চলারপথে রিপোর্ট :
কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নবীনগর উপজেলায় কয়েক বছর ধরে ওল কচুর আবাদ হচ্ছে। খরচ কম কিন্তু ফলন বেশি হওয়াতে কৃষক বসত বাড়ি কিংবা ফলজ বাগানে সীমিত পরিসরে আবাদ করছে। ইব্রাহীমপুর ব্লকের ওল চাষী মোখলেছ মিয়া বলেন- আগে নবীনগরে বাণ্যিজিক ভাবে ওল কচু চাষাবাদ দেখিনি, আমি এ বছর চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাকে বীজ, সার ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
ইতিমধ্যে অনেকেই ওল চাষে আগ্রহী। ওল কচুর পাশাপাশি বীজ বিক্রি করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি। বড়িকান্দি ব্লকের কৃষক আজিজ মিয়া জানান- ওল কচু আমাদের এলাকায় নতুন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই নতুন ফসল আবাদ করেছি। ২০ শতক পরিত্যক্ত উচু জমিতে আবাদ করেছি এখন পর্যন্ত গাছের বৃদ্ধি ভালো। নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে- ওল কচু গাছে তেমন কোন রোগ হয় না, তবে পাতা ও কচু পঁচা রোগ দেখা যেতে পারে, ওল কচুর ক্ষেত্রে কীট পতঙ্গ তেমন কোন সমস্যা হয় না। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার, গোড়া মাটি উঁচু করে দেয়া ও খড় বা আচ্ছাদন দিয়ে মাটি ঢেকে দিলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। জৈব সার ব্যবহার করা ভাল। তবে রাসায়নিক সার যেমন- ইউরিয়া, পটাশ, টিএসপি ও কিছু দেওয়া যায়। গাছ লাগানোর ৭-৯ মাস পর যখন ৮০% গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাবে, তখন ওল সংগ্রহ করতে হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান- কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্র্রকল্পের আওতায় আমরা নতুন জাতের কন্দাল ফসল জনপ্রিয় করার জন্য প্রদর্শনী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকি। ওল কচু চাষের জন্য ফেব্রুয়ারি – এপ্রিল পর্যন্ত ভাল সময়, এর পর রোপণ করলে ফলন কমে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন সরকারি খাল ও জমি থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কেটে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাটি অন্য উপজেলায় বিক্রি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়েছে।
এসময় গতকাল মঙ্গলবার রাতের আধাঁরে গুচ্ছ গ্রামে ইউএনও একরামুল ছিদ্দিকের নেতৃত্বে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ারের সহযোগিতায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান কালে, উপজেলার বাশারুকের আব্দুর রহমানের ৪টি ড্রেজার ও গাঙ্গেরকোর্টের মোমেনের ২টি ভেকুর ব্যাটারি জব্দ সহ ২ জন ড্রাইভার কে আটক করা হয়। এরমধ্যে দু’জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অপর দু’জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক বলেন, অবৈধ ভাবে মাটি পাচার ও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটিকাটার সময় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৪টি ড্রেজার মেশিন, ২ টি ভেকুর ব্যাটারি,কিছু পাইপ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ড্রেজার প্রশাসনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার উপজেলা ফ্রেন্স ফোরামের উদ্যোগে ৭ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় নবীনগর প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাব সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামলের সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন যায়যায়দিন পত্রিকার নবীনগর প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু কামাল খন্দকার, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিনাজ, নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য তাজুল ইসলাম মনা, মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য পিয়াল হাসান রিয়াজ, সাংবাদিক খানজাহান আলী চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা শেষে কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার থেকে লিজা নামের এক প্রসূতির এক নবজাতক গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
২১ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
লিজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার আলেয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী।
স্বজনদের দাবি, বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় লিজার গর্ভে দুটি সন্তান আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও সিজারিয়ান অপারেশনের পর তাকে একটি নবজাতক দেখানো হয়েছে।
লিজার স্বামী ফরহাদ আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রী প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হলে উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেসময় আলট্রাসনোগ্রাফিতে আমার স্ত্রীর গর্ভে দুটি সন্তান দেখা গেছে বলে জানান চিকিৎসকরা। সবশেষ ১৮ এপ্রিল করা আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে গর্ভে দুটি সন্তান আসে। আজ আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা ওঠে। যমজ শিশু গর্ভে থাকায় স্থানীয় চিকিৎসকরা ঝুঁকি না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে হাসপাতালে এনে সিজার করাতে পরামর্শ দেন।
‘দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে তাকে শহরের খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে ডা. নওরিন পারভেজ আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। ওই রিপোর্টেও দুটি সন্তান দেখা যায়। পরে তিনি নিজেই লিজাকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান, আমার স্ত্রী একটি কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর কোনো সন্তানের কথা তারা জানাতে পারেননি।’
ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, নবীনগরে আলট্রাসনোগ্রাফিতে দুটি সন্তানের কথা জানিয়েছে। এখানে তাদের চিকিৎসকও দুটি সন্তানের কথা জানান। তাহলে আমার আরেক সন্তান গেলো কোথায়?’
