অনলাইন ডেস্ক :
দেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করার ব্যাপারে শেখ হাসিনার সরকার জনগণের কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুককে জানান তিনি।
সাক্ষাৎ শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদুত হিসেবে যোগ দেওয়ার পর আমার সঙ্গে এটিই তার প্রথম সাক্ষাৎ। তিনি যখন এখানে ডিএফআইডির প্রধান ছিলেন তখন আমার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। এটি তার রুটিন সাক্ষাৎ। হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় সবার সঙ্গেই দেখা করছেন, এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেছেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাপারে তার আগের এরিয়া (ডিএফআইডি) নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। তিনি নিজে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে অত্যন্ত খুশি। নিজেই সেটা জানিয়েছেন। বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রাখবেন।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আইনি অবকাঠামোর অনেক কিছুই ব্রিটিশ আইনের ওপর নির্ভরশীল। এখন আইনের ক্ষেত্রে অনেকরকম উন্নয়ন হয়েছে এবং এটি আরও কীভাবে উন্নতি করা যায় সে ব্যাপারে আমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনা করেছি। যুক্তরাজ্যে আমাদের যে জুডিশিয়াল অফিসার ও আইনজীবী আছেন তাদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আমরা আলাপ করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, লন্ডনে থাকা তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে চেষ্টা করছে সরকার। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপ করি, তারপর আপনাদের কাছে ফিরে আসব।’
ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। উনি শুধু বলেছেন, আমি খুব ইন্টারেস্টিং সময়ে বাংলাদেশে এসেছি। আমি তাকে বলেছি, এখন কম-বেশি আমাদের মনোযোগ নির্বাচন ঘিরে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভায়োলেন্সফ্রি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জনগণের কাছে শেখ হাসিনার সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’
সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনের গভর্নেন্স উপদেষ্টা রফিকুজ্জামান, ব্রিটিশ হাই কমিশনের দ্বিতীয় সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ভেনেসা বিউমন্ট উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁ প্রতিনিধি :
নওগাঁর রাণীনগরের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রক্তদহ বিল। বিলের আশপাশে ৪০টি গ্রামের মানুষের বসবাস। এই মানুষদের চলাচলের একমাত্র ভরসা মেঠো পথের শেষে খেয়াঘাটের নৌকা। বিলে পানি যতদিন থাকে, ততদিন নৌকায় পারাপার আর যখন পানি থাকে না, তখন প্রয়োজনীয় কর্ম সমাধান করতে ৪০-৫০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে নওগাঁ, বগুড়া, রাণীনগর ও আদমদীঘিতে যেতে হয়।
এতে করে বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করে আসতে হচ্ছে এই অঞ্চলের লাখো মানুষদের। কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে যুগের পর যুগ। হাজার চেষ্টাতে এই অঞ্চলের মানুষদের ভাগ্যে খেয়াঘাটে একটি ব্রিজ জোটেনি। ফলে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল থেকেও বঞ্চিত এই কৃষিপ্রধান অঞ্চল।
বোদলা গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান মুহরী জানান, মাধ্যমিক পর্যায়ের একাধিক পাঠ্যবইয়েও এই বিলের ইতিহাস লিপিবদ্ধ আছে। কয়েক হাজার বিঘা জমি নিয়ে এই বিল অবস্থিত। বিলের পূর্বপাশে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কৃষি প্রধান অঞ্চল বোদলা, পালশা, কৃষ্ণপুর, তেবাড়িয়াসহ ৪০টি গ্রাম অবস্থিত। এই মানুষদের সহজেই নওগাঁ, বগুড়া, রাণীনগর, আদমদীঘি, সান্তাহারে চলাচলের সহজপথ হচ্ছে বিলের মধ্য দিয়ে রাস্তা। বিলের মধ্য একটি ব্রিজ না হওয়ার কারণে মেঠোপথ দিয়েই খেয়াঘাটে পারাপার হতে হয়। পারাপারের জন্য খেয়াঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় নৌকার জন্য। এই অঞ্চলের মানুষদের হাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় হাতে বেশি নিয়ে অন্যত্র যেতে হয়। একটি ব্রিজের অভাবে এখনো এই অঞ্চলের মানুষদের প্রাচীন যুগে বসবাস করতে হচ্ছে। দিনের বেলায় ঘাটে এসে নৌকা পাওয়া গেলেও রাতের বেলায় ৪০-৫০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে এই অঞ্চলের মানুষদের নিজের বাড়িতে ফিরতে হয়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থী ও জরুরি রোগীদের। অনেক প্রসূতিদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে এই খেয়াঘাটে এসেই প্রসব হয়ে যায়।
উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বাদশা বলেন, এই বিলের একপ্রান্তে শত বছরের ঐতিহাসিক কোসমুড়ির দরগা রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন মানত পূরণ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে থাকে। এছাড়াও বর্ষাকালে এই বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক দর্শনার্থীরা এসে থাকেন। তাই এই ঘাটে একটি ব্রিজ হলে এই বিল পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্পট হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। ফলে এখানে অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে।
