চলারপথে রিপোর্ট :
সারা দেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৫৩ জন আক্রান্ত ব্যক্তি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখনও কারো মৃত্যু হয়নি।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের স্বজন ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো মশক নিধনের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ না ছেটানোর কারণে বিভিন্ন বর্জ্য, নালা ও ড্রেনে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বাড়ছে। এর ফলে জেলায় অনেক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ্ বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত ১৪০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৭ জন সুস্থ হয়েছে এবং ৭৩ জন রোগী জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেশি। এছাড়া আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে শহরে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত রবিবার থেকে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা-ঘাট।
কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি রাস্তা উপচে বিভিন্ন দোকান-পাট ও বাড়ি-ঘরে ঢুকে পড়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। শহরের অধিকাংশ ড্রেনগুলো ময়লায় আটকে আছে। দিনের পর দিন পার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এসব ড্রেন পরিষ্কার করার তেমন কোনো উদ্যোগ নেয় না। সে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয় মাঝে মধ্যে পৌরসভার কিছু কর্মীদের ড্রেনগুলোকে নামমাত্র পরিষ্কার করতে দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন মহল্লায় থাকা খাল, নালা এবং পুকুর প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে ভরাট করে ইমারত নির্মাণ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের হালদারপাড়া, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, লোকনাথ উদ্যানের (টেংকের পাড়) সামনের রাস্তা, পাইকপাড়া রামকানাই হাই একাডেমির সামনের রাস্তা, মেড্ডা সিও অফিসের মোড়, মেড্ডা পোদ্দার বাড়ির সামনের রাস্তা, মেড্ডা আরামবাগ, নোয়াপাড়া, কাউতলী থেকে মৌড়াইল জেলা পরিষদের সামনের রাস্তা, কালাইশ্রীপাড়ার রাস্তা, কালীবাড়ি মোড় থেকে পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড, কুমারশীল মোড়, ফুলবাড়িয়ার রাস্তাসহ একাধিক এলাকায় রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। শহরের বেশিরভাগ জায়গায় হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোথাও গোড়ালি পর্যন্ত পানি। আবার কোথাও কোথাও বাড়ি ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ওই সব এলাকার শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
শহরবাসীর অভিযোগ পৌরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তবে, পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি মানুষের সচেতনতার অভাবে শহরে বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে। তাদের দাবি পর্যাপ্ত ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও শহরের বিভিন্ন মহল্লার কিছু কিছু মানুষ তাদের বাসা বাড়ির বর্জ্য ডাস্টবিনে না ফেলে ড্রেনে ফেলে দেওয়ায় ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যার দরুন শহরে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদদুস বলেন, ফুলবাড়িয়া এলাকায় একটি ক্যানেল তৈরি করা হয়েছিল সেটি দিয়ে পানি টাউন খালে নেমে যেত। ফোরলেন কাজের সময় সেই ক্যানেলটি বন্ধ করে দিয়েছে তাই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই পানি নেমে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মোঃ সাজিদুর রহমান বলেছেন, ‘মুসলিমদের চরম শত্রু হচ্ছে ইহুদিরা। তারা সারা বিশ্বের অশান্তির কারণ। ইসরাইল ৭০-৮০ বছর ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি মুসলমানরা আল-আকসাকে রক্ষা করতে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছে। আফগানিস্তান থেকে যেভাবে রুশ বাহিনী পলায়ন করেছে ফিলিস্তিন থেকেও ইসরাইল পলায়ন করবে।
