চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১০ মামলার আসামি মো. শাহাব উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এসময় তার দেওয়া তথ্যমতে ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় তৈরি দুটি বন্দুক, তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ, তিনটি কিরিচ ও দুটি দা।
রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড নতুন ঘোনা এলাকা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। শাহাব উদ্দিন ওই এলাকার আবদুল করিমের ছেলে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, গ্রেফতার শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। সে এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন মুখ খুলতে সাহস পায় না।
তাকে একটি মারামারি মামলায় গ্রেফতার করতে গিয়ে তার ঘরের খাটের নিচ থেকে বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ ৩১ জুলাই সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক মো. নিজামুল করিমকে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিসিএ (সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ওই কর্মকর্তাকে নিজ বেতন ও বেতনক্রমে প্রেষণে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার আদেশ জারি করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, তিনি নিজ বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন ভাতা নেবেন এবং তিনি পদ সংশ্লিষ্ট ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিনা ভাড়ায় বাসস্থানের ব্যবস্থা করলে তিনি কোনো বাড়ি ভাড়া ভাতা নিতে পারবেন না। সরকারি বাসায় বসবাস করলে বাড়িভাড়াসহ সব ধরনের সরকারি পাওনা নিজ দায়িত্বে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টখাতে জমা দেবেন।
তিনি স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বাধ্যতামূলক ভবিষ্য তহবিল, গোষ্ঠী বিমা ও অন্যান্য তহবিল চাঁদা দেবেন। বোর্ড কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী তার লিভ সেলারি ও পেনশনের চাঁদা দেবেন। সরকারের প্রচলিত ও প্রণীতব্য বিধি বিধান ও আদেশ অনুসারে তার চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরে মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এসময় লুণ্ঠিত ৪৭ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোনসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ছোরা ও কাঁচি এবং অস্ত্র বহনের ব্যাগ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, দক্ষিণ) মো: মাহবুব উজজামান জিএমপির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কুনিয়া তারগাছ এলাকার শহিদুল শেখের ছেলে সাগর শেখ (২৪), একই এলাকার মৃত শাহজাহানের ছেলে রতন (২০) ও সজল দাসের ছেলে শান্ত দাস (১৯), চান্দুরা এলাকার মৃত মিজানের ছেলে মো. হাশেম (২৩), একই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে শ্যামল আহমদ (২১) এবং হামিদুর রহমানের ছেলে শাহীন (২০)।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, দক্ষিণ) মো: মাহবুব উজজামান জানান, গত ২২ আগস্ট রাত সোয়া দুইটার দিকে সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন গাজীপুরা এলাকার সেটার্ন গার্মেন্টসের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে ৭/৮জন সশস্ত্র ডাকাত। এসময় তারা ওই মাইক্রোবাসের সামনের ও সাইডের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে এবং দুই আরোহীকে মারপিট ও আতংক সৃষ্টি করে। ডাকাতেরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাইক্রোবাস আরোহীদের কাছ থেকে নগদ ৯৫ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল লুণ্ঠন করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বুধবার টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের একাধিক টিম এ ঘটনায় কুনিয়া, তারগাছ ও চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ওই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৪৭ হাজার টাকা ও ৫টি মোবাইল ফোনসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ছোরা ও কাঁচি এবং অস্ত্র বহনের ব্যাগ উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে যাত্রীবেশে, পথচারী সেজে সঙ্গবদ্ধ ভাবে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে ডাকাতি করে আসছিল। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার শেরপুরে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন নুরজাহান বেগমকে (৫২) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ ১০ জুলাই সোমবার সকালে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে নিহতের লাশ থানা পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে ঘটনার পরপরই ঘাতক আব্দুল মজিদকে (৪২) আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বিগত দুইবছর আগে মহিপুর বাজার এলাকায় আসেন নুরজহান বেগম। এমনকি সেখানে ভাসমান অবস্থায় থাকতেন মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী। আর স্থানীয় বাসিন্দা ঘাতক আব্দুল মজিদও ভবঘুরে জীবন যাপন করতেন। তিনিও একই বাজারে থাকতেন। এরই ধারাবাহিকতায় একাধিকবার তাকে কু-প্রস্তাব দেয় মজিদ। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া দেননি ওই নারী। বরং বিষয়টি এলাকার একাধিক ব্যক্তিকে জানান তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ঘাতক মজিদ। এরই জেরে সোমবার সকালে তাদের দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় ঘাতক মজিদ কাঠের বাটাম দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে বেধড়ক পেটায়। এতে তার মাথা ফেটে রক্তপাত শুরু হয়। এছাড়া শরীরের একাধিক স্থানেও মারাত্মক জখম হয়। পরে ওই নারীর চিৎকারে আশাপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। সেই সঙ্গে ঘাতক মজিদকে আটক করে রাখেন। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে নুরজাহান কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, এই ঘটনায় আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেও ভবঘুরে জীবন-যাপন করতো। ঘটনার পর থেকে কোনো কথা বলছে না। তাই কী-কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। আলাপকালে আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশে শান্তি ও নিরাপত্তা পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার কথাও জানান।
আজ ১৪ আগস্ট বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নিজের একটি ছবি পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান আনোয়ার ইব্রাহিম নিজেই।
তিনি পোস্টে লেখেন, ‘গতকাল আমার পুরনো বন্ধু প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে ফোনে কথা হয়েছে, তাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সাম্প্রতিক নিয়োগের জন্য ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানিয়েছি।’
তিনি আরো লেখেন, মালয়েশিয়ার সাথে প্রফেসর ইউনূসের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে শান্তি ও নিরাপত্তা পুনর্গঠন ও পুনঃস্থাপনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সাহায্য ও সমর্থন করতে প্রস্তুত রয়েছে।
সংখ্যালঘুসহ সব বাংলাদেশি নাগরিককে সুরক্ষা ও সমান অধিকার রক্ষার আশ্বাস দেওয়ায় ড. ইউনূসের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
অধ্যাপক ড. ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করতে তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশ সফর করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
যত বেশি জ্বালানি ব্যবহার হয় পরিবেশের ওপর তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। আবার ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি আমদানিতে সংকট রয়েছে। এ রকম অবস্থায় একের বেশি গাড়ি নিরুৎসাহিত করতে আগামী ২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবেশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একের অধিক প্রতিটি গাড়িতে সিসি অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা বাড়তি কর দিতে হতে পারে ।
আজ ১ মে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, একের বেশি ১৫শ সিসি পর্যন্ত প্রতিটি গাড়ির জন্য দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা। ১৫শ সিসির বেশি থেকে ২ হাজার সিসি পর্যন্ত ৫০ হাজার, আড়াই হাজার সিসি পর্যন্ত ৭৫ হাজার, তিন হাজার সিসি পর্যন্ত দেড় লাখ, ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ২ লাখ এবং সাড়ে তিন হাজার সিসির বেশি হলে সাড়ে তিন লাখ টাকা কর দিতে হবে। সূত্র : বাসস