অনলাইন ডেস্ক :
অশুভ শক্তির হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন চায় না বরং দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির অপেক্ষায় রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ইতালিতে প্রধানমন্ত্রী তার আবাসস্থলের ফ্যার্নান্দেস হলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বাংলাদেশকে আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চায়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’ খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগেরও সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী সাধারণ নির্বাচনে আবারও তার দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে বলেছেন,‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি নির্বাচন চায় না বরং দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী হবে। বিএনপি জানে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। তাই বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। ভোট কারচুপির কারণে যারা বিতাড়িত হয়েছে জনগণ তাদের ভোট দিতে যাবে কেন?’
শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যার পর কীভাবে তারা ভোট চায়?
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নির্বাচন চায় না। তারা তাদের কিছু বিদেশি প্রভুর পা চাটে এবং তারা চায় দেশের মানুষ তাদের (বিদেশি প্রভুদের) দ্বারা কষ্টভোগ করুক।’
প্রধানমন্ত্রী সকলকে মনে করিয়ে দেন, বিএনপি কখনো দেশবাসীর কল্যাণ চায় না। বরং তারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্য হলো ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। তাই তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের অগ্রগতি ব্যাহত করা।’
র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তাদের দ্বারা আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করেছি। আমরা এর রহস্য বুঝতে পারছি না।’
যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে সমর্থন করেনি তারা এখন বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্নভাবে খেলা খেলতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের খেলতে দেওয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, যে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নস্যাৎ করতে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশেষ করে আইসিটি খাত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং ক্ষুদ্র শিল্পে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি অংশীদারদের সন্ধান করার জন্য তাদের অনুরোধ করেন।
তিনি প্রবাসীদের যে দেশে তারা থাকছে সে দেশের আইন মেনে চলার জন্য এবং বিদেশে চাকরি প্রার্থীদের অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রবাসীদের তাদের পরিবার এবং আত্মীয়দের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখতে উৎসাহিত করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, তার সরকার খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন খাতে তার সরকারের সাফল্য এবং ২০০৯ সাল থেকে দেশের অর্জিত অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জুন মাসের শেষ ভাগে শুরু হবে ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা। এ জন্য দেশের আটটি শিক্ষা বোর্ডের ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি (রুটিন) প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (ঢাকা, রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ) অনুযায়ী ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ২৬ জুন শুরু হয়ে ১০ আগস্ট শেষ হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবে।
এবার ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে। নির্দিষ্ট দিনগুলোয় সকালের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং বিকেলের পরীক্ষা বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এইচএসসি পরীক্ষার ২০২৫ সালের সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে।
২০২৫ সালের এইচএসসির কোন পরীক্ষা কোন দিন
সকালের পরীক্ষা
(সময়: সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত)
# ২৬ জুন: বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র
# ২৯ জুন: বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র
# ১ জুলাই: ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথম পত্র
# ৩ জুলাই: ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র
# ৭ জুলাই: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আবশ্যিক)
# ১০ জুলাই: পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/হিসাববিজ্ঞান প্রথম পত্র/যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্র
# ১৩ জুলাই: পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র/যুক্তিবিদ্যা দ্বিতীয় পত্র
# ১৫ জুলাই: ভূগোল (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র
# ১৭ জুলাই: ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র
# ২০ জুলাই: রসায়ন (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি প্রথম পত্র (মানবিক শাখা)/ইতিহাস প্রথম পত্র/গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন প্রথম পত্র/উত্পাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন প্রথম পত্র
# ২২ জুলাই: রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র (মানবিক শাখা)/ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র/গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র/উত্পাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র
# ২৪ জুলাই: অর্থনীতি প্রথম পত্র/প্রকৌশল অঙ্কন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথম পত্র
# ২৭ জুলাই: অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র/প্রকৌশল অঙ্কন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ঐচ্ছিক–১/প্রকৌশল অঙ্কন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ঐচ্ছিক–২/প্রকৌশল অঙ্কন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ঐচ্ছিক–৩
# ২৮ জুলাই: পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথম পত্র/জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথম পত্র
# ৩০ জুলাই: পৌরনীতি ও সুশাসন দ্বিতীয় পত্র/জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা দ্বিতীয় পত্র
# ৩১ জুলাই: মনোবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/কৃষিশিক্ষা (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/মৃত্তিকাবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/চারু ও কারুকলা (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/নাট্যকলা প্রথম পত্র
# ৩ আগস্ট: মনোবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/কৃষিশিক্ষা (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/মৃত্তিকাবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/চারু ও কারুকলা (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/নাট্যকলা দ্বিতীয় পত্র
# ৪ আগস্ট: উচ্চতর গণিত প্রথম পত্র/ইসলাম শিক্ষা প্রথম পত্র
# ৬ আগস্ট: উচ্চতর গণিত দ্বিতীয় পত্র/ইসলাম শিক্ষা দ্বিতীয় পত্র
# ৭ আগস্ট: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা প্রথম পত্র/শিশু বিকাশ প্রথম পত্র
# ১০ আগস্ট: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্র/শিশু বিকাশ দ্বিতীয় পত্র
বিকেলের পরীক্ষা (সময়: বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত)
# ১৫ জুলাই: উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/আরবি প্রথম পত্র/পালি প্রথম পত্র
# ১৭ জুলাই: উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/আরবি দ্বিতীয় পত্র/পালি দ্বিতীয় পত্র
# ২৮ জুলাই: খাদ্য ও পুষ্টি প্রথম পত্র
# ৩০ জুলাই: খাদ্য ও পুষ্টি দ্বিতীয় পত্র
# ৩১ জুলাই: পরিসংখ্যান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র/ব্যবহারিক শিল্পকলা ও বস্ত্র পরিচ্ছদ প্রথম পত্র
# ৩ আগস্ট: পরিসংখ্যান (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র/ব্যবহারিক শিল্পকলা ও বস্ত্র পরিচ্ছদ দ্বিতীয় পত্র
# ৪ আগস্ট: গার্হস্থ্যবিজ্ঞান প্রথম পত্র/সংস্কৃত প্রথম পত্র/লঘু সংগীত (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র
# ৬ আগস্ট: গার্হস্থ্যবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র/সংস্কৃত দ্বিতীয় পত্র/লঘু সংগীত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র
# ৭ আগস্ট: সমাজবিজ্ঞান প্রথম পত্র/সমাজকর্ম প্রথম পত্র/ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র
# ১০ আগস্ট: সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র/সমাজকর্ম দ্বিতীয় পত্র/ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র
অনলাইন ডেস্ক :
সারাদেশের ওপর দিয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এই তাপপ্রবাহ আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অর্থাৎ তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। এসব তথ্য জানিয়ে আজ সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের জনজীবন।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে ভগিনীপতিকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন শ্যালকও। অটোরিক্সার ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. মঞ্জু (২১) ও বিপ্লব হোসেন (১৭) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে শ্যালক ও ভগিনীপতি।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মঞ্জু তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জানা যায়নি। অপর নিহত বিপ্লব একই ইউনিয়নের শহর কসবা গ্রামের নেছার আহম্মদের ছেলে।
স্বজনদের বরাত দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনার সময় মঞ্জু তার অটোরিক্সার ব্যাটারি চার্জ দিতে যায়। অসাবধানতাবশত ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার শ্যালক বিপ্লবও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজন মারা গেছেন। তাদের মৃত অবস্থায় পেয়েছি। মরদেহগুলো স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল হবিগঞ্জ জেলা শহর। ১৯৭১ সালের একইদিনে মুক্ত হয়েছিল নবীগঞ্জ, চুনারুঘাট, বাহুবল, মাধবপুর, বানিয়াচং ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাও। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌর প্রসাদ রায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সফিকুর রহমান।
