চলারপথে রিপোর্ট :
সারা দেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৫৩ জন আক্রান্ত ব্যক্তি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখনও কারো মৃত্যু হয়নি।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের স্বজন ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো মশক নিধনের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ না ছেটানোর কারণে বিভিন্ন বর্জ্য, নালা ও ড্রেনে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বাড়ছে। এর ফলে জেলায় অনেক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ্ বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত ১৪০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৭ জন সুস্থ হয়েছে এবং ৭৩ জন রোগী জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেশি। এছাড়া আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাষা সংহতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণ করা হয়েছে ভারতের আসামের শিলচরের বাংলা ভাষা শহীদদের।
আজ ১৯ মে রবিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিতাস আবৃত্তি সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গভ. মডেল গার্লস স্কুল শহীদ মিনার ও মিলনায়তনে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কমলা ভট্টাচার্য সহ ১১ ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিলো ফুলেল শ্রদ্ধা, কবিকন্ঠে কবিতাপাঠ, একক ও দলীয় আবৃত্তি।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলার প্রবীণতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আবদুল মান্নান সরকার।
প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দাস ও তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক সুজন সরকার ও আবৃত্তিশিল্পী সাদিয়া রহমান বীথির সঞ্চালনায় কবিকন্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি আবদুর রহিম, শিরীন আক্তার, শৌমিক সাত্তার, রুদ্র মুহাম্মদ ইদ্রিস, হেলাল উদ্দিন হৃদয়। একক আবৃত্তি করেন সাহিত্য একাডেমী সদস্য নুসরাত জাহান বুশরা, সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসির, নবীনগর আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র পরিচালক শুভেন্দু চক্রবর্তী, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সদস্য রেজা এ রাব্বী, ফারদিয়া আশরাফি নাওমী, ফাহিমা সুলতানা ও অবন্তিকা চক্রবর্তী। দলীয় পরিবেশনা করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের ছোটদল, মধ্যমদল বালক, বালিকা ও অভিভাবকদল।
স্টাফ রিপোর্টার :
সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নে সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ আজিজুল সঞ্চয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম কাউসার এমরান, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন্নাহার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল এবং জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জ্বালানি খাতের নামকড়া সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বারবার পেছানো হচ্ছে। দীর্ঘ ১১ বছর পেরুলেও আলোচিত এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়নি। এর দায় রাষ্ট্রের ওপরই বর্তায়। সাগর-রুনিসহ দেশে সব সাংবাদিক হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রয়াণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৭ মে শনিবার বেলা ১১টায় ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন দেশপ্রেম ও সততার প্রতীক। উনি যে কাজই করেছেন সেটা দেশের জন্য মানুষের জন্য। উনি রাজনীতি করতেন না। তবে উনার বক্তব্য রাজনীতিকে আন্দোলিত করতো। উনি কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করতেন না। ‘
বক্তারা আরো বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্থান করে নিয়েছেন মানুষের হৃদয়ে। এ পৃথিবী যতদিন বেঁচে থাকবে তিনিও বেঁচে থাকবেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দেশপ্রেমকে অনুসরণ করে আমাদের উদ্বুদ্ধ হতে হবে। ‘
তাঁর সহধর্মিণী শিরিন হক বলেন, ‘জাফরুল্লাহ সাধারণ মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন। এটাকেই তিনি জীবনের বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখেছন। তিনি সব সময়ই সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করতেন। ‘
সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট নাসির মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন শামীমা সিকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন জাফরুল্লাহ’র সহধর্মিণী নারী নেত্রী শিরিন হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড. মুস্তফা মজিদ, অধ্যাপক রাহমান চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামছুজ্জামান চৌধুরী কানন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, তৈমুর রেজা শাহজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, সাথী চৌধুরী, ফেরদৌসুর রহমান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সোনালী কাবিনের কবি খ্যাত আল মাহমুদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী স্মরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার মৌড়াইল কবরস্থানে কবি আল মাহমুদের কবর জিয়ারত ও দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচির শুরু হয়। এ দোয়া অনুষ্ঠানে কবি পরিবারের সদস্য, ভক্ত কবি-সাহিত্যিক ও কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতিপরিষদের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় লোকজন অংশ নেয়। তিন দিনব্যাপী চলবে স্মৃতি পরিষদের স্মরণোৎসব।
শনিবার বিকেলে স্মরণ উৎসবের প্রথমদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মরণ উৎসব উদ্বোধন করেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ. জেড. এম. আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও গবেষক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খাদেম, কবি মনসুর আজিজ, কবি তাজ ইসলাম, কবি রহমান মজিদ, কবি সাদমান শাহিদ। বিশেষ আলোচক ছিলেন কবি ও গবেষক ইমরান মাহফুজ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মো. ইব্রাহিম খান সাদত। কবির এ স্মরণ উৎসবে অংশ নেন কবির ছেলে মীর মোহাম্মদ মনির, মীর মোহাম্মদ আনিস ও বড় মেয়ে আতিয়া আমির, ছোট মেয়ে ফাতেমা মীরজিমি এবং তাদের ছেলে-মেয়েরাও অংশ নিয়েছেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সোনালি কাবিন আল মাহমুদের অমর সৃষ্টি। আর এটি বাংলা সাহিত্যে অনন্য সংযোজন। তারা বলেন, আল মাহমুদ শেকড় সন্ধানী কবি। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি একাধারে ভাষা সৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা। অথচ বিগত সময়ে তার উপর অনেক অবহেলা করা হয়েছে। তার মৃত লাশের সাথে রাজনীতি করা হয়েছে। তারা বলেন, একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আল মাহমুদকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আল মাহমুদকে পাঠ করতে হবে। তাকে ধারণ করতে হবে। বর্তমান প্রজন্মের উচিৎ আল মাহমুদকে বেশি বেশি করে চর্চা করা।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।