অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই সরকারের অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’
আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা নির্বাচন ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে। এদের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছিল ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে, কিন্তু এখন চালের দাম ৮০-৯০ টাকা। ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, কিন্তু এখন ২০ লাখ টাকা ঘুস না দিলে চাকরি হয় না। আবার আওয়ামী লীগ না করলে চাকরি হয় না। আমাদের দেশের মানুষ কষ্ট করে ডলার অর্জন করে রিজার্ভ বাড়ায়। আর এরা বিদেশে তা পাচার করে। এ সরকার মানবাধিকারের সরকার নয়। এরা অমানবিক সরকার।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে তার আদর্শ গণতন্ত্রকে বিলীন করতে চেয়েছিল।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকারের সময় নেই, সময় শেষ। আমাদের নেতাকর্মীরা সারাদেশ থেকে এসেছেন। তারা হোটেল উঠেছেন। কিন্তু এই সরকার পুলিশি তল্লাশি চালিয়ে প্রায় হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আটক করেছে। জনসমুদ্র থেকে ১০০০ মানুষকে জেলে নিলে কি থামাতে পারবেন, না। এবার জনগণ বেরিয়ে এসেছে, থামাতে পারবে না। থামাতে চাইলে একটাই কথা পদত্যাগ করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য যারা থাকবে তাদের অবশ্যই যোদ্ধার সার্টিফিকেট দিতে হবে। বিষয়টি আমি তুলে ধরবো। কথা এক, হতেই হবে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছে, পুলিশ, আদালত, নিম্ন আদালত, প্রশাসন ফের শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড মঈন খান বলেন, বিএনপি কখনো সংঘাতের রাজনীতি করে না। আমরা সংঘাত এড়াতে আগামীকালের সমাবেশ আজ করেছি। আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়েছে।
এর আগে দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে কোরআন তেলোওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশ শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক।
২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশে শুরু হলেও সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নয়াপল্টন ছাড়িয়ে ফকিরাপুল ও নটরডেম কলেজ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অন্যদিকে পৌঁছে যায় শান্তিনগর-মৌচাক পর্যন্ত। এছাড়া কাকরাইল মসজিদ, সেগুনবাগিচা ও বিজয়নগর কালভার্ট রোডে ছড়িয়ে পড়েন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং একটি কাঠের নৌকা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রবিবার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ৭০০ গজ দক্ষিণ দিকে জালিয়াপাড়া স্কুলের নিকটবর্তী এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্যের একটি চালান মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপ বিওপির একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত স্থানে গমন করে কেওড়া বাগানের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর বিজিবি টহলদল মায়ানমার থেকে দুইজন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকাযোগে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে আনুমানিক ৩০০ মিটার উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জালিয়াপাড়া স্কুলের নিকটবর্তী কেওড়া বাগানের দিকে আসতে দেখে। উক্ত সময় টহলদল উক্ত ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় আরোহিত চোরাকারবারীরা নাফ নদীতে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগসহ লাফ দেয়। বিজিবি টহলদলের সদস্য চোরাকারবারীদের পিছু ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা ব্যাগটি ফেলে ডুব সাঁতার দিয়ে শুন্য লাইন অতিক্রম করে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া ব্যাগটি উদ্ধার করে ব্যাগের ভিতর থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এছাড়াও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে উক্ত কাঠের নৌকাটিও জব্দ করা হয়। তিনি আরো জানান, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উদ্ধারকৃত নৌকাটি টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আমি যতদুুর এই মামলার কাগজপত্র দেখেছি। সেখান থেকে আমি বলতে পারবো বিচারিক আদালতে সুষ্ঠুভাবে আইনের যে ধারা আছে সে ধারা অনুযায়ী বিচার হয়েছে। আমি এর থেকে কিছু বলবো না। তার কারণ হচ্ছে, যিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি নিশ্চয় আপিল করবেন। সেখানে কোন প্রভাব করুক সেটা আমি চাই না। ড. মোহাম্মদের ইউনুছের মামলায় আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে, ১২ জন মার্কিন সিনেটরদের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন। আজ ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয় আনার ব্যাপারে সরকার বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যারা বাংলাদেশের আদালত দ্বারা সাজাপ্রাপ্ত এবং অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ করে যারা সাজাপ্রাপ্ত তাদের সকলকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিব। উদ্যোগ যেটা আছে সেটাকে আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করবো।
সরকার পরিকল্পিত ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আনিসুল হক বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই সংসদের অধিবেশনেই শ্রম আইন পাশ হবে বলে তিনি জানান।
নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক গণসংবর্ধনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২দিনের সফরে সকালে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এসময় আওয়ামীলী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকমী আখাউডড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে মন্ত্রীকে স্বাগত জানায়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. রাসেদুল কাওছার জীবন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কসবা-আখাউড়া সংসদীয় এলাকা থেকে টানা তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এবং টানা তিন বার আইনমন্ত্রী হওয়ায় শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে গণ সংবর্ধনা দিবে উপজেলা আওয়ামীলীগ। এর আগে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে আনিসুল হক এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ বছরে উন্নীত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমএ খায়ের বলেন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সম্প্রতি এই চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে সরকারি-আধা সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তি সংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে উল্লেখ করেছিল।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে প্রবেশে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালীগঞ্জে কাজ করতে গিয়ে রুবেল মিয়া (২২) নামের এক গ্রিল মিস্ত্রি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন। নিহত রুবেল মিয়া টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার খাগুরিয়া গ্রামের মো. ধানেশ উদ্দিনের ছেলে।
আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের আজমতপুর উত্তর পাড়া মোড়ল বাড়ি সংলগ্ন গিয়াস উদ্দিন মোড়লের ওয়ার্কশপে এ ঘটনা ঘটে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ফায়েজুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের বাবা ধানেশ উদ্দিন জানান, রুবেল পাঁচ বছর যাবত কালীগঞ্জের আজমতপুর এলাকায় গিয়াস উদ্দিন মোড়লের ওয়ার্কশপে কাজ করতো। গ্রীল দোকানের মালিক আমাদেরকে ফোনে জানিয়েছেন কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সে মারা গেছে।
চলারপথে ডেস্ক :
মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গাজীপুর। সেখানে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশের এপিসি কারে এক বিস্ফোরণে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত সব পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আজ ৮ নভেম্বর বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো নাওজোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি এখনো (সন্ধ্যা ৬টা) উত্তপ্ত রয়েছে।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, আহতাবস্থায় পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য প্রবীর (৩০), ফুয়াদ (২৮) ও খোরশেদকে (৩০) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশিকুল (২৭) ও বিপুলকে (২৪) হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ফুয়াদের অবস্থা বেশি গুরুতর, তিনি ডান হাতের আঙ্গুল ও কব্জির নিচের অংশে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এপিসি কারের ভেতরে পুলিশ সদস্যদের অসাবধানতায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা আহত হন। একজনের হাতের কব্জি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই বিস্ফোরণেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কারখানা শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, সফিপুর ও মৌচাকসহ আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। বুধবার সকালেও আন্দোলনে নামেন পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক নারী শ্রমিক নিহত হন। এরপর বেশ কয়েক ঘণ্টা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক ছিল।
দুপুরের পর কোনাবাড়ী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আবার সংঘর্ষে জড়ান শ্রমিকরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাবের সমন্বয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া দেওয়া হয়। এসময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। শ্রমিকরা পিছু হটে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ভাওয়াল বদলে আলম সরকারি কলেজের সামনের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, বুধবার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মোট আটজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন ও বিকেলে নাওজোড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিকেলে যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এদের মধ্যে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পাশাপাশি এপিসি কারে বিস্ফোরণেও আহত হওয়ার ঘটনা আছে। এখন শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো আলাউদ্দিন বলেন, গাজীপুর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজন পুলিশকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ফুয়াদ নামে এক পুলিশ সদস্যের ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।