চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ওরস থেকে ফেরার পথে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১ জন গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শাহ রাহাত আলীর মাজারের ওরস দেখতে এসে মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে অটোরিক্সার সঙ্গে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর কলেজপাড়ার জুয়েল মিয়ার ছেলে মিরাজুল ইসলাম (১৮) ও বাঙ্গরা থানার আমিননগর গ্রামের আতশ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮)। আহত অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয় রামচন্দ্রপুর গ্রামের কাজী আজাদ মিয়ার ছেলে ইকরামকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার শাহ রাহাত আলীর ওরস থেকে মোটর সাইকেল করে বাড়ি ফেরার পথে বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর সড়কের পাড়াতলি মোড়ে সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান মিরাজুল ইসলাম। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুল ইসলাম এবং ইকরামকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় যাওয়ার পথে সাইফুল ইসলাম মারা যান।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল কবির জয় বলেন, ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। সাইফুল ইসলাম এবং ইকরামকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করি।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার ইনচার্জ মো. নূরে আলম বলেন, মোটরসাইকেল আরোহীরা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারা যান। এ বিষয়ে তাদের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। আমরা পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা ডালিম নামের এক যুবককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত রুবেল ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
আজ ৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরে আইয়ুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও এলাকাবাসীর আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাগর, বিএনপি নেতা মাহফুজ মিয়া, মোঃ নবী মিয়া, উপজেলা শ্রমিকদলের কার্যকরী সদস্য জহিরুল হক, আইয়ুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মোঃ জিলানি, মোঃ নাজিম উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কড়িকান্দি গ্রামের ডালিমের উপর আক্রমণকারী চিহ্নিত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ রুবেল এবং তার সহযোগীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ বিচার করা হোক। যেন সন্ত্রাসীরা এই ধরনের অন্যায়মূলক বেআইনি কাজ আর কারো সাথে না করতে পারে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সুজন চন্দ্র পাল বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর কড়িকান্দি ফেরিঘাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ মারামারি করে, মারামারিতে ডালিম নামের একজন আহত হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করি। মামলাটি তদন্তে আছে। তদন্ত শেষে আরো যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রেরণ করার হবে।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে প্রথম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী (৭) নিজ বিদ্যালয়ের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ১৩ নভেম্বর সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ স্কুলের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী মোঃ দিদার মিয়া (৩০) কে রেফতার করেছে।
রেফতারকৃত দিদার মিয়া নিজকান্দি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সোমবার সকালে সোয়া ৯টার দিকে স্কুলে যায়। পরে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরি দিদার মিয়া তাকে চকলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের পুরাতন ওয়াশব্লকের বাথরুমে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না বলতে তাকে ভয় দেখায়। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পরলে সে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে তার মা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞাস করলে মাকে সে বিষয়টি বলে।
পরে তাকে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করে।
ভিকটিমের মা সাংবাদিকদের জানান, আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। আমার মেয়ের মতো যেনো অন্য কোন শিশু এই ধরনের ঘটনার শিকার না হয়।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজমুল হোসেন বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমি ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করি।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিরা আঞ্জুম সাথী বলেন, এই ধরনের ঘটনায় গাইনি ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা করতে হয়। তাই আমরা তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছি। ব্লিডিং হয়েছে বলে মনে হয়েছে। হাসপাতালে আনার আগে তাকে গোসল করানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে দিদার নামে একজনকে গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা ওই শিক্ষার্থীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামকে ২১ মাস আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা এক মামলায় রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ ২১ আগস্ট বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতের বিচারক সাদেকুর রহমান তাঁর ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ২০০৮ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এর আগে তিনি ১৯৯৬ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। একই সঙ্গে তিনি দলটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন। পরে কমিটি থেকে বাদ পড়েন। গতকাল ২০ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে তাজুল ইসলামকে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে মিছিল বের করাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রফিকুল পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন বাদী হয়ে ৩০২ ধারাসহ (হত্যা) বিভিন্ন ধারায় বিএনপির ১৭ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই মামলার এজাহারে সাবেক সংসদ সদস্য তাজুলের নাম নেই, তবে এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
জানতে চাইলে জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদল নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় পেছন থেকে ইন্ধনদাতা হিসেবে তাজুল ইসলামের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ কারণে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ওসি সহিদুল ইসলাম বলেন, ওই মামলায় জেলা গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল আহমেদ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালতে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। এর আগে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিনি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁকে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, আজ দুপুরে তাজুল ইসলামকে পুলিশের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালতের ভেতর বিএনপির আইনজীবীরা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনের জন্য হইচই করেন। আওয়ামী লীগের চারজন আইনজীবী সেখানে উপস্থিত হলেও পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় কোনো কথা বলেননি। একপর্যায়ে তাঁরা এজলাস ত্যাগ করে চলে যান। তিনটায় আদালতের রায়ের পর প্রিজন ভ্যানে তুলে পুলিশ তাঁকে আদালত থেকে নিয়ে যায়। এ সময় বিএনপির আইনজীবীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
কয়েকজন আইনজীবী বলেন, আদালত প্রথমে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আইনজীবীদের হইচইয়ের কারণে পরে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান মামুন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলাম খান ও জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আইনজীবী আবদুর রহিম বলেন, ছাত্রদল নেতা রফিকুল হত্যা মামলায় তাজুল ইসলামের ইন্ধন রয়েছে। সে সময় থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ গ্রহণ করেনি। আদালতে পুলিশসহ ৬০ জনের বেশি আসামি করে মামলা দিলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের খবরে আজ দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আনন্দমিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুরে উপজেলার মুসা মার্কেট থেকে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নেতাকর্মীরা আনন্দমিছিল বের করে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মহসিন, সদস্য সাখাওয়াত হোসেন, আবদুল করিম, দেলোয়ার হোসেন, আবদুল করিম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আশিক মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১১টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের গাওরাটুলি এলাকায় কবর সংলগ্ন পুকুর থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
আশিক মিয়া উপজেলার কলাকান্দি ২নং ওয়ার্ডের আফজাল মিয়ার বড় ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেলে আশিক জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে অটোরিক্সা নিয়ে বের হন। রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেননি।
পরিবারের লোকজন রাতে ও গতকাল সকালে আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেয়। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান মেলেনি।
সকালে পুকুরের পানিতে আশিকের মৃতদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরন করা হয়।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মহিউদ্দিন বলেন, শুক্রবার রাতে কোন এক সময় তাকে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। এসময় তারা অটোরিক্সাটি নিয়ে যায়। আমরা খুনীদের সনাক্ত করতে কাজ করছি।