চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বিপনী বিতানের দুটি দোকান থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় সোয়া কোটি টাকার মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়েছে।
গতকাল বুধবার গভীর রাতে শহরের কালীবাড়ি মোড়ের এল.আর প্লাজার “মোবাইল মেলা” নামক দুটি দোকানে এই চুরির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
দোকান দুটির মালিক মোবারক হোসেন জিসান জানান, তিনি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দোকানে গিয়ে দেখেন দোকানের সার্টার লাগানো, তবে তালা গুলো খোলা। পরে তিনি দোকানের ভেতর প্রবেশ করে দেখেন দোকানে থাকা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুইশতাধিক মোবাইল ফোন সেট চোরেরা নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, চুরি হওয়া মোবাইল ফোনের মধ্যে আইফোন-১৪ প্রো ম্যাক্স,আইফোন-১৩ প্রো ম্যাক্স, আইফোন-১৩, আইফোন-১২ প্রো ম্যাক্স, আইফোন-১১ প্রো ম্যাক্স, গুগল পিক্সেল ৭ প্রো, অপোর বিভিন্ন মডেলের, ভিভোর বিভিন্ন মডেলের, শাওমি বিভিন্ন মডেলের, ওয়ান প্লাস ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের, স্যামসাংয়ের, স্যামসাং ফোল্ড-৩ মডেলের, ফোল্ড-৪ মডেলের, ফ্লিপ-৩ মডেলের ও ফ্লিপ-৪ মডেলের মোবাইল চুরি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, তার প্রায় সোয়া কোটি টাকা মূল্যর মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, চুরির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। ইতিমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার মাস ধরে নেই শিশু-কিশোর ও নারীদের ইপিআই টিকা প্রদানের কার্ড। ফটোকপি করে চালানো হচ্ছে কার্যক্রম। এ নিয়ে ভবিষ্যতে নানা ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কায় অভিভাবকরা।
জানা যায়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএমএ ভবনের নিচতলায় অবস্থিত ইপিআই টিকা দান কেন্দ্র। এই ইপিআই কেন্দ্র থেকে ১৫ মাস পর্যন্ত শিশুদের বিসিজি, ওপিভি, পেন্টাভ্যালেন্ট, পিসিবি, এমআর ভ্যাকসিন, আইপিভি, হামের দেওয়া হয়। এছাড়া মেয়েদের টিটি টিকা এবং এমআর টিকা দেওয়া হয়। এ কেন্দ্রে জেলা সদরসহ আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক শিশু, কিশোর ও নারীরা টিকা দিতে আসেন। এই কেন্দ্রে শিশুদের সপ্তাহে ৬দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াই পর্যন্ত এই টিকা দেওয়া হয়। কিন্তু চার মাস ধরে এ কেন্দ্রে টিকা দিতে আসা সেবা প্রার্থীরা ইপিআই কার্ড হাতে পাচ্ছে না৷ টিকা দিতে হচ্ছে কার্ডের হচ্ছে ফটোকপি দিয়ে।
আবু হানিফ নামের অভিভাবক বলেন, আমার শিশুকে এই প্রথম টিকা দিতে এসেছি। কিন্তু টিকা কার্ড দিয়েছে ফটোকপি করা। বয়স ১৫ মাস হওয়া পর্যন্ত এই কার্ড দিয়েই টিকা দিতে হবে। ফটোকপি করা কার্ড কি ১৫ মাস টিকবে? এমনকি ভবিষ্যতে শিক্ষাক্ষেত্র, বিদেশ গমন, জন্মনিবন্ধনসহ নানা ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
শরিফা বেগম নামের একজন বলেন, এই টিকা কার্ড তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফটোকপি যে দিচ্ছে তা কি থাকবে? নষ্ট হয়ে গেলে তো অনেক দুর্ভোগে পড়তে হবে।
এ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্সরা বলেন, টিকা কার্ড দিতে না পারায় প্রায় সময়ই অভিভাবকরা আমাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। অনেক সময় বাগ-বিতণ্ডা থেকে চরম আকার ধারণ করে।
এই কেন্দ্রের সুপারভাইজার মমিনুল ইসলাম বলেন, কার্ড না থাকার বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জানুয়ারির আগে কার্ড পাওয়া যাবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরামউল্লাহ বলেন, বেশ কয়েক জায়গা থেকে টিকা কার্ড সংকটের তথ্য পেয়েছি৷ আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। অচিরেই এই কার্ড মিলবে বলে প্রত্যাশা করছি। তখন আর এই সমস্যা থাকবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি। আজ ৯ আগস্ট বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
সিপিবি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ জামালের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম। ৮ দফা দাবিগুলো হচ্ছে :
১। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এমআরআই, সিটি স্ক্যান, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন ও আইসিইউ ব্যবস্থা চালু।
২। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো। ৩। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিকেল কলেজ ও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা।
৪। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার দেয়া অবৈধ রিকসার লাইসেন্স বাতিল করে প্রকৃত রিকসা চালকদের লাইসেন্স দেয়া ও স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।
৫। পৌর এলাকার যানজট নিরসনে শহরের মেড্ডা থেকে ভাদুঘর পর্যন্ত তিতাস নদীর পাড় দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মান, শহরের মৌলভীপাড়া থেকে পুনিয়াউট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরন এবং শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন।
৬। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিবতি দেয়া সকল আন্তঃনগর ট্রেনে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত একটি কমিউটার ট্রেন চালু।
