চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৯৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৯৩৮ জন পরীক্ষার্থী এস.এস.এসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯২জন শিক্ষার্থী। ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে।
সদর উপজেলার ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৪৪টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১০টি দাখিল মাদরাসা ও ১টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার ৪৪টি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৬২৬ জন শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৪৫৬০জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭৪জন পরীক্ষার্থী।
উপজেলার ১০টি দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৫৪২ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২৩০ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১জন।
সদর উপজেলার একমাত্র টেকনিক্যাল স্কুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে থেকে ২২৬ জন পরীক্ষার্থী এস.এস.সি টেকনিক্যাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৪৮জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭জন শিক্ষার্থী।
ফলাফল ঘেঁটে দেখা যায় সদর উপজেলার উইজডম স্কুল এন্ড কলেজ ও বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে। উইজডম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৭৮জন শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৭৮জনই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০জন শিক্ষার্থী।
বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল থেকে ৫জন শিক্ষার্থী এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৫জনই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন শিক্ষার্থী।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় জিপিএ-৫-এর দিক থেকে বরাবরের মতো এবারো তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে।
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৫৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৩৪৯জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭৪জন শিক্ষার্থী।
সাবেরা সোবহান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৩৭জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৩২৮জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৬ জন শিক্ষার্থী।
গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল থেকে ২০৪জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২০০জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭ জন শিক্ষার্থী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২১৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৯৪জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫জন শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২৯২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২৭৮জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন শিক্ষার্থী।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৫৬জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৪২৭জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ জন শিক্ষার্থী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৭০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৬৯জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০জন শিক্ষার্থী।
চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৭৪ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন শিক্ষার্থী।
আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১১৭জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১০২জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন শিক্ষার্থী।
অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১২১জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৭৮জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন শিক্ষার্থী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৮৭জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৪১জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী।
আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৬০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২১৯জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী।
বুধল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪৫জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১০১জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী।
রামকানাই হাই একাডেমি থেকে ৪৯জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৩২জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন শিক্ষার্থী।
লায়ন ফিরোজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৬৪জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ শিক্ষার্থী।
অন্বেষা বিদ্যাপীঠ (স্কুল এন্ড কলেজ) থেকে ২২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২০জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য বলেন, এ বছর আমাদের রেজাল্ট আশানুরুপ হয়নি। জেলায় জিপিএ-৫-এর দিক থেকে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভালো করেছে। আগামীতে যাতে ফলাফল সন্তোষজনক হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেছেন, পুলিশের প্রতি মানুষের ক্ষোভ আছে, কারণ পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করে নাই। কমান্ডিং থেকে নিচের স্তর পর্যন্ত সবাই অসুস্থ প্রতিযোগীতার মধ্যে দিয়ে পার করেছে। একটা দলের আজ্ঞাবাহ হয়ে কাজ করতে হয়েছে। সবকিছুতে পুলিশ টাকা নিয়েছে বলে একটা দুর্নাম ছিলো। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এখন আর কোনো রাজনৈতিক দলের চাপ নেই।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান আরো বলেন,‘সরকার আমাদেরকে যে বেতন দিচ্ছে, সেটা চলার জন্য যথেষ্ট। মাসিক কল্যাণ সভায় বলে দিয়েছি এতে কারো না পোষালে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে।’
নবাগত পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান আরো বলেন, ‘পুলিশে অনেক আবর্জনা আছে। এগুলো দূর করতে হবে। পুলিশের মনোবল একেবারে ভেঙে যাবে এমন কোনো বিষয় নেই। সেই পুলিশের মনোবল ভাঙবে যে অসৎ। আর যে পেশাদারিত্বে থাকবে তার মনোবল ভাঙার কোনো কারণ নেই। তবে এটা ঠিক যে নানা কারণে পুলিশের কার্যক্রমে ধীরগতি আছে। এ অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চলছে। সদর দপ্তর থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে আমাদেরকে যথেষ্ট সাপোর্ট দেওয়ার। কিন্তু ইচ্ছা করলেই সব কিছু এখনই করা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু ত্রুটি ছিলো। সেই ত্রুটি সংশোধনের চেষ্টা করবো। আমরা সুযোগ দিচ্ছি। আপনারাও সুযোগ দিবেন। কেউ পুলিশকে ঘুষখোর বললে আমারও খারাপ লাগে। আমরা এ অবস্থা থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করছি। আশা করছি ভালো কিছু হবে। তিনি এর জন্যে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিয়ম সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, ব্রাসহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম কাউসার এমরান ও দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-আমীন শাহীন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি পিযূষ কান্তি আচার্য্য, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোঃ আকরাম, ইব্রাহিম খান সাদাত ও মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাবেক কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম শাহজাদা, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, মোঃ শাহাদৎ হোসেন প্রমুখ।
সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ জুলাই সোমবার বিকেলে জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমীন নিগার।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নির সঞ্চালনায় এতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সোনাহর আলী, জিপি এডঃ ওয়াসেক আলী, পিপি এডঃ মাহাবুবুল আলম খোকন, জেলা আইনজীবী সভাপতি এডঃ কামরুজ্জামান মামুন, জেল সুপার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, জেলা কারাগারের জেলার, জেলা তথ্য অফিসার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধিসহ জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিরসন ও ফুটপাতের হকার উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও ছাত্রদের নিয়ে পুলিশের এ যৌথ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা পুলিশ সুপার মো: জাবেদুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক মো: রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসেন, সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো: মোজাফ্ফর হোসেন, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সুমন দত্তসহ প্রশাসন ও পৌর কর্মচারীরা।
অভিযানে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে যেসব লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা প্রবেশ করেছে এগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সড়কের দু’পাশে যেসব ভ্রাম্যমাণ হকার রয়েছে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক মো: রুহুল আমিন বলেন, যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অচিরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর যানজট মুক্ত করা হবে।
অভিযান শেষে জেলা পুলিশ সুপার মো: জাবেদুর রহমান বলেন, যানজট মুক্ত শহর গড়তে অবাধে অবৈধ রিকশা চলাচল করতে দেওয়া হবে না। অবৈধ যানচলাচলের সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে সাত হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। পৃথক আরেকটি অভিযানে রেললাইনের উপর বৈদুতিক খুঁটির নিচে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ ইন্টারনেট ও ডিসের তার কেটে অপসারণ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুর ও বিকালে সদর উপজেলার ভাদুঘর সংলগ্ন তিতাস নদী এবং শহরের কলেজপাড়ার লেবেল ক্রসিং এলাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর পৌর শহরের ভাদুঘর তিতাস নদীতে অবৈধ কারেন্ট ও রিং জাল দিয়ে কিছুদিন ধরে মৎস্য শিকার করে আসছেন একটি চক্র।
বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন ভাদুঘর এলাকায় তিতাস নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে মৎস্য শিকারর অভিযোগ দুই হাজার মিটার অবৈধ রিং জাল ও পাঁচ হাজার মিটার করেন্ট জাল জব্দ করা হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় অবৈধ এসব জালের মালিককে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে জব্দকৃত দুই হাজার মিটার রিং জাল এবং পাঁচ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পোড়ানো হয়।
এদিকে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আখাউড়াগামী তিতাস কমিউটার ট্রেন শহরের কলেজপাড়ার লেবেল ক্রসিং এলাকা অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ছাদে থাকা দুই যাত্রী রেললাইনের উপরে বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে থাকা তারের সঙ্গে প্যাচ লেগে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই এক যাত্রী মারা যান এবং অপরযাত্রী আহত হন।
এঘটনার জন্য শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কলেজপাড়ার লেবেল ক্রসিং এলাকায় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের সদস্যদের নিয়ে পৌঁছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন। পরে লেবেল ক্রসিং এলাকায় রেললাইনের উপরে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ সকল তার কেটে সরানো হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন বলেন, ভাদুঘর সংলগ্ন তিতাস নদীতে অভিযান চালিয়ে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৯০ এর আলোকে দুই হাজার মিটার অবৈধ রিং জাল ও পাঁচ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। আর কলেজপাড়ার লেবেল ক্রসিং এলাকায় রেললাইনের উপর থাকা অপ্রয়োজনীয় তার কেটে অপসারণ করা হয়েছে। এতে এখানে মৃত্যুর ঝুঁকি কমবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার মাস ধরে নেই শিশু-কিশোর ও নারীদের ইপিআই টিকা প্রদানের কার্ড। ফটোকপি করে চালানো হচ্ছে কার্যক্রম। এ নিয়ে ভবিষ্যতে নানা ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কায় অভিভাবকরা।
জানা যায়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএমএ ভবনের নিচতলায় অবস্থিত ইপিআই টিকা দান কেন্দ্র। এই ইপিআই কেন্দ্র থেকে ১৫ মাস পর্যন্ত শিশুদের বিসিজি, ওপিভি, পেন্টাভ্যালেন্ট, পিসিবি, এমআর ভ্যাকসিন, আইপিভি, হামের দেওয়া হয়। এছাড়া মেয়েদের টিটি টিকা এবং এমআর টিকা দেওয়া হয়। এ কেন্দ্রে জেলা সদরসহ আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক শিশু, কিশোর ও নারীরা টিকা দিতে আসেন। এই কেন্দ্রে শিশুদের সপ্তাহে ৬দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াই পর্যন্ত এই টিকা দেওয়া হয়। কিন্তু চার মাস ধরে এ কেন্দ্রে টিকা দিতে আসা সেবা প্রার্থীরা ইপিআই কার্ড হাতে পাচ্ছে না৷ টিকা দিতে হচ্ছে কার্ডের হচ্ছে ফটোকপি দিয়ে।
আবু হানিফ নামের অভিভাবক বলেন, আমার শিশুকে এই প্রথম টিকা দিতে এসেছি। কিন্তু টিকা কার্ড দিয়েছে ফটোকপি করা। বয়স ১৫ মাস হওয়া পর্যন্ত এই কার্ড দিয়েই টিকা দিতে হবে। ফটোকপি করা কার্ড কি ১৫ মাস টিকবে? এমনকি ভবিষ্যতে শিক্ষাক্ষেত্র, বিদেশ গমন, জন্মনিবন্ধনসহ নানা ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
শরিফা বেগম নামের একজন বলেন, এই টিকা কার্ড তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফটোকপি যে দিচ্ছে তা কি থাকবে? নষ্ট হয়ে গেলে তো অনেক দুর্ভোগে পড়তে হবে।
এ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্সরা বলেন, টিকা কার্ড দিতে না পারায় প্রায় সময়ই অভিভাবকরা আমাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। অনেক সময় বাগ-বিতণ্ডা থেকে চরম আকার ধারণ করে।
এই কেন্দ্রের সুপারভাইজার মমিনুল ইসলাম বলেন, কার্ড না থাকার বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জানুয়ারির আগে কার্ড পাওয়া যাবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরামউল্লাহ বলেন, বেশ কয়েক জায়গা থেকে টিকা কার্ড সংকটের তথ্য পেয়েছি৷ আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। অচিরেই এই কার্ড মিলবে বলে প্রত্যাশা করছি। তখন আর এই সমস্যা থাকবে না।