চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে কুয়েতপ্রবাসীর বাসায় ঢুকে স্বর্ণালংকারসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে গেছে একদল ‘ডাকাত’। এ সময় ফ্রিজে থাকা গরুর মাংসও নিয়ে গেছে তারা। আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ভুক্তভোগী কুয়েতপ্রবাসী ফারুক হোসেন ঘটনাটি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার ভোরে উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দীপুর গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।
তবে এ ঘটনায় কোনো আহতের ঘটনা ঘটেনি।
ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা ৪ ভাই। আমিসহ ৩ জন কুয়েতপ্রবাসী। আমাদের ৪ ভাইয়ের পরিবারই ঢাকায় থাকে।
রামগঞ্জের বাড়িতে আমার বাবা আলী আহম্মদ ও মা হোসনেয়ারা বেগম থাকেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনার সময় ডাকাতদল একতলা ভবনের ছাদে ওঠে। একপর্যায়ে সিঁড়ির রুমের টিনের চালা খুলে তাদের কেউ একজন ভেতরে প্রবেশ করে। পরে সিঁড়ির রুমের দরজা খুলে তারা বাসায় ঢুকে তার বাবা-মাকে চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে অচেতন করে রাখে।
পরে আলমারিতে থাকা এক লাখ ৪৪ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ সময় বাসায় থাকা কম্বলসহ বিভিন্ন মালামাল ও ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংসও নিয়ে গেছে ডাকাতদল।’
করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ মির্জা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা বলেছি। ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।’
রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এটি ডাকাতি নয়, চুরির ঘটনা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, চিকিৎসার নামে হাসপাতালগুলো লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে, তা ফেরত দিতে হবে।
আজ ১৭ আগস্ট শনিবার বিকেলে কুর্মিটোলা হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীরা রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। হাসপাতালগুলোতে শয্যার বিপরীতে দ্বিগুণ রোগী রয়েছেন। এছাড়া এতোদিন যারা ভর্তি ছিলেন তাদের থেকে যেসব হাসপাতাল টাকা নিয়েছেন সেই সব টাকা ফেরত দিতে হবে।
ডেস্ক রিপোর্ট :
২৫ ডিসেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার জেলায় জেলায় পৌঁছাবে । এখন ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ চলছে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ কথা জানান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ শেষ হবে। এর আগেই ২৫ ডিসেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় জেলায় জেলায় পৌঁছানো শুরু হবে পেপার।
১৮ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০০ আসনে প্রার্থীদের তালিকা পেয়ে গেছি, সে অনুযায়ী ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ চলমান। বিজি প্রেসের তিনটি প্রেসে ব্যালট পেপার প্রিন্ট হচ্ছে। যে সব নির্বাচনী আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে, ওই সব আসনে পরে ছাপানোর কাজ শুরু হবে।
৪০টির বেশি আসনে মামলা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ব্যালট মুদ্রণ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চাই। যে সব নির্বাচনী এলাকায় কোনো মামলা নেই, সেখানের পেপার আগে মুদ্রণ হবে। যে সব নির্বাচনী এলাকায় মামলা রয়ে গেছে, হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেতে পারে, কারও প্রার্থিতা চলে যেতে পারে, সেসব এলাকায় আগে মুদ্রণ করলে পুনরায় মুদ্রণ করতে হবে। আগেরগুলো বাতিল হয়ে যাবে, এক্ষেত্রে যেসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে সেসব আসনে মুদ্রণ পরে হবে।
ব্যালট পেপার মুদ্রণে সুনির্দিষ্ট বাজেট নেই জানিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিজি প্রেসের চাহিদার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে তাদের ৩৩ কোটি টাকা দিয়েছি। যে ভোটার আছে, তত সংখ্যক ব্যালট ছাপানো হবে। ২৫ তারিখের পর জেলা পর্যায়ে ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হবে। যেগুলো শেষ হবে সেগুলো আগে চলে আসবে। ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলে যাবে। তারপর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংরক্ষিত হবে। কেননা ভোটের দিন জেলা থেকে উপজেলায় এগুলো পাঠানো সম্ভব হবে না। ভোটের দিনের জন্য মালামাল ও ব্যালট বাছাই করতে হয়। সেগুলো আগেই করতে হবে।
ব্যালট ও নির্বাচনী সামগ্রীর নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যালট পেপার নিরাপত্তা কীভাবে দেবে সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ঠিক করবে। নিরাপত্তার মাধ্যমে ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাবে। ইসি তো কোনো স্পেসিফিক বাহিনীকে বলে দেবে না, যে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। নিরাপত্তা বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সব নিরাপত্তা সামগ্রী পেয়ে গেছি। স্ট্যাম্পটা নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছায়নি। অন্যান্য সামগ্রী আগেই পৌঁছে গেছে। ২-৩ দিনের মধ্যে স্ট্যাম্প পৌঁছে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ি গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন এক স্কুলছাত্রী। ওই স্কুল ছাত্রীকে তার প্রেমিক বিয়ে না করলে প্রেমিকের বাড়িতে বসেই আত্মহত্যা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার টুপুরিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান মোল্লার ছেলে ইব্রাহিম মোল্লা (২৫) তার বাড়ির পাশের দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর সাথে ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছিল। এ সময় ইব্রাহিম মোল্লা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলে।
