ভোর ৫টার দিকে মাটিবাহী ট্রাক্টর মাটি ফেলতে গিয়ে ভুলবশত হাফিজুরকে চাপা দেয়। পরে ইটখোলার কয়েকজন শ্রমিক হাফিজুরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ২৫ মার্চ, ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে । এ উপলক্ষে আজ ২৫ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাহীকর্মকর্তা মোঃ মেজবা উল আলম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বআলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরাইল উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর, বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার নাসরিন সুলতানা, সরাইল থানা তদন্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমত আলী, পানিরশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য মোঃ আমজাদ হোসেন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব ও ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, আমরা জয়লাভ করি। বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস চর্চায় উৎসাহিত করতে হবে।
১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার নৃশংসতা ছিলো ভয়াবহ। অচিরেই আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এ দিবস স্বীকৃতি লাভ করবে এবং গণহত্যার বিচার করা সম্ভব হবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।
পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর বধ্যভূমি প্রাঙ্গনে গণহত্যার স্মৃতিস্তম্বে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশেষ মুনাজাত ও প্রার্থনা আয়োজন করা হবে। সন্ধায় ৭ টায় মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে। ও রাত দশটায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এক মিনিটের জন্যে প্রতিকী ব্ল্যাক আউট করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে জুনায়েদ নামে ছয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৩ জুন সোমবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর আরিফাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত জুনায়েদ (৬) উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর আরিফাইল এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাস জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিশু জুনায়েদ বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। গোসলের একপর্যায়ে পুকুরের পানিতে ডুবে যায় জুনায়েদ। পুকুরে তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার পরিবারে লোকজন। একপর্যায়ে পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় জুনায়েদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে শিক্ষার্থীদের মাঝে দুর্নীতি বিরোধী চেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে সরাইল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১০ জুলাই সোমবার স্থানীয় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বির্তক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহম্মদ সরওয়ার উদ্দিন।
সরাইল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহিদ খালিদ জামিল খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু মিয়া, সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার, সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক মমিন হোসেন, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ইসমত আলী ও সাংবাদিক সফিকুর রহমান।
প্রতিযোগীতায় উপজেলার সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়, শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শাহজাদাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও পাকশিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, প্রধান শিক্ষক শেখ সাদী।
প্রতিযোগিতায় অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রানারআপ হয়। অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দলের প্রধান নাদিরা আক্তার শ্রেষ্ঠ বক্তার গৌরব অর্জন করে। প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।