৭। তিতাস নদীর সীমানা নির্ধারণ করে পুনঃখনন ও আশুগঞ্জ সেচ প্রকল্পের জন্য ড্রেন নির্মান।
৮। ভ‚মি অফিসের দুর্নীতি ও পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম ও গ্রাহক হয়রানী বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ১৫৪ বছরের পুরানো এই পৌরসভার নাগরিক সেবা নেই। পৌরসভা একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলেও তারা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এক রাস্তার শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন কোন রাস্তা নির্মিত হয়নি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের প্রতিটি রাস্তায় পানি জমে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংস্কৃতির রাজধানী হলেও নানাভাবে সংস্কৃতিকে গলা টিপে ধরা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন টিকেট কালোবাজারীদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে।
তিনি বলেন, পৌর সভার পক্ষ থেকে প্রকৃত রিকসা চালকদেরকে লাইসেন্স না দিয়ে বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে একাধিক লাইসেন্স প্রদান করেছেন। কোন কোন ব্যক্তি শতাধিক ও অর্ধশতাধিক লাইসেন্স প্রদান করেছেন। যার দরুন প্রকৃত রিকসা চালকরা কোন লাইসেন্স পায়নি। তিনি বলেন, অবৈধ রিকসার লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে তারা আগামী ২১ আগষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদান করবেন ও পৌরসভার সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনের জেলা সিপিবির সহ-সাধারণ সম্পাদক আছমা খানম, জেলা সিপিবির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অসীত রঞ্জন পাল, আহমাদ হোসেন, জেলা সিপিবির সদস্য মোঃ শাহজাহান ও আল- মামুন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কবি আল মাহমুদের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ জুলাই শনিবার বিকালে স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী।
কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খান সাদাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য মো. লিয়াকত আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, দৈনিক ঐশী বাংলার সাহিত্য সম্পাদক ডা. এস. এম. শাহনূর।
কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী সোহেল রানার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি লিটন হোসাইন জিহাদ।
বক্তারা বলেন, কবি আল-মাহমুদ শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ারই গর্বের সন্তান নয়, তিনি সারা বাংলাদেশের সম্পদ। বক্তারা কবি আল মাহমুদের সাহিত্য চিন্তা, রাজনীতি, সাংবাদিকতা এবং তার বিপ্লবী চেতনার গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলেন, আল মাহমুদ শুধু একজন কবিই ছিলেন না, ছিলেন সময়ের প্রহরী। তার লেখনীতে উঠে এসেছে গ্রামীণ জীবনের সত্য, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং মানুষের অন্তর্লৌকিক জীবনবোধ।
বক্তারা বলেন, আল-মাহমুদ বিগত সরকারের আমলে বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হয়েছিলেন। কবিকে বিগত সরকারের সময় মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি মারা যাওয়ার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে সমাহিত করা হয়নি। বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে কবি আল-মাহমুদের কবর সংরক্ষণ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মাহমুদ কমপ্লেক্স স্থাপনের দাবি জানান।
এ সময় তারা বলেন, তার নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স নির্মিত হলে আগামী প্রজন্ম তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারবে এবং অনুপ্রাণিত হবে। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে সকল শিক্ষার্থীর মাঝে ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী শিক্ষার্থীদের হাতে চারা গাছ তুলে দেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. এইচ মাহবুব আলম।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলআমিনুল হক পাভেল।
অনুষ্ঠানে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, সদর উপজেলায় ৬৩টি মাধ্যমিক স্কুলের প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে চারগাছ বিতরণ করা হচ্ছে। গাছ আমাদের ছায়া, অক্সিজেন ও ফল দেয়। গাছ আমাদের কাঠ দেয়, সেই কাঠ থেকে আমরা আসবাবপত্র তৈরি করতে পারি। একটি জনপদে শতকরা ২৫ ভাগ বনায়ন থাকলে তাকে আদর্শ ভ‚ভাগ বলেন। গ্রীণ পৃথিবী হিসেবে গ্রীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বানাতে হবে। তাই বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গাছ ধ্বংস না করে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। শিশুরা যেনো আগামীতে সুন্দর পৃথিবীতে বসবাস করতে পারে, তাই বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। তিনি আরো বলেন, যেভাবে উষ্ণতা বাড়ছে, তা থেকে রক্ষা পেতে গাছ লাগানো ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। তাই আমরা গাছ লাগাবো ও গাছের যত্ম নিব, যেনো গাছ বড় হতে পারে। তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম একটি সুন্দর পৃথিবী পাবে।