নওগাঁ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমার জানা মতে ব্রিজ নির্মাণের সকল প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। সকল বিভাগীয় প্রক্রিয়া শেষে অর্থ বরাদ্দ পেলেই ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। আমি আশাবাদী দ্রুত এই অঞ্চলের মানুষদের শত বছরের স্বপ্নের ব্রিজ নির্মাণের সুখবর দ্রুতই পাওয়া যাবে।
নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, চীনের হুয়াংহু নদীর মতো এই রক্তবিলও এই অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি দুঃখ। এই ঘাটে একটি ব্রিজ এই অঞ্চলটিকে আমুল বদলে দিতে পারে। আমিও সংশ্লিষ্ট বিভাগকে একাধিকবার ব্রিজ নির্মাণের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাগাদা দিয়েছি। দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের সুখবর পাওয়া যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ২২ শ্রাবণ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিদায়ের দিন। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বাংলা সাহিত্য ও কাব্যগীতির এই শ্রেষ্ঠ রূপকার পরলোকগমন করেন। ৮০ বছর বয়সে তার এ মৃত্যু দেহান্তর মাত্র। কারণ তার কাজের মধ্য দিয়ে তিনি আজও বিরাজমান।
বাঙালির জীবনে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আছেন সবসময়। তার বাণী ও সুর অমিয় এক সুধা হয়ে ধরা দেয় জীবনের নানা বাঁকে। তারই লেখা গান আমাদের জাতীয় সংগীত।
মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যে মানবজীবনের পথচলার সমাপ্তি তাকে বরণ করে নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি তার ‘মৃত্যুঞ্জয়’ কবিতায় লিখেছেন, ‘যত বড়ো হও,/তুমি তো মৃত্যুর চেয়ে বড়ো নও/আমি মৃত্যুর চেয়ে বড়ো এই শেষ কথা বলে/যাব আমি চলে।’
আরেক জায়গায় তিনি লিখেছেন, ‘মৃত্যু দিয়ে যে প্রাণের মূল্য দিতে হয়/সে প্রাণ অমৃতলোকে/মৃত্যু করে জয়।’ নিজের কথার মতোই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বাঙালির মণিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছেন। তিনি আজও বাঙালির মানস গঠনে, চেতনার উন্মেষের প্রধান অবলম্বন।
‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে তিনি প্রথম এশীয় হিসাবে ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। দেশজ শিক্ষাব্যবস্থা বিকাশের লক্ষ্যে তিনি গড়ে তোলেন শান্তি নিকেতন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রামীণ সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কৃষির উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। বাংলায় আলু, ভুট্টা ইত্যাদি চাষের সূচনা ঘটে তারই উদ্যোগে।
দরিদ্র কৃষককে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে নোবেল পুরস্কারের অর্থে কৃষি ব্যাংকের কাজ শুরু করেন। বঙ্গভঙ্গ রদ করার দাবিতে হিন্দু-মুসলমানদের নিয়ে রাখিবন্ধন কর্মসূচিতে রাজপথে নেমে আসেন।
১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধি দিলেও ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগে ব্রিটিশ বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। যে কোনো ক্রান্তিকালে তার গান, কবিতা, উপন্যাস, গল্প আমাদের ধৈর্য ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়।
কর্মসূচি : রবীন্দ্রপ্রয়াণ দিবসে ছায়ানটের আয়োজনে ‘আঘাত করে নিলে জিনে’ শীর্ষক আয়োজন থাকছে। আজ ছায়ানট মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে এ আয়োজন। অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত। অনুষ্ঠানটি ছায়ানটের ফেসবুক পেজে সরাসরি অনলাইনে দেখা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। একইসঙ্গে আইনটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের জন্য নয়, বরং সাইবার অপরাধ দমনের জন্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ ৩ মে বুধবার দুপুরে রাজধারীর ধানমন্ডি মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) হলরুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৩ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজিত হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় সম্পাদক পরিষদের দাবির প্রেক্ষিতে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না। এখন এই আইনে কেউ অভিযোগ করলেই মামলা নেওয়া হয় না। এটি প্রথমে পর্যবেক্ষণের জন্য আমাদের নির্ধারিত সেলে পাঠানো হয়। সেখানে বিষয়টি যুক্তিযুক্ত মনে হলে পরে এটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয় বা আদালতে পাঠানো হয়। মামলা হতে পারে এমন কিছু প্রতিষ্ঠিত না হলে গ্রেপ্তার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ ভবিষ্যতে প্রণয়ন করা প্রত্যেক আইনে সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, অনলাইন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীলতার ঘাটতি রয়েছে। যার মাধ্যমে সাইবার অপরাধ সংগঠিত হতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাইবার অপরাধ দমনে আইন রয়েছে। বাংলদেশেও এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয় তখন গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে এখন আইনটির অপব্যবহার কমেছে। এটিকে আরও পরিশুদ্ধ করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি, যাতে আইনটির সমস্যাগুলো সমাধান করে সকলের গ্রহণযোগ্য একটা আইন করা যায়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের জন্য নয় দাবি করে আনিসুল হক বলেন, এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে সাইবার অপরাধ দমনের জন্য। প্রধানমন্ত্রী কখনো সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করবেন না, তিনিও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চান। এখন ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্টের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। স্বাধীনতা না থাকলে এগুলো নিয়ে আলোচনায় যেতাম না। আইন হচ্ছে ডাটা প্রোটেক্ট করার জন্য, নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়। মুক্তগণমাধ্যম নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার সময় মতামত নেওয়া হয়নি, সম্পাদক পরিষদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, আইনটি যখন করা হয় তখন তারা আমার সঙ্গে আলোচনা করতে আসে। যে পর্যায়ে আলোচনা করতে আসে তখন আইনটি সংসদে চলে যায়। কিন্তু স্ট্যান্ডিং কমিটিতে তারা তাদের বক্তব্য দিয়েছেন, তাদেরকে সে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তখন প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় সবাই আইনটির ব্যপারে ঐক্যমত ছিলেন। তাদের মতামত অনুযায়ী ২১ ধারায় শাস্তি কমানোর বিষয়টি গ্রহণ করা হয়, জামিনযোগ্য এবং অজামিনযোগ্যের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, আমি নিজ উদ্যোগে ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্টের বিষয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে যাব। প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট নিয়েও আলোচনা হবে। আমরা সবসময় আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রাখতে চাই, আলোচনা না করে কিছু হবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের চেষ্টা করা হবে। এ আইনে কারো অভিযোগ পর্যবেক্ষণের জন্য যে সেল করা হয়েছে সেটি আইসিটি মন্ত্রণালয় বা আইন মন্ত্রণালয়ে পাবেন না, সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাবেন।
স্বাধীন সাংবাদিকতা করার অধিকার সবার আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সত্য তুলে ধরার দায়িত্ব আপনাদের। প্রত্যেকটা জিনিসেরই দুইটা দিক থাকে, আপনারা দুটোই তুলে ধরবেন যাতে জনগণ বুঝে নিতে পারে।
মুক্তগণমাধ্যমের সূচকে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের নিচে অবস্থান করছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে নীর্ণায়কে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের নিচে থাকে, আমার বিষয়ে সেই নির্ণায়কের বিষয়েই সকলের প্রশ্ন থাকা উচিৎ।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় এ সময় আরো বক্তব্য দেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতিআরা নাসরিন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ইউনাইটেড ন্যাশনস ইন বাংলাদেশের রেসিডেন্ট কোঅর্ডিনেটর জিউন লিউইস, ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইন চার্জ সুজান ভিজ।
অনলাইন ডেস্ক :
জাপানের পথে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপান যাওয়ার আগে আজ ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নবনির্মিত ভিভিআইপি লাউঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে জাপানের টোকিওর উদ্দেশে রওনা হন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫-২৮ এপ্রিল জাপানে সরকারি সফর করবেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেলে টোকিও থেকে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১ মে সোমবার বিশ্বব্যাংক সদরদপ্তরে বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে ‘রিফ্লেকশন অন ৫০ ইয়ার্স অব ওয়ার্ল্ড ব্যাংক – বাংলাদেশ পার্টনারশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।
এরপর ৪ মে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডন যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের আমন্ত্রণে লন্ডন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
৬ মে শনিবার ওয়েস্টমিনিস্টারে রাজা ও রানির রাজ্যাভিষেকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
তিন দেশ সফর শেষে ৯ মে মঙ্গলবার সকালে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনলাইন ডেস্ক :
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গ-সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনি মতামত দিয়ে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই- ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং তার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ)-কে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসেবে গণ্য করা হইয়াছে; এবং যেহেতু, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশন নং-৬৩০/২০০৯-এ ১ আগস্ট ২০১৩ তারিখের প্রদত্ত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত/প্রাপ্ত নিবন্ধন বাতিল করিয়া দিয়াছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের ওই রায়কে বহাল রাখিয়াছে; এবং যেহেতু, সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রহিয়াছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সব অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে সেহেতু, সরকার, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তার সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তার সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে। এর আগে, সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের যেসব কর্মী ১৯৭১ সালের পর জন্ম নিয়েছেন তাদের গণহারে বিচার করা হবে না।