বর্তমান সরকার মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক কাজ করছে : মোকতাদির চৌধুরী এমপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 25 July 2023, 815 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ, এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও সফল মৎস্য চাষিদেরকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে মৎস্য সপ্তাহ এর উদ্বোধন করা হয়।

এতে জেলা প্রশাসক শাহাগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাাদির চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক কাজ করছে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে মাছ বিদেশে রফতানি হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরামুল্লাহ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাজমহল বেগম। এ সময় সফল মৎস্য চাষীদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের হয়।

র‌্যালি শেষে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সংলগ্ন কুরুলিয়া খালে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।

Leave a Reply

ভারতকে অবশ্যই আওয়ামী লীগের লেন্স দিয়ে…

অনলাইন ডেস্ক : ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস…

চলারপথে রিপোর্ট : ৩৩ তম আন্তর্জাতিক ও ২৬ তম জাতীয় Read more

আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু

চলারপথে রিপোর্ট : ২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন ধান ও চাল সংগ্রহ Read more

সরাইলে ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়ে বাজেয়াপ্ত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ Read more

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ভারতে বাংলাদেশের পতাকার অবমাননা, Read more

সরাইলে জাল টাকার নোটসহ গ্রেফতার ২

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইলে জাল টাকার নোটসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে Read more

নবীনগরে টিকটক বানাতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে টিকটক করতে গিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ Read more

উঠান বৈঠক

চলারপথে রিপোর্ট : জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও সম্প্রচার Read more

আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় ২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন Read more

৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হলো

অনলাইন ডেস্ক : দেশের কল্যাণ, নিরাপত্তা, মুক্তি ও শান্তি কামনা Read more

নাটক থেকে বিদায় নিলেন ফারিয়া শাহরিন

অনলাইন ডেস্ক : ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে Read more

যাকে বিয়ে করতে চান জানালেন ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক : দেশের মডেল ও অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা Read more

কালোবাজারির টিকিটে রেল ভ্রমণ, চেকিংয়ের জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিট!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 15 March 2023, 1009 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
১ মার্চ থেকে চালু হয়েছে ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন পদ্ধতি। এই নিয়মে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে টিকিট ক্রয় করতে হয়। তবে, নতুন এই নিয়ম চালুর দুইদিন পর আসন বিহীন টিকিট ক্রয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের বাধ্যবাধকতা বাতিল করেছে রেলওয়ে। এতোকিছুর পরও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি। বরং নতুন নিয়মের সঙ্গে সঙ্গে টিকিট কালোবাজারিতেও এসেছে নতুনত্ব।

banner

মূলত টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে এই নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এতেও প্রতিরোধ করা যায়নি রেলওয়ের টিকিটের কালোবাজারির স্বর্গ হিসেবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে। কালোবাজারিরা বিভিন্ন জনের আইডি দিয়ে টিকিট কেটে চড়া দামে সেগুলো বিক্রি করছেন সাধারণ যাত্রীদের কাছে। পাশাপাশি যাত্রীদের একটি স্ট্যান্ডিং টিকিট নিতে বলছেন, যেন চেকিংয়ের সময় সেটি দেখাতে পারেন।

১৪ মার্চ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতোই স্টেশনের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন টিকিট কালোবাজারিরা। কয়েকজন উচ্চস্বরে ডাকছেন- ‘ঢাকা-ঢাকা, চট্টগ্রাম-চট্টগ্রাম’ বলে। তাদের কাছে টিকিট কিনতে আসছেন যাত্রীরাও। কিন্তু টিকিট বিক্রির সময় নতুন পদ্ধতিতে শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন কালোবাজারিরা। তাদের তৈরি নিয়মে আসনসহ টিকিটের সঙ্গে আসন বিহীন টিকিট নিতে হচ্ছে যাত্রীদের।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় ট্রেনের শোভন আসনের ভাড়া ১৪৫ টাকা এবং এসি ২৭০ টাকা। কালোবাজারিরা প্রতি শোভন আসনের টিকিট বিক্রয় করছেন ৪০০ টাকা। এছাড়া এসি আসনের টিকিট ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রয় করছেন তারা।