সম্প্রতি ইব্রাহিম মোল্লার পরিবার তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য অন্যত্র পাত্রী দেখে। এ খবর পাওয়ার পর ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই স্কুল ছাত্রী ইব্রাহিম মোল্লার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়।
ওই স্কুল ছাত্রী বলেন, গত ৩ বছর ধরে ইব্রাহিমের সাথে প্রেম করছি। এ সময় সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ইব্রাহিম আমাকে বিয়ে না করলে এই বাড়িতেই আমি আত্মহত্যা করবো।
ইব্রাহিম মোল্লার চাচি রাজিয়া বেগম বলেন, মেয়েটি ২ দিন ধরে আমাদের বাড়িতে অবস্থান করছে। তবে এই ২ দিনে সে কিছুই খায়নি। আমরা তাকে খাওয়ানোর অনেক চেষ্টা করেছি। এভাবে সে না খেয়ে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। আমরা মেয়ের বাবাকে বলেছি, তিনি যেন তার মেয়েকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।
ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বলেন, ইব্রাহিম মোল্লা যে কাজ করেছে তাতে সমাজে আমার মুখ দেখাবার অবস্থা নেই। আমি চাই ইব্রাহিম মোল্লাই আমার মেয়েকে বিয়ে করুক। আর সে বিয়ে না করলে আমি আইনের আশ্রয় নিবো।
ইব্রাহিম ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকছেদ আলী শেখ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি জেনে সামাজিক ভাবে ফয়সালার চেষ্টা করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
৩ হাজার ৫২৫ পিস ইয়াবাসহ ৩ নারী মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব। আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল ফ্লাইওভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মুছনী গ্রামের ইউনুছ এর মেয়ে জোছনা মনি (২১), কক্সবাজার সদর উপজেলার বাজারঘাটা গ্রামের মৃত জহির আহমেদের মেয়ে রিয়া মনি (২২), টেকনাফের আলিকালি গ্রামের মুত্তুল হোসেনের মেয়ে সায়মন জনি (২০)।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্প জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে কতিপয় মাদক কারবারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মহিপালস্থ ফ্লাইওভারের নীচে রাস্তার উপর ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। র্যাবের একটি দল ওইস্থানে উপস্থিত হওয়া মাত্রই র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ মাদক কারবারি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। র্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ, তল্লাশি করে ভ্যানিটি ব্যাগ ও শপিং ব্যাগের ভিতরে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত ১৮টি নীল রংয়ের পলিপ্যাকের ভেতর থেকে ৩ হাজার ৫শত ২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন সুকৌশলে ইয়াবা ট্যাবলেট কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্পমূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে ফেনীসহ আশেপাশের জেলার বিভিন্ন মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএসসি) নিয়োগ পরীক্ষায় সহকারী জজ পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাতজন শিক্ষার্থী। সারাদেশে মোট ১০৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তাদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও।
সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ফাতেমা জান্নাত, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের রুবাইয়া ইয়াসমিন, মারিয়া সুলতানা, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের সেলিনা শেলী, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ফারজানা ইভা, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আরিফ হোসেন এবং আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আসাদুজ্জামান নুর।
সহকারী জজ পদে সুপারিশপ্রাপ্ত সেলিনা শেলী বলেন, এই অনুভূতি যে কেমন, সেটা আমি বুঝাতে পারব না। সব থেকে বড় বিষয় হলো আমার বাবা-মাকে হাসাতে পেরেছি। আশপাশের সবাই যখন আমাকে নিয়ে গর্ব করছে, তখন অত্যন্ত ভালো লাগছে।
বিচারক হওয়ার স্বপ্ন ছিল না আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মারিয়ার। কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে অনেকের অনুপ্রেরণায় বিচারক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এবং সফলও হয়েছেন তিনি।
মারিয়া বলেন, আমি চতুর্থ বর্ষের শেষের দিকে পড়াশোনা শুরু করেছিলাম। এই অর্জনে অনেকের অবদান রয়েছে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া হয়তো এটা সম্ভব ছিল না। দোয়া রাখবেন যাতে জনগণের ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করতে পারি।