চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেসবুক ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন “আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া” এর উদ্যোগে নির্মিত “আই লাভ ব্রাহ্মণবাড়িয়া” নামে একটি লোগো উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার বিকেল সোয়া ছয়টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম শহরের ফারুকী পার্কে নির্মিত “আই লাভ ব্রাহ্মণবাড়িয়া” লোগো উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ আবু সাঈদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ সালমা বারী, কসবা সৈয়দাবাদ আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক এস.আর.এম ওসমান গনি সজীব ও সাংবাদিক শাহাদৎ হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মিশুক মাহমুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য রেজুয়ান রনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, অসংখ্য সচিব ও মলয়া সঙ্গীত থেকে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্ম এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্তৃক নির্মিত একটি ব্যতিক্রমধর্মী লোগো উদ্বোধনের মাধ্যমে জেলাবাসীর মাঝে জেলার প্রতি ভালোবাসা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্বাস করি।
জানা গেছে, বিবর্ধন রায় ইমন নামে এক যুবক ২০১৫ সালে ‘আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামে ফেসবুকভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৫ সালে ‘রঙিন হবে আমাদের স্কুল” শ্লোগানে জেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়ালে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথার নানা আঁকা ছবি আঁকে এই সংগঠন। পরে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে জেলার গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুল, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খ্রিস্টিয়ান মিশন প্রাইমারি স্কুলে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়াল মুক্তিযুদ্ধের ছবিতে রাঙিয়ে দেন সংগঠনের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বিবর্ধন রায় ইমন বলেন, এই উদ্যোগ জেলার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও কর্তব্যের বহিপ্রকাশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাম, সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তাই এই লোগো স্থাপন করেছি। সার্বিক সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ।
এই লোগে নির্মাণে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সংগঠনের সদস্যদের মাসিক চাঁদার টাকায় এই লোগো স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ২৮। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকুরি করা তরুণ-যুবকরা এই সংগঠনের সদস্য। জেলার জন্য ব্যতিক্রম কিছু করার ভাবনা থেকেই এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা। চলতি বছরের গত ৯ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফারুকী পার্কে সংগঠনের সদস্যরা জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে “আই লাভ ব্রাহ্মণবাড়িয়া” লোগো নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে কন্টেইনার ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় আপ লাইনে (ঢাকা অভিমুখে) ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন আউটার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন স্টেশনে কর্তব্যরত সহকারী স্টেশন মাস্টার শাকির জাহান।
সহকারী স্টেশন মাস্টার জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ৬০৭ নম্বর কন্টেইনার ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে তিন নম্বর লাইনে পেছন দিকের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়।
তিনি আরো জানান, লাইনচ্যুতির কারণে রেললাইনের পাত বাঁকা হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।দুর্ঘটনা কবলিত বগি উদ্ধারে রিলিফ ট্রেন আসার জন্য আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে খবর দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা পরিহার করে শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ আগস্ট রোববার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দরা ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহ-সভাপতি আবু কাউসার খানের সভাপতিত্বে ও সাঈদ হাসান সানীর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. মোমিনুল হক।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন ও সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, এবং সাবেক সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, অধ্যাপক জিয়াউল হক লাভলু, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে- যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এদেশে চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। এটিকে কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না। তাই দল-মত ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ ধরনের সহিংসতা পরিহার করে শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১০ মার্চ রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রধান অতিথি হিসেবে মহড়ার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন পৌর সভার মেয়র নায়ার কবীর, ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস. এম শফিকুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
মহড়ায় দুর্যোগকালীন সময়ে করনীয় বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়। মহড়া চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মহড়া বাস্তবিক ক্ষেত্রে অনেকটাই কাজে আসবে। মহড়ায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ১২৩ জন রোগীর মধ্যে এককালীন অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১২৩ জন রোগীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ নূরুল মাহমুদ ভূইয়ার সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া। বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রশীদ ভূইয়া ও আলআমিনুল হক পাভেল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা। তিনি দেশের প্রতিটি সেক্টরে অভাবনীয় উন্নয়ন করেছেন। তিনি সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায় মানুষকে জায়গাসহ ঘর নির্মান করে দিচ্ছেন। করোনাকালে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেয়া সহ, বিধবা ভাতা, মাতৃদুগ্ধভাতা, স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতাসহ প্রতিবন্ধীদেরকে ভাতার আওতায় এনেছেন। শুধু তাই নয় তিনি ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অনুদান দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, আগের কোন সরকারের আমলে মানুষ এতো ভাতা পেয়েছেন কিনা জানিনা, তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন মমতাময়ী মা, তাই তিনি সকলের খবর রাখেন। তিনি কঠিন রোগে আক্রান্তদের পাশে দাড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে প্রত্যেক রোগীকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আগের সরকারের আমলে নেতারা নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে, মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১২৩ জন রোগীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র্যালি ও আলোচনা সভা আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালিটি শহরের বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সুর সমরাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আমির আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল মতিন, জেলা জামায়েত ইসলামের আমীর গোলাম ফারুক প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, আজকের তরুণ সমাজরা হচ্ছে আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশের কর্ণধার। তাদের সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার নানামুখী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে।