অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। পরীক্ষায় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।
এর আগে ফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সকাল ৯টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের অনুলিপি তুলে দেন। এরপর বাটন চেপে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মোবাইল ফোনের এসএমএস এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল জানা যাবে।
বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরবেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, অনলাইনে ফল প্রকাশিত হবে। পরীক্ষার্থীরা ঘরে বসেই ফল পাবেন।
যেভাবে ফল জানা যাবে: অনলাইন ও মোবাইল থেকে এসএমএস করে ফল জানা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রেজাল্ট শিট ডাউনলোডের ক্ষেত্রে www.dhakaeducationboard.gov.bd থেকে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন দিয়ে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। আর www.educationboardresults.gov.bd-তে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এ ছাড়া এসএসসি ও বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর টাইপ করে রোল ও পাসের বছর দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করেও ফল পাওয়া যাবে। উদাহরণ: SSC DHA ১২৩৪৫৬ ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। দাখিলের ক্ষেত্রে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষরের জায়গায় MAD এবং কারিগরির ক্ষেত্রে TEC লিখতে হবে।
২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ এপ্রিল। শেষ হয় ২৮ মে। দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এ বছর ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে আজ রবিবার বৈঠক ছিল বলে জানিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তবে সেই বৈঠক আজ হচ্ছে না। বরং আগামীকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রাথমিক বিদ্যালয় কবে খোলা হবে তা নিয়ে বৈঠক করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে সার্বিক দিক আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ ২৮ জুলাই রোববার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ক্যাবিনেট (মন্ত্রিসভা) মিটিং আছে। এটা নিয়মিত মন্ত্রিসভার বৈঠক। কোনো স্পেশাল মন্ত্রিসভার বৈঠক নয়। এ বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সেখানে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া গেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আবার বৈঠক করে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে। তারপর সিদ্ধান্ত জানা যাবে। এটাই হয়ে থাকে, এবারও সেটাই হতে পারে।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘চলতি সপ্তাহে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এর আগে গত ১৭ জুলাই রাতে দেশের ৮টি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু ছিল। ২৪ জুলাই সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের কাছে মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি না চাওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন প্রণয়ন করে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান আনলেও মাঠ কর্মকর্তারা তা না মানায় এমন নির্দেশনা দিল সংস্থাটি।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি সকল রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান করা হয়েছে। অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের পর কোনো কোনো জেলা/উপজেলা হতে মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি প্রার্থীর নিকট হতে চাওয়া হচ্ছে, যা বিধি বহির্ভূত। উক্তরূপ বিধি বহির্ভূত প্রিন্ট কপি প্রদানে বাধ্য না করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
তবে বিধি অনুযায়ী বাছাইয়ের সময় হলফনামার মূল কপি অথবা কোনো তথ্য বা কাগজপত্র অপূর্ণ থাকলে তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে অবহিত করা যেতে পারে।
বিধি ১৭ অনুযায়ী বাছাইয়ের সময় প্রার্থী বা প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারী অথবা প্রার্থী কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপস্থিতির সুযোগ থাকলেও বাধ্যতামূলক নয়।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।
দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।
চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
চলারপথে ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতের এজলাসে বিচারকের বিরুদ্ধে শ্লোগান, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনা দেশের বিচার বিভাগে ‘কালো দাগ’ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারের তিন আইনজীবীর উপস্থিতিতে এ মন্তব্য করে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে আদেশ দেন।
আদালত বলেন, অবস্থা এমন চলতে থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের নিষিদ্ধসহ কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হবো।
এদিন শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির হাইকোর্টকে বলেন, মাই লর্ড, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিষয়টির পিসফুল ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। আজ থেকে সব কোর্ট চলছে। আমাদের আরও কিছু কাজ আছে। সবকিছুর সমাধান হবে, আমাদের একমাস সময় দিন।
জবাবে হাইকোর্ট বলেন, কিছুই (ডেভেলপমেন্ট) হয়নি। হাইকোর্টে এটার তারিখের (শুনানির) আগে ওখানে একটু নাড়াচাড়া করেন। আমরা বুঝি। দিন যাচ্ছে আর টাইম নষ্ট করছেন। এটার পরিণতি ভোগ করতে হবে। আপনারা (রুলের) জবাব দিলে দেন, না দিলে না দেন। আমরা আমাদের মতো এগোবো। একটা কোর্টকে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অচল করে রেখেছেন। সবকিছু আমরা দেখছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বার (আইনজীবী সমিতি) বাংলাদেশের লিগ্যাল ইতিহাসে কালো দাগ সৃষ্টি করেছে, সব আইনজীবীকে কলঙ্কিত করেছে।
এসময় তিন আইনজীবীর পক্ষে ফের সময় চাওয়া হলে আদালত বলেন, আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট হোক আর সদস্য হোক, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বার কাউন্সিল আছে। তবে বার কাউন্সিল কিছু না করলে আমরা এখান থেকেই করবো। প্রতিদিন আমরা খবরের কাগজে চোখ রাখি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারে কী হচ্ছে। আপনারা কোর্ট বর্জন করছেন করেন, কিন্তু বিচার প্রার্থীরা কোর্টে গেলে তাদের ডিস্টার্ব করা হচ্ছে, থ্রেট দেওয়া হচ্ছে। আপনারা একতরফা (এক্সপার্টি) গেলে আমরাও (এক্সট্রিম) যাবো। কে বারের সভাপতি, কে বিজ্ঞ আইনজীবী তা আমরা দেখবো না। এরা বাংলাদেশে প্রাকটিস (আইন পেশা পরিচালনা) করার যোগ্য কি না, সেটাও আমরা দেখবো।
এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনার ৮টি ফেসবুক ও ৫টি ইউটিউব ভিডিও সরানো হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে বিটিআরসি।
গত ১৭ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। বিটিআরসিকে দ্রুত এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
ওইদিন আদালতে ভিডিও অপসারণের নির্দেশনা প্রার্থনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ওইদিন আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আদালত ও আইনজীবীদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমরা এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।
ওইদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও জেলা জজের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অবিলম্বে অপসারণে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিটিআরসিকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
আদালতে ওইদিন আইনজীবীদের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম. সাঈদ আহমেদ রাজা, শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন তার কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে ঘটনা ঘটেছে তা কাম্য নয়। হাইকোর্টের আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন আইনজীবী আদালতে এসেছিলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে নিয়ে বিষয়টি প্রশমনের উদ্যোগ নেবেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি বলেন, আদালত আছে বলেই আমরা আইনজীবী। আদালতের প্রতি আমাদের সম্মান থাকতে হবে। উভয়পক্ষকে আরো সংবেদনশীল ও যতœশীল হতে হবে। আদালতকেও আইনজীবীদের বুঝিয়ে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে ঘটনা ঘটেছে, এ ধরনের ঘটনা ভুল বার্তা দেয়। বিচারপ্রার্থী জনগণ যেন ভোগান্তিতে না পড়েন তা সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর আহমেদ ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) আইনজীবী মো. আক্কাস আলী, আইনজীবী জুবায়ের ইসলামকে আজকে সশরীরে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। গত ৫ জানুয়ারি আদালত অবমাননার রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ২ জানুয়ারির ঘটনায় ‘এজলাসে আদালতের বিচারক ও কর্মচারীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের জন্য আদালত অবমাননার ব্যবস্থা গ্রহণের প্রার্থনা’ শীর্ষক একটি চিঠি সুপ্রিম কোর্টে পাঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক।
এ চিঠি প্রধান বিচারপতি বরাবর উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি বিষয়টি উপস্থাপনের জন্য গত ৪ জানুয়ারি বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে নথি উপস্থাপন করা হয়। এরপর হাইকোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন আইনজীবীকে তলবের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।
এরপর গত ১০ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারের ২১ আইনজীবীকে তলব করেন হাইকোর্ট। ২৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ বেগম শারমিন নিগারের বিরুদ্ধে আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্ট রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে ওই ২১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
যে ২১ আইনজীবীকে তলব করা হয়েছে তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান বাবুল, আইনজীবী মিনহাজুল ইসলাম, এমদাদুল হক হাদি, নিজামুদ্দিন খান রানা, আনিছুর রহমান মঞ্জু, মো. জুম্মন চৌধুরী, রাশেদ মিয়া হাজারী, জাহের আলী, মো. আ. আজিজ খান, দেওয়ান ইফতেখার রেজা রাসেল, মো. ছদর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রনি, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আরিফুল হক মাসুদ, মীর মোহাম্মদ রাইসুল আহম্মেদ, মহিবুর রহমান, মো. জাকারিয়া আহমেদ, মো. মোবারক উল্লা, মো. ফারুক আহমেদ, সফিক আহমেদ, ইকবাল।
ওই ঘটনায় গত ৯ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ বেগম শারমিন নিগার প্রধান বিচারপতির কাছে একটি আবেদন করেন।
আবেদনে জেলা জজ আদালতে এজলাস চলাকালে বিচারকের নামে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ শ্লোগান দিয়ে বিচারকাজ বিঘ্নিত ও বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ মানহানির ঘটনায় প্রতিকার চাওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনের কাদাপানিতে আটকে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লাফালাফিতে কাজ হবে না।
আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন যুব লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত যৌথ শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, শোনেন, যত লাফালাফি, যত তাফালিং করেন, ফখরুল সাহেব, তারেক জিয়া, এই লাফালাফিতে কাজ হবে না। যতই তাফালিং করেন ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন বহু দূরে চলে গেছে। ওইটা খুঁজে পাবেন না। লাফালাফি করবেন না।
তিনি বলেন, রাজনীতির খেলায়, আন্দোলনে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারে না। রাজনীতির খেলায় আওয়ামী লীগ চ্যাম্পিয়ন। আন্দোলন করে হারানো যাবে না। তাহলে নির্বাচন! নির্বাচনে তো আপনারা আসবেন না।
চলারপথে রিপোর্ট :
রামগতি উপজেলার ২০ জন জেলের অবৈধ জাল পুড়িয়ে তাদেরকে বৈধ সুতার জাল দেওয়া হয়েছে।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জেলেদের বৈধ জাল বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. রাহিদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ মুরাদ ও চর আলগী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটন।
মৎস্য বিভাগ জানায়, মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টে কম্পোনেন্ট-৩ এর আওতায় উপজেলার আসলপাড়া ও রঘুনাথপুর মৎস্যজীবী গ্রাম সমিতির ২০ জন সুফলভোগীর মধ্যে এ জাল বিতরণ করা হয়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দুটি মৎস্যজীবী গ্রাম সমিতির ২০ জন জেলের অবৈধ জাল পুড়িয়ে নতুন সুতার (ফাঁস জাল) জাল দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা জালের দৈর্ঘ্য ৪ শত মিটার। যার বাজার মূল্য ২২ হাজার টাকা।