তিনি ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দখলদার ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনতার পক্ষে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি আয়োজিত সংহিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে জামিয়া ইউনুসিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মোবারক উল্লাহর সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সংহতি সমাবেশে জামিয়া ইউনুসিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ও হেফাজতে ইসলামের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতির শাখা ও দলীয় আধিপত্যের অপচেষ্টা শিক্ষা ধ্বংসাত্মক- জীবন ধ্বংসাত্মক -দেশ ধ্বংসাত্মক অপরাধ ও গুন্ডাতন্ত্র মাত্র” বললেন- আল্লামা ইমাম হায়াত (মানবতার রাজনীতির প্রবর্তক)। শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতির শাখা ও দলীয় আধিপত্য বন্ধ ও নিষিদ্ধের দাবিতে বস্তুর উর্ধে মানব সত্তা ও মানবতার রাজনীতির প্রবক্তা আল্লামা ইমাম হায়াত এর দিকনির্দেশনায় আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার- সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন পালন করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব ( humanity revolution) স্টুডেন্ট ফ্রন্ট এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে শেখ রাসেল এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন- মঞ্জু আহমেদ (আহবায়ক ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা)। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্টের উপদেষ্টা সদস্য আশরাফুল হক সুমন, নজরুল ইসলাম, শাহজাদ ভূইয়া, সালমা সাফিরাহ্।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এস এম শাহিন, শরীফ মৃধা, রাহিম রায়হান, সাদিয়া জাহান রিতা, শেখ রোমাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে মানবতার রাজনীতির প্রবক্তা আল্লামা ইমাম হায়াত এর দেওয়া লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, আমরা সকল বস্তুর ঊর্ধ্বে স্রষ্টার নামে স্রষ্টার আলো মহান রাসুলের আলোকে জীবনের আত্মিক সত্যভিত্তিক ও সকল একক গোষ্ঠীবাদি ধর্মবাদি জাতিবাদি অপরাজনীতি বিরোধী মানবতা ভিত্তিক রাজনৈতিক দল বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব সকল সর্বজনীন প্রতিষ্ঠানে দলীয় রাজনীতির শাখা মারাত্মক ক্ষতিকর ও অনধিকার অন্যায় মনে করি।
আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব মানবতার রাজনীতিকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য বিষয় এবং অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে উপলব্ধি করি।
আমাদের বিশ্লেষণ ও উপলব্ধি এই যে- প্রাকৃতিক শক্তির পর রাজনীতিই জীবন, সম্পদ ও দুনিয়ার প্রধান নিয়ন্ত্রক ও চালিকা শক্তি বিধায় মানুষ দাবি করে অরাজনৈতিক হওয়া যায়না। অরাজনৈতিক হওয়া কিম্বা মানবতা বিরোধী কোনো একক গোষ্ঠীবাদি অপরাজনীতির অংশ হওয়া দুইটাই জীবন বুঝতে অক্ষমতা। নির্দলীয় হওয়া আর অরাজনৈতিক হওয়াও এক নয় ভিন্ন বিষয়।
আরো বলেন, আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব যে কোনো মানুষের জন্য জীবনের যে কোনো স্তরে অরাজনৈতিক হওয়া যেমন জীবন অস্বীকার হিসেবে উপলব্ধি করি তেমনি জীবনবিরোধী মানবতাবিধ্বংসী অপরাজনীতিকেও জীবন ধ্বংসাত্মক ও মানবতা ধ্বংসাত্মক বিষাক্ত আঁধার ও মানবতার বিরুদ্ধি অপরাধ উপলব্ধি করি।
আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবন ও মানবতার রাজনীতিকে আলাদা কেও দেখিনা এবং জীবন ও মানবতার রাজনীতি একাকার হিসেবে উপলব্ধি করি।
আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবন ও রাজনীতিকে যেমন আলাদা মনে করিনা তেমনি রাজনীতিও নাগরিকত্বকেও আলাদা মনে করিনা বরং একাকার হিসেবে উপলব্ধি করি।
আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবনের অপরিহার্য মানবতার রাজনীতি বা যে কোনো রাজনীতি আর দলীয় রাজনীতির সাংগঠনিক বিষয়কেও এক নয় উপলব্ধি করি।
আমরা সব মত পথ আদর্শের যার যার রাজনৈতিক দর্শন ও দল নিয়ে চলার অধিকার যেমন স্বীকার করি তেমনি কোনো ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান- সরকার ও রাষ্ট্রের উপর বলপূর্বক কোনো ধর্ম- মত- পথ- মতবাদের রাজনীতি বা দলীয় আধিপত্য চাপিয়ে দিয়ে দস্যুতান্ত্রিক অপরাজনীতি ও জবরদখলের অপরাজনীতিকে চরম ঘৃনার সাথে জীবন মানবতা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চরম ধ্বংসাত্মক অপরাধ মনে করি।
আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবনসত্যের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে জীবনের নিয়ন্ত্রক ও চালিকা শক্তি হিসেবে ও জীবনের ভালোমন্দের সাথে একাকার বিষয় হিসেবে রাজনীতিকে উপলব্ধি করি।
আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সব মানুষের জন্য জীবনের উদীয়মান কাল থেকেই বিশেষভাবে ছাত্রজীবন থেকেই সুরাজনীতি ও কুরাজনীতি বুঝে সুরাজনীতির ধারক হওয়া জরুরী বিশ্বাস করি।
বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ধর্মের নামে একক ধর্মরাষ্ট্রের নামে অধর্ম উগ্রবাদি হিংস্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং একক জাতিবাদি উগ্রবাদি পাশবিক রাজনীতি- এই দুই একক গোষ্ঠীবাদি রাজনীতি জীবনের স্বাধীনতা ও মানবতার বিরুদ্ধে মারাত্মক বিপজ্জনক ও সংঘাতময় এবং জীবনের সকল সংকটের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও বক্তব্যে বলেন, আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব বিশেষভাবে ছাত্রজীবনকে জীবন বুঝার- জীবনের সত্য ও মিথ্যার ধারা বুঝার-জীবনের সুপথ কুপথ বুঝার-জীবনের শত্রু মিত্র চিনার-জীবন ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক বুঝার-জীবনের অধিকার স্বাধীনতা চাওয়া পাওয়া এবং শোষন- বঞ্চণা- রুদ্বতার কারন সকল অপশক্তির অপরাজনীতির ধারা বুঝার ও মানবতার মুক্তির পথ বুঝার জন্য জীবনের একাকার বিষয় হিসেবে এবং জীবন ও মানবতার সুরক্ষা হিসেবে জীবনের প্রাকৃতিক মানবতার রাজনীতির সক্রিয় একাকার ধারক দিশারী হওয়া অক্সিজেনের মত জরুরী মনে করি।
কিন্তু আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় কেন্দ্র, আদালত, রাষ্ট্রীয় বাহিনী, হসপিটাল, অফিস, কর্মস্থল, কল কারখানা, খেলাধুলা সাংস্কৃতিক অঙ্গন ইত্যাদি বিশেষ কাজের বিশেষ স্থান ও সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান গুলোতে কোনো রাজনৈতিক দলের অফিসিয়াল শাখা সংগঠন ও দলীয় সংঘাত, দলীয় আধিপত্য বিস্তার, সরাসরি প্রকাশ্য দলীয় কর্মসূচী পালন করা খুবই ধ্বংসাত্মক অন্যায় অপরাজনীতি মনে করি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের রাজনীতির চর্চা অবশ্যই থাকবে থাকতে হবে তবে সেটা হতে হবে কেবলমাত্র একাডেমিক ও সংঘাতমুক্ত এবং নিরাপদ সৌহার্দ্যমূলক।
প্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের দলীয় সাংগঠনিক মাঠের রাজনীতির কর্মসূচি ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক যা কেবল গুন্ডাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য দলীয় রাজনীতি নয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সব অবাঞ্ছিত সংঘাত ও দলীয় আধিপত্য থেকে মুক্ত না রাখলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসল উদ্দেশ্য ধ্বংস হয়ে অসৎ স্বার্থের বিপজ্জনক হাতিয়ার হয়ে যাবে।
যে কোনো বিষয় ভালো হলেও সব কিছুর যথার্থ স্থান- কাল- পাত্র না বুঝলে ভালো বিষয়ও পরিণতিতে ক্ষতিকর হয়ে যায়।
সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ লক্ষ্যের বিশেষ প্রতিষ্ঠানে পরস্পর দ্বান্দ্বিক ও সংঘাতময় দলীয় রাজনীতির শাখা হলে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা হয়।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতিসংঘ ঘোষতি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ র্অজনে কাজ করা পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্ট-এর অঙ্গীকার; পৃথিবীর সকল বিপন্ন, জীবন্ত ও লুপ্ত ভাষা পুনরোদ্ধার, রক্ষা ও বিকাশে অবদান রাখা অন্যতম অভীস্ট। এ অঙ্গীকার ও অভীস্ট বাস্তবায়ন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সহজতম উপায়ে ক্রীড়া-বিনোদনের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল মাতৃভাষা পৃথিবীর সকল ভাষাভাষী মানুষকে শেখানোর প্রয়াসে পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছে পৃথিবীর র্সবপ্রথম মাতৃভাষা স্কুল।
মাতৃভাষা স্কুলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য বৈচিত্র্যর্পূণ প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর ধারাবাহিকতায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির সাথে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সংযোগ ঘটানোর প্রয়াস চলছে। ভারতের শিল্পকলা বিশেষ করে সঙ্গীত, নৃত্য ও নাটক কাশে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়রে অর্ন্তভুক্ত ভারতের সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয় একাডেমি সঙ্গীত নাটক একাডেমির জেনারেল কাউন্সিলের সদস্য ও মেঘালয়ের শিলং এর গীতাঞ্জলি ডান্স একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মিসেস মনিকা চন্দ পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্টের আমন্ত্রণে ২৮ থেকে ৩০ জুলাই ৩ (তিন) দিনের সফরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছেন। প্রথম দিন ২৮ জুলাই সড়কপথে ও ২৯ জুলাই জলপথে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী স্থান সমূহ অবলোকন করেন।