হবিগঞ্জ : ১৯৭১ সালের এইদিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে হবিগঞ্জ শহরসহ তার আশপাশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ৩ নম্বর সেক্টরে দায়িত্বরত তৎকালীন মেজর শফিউল্লাহর নেতৃত্বে হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে পাকিস্তানিদের সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধারা জেলা শহরের কাছাকাছি এসে পৌঁছায় এবং শহরে প্রবেশের তিন দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রমণ করেন। ৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে এবং ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকিস্তানি সেনাসহ রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করে।
চুনারুঘাট: ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে চুনারুঘাটের সীমান্ত এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তোরাব আলী খন্দকার, শামছুল হুদা, আব্দুল গফফারের নেতৃত্বে কয়েক শ মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা শহরে পাকিস্তানি ক্যাম্পে আক্রমণ করে। ৬ ডিসেম্বর ভোরে পাকিস্তানিদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে আস্তানা গুঁটিয়ে নেয় এবং পাকসেনারা শ্রীমঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর সকালে তৎকালীন সিও অফিসের সামনে স্বাধীনতার লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করা হয়।
নবীগঞ্জ : একাত্তরের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নবীগঞ্জ উপজেলাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করেছিল। ৪ ডিসেম্বর ভোরে অর্ধশতাধিক সহযোদ্ধা রাজনগরসংলগ্ন নবীগঞ্জ-বানিয়াচঙ্গ সড়কের পাশে অবস্থান নেয়। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ধ্রুব নামে এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়। ফটিক মিয়া, আব্দুল আহাদ ও ছাবু মিয়া নামে তিন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। এক পর্যায়ে পাকবাহিনীর রসদ ও গোলাবারুদ শেষ হয়ে গেলে তারা ৬ ডিসেম্বর ভোরে পালিয়ে যায়। ওইদিন দুপুরে জনতা থানা প্রাঙ্গণে জড়িত হয়। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের সাবসেক্টর কমান্ডার মাহবুবুর রব সাদী পতাকা উত্তোলন করে নবীগঞ্জকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ: ১৯৭১ এর ৬ ডিসেম্বর সিলেটের সর্বত্র যুদ্ধে হেরে পাকবাহিনী সড়ক ও রেলপথে শায়েস্তাগঞ্জ হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে পালাতে থাকে। একই সঙ্গে শায়েস্তাগঞ্জ থেকেও ছটকে পড়ে কুখ্যাত হায়েনার দল। দীর্ঘ নয় মাস পর এলাকার সর্বস্তরের মানুষ বিজয় পতাকা হাতে বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। গগণ বিদারী শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শায়েস্তাগঞ্জ শহর।
বাহুবল: ৫ ডিসেম্বর বাহুবলের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবুল হাসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে ২৪জন ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করেন।
ওই দুইজনের নেতৃত্বে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবলের সীমান্তবর্তী কটিয়াদী বাজারে অভিযান চালানো হয়। পরে অভিযান হয় বাহুবলের ধনিয়াখালীতে। সর্বশেষ ৬ ডিসেম্বর তারা বাহুবল থানায় আক্রমণ করেন। এতে ৪ রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। সবাই মিলে থানায় বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন। উদ্ধার হয় অস্ত্র ও গোলারারুদ। পরে এসব গোলা ও অস্ত্র ভারতের অমপিনগর ক্যাম্পে জামা দেওয়া হয়।
একইভাবে ৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় মাধবপুর ও বানিয়াচং উপজেলা শহর। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় পতাকা উড়িয়ে উল্লাস করেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার অসংখ্য মানুষ হানাদারদের নিষ্ঠুরতার শিকার হন। অনেকই শহীদ হয়েছেন। শহীদদের স্মৃতিরক্ষায় জন্য হবিগঞ্জ শহরে মুক্তিযোদ্ধা অফিসের কাছে, মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে, বাহুবলের ফয়জাবাদ, লাখাইর কৃষ্ণপুর, চুনারুঘাটের নলুয়া চা-বাগান, বানিয়াচঙ্গের বদলপুর, মাকালকান্দির বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কাতার অর্থনৈতিক ফোরাম (কিউইএফ) ২০২৩-এ যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ২৫ মে সকালে দেশে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ভোর ০৫:৫৮ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে ফ্লাইটটি হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় রাত ১০:২৫ টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ০১:২৫ টায়) ছেড়ে আসে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির আমন্ত্রণে তৃতীয় কাতার অর্থনৈতিক ফোরামে (কিউইএফ) যোগ দিতে গত ২২ মে শেখ হাসিনা তিন দিনের সরকারী সফরে দোহায় পৌঁছান।
সফরকারী শেখ হাসিনা কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগদান ছাড়াও আমিরি দিওয়ানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির সঙ্গে সাক্ষাত, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল সানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়াও, কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি এবং সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহ ও সৌদি অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
শেখ হাসিনা কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশেও ভাষণ দেন এবং দোহায় কাতার ফাউন্ডেশনের অধীনে পরিচালিত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য বিশেষায়িত স্কুল আওসাজ একাডেমি পরিদর্শন করেন।