অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনের কাদাপানিতে আটকে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লাফালাফিতে কাজ হবে না।
আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন যুব লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত যৌথ শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, শোনেন, যত লাফালাফি, যত তাফালিং করেন, ফখরুল সাহেব, তারেক জিয়া, এই লাফালাফিতে কাজ হবে না। যতই তাফালিং করেন ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন বহু দূরে চলে গেছে। ওইটা খুঁজে পাবেন না। লাফালাফি করবেন না।
তিনি বলেন, রাজনীতির খেলায়, আন্দোলনে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারে না। রাজনীতির খেলায় আওয়ামী লীগ চ্যাম্পিয়ন। আন্দোলন করে হারানো যাবে না। তাহলে নির্বাচন! নির্বাচনে তো আপনারা আসবেন না।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদ ভবনে নির্মিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি আজ ২৪ জুন সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের প্রথম লেভেলে স্থাপিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ছিলেন।
এ সময় ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ সংগ্রহশালায় প্রদর্শিত বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন স্পিকার।
পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টির প্রশংসা করেন এবং পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। তিনি জাতীয় সংসদে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ স্থাপনের জন্য স্পিকারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানান। পরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ জাতীয় সংসদ সদস্যরা ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ পরিদর্শন করেন।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’।
এখানে প্রথম কক্ষে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর, খোকা থেকে শুরু হয়ে তারুণ্যে মুজিব ভাই হয়ে ওঠা, ভারত ভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, উত্তাল ভাষা আন্দোলন ও ১৯৫০-এর দশকের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও ১৯৭০-এর নির্বাচন পর্যন্ত প্রদর্শিত হয়েছে।
১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে দ্বিতীয় কক্ষের ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে গেছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের দিকে। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২৫ মার্চের গণহত্যা, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অকাতর সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগের ধারা বর্ণনা স্থান পেয়েছে এই কক্ষে।
তৃতীয় কক্ষে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের সঙ্গে আরো রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের পরিচিতি সুসংহত করার স্বর্ণালি ইতিহাস।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সংগ্রামী জীবন ও বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনের কিছু খণ্ডচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থান পেয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজিবি পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। সীমান্ত এলাকা দিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ চালান রোধেও বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে এ কে এম নাজমুল হাসান বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি এবং আমাদের সাজ-সরঞ্জামও প্রস্তুত করেছি। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।
আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে কুমিল্লা-১০ ব্যাটালিয়নের বিজিবি চূড়ান্ত ফায়ারিং প্রতিযোগিতা ও মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা দিয়ে অস্ত্র গোলাবারুদ চালান রোধেও বিজিবি সর্বোচ্চ কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত হচ্ছে চার হাজার ৪২৭ কিলোমিটার। প্যাট্রলিংয়ের টাইমে টহলে একটু ফাঁকা পেলেই মাদক চোরাকারবারিরা এই সুযোগকে কাজে লাগায়। স্থানীয়রা জড়িত না থাকলে, মাদকের সরবরাহ অনেকাংশে কমে যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, রিজিয়ন কমান্ডর সরাইলের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন-১০-এর কর্নেল শরিফুল ইসলাম মেরাজ, অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ মাসটা আমাদের শোকের মাস। এ মাসে কামালের জন্মদিন। কামাল আমার ছোট, আমরা পিঠাপিঠি দুই ভাই-বোন। খেলার সাথী, আন্দোলন-সংগ্রামেও একসঙ্গে ছিলাম।
আজ ৫ আগস্ট শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা এদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। সে সংগ্রামের পথ দিয়েই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা এদেশের খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আমাদের পরিবার সব সময় ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িত ছিল। কামাল সব সময় খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা রাখত। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার যে অবদান রয়েছে সেটা চিরদিন মানুষ স্মরণ করবে।
বিত্তশালীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে আপনারা এই ফাউন্ডেশনে (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ) অনুদান দেবেন। অনেক খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের চিকিৎসার সুযোগ থাকে না। অনেকে আর্থিকভাবে সংকটে পড়ে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম না তখনও চেষ্টা করেছি, এখন চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেক গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়ে স্বর্ণ জয় করে নিয়ে আসে। অনেক প্রতিবন্ধী বেশি সাফল্য দেখায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা যে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণপদক নিয়ে আসে এটা কম কথা না। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা করি। যাতে তারা যেতে পারে, খেলাধুলা অংশগ্রহণ করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বলব, আমাদের যারা ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক-বীমা, অনেক কিছু করে দিয়েছি। প্রাইভেট সেক্টরও অনেক শক্তিশালী হয়েছে। সেখানে যদি নিজস্ব ক্রীড়া সংগঠন বা যারা ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংযুক্ত, তাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, তারা তো প্রতিষ্ঠানের সুনাম বয়ে আনতে পারবে।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা যদি এভারেস্ট বিজয় করতে পারে, খেলাধুলা এতো উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে পারে, তাহলে এটা তো বাংলাদেশেরই সুনাম বাড়াবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা সীমিত সুযোগের মধ্য দিয়েও যথেষ্ট সুনাম বয়ে আনছে। সুনাম বৃদ্ধির জন্য আমাদের দরকার তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা। সাংস্কৃতিক চর্চা, ক্রীড়া ক্ষেত্রে যেমন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাগে, তেমনি বেসরকারি খাতে যারা আছেন তাদেরও পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এগুলো বিকশিত করতে পারে না। সারাদেশে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। তাদের খুঁজে বের করুন। তারা বিশ্বের কাছে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুইগড় থেকে স্বামী-স্ত্রীসহ প্রতারক চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চক্রটি মোবাইল ফোনের পরিচয়ের সূত্র ধরে নানা শ্রেণির লোকজনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্লাকমেইল করে মুক্তিপণ আদায় করত। এ অভিযোগে চক্রটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় মুক্তিপনের জন্য আটকে রাখা হৃদয় হোসেন (৩২) নামে এক যুবককে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর ভুইগড়ের নজরুল ইসলামের ভাড়াটিয়া আঃ হাইয়ের পুত্র মোঃ মোরশেদ আলম (৩৫), তার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন (৩৩), কোরবান আলীর ছেলে মো. নয়ন আলী (২৯) ও ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর ভুইগড়ের নজরুল ইসলামের ভাড়াটিয়া শাহিন আলমের স্ত্রী কান্তা মনি (২২)।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইল ফোনে বাসায় ডেকে এনে নগ্ন করে তরুণী দিয়ে আপত্তিকর ছবি তোলে ও ভিডিও ধারণ করে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের মত অপরাধ করে আসছিল। রবিবার এই প্রতারক চক্রটি মোবাইল ফোনে কান্তাকে দিয়ে ফোন করে মানিকগঞ্জ থেকে হৃদয়কে ভুইগড়ের বাসায় ডেকে এনে চার লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। সংবাদ পেয়ে রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান স্বামী-স্ত্রী সহ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে। এ সময় উদ্ধার করা হয় আটকে রাখা যুবক হৃদয়কে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান, চক্রটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি আরো জানান, চক্রটির হাত থেকে উদ্ধার হওয়া যুবক হ্নদয় হোসেন আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। হ্নদয় মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার আব্দুল মান্নান প্রধানিয়ার ছেলে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ৩ মে শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।