চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় কেরাত, হামদ, নাত ও গজল গেয়ে শিক্ষার্থীরা পেয়েছে ল্যাপটপ, ট্যাব, স্পিকারসহ নানা পুরস্কার। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক শিক্ষার্থী গজল পরিবেশন করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করায় ট্যাব পুরস্কার পেয়েছে।
৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আখাউড়া পৌর এলাকার বড়বাজার দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় পুরো উপজেলা থেকে বাছাই করা ৪২ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা সব ধর্মের জন্য উন্মুক্ত থাকায় চূড়ান্ত পর্যায়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী মণি দাস গজলে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।
কেরাত প্রতিযোগিতায় মাহমুদুল হাসান রাফি প্রথম, আব্দুল্লাহ বিন কাদির দ্বিতীয়, ইকরাম হোসাইন তৃতীয় স্থান লাভ করে। হামদ, নাত ও গজলে যোবায়ের আহমেদ প্রথম, মণি দাস দ্বিতীয় ও ফয়সাল আহমেদ তৃতীয় স্থান অধিকার করে। প্রথম স্থান অধিকারীকে ল্যাপটপ, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ট্যাব ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে স্পিকার উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক ও দেবগ্রাম জামিয়া মাজহারুল হক মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মো. আসাদুজ্জামান। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মুফতি সাইফুজ্জামান, হাফেজ হামিদুল হক ও হাফেজ এমদাদ উল্লাহ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইসলাম যে সমতায় বিশ্বাস করে এটারই প্রমাণ আজকের এই আয়োজন। প্রতিযোগিতাটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনও চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পুরস্কার নিতে পেরেছে।
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন বলেন, ২০১৯ সালে প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব শেষ হয়। করোনার কারণে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত আমরা সফল আয়োজন করতে পেরেছি। প্রতিবছরই এমন একটি আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদসহ শেখ আবুল হায়াত নামে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ২২ নভেম্বর শুক্রবার সকালে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা করাগারে পাঠানো হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্টেশনে অভিযান চালিয়ে চার বোতল বিদেশি মদসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ব্যাগে একটি ভারতীয় পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত শেখ আবুল হায়াত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার হাজেরাবাটি (মসজিদপাড়া) গ্রামের শেখ মনিরুলের ছেলে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিকেলে ভারতীয় ওই যুবক রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় তার গতিবিধি দেখে টহল পুলিশের সন্দেহ হয়। একপর্যায় পুলিশ তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে চার বোতল বিদেশি মদ উদ্ধারসহ তাকে গ্রেফতার করে। ওসি আরো জানান, এ বিষয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও চোরাচালানের অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সকালে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা করাগারে পাঠানো হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেকোনো মূল্যে অপরাধ নির্মূল করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতে খাইরুল ইসলাম নামে পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
৬ মে শনিবার আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক নূপুর কুমার দাস বাদী হয়ে ৫৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
এই মামলায় শুক্রবার রাত থেকে আজ ০৭ মে রবিবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক কারবারিসহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হবে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. হৃদয় (২৫), মো. রুবেল ভূঁইয়া (৪৫), মো. মমিন ভূঁইয়া (৪৩), মো. মঙ্গল মিয়া (৬৩), মো. বাবু (২৫), সোহাগ রানা প্রকাশ বশির (৪২), মো. পারভেজ (৩৮), মো. রুহুল আমিন (২৯), মো. ইয়াসিন সরকার (৩৮), মো. জালু মিয়া (৪৪), মো. সোলেমান (৪০), মো. ইব্রাহিম (৪৫), মো. আউয়াল মিয়া (৫০), মো. আমির খা (৩৫), সবুজ খন্দকার (৩৫), মাসুদ (৩২), আমিনুল ইসলাম (৩২), মো. ওয়াসিম (৩৫), মো. দিপু চৌধুরী (২৩), মো. মামুন মিয়া (২৯), মো. ইকবাল হোসেন, মো. সাইফুল ইসলাম (২৪), মো. রাজ্জাক মিয়া (৪০), মো. ইউনুস (৪৫), মো. রুবেল মিয়া (২৮), আব্দুল কাদের প্রকাশ বাবু (২৩), মো. বোরহান উদ্দিন (২৫), কাপ্তান মিয়া (৫০), মো. মানিক মিয়া (৪২), মো. কিবরিয়া (২৬), মো. আনোয়ার হোসেন (৬২), মো. আলেক মিয়া (৩২), মো. মানিক মিয়া (২৪), মো. শফর আলী ভূঁইয়া (৫০), মো. আনোয়ার হোসেন প্রকাশ, আইনাল হক প্রকাশ, আনাল পাগলা (৩০) ও মনোয়ারা বেগম (৪২)।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসন বলেন, পুলিশ কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমারা তিন দিনের সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক কারবারিসহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের প্রত্যকের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল, ৭০ বোতল বিয়ার, চার কেজি গাঁজাসহ দেশিয় অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর থেকেই সব মাদক কারবারিরা এলাকা ছেড়ে দিয়েছেন। তাদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ, গত শুক্রবার রাতে আখাউড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে মাদক উদ্ধারের অভিযান চালানো হয়। সেখানে শিবনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে সেলিম ও সোহেল নামের দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, মাদক উদ্ধারের