চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলায় ঝগড়াকে কেন্দ্র করে অন্তত ১৫টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ ২৯ জুলাই শনিবার সকাল পর্যন্ত সদর উপজেলার সিন্দুউড়া গ্রামে দফায় দফায় এ হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা। ঘটনার পর থেকে আক্রান্ত গোষ্ঠীর পুরুষেরা বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজমের চাচাতো ভাই আতাউল্লাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
হামলার শিকার ভুক্তভোগীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে কালিসীমা খেলার মাঠে ফুটবল খেলা হয়। এসময় সিন্দুউড়া গ্রামের উম্মত আলী গোষ্ঠীর সোহেল মিয়ার ছেলে মুস্তাকিমের সঙ্গে একই গ্রামের কিমুদ্দি গোষ্ঠীর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজমের চাচাতো ভাই আতাউল্লার বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায়। এর জের ধরে রাতে যুবলীগ নেতা আলী আজমের নির্দেশে ৪০/৫০ জনের একটি দাঙ্গাবাজ বাহিনী দা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উম্মত আলী গোষ্ঠীর সাবেক মেম্বার কুদ্দুস মিয়া, সোহেল মিয়াসহ ওই গোষ্ঠীর অন্তত ১৫টি ঘর ভাঙচুর করে। এ সময় তারা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, গবাদি পশুসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ওই গোষ্ঠীর পুরুষরা বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম জানান, হামলার বিষয়টি মিথ্যা। বরং ওই গোষ্ঠীর লোকজন আমার ভাইসহ ৫ জনের ওপর হামলা করে তাদের গুরুতর আহত করেছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার এস.আই আব্দুস সবুর জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কীম সংক্রান্ত অবহিতকরন সভা আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলামিনুল হক পাভেল।
অবহিতকরণ সভায় স্লাইড (তথ্য চিত্র) প্রদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, বর্তমান সরকার গত ১৫ বছরে দেশে অনেক উত্তম কর্মকান্ড করেছেন। পেনশন স্কীম চালু বর্তমান সরকারের একটি সর্বোত্তম কর্মকান্ড। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, সঞ্চয় মানুষের শেষ জীবনের জন্য খুবই জরুরী। এই পেনশনের ফলে শেষ বয়সে কাউকে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবে না, এটা তাদের শেষ অবলম্বন। এটা সরকারের একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন নিয়ে একটা মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা একটা গুজব। সরকার কখনো কারো টাকা মারে না। তিনি সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে পারভেজ মিয়া (২৭) নামের এক যুবক স্ত্রীর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর ১টার দিকে জেলা শহরের ভাদুঘর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
পারভেজ আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের বোরহান মিয়ার ছেলে৷
হাসপাতাল সূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পারভেজ প্রেম করে বিয়ের পর স্ত্রীর মামা বাচ্চু মিয়ার বাড়ি ভাদুঘরে ভাড়া থাকতেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক তেমন ভাল ছিল না। পারভেজ হতাশাগ্রস্ত ছিল। প্রায় সময় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হতো। ঝগড়ার জেরেই সোমবার দুপুরে স্ত্রীর ওড়না গলায় পেছিয়ে সিলিংয়ের সাথে ফাঁস লাগিয়ে পারভেজ আত্মহত্যা করে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এক যবুক আত্মহত্যা করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই গ্রামে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আজ ১৩ মে মঙ্গলবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের চান্দের গোষ্ঠীর সাথে সলিমের গোষ্ঠীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই মধ্যে ১২ মে সোমবার রাতে সলিম গোষ্ঠীর এক যুবক চান্দের গোষ্ঠীর এক বাড়িতে ইয়াবা সেবন করতে যায় বলে অভিযোগ উঠে। এসময় চান্দের গোষ্ঠীর লোকজন ইয়াবা সেবনে বাধা দিলে যুবকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সোমবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জের ধরে আজ মঙ্গলবার সকালে দুই গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় উভয় পক্ষের ছোড়া ইট পাটকেলের আঘাতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহতের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সদর সহ বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে চান্দের গোষ্ঠীর সাথে সলিমের গোষ্ঠীর হানাহানি হয়েছে। এ ঘটনায় বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে। এ ঘটনার জন্য তিনি গ্রাম্য সালিশ কারক ও সর্দারদের দায়ী করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সূত্রে জানানো হয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষা ২৫, ২৬, ২৭ অক্টোবর-২০২৪ এর পরিবর্তে আগামী ২৯, ৩০, ৩১ অক্টোবর যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে কোনো প্রতারক চক্রের মাধ্যমে প্রতারিত না হবার জন্যও আহবান জানানো হয়েছে। স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফেসবুক পেইজ থেকে জানানো হলো। তবে কী কারণে তারিখ পরিবর্তন হলো তা উল্লেখ করা হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ পালন করা হচ্ছে।
বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে ১৪ এপ্রিল রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাড় ময়দান থেকে জেলা প্রশাসক মো. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
পরে শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে শোভাযাত্রাটি ফারুকী পার্কে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে মুখোশ, প্যাচা,মাছ সহ বাঙালী সাংস্কৃতির বিভিন্ন অনুসঙ্গ স্থান পায়। এছাড়া অনুষ্ঠানে লাঠিখেলা, সাপখেলা প্রদর্শন করা হয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রা অংশ নেওয়া আবেদ, লিজা, অয়ন নামে অংশ গ্রহনকাকারী বলেন, এটি কোনো নিদিষ্ট ধর্মের উৎসব নয়। এটি বাঙালীর প্রাণের উৎসব। ইউনেস্কো পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অন্যতম উৎসবের স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই আমরা প্রতিবছর বাঙালীর সার্ববজনীন এই উৎসবে অংশ গ্রহন করে থাকি।
পরে ফারুকী পার্কে জেলা প্রশাসনের আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পহেলা বৈশাখকে সরকারিভাবে পালন করছেন। আমাদের অনুষ্ঠানটিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, নববর্ষের স্বাগত জানানোর জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি হিসেবে আমরা এখন দাঁড় করাতে পেরেছি। যতদিন বাংলাদেশ অস্তিত্ব থাকবে ততদিন পহেলা বৈশাখের মতো আমাদের এই সাংস্কৃতি বেঁচে থাকবে। অনুষ্ঠানে ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে প্রাণের তাগিদে, নিজের তাগিদে, প্রাণের দাবিতে আমরা অংশগ্রহণ করেছি।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।