সামিয়া আক্তার নামের ঢাকাগামী এক ট্রেনযাত্রী জানান, পারিবারিক একটি কাজে দ্রুত ঢাকা যেতে হচ্ছে। কাউন্টারে টিকিট শেষ হয়ে গেছে। বাসে যেতেও অনেক সময় লাগে। রেলস্টেশনে দেখলাম ব্ল্যাকাররা (কালোবাজারি) টিকিট বিক্রি করছেন। সন্ধ্যার মহানগর ট্রেনের টিকিট নিয়েছি ৪০০ টাকায়। এর সঙ্গে একটি স্ট্যান্ডিং টিকিট কিনতে বলেছেন তারা। ট্রেনে চেকিং করলে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেখাতে বলেছেন।
মহিবুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী বলেন, বাসে যেতে অনেক সময় লাগে। তাই ঢাকায় যেতে হলে সবসময় ট্রেনেই যাতায়াত করি। নতুন নিয়মে আমিও রেজিস্ট্রেশন করেছি। কিন্তু কাউন্টারে টিকিট শেষ। বাধ্য হয়ে ব্ল্যাকারের কাছ থেকে টিকিট নিয়েছি। শুধু একটি স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটতে বলছে। মোবাইল কোর্টে ধরলে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেখাতে বলেছে। আসনসহ টিকিট যেন না দেখাই, তাও বলে দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টিকিট কালোবাজারি জানান, নতুন পদ্ধতিতে সরাসরি আমরা টিকিট নিতে পারি না। আলাদা আলাদা পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। যার আইডি কার্ড দিয়ে টিকিট কাটে, তাকে প্রতি টিকিটে ১০০ টাকা করে দিতে হয়।

তবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক হাতেম আলী ভূইয়ার কাছে দাবি করেন, নতুন নিয়মে কালোবাজারিরা টিকিট কিনতে পারেন না। এখন কালোবাজারি নেই স্টেশনে। কিন্তু স্টেশনে কালোবাজারি আছে- এমন প্রমাণ থাকার কথা জানালে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি সমন্বয় পরিষদ- জেলা শাখার সভা অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 17 January 2024, 458 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আজ সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: ড: অফিস (পুরাতন কাচারি পুকুরের উত্তর পাড়) প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার এক গুরুত্বপূর্ণ সভা সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি এম. আবদুল বাছেদের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী হাফিজুল ইসলাম (নাছু) এর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন।

banner

সভায় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাটি ও মানুষের নেতা, উন্নয়ন ও নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রূপকার মাননীয় সাংসদ (সদর-বিজয়নগর) র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল কর্মচারীদের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মতি ও অনুমতি সাপেক্ষে জেলার সকল কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এক বিশাল সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিষয়ে সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, (চেয়ারম্যান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল)কে সার্বিক সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষক ও ব্যবস্থাপনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- মোঃ মোস্তাক আহমেদ, প্রদোষ কান্তি দাস, শাহীনুর রহমান, আমীর আহমেদ ভূইয়া, আব্দুল মোতালেব, কামাল উদ্দিন, মোঃ আবু কাউছার, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ আবু নাছার, রোটারিয়ান মোঃ আশরাফ আহমেদ, মোঃ হেদায়েত উল্লা, মাসুকুল আলম, সুজন জীব চাকমা, এনামুল হক, আশরিকা হক মৃধা, ইনামুল হক, এম এ মোনেম, জাহানারা বেগম, মোঃ হিরন খান, মতিয়া চৌধুরী, মোঃ ইসমাইল, মোঃ ফজলুল হক, নিগার সুলতানা, আবেদ হোসেন, শাহ মাহমুদা ইয়াছমিন আক্তার, মোঃ জাফর সাদেক চৌধুরী, মোঃ রকি মিয়া, মুখলেছ সরকার, বিশ্বজিৎ কর্মকার, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ শফিকুল ইসলাম, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, মোঃ আবুল কাশেম মাস্টার, মোঃ জামাল উদ্দিন, নাজির আহমেদ ভূইয়া, মোঃ আবু সায়েদ প্রমুখ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ২২টি সরকারি দপ্তরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সভাশেষে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন সংগঠনের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোঃ আব্দুল্লাহ।

সভায় আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং শনিবার সংগঠনের বার্ষিক বনভোজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মেধাবৃত্তি ও পুরষ্কার বিতরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 27 February 2024, 493 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের আয়োজনে মেধাবৃত্তি ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে বিজেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম,এ, এইচ,মাহবুব আলম।