আজ ৩০ জুলাই রবিবার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের এই বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাইকপাড়াস্থ ট্রাস্টের সহযোগি প্রতিষ্ঠান মাদার ল্যাংগুয়েজ স্কুলের হল রুমে সংবর্ধনা ও শিল্পী মাহমুদ শরীফ খানের পরিচালনায় মসলিন কাপড়ে হ্যান্ড-পেইন্ট শীর্ষক ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। প্রধান সমন্বয়কারী আবু নাসের সবাইকে মাদার ল্যাঙগুয়েজ বোর্ড প্রদর্শন করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে মনিকা চন্দ-এর সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বিনিময়সহ ভারত বাংলাদেশর ভাষা সংস্কৃতি বিষয়ে মত বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য কবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিস এন্ড হারমোনি ট্রাস্ট ও মাদার ল্যাংগুয়েজ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা কবি আনিস মুহম্মদ। সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের হেড অব ক্রিয়েটিভ আশরাফ পিকো।
প্রতিষ্ঠানের হেড অব সিভিক এ্যাঙ্গেজমেন্ট আল আমীন শাহীনের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট শিপন চন্দ্র সিংহ, পৌর কাউন্সিলর মিজান আনছারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি দৈনিক কুরুলিয়ার সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ মানিক মিয়া, ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের পরিচালক ওসমান গণি সজিব, কমরেড নজরুল ইসলাম, তিতাস বার্তার সম্পাদক আব্দুল মতিন শানু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য সচিব সঞ্জিব ভট্টাচার্য, সাংস্কৃতিক সংগঠক হাবিবুর রহমান পারভেজ, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সংঙ্গীত প্রশিক্ষক রওনক সুলতানা পারভিন, অংকুর শিশু কিশোর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আনিছুল হক রিপন প্রমুখ। কবিতা আবৃত্তি করেন রাবেয়া জাহান তিন্নি, শারমীন আক্তার, নুসরাত জেরিন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের নৃত্য পরিচালক জিয়া আমিন এর পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করেন নৌশিন ইকরা, রিধা মনীষা। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত নৃত্য ব্যক্তিত্ব মনিকা চন্দ বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্প্রীতির বন্ধন ঐতিহ্যমন্ডিত। পিস এন্ড হারমোনি ট্রাস্টের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসে আমি খুবই আনন্দিত; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আতিথিয়তায় মুগ্ধ হয়েছি। এখানে এসে আমি ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদী ভ্রমণসহ রসুলপুর ও কুরুলিয়া খাল হয়ে বিখ্যাত উপন্যাসিক অদ্বত মল্ল বর্মণের জন্মভিটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে অবস্থিত উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ কালভৈরর বিগ্রহ ও মন্দির পরিদর্শন করেছি। তিতাস পাড়ের সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ মানুষের আন্তরিক সান্নিধ্য লাভ করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সামাজিক সাংষ্কৃতিক সম্প্রীতির জন্য নিবেদিত এক ঝাঁক তরুণের সাথে আমার সেতুবন্ধন তৈরী হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা আমার জীবনের এক অনন্য অধ্যায় হয়ে থাকবে। শান্তির জন্য ভাষা এই শ্লোগানকে ধারণ করে মাদার ল্যাঙগুয়েজ স্কুলের শাখা সর্বভারতে বিস্তারের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তির জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। তিনি বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্প্রীতির বন্ধন আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দু’দেশের যৌথ নদীভিত্তিক উৎসব করার পরিকল্পনার কথা জানান। এ ছাড়াও আগামী সেপ্টেম্বর-২০২৪খ্রি. মেঘালয়ে অনুষ্ঠিতব্য সংস্কৃতি উৎসবে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা সংস্কার ও কর্মসংস্থানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ১০ জুলাই বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের কলেজ গেইট, কালিবাড়ি মোড়, টি.এ রোডসহ প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি করে।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারি ফাহিম মুনতাসির, সানিউর রহমান, আইরিন মৃধা, প্রহর আচার্য্য, সুস্মিতা দাসসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে বক্তারা বলেন, তাদের এই আন্দোলন সরকার বার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়। বরং মেধাবীদের যোগ্য স্থানে ঠাঁই দিতেই তারা আন্দোলনের মাঠে নেমেছেন।
তারা বলেন, কোটা ব্যবস্থার কারণে মেধাবীরা বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বৈষম্যের শিকার। এতে করে দেশে মেধার সংকট দেখা দিবে। তাই মেধাবীদের মূল্যায়ন করতে দেশ ও জনগনের স্বার্থে কোটা সংস্কার করে ৫% নিয়ে আসা এবং কর্মসংস্থানের দাবি জানান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তারা আন্দোলনের মাঠে থাকার কথা জানান।