চলারপথে রিপোর্ট :
এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২৮ জুলাই, শুক্রবার।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি। পরে প্রধানমন্ত্রী অনলাইনে এ ফলাফল প্রকাশের ঘোষণা দেবেন।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, শুক্রবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে অনলাইনে পরীক্ষার ফলাফল পেয়ে যাবে। ঘরে বসেই রেজাল্ট ওয়েবসাইট ও এসএমএস’র মাধ্যমে পেয়ে যাবে তারা।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, এইদিন মাতৃভাষা ইনিস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করবেন শিক্ষামন্ত্রী ড.দীপু মনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল শুরু হয়। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী। এ বছর মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এরমধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪ টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৭১৬টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৮৫টি। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে মোট কেন্দ্র ৮৫০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৯২৭টি। এবার মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
এবছর পূর্নবিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হামলা, সংঘাত ও সংঘর্ষের প্রতিটি ঘটনার তদন্তে আবারও জাতিসংঘ (ইউএন) ও অন্যান্য দেশের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাদের দক্ষতার মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই প্রত্যেকটি জিনিসের তদন্ত হোক। কারণ, এর পেছনে কী কীভাবে, কী কী ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্তে বেরিয়ে আসুক। আমি জাতিসংঘের কাছেও আবেদন করেছি, তারা যেন তাদের বিশেষজ্ঞ পাঠায়, অন্য কোনো দেশ যদি চায়, তারাও যেন বিশেষজ্ঞ পাঠায়। কারণ, আমি চাই এই ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে–ই দায়ী থাক, আমাদের তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আজ ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথাগুলো বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষক লীগ (বিকেএল) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সাম্প্রতিক সহিংসতায় বহু মানুষের প্রাণহানি ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের আড়ালে জঙ্গিরা তাদের হিংসার দাঁত দেখিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর সহ্য করা হবে না। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য দেশব্যাপী তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গড়ব আর তারা সব ধ্বংস করে, লন্ডভন্ড করে দেবে, আমার দেশের মানুষকে কষ্ট দেবে, মানুষ ভুক্তভোগী হবে, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা, এটাই তো আমি দেখি তাদের সব থেকে বড় জিনিস।’
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই বলে নিজের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান হবে না।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন, জামায়াত ও শিবির আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে এবং নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘সবাইকে এ লক্ষ্যে সতর্ক থাকতে হবে এবং আমি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন ধ্বংসস্তূপে রূপ নেওয়ার আগে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদের সঙ্গে সহনশীল আচরণ করেছে। তারা মিছিল করে যেখানে যেতে চেয়েছে, তাদের সেখানে যেতে দিয়েছে। তিনি নিজেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদরত শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ওপর সরকারি সংস্থার হামলার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকায় যেভাবে মেরেধরে শিক্ষকদের রাস্তার ওপর ফেলে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে হার্ডলাইনে গিয়ে আন্দোলন দমন করেছিল, তাঁর সরকার সে পথে যায়নি এবং শক্তিও প্রয়োগ করেনি; বরং তাদের দাবি মেনে নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশব্যাপী মিথ্যা অপপ্রচার সমানে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি ক্ষমতায় থেকে মানুষের জীবন নেব, সেটা তো কখনো হতে পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারপরও আজ বাংলাদেশে এতগুলো প্রাণ যে ঝরে গেল, এর দায়দায়িত্ব কার? একটা জিনিস গেলে আবার গড়ে তোলা যায়, কিন্তু জীবন গেলে তো আর ফিরে পাওয়া যায় না।’
এ জন্যই আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বানের পাশাপাশি ঘটনাগুলোর তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট বিচার বিভাগীয় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুর নাহার লাইলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদ ও সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদল কোনো পরামর্শ দেয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটি আজ ১১ অক্টোবর বুধবার দুপুরের পর সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করে। পরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাইবার আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি ওনাদের বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে জনগেণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ হবে। এই সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বজায় রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইন উপমহাদেশে নেই, এমনকি এদেশেও ৫০ বছর ছিল না, সেটি প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, তাদের মূল বক্তব্য ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে তাতে কী পরিবর্তন রয়েছে সে বিষয়ে। আমি সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি। নির্বাচন নিয়ে তারা আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিসিয়ারি সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিসিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। তারা মামলাজট সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছি তা বলেছি।
আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল। সেই পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে। আমি বলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট রয়েছে সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। এই ৩টি জিনিস খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশ অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটা তারা চায়।
সংলাপের বিষয়ে কিছু বলেছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংলাপ হবে কিনা জানতে চাননি। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কি-না, এটা জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না- সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।
অনলাইন ডেস্ক :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, সনাতন ও মুসলমানের কবি ছিলেন না; তিনি ছিলেন মানব জাতির কবি। তিনি মানবতার কথা বলে গেছেন।
তাঁর সাহিত্যের মধ্যে সবকিছু পাই। তাঁর প্রতিভা উপলব্ধি করতে হলে তাঁর সৃষ্টিকে প্রত্যক্ষ করতে হবে।
২৫ মে বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত গাহি সাম্যের গান মঞ্চে ১২৪তম নজরুল জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে নজরুল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দক্ষ কূটনৈতিকতায় ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি নজরুলকে স্বাধীন বাংলাদেশে আনেন এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেন। বঙ্গবন্ধুই কবি নজরুলকে ধারণ করে আমাদের মুক্তির চেতনায় স্থান দিয়েছিলেন, তার প্রমাণ পাই। জাতীয় কবি নজরুলের আলোচনা করতে গেলে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম আলোচনায় আসে। সাহিত্যের মধ্য দিয়ে একটি জাতিকে কীভাবে জাগ্রত করা যায়, সেটি তাদের দু’জনের সাহিত্য কর্মে ফুটে উঠেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের চাওয়া-পাওয়াকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’-এটিকে জাতীয় সঙ্গীত এবং নজরুলের ‘চল চল চল ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’ এটিকে রণ সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের দু’জনকেই সম্মানিত করেছেন। আমরা নজরুলের সাহিত্য চর্চাকে ছড়িয়ে দিয়ে তার প্রতি সম্মান দিতে পারব। সেই লক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিকাশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারী, রেজিস্ট্রার
কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রামিম আল করিম, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ‘নজরুলের কাব্য প্রতিভার উন্মেষ ও বিকাশ’ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ১২৪তম নজরুল জন্মজয়ন্তী-২০২৩ উদ্যাপন অনুষ্ঠানটি সদ্যপ্রয়াত কল্যাণী কাজীকে উৎসর্গ করা হয়।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৭ জুন থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে। ফলে ২৭-৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি ভোগ করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। আজ ১৯ জুন সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি এক দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল। সরকারি ফোরামের সুপারিশের পাশাপাশি বেসরকারি ফোরাম যাত্রী কল্যাণ সমিতিও একদিন ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল।
২০২৩ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ২৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি। ১ জুলাই শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৯ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে। ফলে সাধারণ ছুটি পড়বে চারদিন। আর একদিন বাড়ানো হলে সাপ্তাহিক ছুটিসহ তা পাঁচ দিন হবে। সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে ডেস্ক :
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ২৯ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
আজ ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন হাইকোর্ট।
আদালতে বজলুর রশীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও আইনজীবী মাসহুদুল হক। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক।
গত বছরের ৩ নভেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২ নভেম্বর বজলুর রশীদ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন। পাশাপাশি জামিনের আবেদন করেন তিনি।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এ ছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।