পরিষদের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, রামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক মোঃ শাহাদত খাঁন,বিজশ্বর আবদুল মোনেম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম, বিশিষ্ট সমাজসেবক কাজী সেলিম রেজা প্রমুখ। পরে অতিথিরা পুরষ্কার বিতরণ করেন।

আওয়ামীলীগের পতন থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহবান : ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 10 August 2024, 245 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন একদিকে যেমন মুক্তি, তেমনি সকলের জন্য একটি শিক্ষা বলেও উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।

banner

আজ ১০ আগস্ট শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউটস্থ নিজ বাসভবন আয়োজিত রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা পরিহার এবং শান্তি সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বানে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, জনগণই হচ্ছে রাজনৈতিক দলের শক্তি। আওয়ামীলীগ সরকারের পতন থেকে শিক্ষা না নিয়ে জনবিচ্ছিন্ন হলে আমাদেরও পতন হবে। তাই জনবান্ধব রাজনীতি করতে দলের সকল নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এই আন্দোলনের মাধ্যমে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিজয়ের আনন্দে কিছু সুযোগ সন্ধানি অপশক্তি বিভিন্ন সংঘাত, ভাংচুর, লুটতরাজ, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবও ভাংচুর করা হয়। এসব অপকর্মের সাথে বিএনপি বা অঙ্গসংগঠনের কোন নেতাকর্মী কোনোভাবেই সমর্থন বা প্রশ্রয় দেয় না। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগের দীর্ঘ শাসনের সময় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবর্ণনীয় জুলুম ও নির্যাতনের শিকার। তিনি আরো বলেন, আমি নিজেও ১৫ বছরে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। কিন্তু আমি কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। কিন্তু বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তাই জেলাবাসীর শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নিদের্শ দেন। তিনি সংখ্যালঘু, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবীসহ ভিন্ন মতের রাজনৈতিক কর্মীদেরও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা জানান। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরণের হুমকী বা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিএনপির নেতাকর্মীদেরও সহযোগিতা নেয়ার আহ্বান জানান।

মতবিনিময়কালে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, এডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক, শহর বিএনপির সাবেক আহবায়ক জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, মঈনুল হোসেন চপল, সহ জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 26 September 2024, 187 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি।
গত মঙ্গলবার পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একই দিনে এর সঙ্গে আরো দুটি পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অন্য দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই।

banner

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে গত ৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ ও ৩০ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৭৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।

এই স্বীকৃতির ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমূর্তি বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এতে গুণগত পরিবর্তন ও বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রও তৈরি হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

ভোলার দুই শ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহিষের দুধের কাঁচা দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ভোলার জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৫৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মহিষের দুধের কাঁচা দই জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।
সাগর আর নদীবেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষের জীবনমানে রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। খাবারেও রয়েছে নিজস্বতা। এরই অংশ হিসেবে এ জেলা দীর্ঘকাল ধরে পরিচিতি পেয়েছে মহিষের দুধের কাঁচা টক দই, যা স্থানীয়ভাবে ‘মইষা দই’ নামে পরিচিত। ভোলা জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী জানান, বিষয়টি ভোলাবাসীর জন্য আনন্দের।
এ স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ভোলায় মহিষ পালনকারী ও দই উৎপাদনকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, ‘ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দইয়ের যে স্বীকৃতি সেটি অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই ভোলার ঐতিহ্য। এটি অন্য জেলার হতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করে এটি ফিরে পেয়েছে।

জিআই-৫৫ নম্বরে এটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। ভোলাবাসী এটি নিয়ে গর্বিত। এর মাধ্যমে এটির বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলেছে। জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রথমত এই পণ্যটি ভোলার বলে চিহ্নিত হলো। দ্বিতীয়ত, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা বাড়ল। এই দধি এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি করা যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে দধি উৎপাদনে মানের উন্নতি হবে। কেননা জিআই স্বীকৃতি পণ্যের মান নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে।’

পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দধিসহ তিনটি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তর থেকে এসংক্রান্ত তিনটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, বাকি দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই। আরো বেশ কয়েকটি পণ্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও তারা এখনো সার্টিফিকের ফি জমা না দেওয়ায় তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়নি। সেগুলো খুব দ্রুত হয়ে যাবে।’