সময় দুইজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল খাইরুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় কারবারিরা। এতে তিনি মাথায় ও পেটে গুরুতর আঘাত পান। পরে আহত অবস্থায় পুলিশ সদস্য খায়রুলকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বন্যা, অতিবৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে ১ হাজার ১৮০ কেজি রুই জাতীয় মাছের পোনা বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার দুপুরে উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা আখাউড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১৮ জন মৎস্য চাষীদের মাঝে রুই জাতীয় মাছের এসব পোনা বিতরণের আনুমানিকতার উদ্বোধন করা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের বন্যা, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় জলাশয় ও পুকুর প্লাবিত হয়ে অনেক মৎস্য খামারী ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ক্ষতিগ্রস্ত খামার, পুকুর ও দিঘীর সংখ্যা ছিল ৯৬২ জন। এরমধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১১৮ জন প্রান্তিক মৎস্য চাষীর মাঝে ১০ কেজি করে মোট ১ হাজার ১৮০ কেজি কার্প জাতীয় মাছ রুই, মৃগেল, কাতলা, কালিবাউশ ও গনিয়া মাছের পোনা বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি কেজিতে ৮০/৯০টি করে পোনা রয়েছে।
আজ প্রথম ধাপে ৩৫ জন প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বাকী চাষীদের মাঝেও পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রৌনক জাহান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রেজাউল করিম প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আরো ১০টি পণ্যকে মান সনদের আওতায় এনেছে। বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১০টি নতুন পণ্যকে মান সনদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রাধন কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নতুন যে ১০টি পণ্য মান সনদের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডিসপোজেবল ডায়াপারস, ফেসওয়াস, পেট্রোলয়িাম জেলি, রুটি (ফ্ল্যাটব্রেড/ টরটিলা), এ্যারোসলস, গিজার, শেভিং ফোম/জেল, আই কেয়ার, হেয়ার ডাইস লিকুইড ও শু-পলিশিং লিকুইড। বর্তমানে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি। বিএসটিআই কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, এ সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব মোঃ আবদুস সাত্তার এ সভা পরিচালনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সকলের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএসটিআইকে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনে বিএসটিআইকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ীরা করোনা মহামারিকে পূঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সিন্ডিকেট করছে। তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষায় বিএসটিআইকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় রেখে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে কাজ করতে হবে।
কাউন্সিল সভার পরে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিএসটিআই’র ৯১ জন নবনিযুক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ, যোগদান এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরে অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে লাগেজ পার্টি। শেষ পর্যন্ত তারা কাস্টমস কর্মকর্তাসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছে। নিয়ে গেছে কোটি টাকার অবৈধ পণ্য।
আজ ১৫ মার্চ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কাস্টমস অফিস ও আখাউড়া-আগরতলা সড়কে দু’দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ কামরুল পারভেজ আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি দুই আহত হলেন, কাস্টমসের সিপাহি পদে কর্মরত মো. জুম্মন ও মো. ইমন মিয়া।
সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িতসহ স্থানীয় প্রভাবশালী লাগেজ পার্টির চক্রটিকে ওই মামলায় আসামী করা হতে পারে বলে জানা গেছে গেছে।
স্থানীয় ও আহতদের সূত্র জানায়, বেলা সোয়া তিনটার দিকে ভারত ফেরত এক বা একাধিক যাত্রী সাত-আটটি ব্যাগে করে প্রচুর মালামাল নিয়ে আসেন। নিয়ম অনুসারে কাস্টমসের লাগেজ স্ক্যানিংয়ের কক্ষে না নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে ফেলা হয়। তখন কাস্টমসের পক্ষ থেকে এসব পণ্য স্ক্যানিং কক্ষে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় স্থানীয় চক্রটি। তারা এ নিয়ে কাস্টমসের লোকজনের সঙ্গে বাগবিতন্ডার জড়িয়ে পড়েন। এরই ফাঁকে মালামাল নিয়ে ওই অটোরিকশা দ্রুত চলে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষও তাদের পিছু নেয়। বিজিবি ক্যাম্প পার হওয়ার পর অটোরিকশাটিকে আটক করে কাস্টমসের লোকজন। তখন পেছনে থেকে মোটর সাইকেলে এসে কয়েকজন যুবক কাষ্টম্স কর্মকর্তাদের উপর হামলা করে। এতে কাস্টমসের তিনজন আহত হন। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে আহত একজন আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেয়।
আহত সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মো. কামরুল পারভেজ বলেন, সাত-আটটি ব্যাগে বিপুল পরিমাণ মালামাল ছিলো। স্ক্যানিং করতে রাজি না হয়ে তারা উল্টো ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়। কিছুদূর যাওয়ার পর অটোরিক্সাটি আটক করা হলে ওই এলাকার কবির, আওলাদ, হৃদয়সহ কয়েকজনের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মাল নিয়ে আসা যাত্রী ভারতীয় নাকি বাংলাদেশি সেটি জানা যায়নি। তবে তাদের সঙ্গে স্থানীয় একটি বড় চক্র রয়েছে। হামলায় তিনিসহ তিনজন আহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি এ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত সেটি জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান। হামলাকারিসহ তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।