এ বিষয়ে খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক নওরিন পারভেজ বলেন, ‘আমি দুই জায়গায় হার্টবিট পেয়েছি। অনেক সময় আমাদের দেখা এবং অনুমানে ভুল হতে পারে। সে অনুযায়ী আমি রিপোর্ট দিয়েছি। তবে সিজারিয়ানে গর্ভে একটি সন্তান পাওয়া গেছে।’
হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মার্শাল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা রোগীর অভিভাবকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি এটা মেডিকেলের বিষয়। কিন্তু তারা চেঁচামেচি করে গরম করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে প্রশাসনকে ডেকেছি।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ নম্বর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেহাবুর রহমান বলেন, শিশুর বাবার অভিযোগ, আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে দুই শিশু ছিল। হাসপাতালের চিকিৎসকও আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে দুই শিশু দেখেছেন। কিন্তু সিজারে এক শিশু পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাভারের আশুলিয়ায় ডাকাতের গুলিতে একটি কারখানার এক সিকিউরিটি গার্ড নিহত হয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের মারধরে আহত হয়েছেন আরো একজন। নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম আব্দুল কাদের (৫৮)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বাসিন্দা।
আজ ১৪ জানুয়ারি রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়ার কুটুরিয়া উত্তরপাড়া এলাকার আমির দেওয়ানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
কুটুরিয়া এলাকার একটি কারখানায় নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তারা মাথা ও গলাসহ বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় ফারুক দেওয়ান বলেন, মজিবর দেওয়ানের ভাই আমির দেওয়ানের বাড়ির পেছনের গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাত দলের তিন সদস্য। পরে আমির দেওয়ান ও ডাকাতের মধ্যে ধস্তা ধস্তি হয়। এ সময় আমিরের ভাই মজিবর বুঝতে পেরে চিৎকার করলে তার ছেলে জানালা দিয়ে ডাকাতদের দেখতে পায়। এ সময় শটগান দিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে মজিবরের ছেলে। ডাকাতরাও গুলি ছোড়ে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হলে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে চিৎকার দিয়ে ও বাড়ির দিকে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, যাওয়ার সময় মামুন দেওয়ানের বাড়ির সামনে ওই নিরাপত্তাকর্মীকে দেখে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। এ সময় নিরাপত্তাকর্মী আহত হলে তাকে সাভার এনাম মেডিক্যালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিলে তিনি মারা যান।
আশুলিয়া থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বাড়িওয়ালা ও ডাকাতের মধ্যে ধস্তাধস্তির পর গুলি বিনিময় হয়। ডাকাতির বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে আশুলিয়ার থানা পুলিশ।
আশুলিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জোরপূূর্বকভাবে ‘পদত্যাগ’ করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার প্রভাবশালীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ঘটনায় অধ্যক্ষকে স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা এলাকায় বিক্ষোভ করে আন্দোলনে নেমেছে।
এদিকে এ ঘটনার পর আজ ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্বিগ্ন প্রধান শিক্ষকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাথে দেখা করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এর প্রতিকার চেয়েছেন।
এ বিষয়ে নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউছার বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলার সকল শিক্ষকদের নিয়ে মানববন্ধন করে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, উপজেলার কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজে রবিবার আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম খানের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী লোক অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে জানতে চান, আমরা কেন আসছি আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন? জবাবে অধ্যক্ষ ‘না’ বলার পরই তারা উচ্চস্বরে চেঁচিয়ে তাকে এক্ষুণি পদত্যাগ করতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
অধ্যক্ষ তখন বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ইউএনওর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও আগত ব্যক্তিরা তাকে সেই সময়টুকু দিতে চাননি। এক পর্যায়ে লোকজনের প্রচন্ড চাপে পড়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদাউসুর রহমান একটি সাদা কাগজে ‘পদত্যাগ’ করে কলেজ থেকে চলে যান।
গভর্ণিং বডির সভাপতি বরাবর লেখা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ওই পদত্যাগপত্রে অবশ্য কোনো ধরণের কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিদ্যালয়ের সামনে স্লোগান দিতে থাকে। গত সোমবারও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পুনর্বহালের দাবিতে এলাকায় দিনভর বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভের সঙ্গে বলে, সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের প্রিন্সিপাল স্যারকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা স্যারকে স্বপদে বহাল দেখতে চাই। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলবে।
এ বিষয়ে ফেরদাউসুর রহমান বলেন, জাহাঙ্গীর আলম খানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বহিরাগত তখন আমাকে পদত্যাগের জন্য ধমকাচ্ছিলেন। তাদের সাথে কোন শিক্ষার্থী ছিলো না। এদের মারমুখী আচরণে আমি এক পর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে বাধ্য হয়ে সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র লিখে দেই। নয়তো আমাকে ওরা তখনই প্রাণে মেরে ফেলতো। বিষয়টি পরে ইউএনও মহোদয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে পদত্যাগে বাধ্য করানো নেতৃত্ব দেয়া জাহাঙ্গীর আলম খানের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। তবে ওইদিন পদত্যাগে বাধ্য করানো লোকদের মধ্যে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একজন দুর্নীতিবাজ। তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তার এক যুগের আমলের রেজাল্ট দেখলেই সেটি বুঝা যাবে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে তার পদত্যাগ চাইছিলেন।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাকে এই পদত্যাগ করানো হয়েছে বলে শুনেছি। তবে সরকারি পরিপত্র জারির পর জোরপূর্বকভাবে এ ধরণের পদত্যাগ গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।