চলারপথে রিপোর্ট :
মামুনুল হকসহ সকল কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির দাবিতে নবীনগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থানা গেইটের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে মুফতি বেলায়েতুল্লাহ কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মেহেদী হাসান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম নবীনগর উপজেলার সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল কাঈয়্যুম ফারুকী, নবীনগর দাওয়াতুল হক পরিষদের সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা মাকবুল হোসাইন, মাওলানা ফোরকান উদ্দিন নবীপুরী, হাফেজ মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা মুমিনুল হক ভূইয়া, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা মোকতার হোসাইন আমিনী, মাওলানা ফরহাদ হোসাইন ফরিদী, মাওলানা আব্দুর রউফ, হাফেজ সাদ-উল্লাহ, মুফতি আবু সুফিয়ান, মাওলানা মোফাজ্জল, হাফেজ রাকিবুল ইসলাম তাজ, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, মোঃ নিয়ামুল হুদা, মাওলানা কাউছার, হাফেজ কামরুল ইসলাম, মাওলানা রবিউল্লাহ, মাওলানা খালিদ সায়ফুল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা আল্লামা মামুনুল হক সহ মাজলুম কারাবন্দি আলেমদের মুক্তির দাবি সহ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে পথচারী হাফেজ রেজাউল করিমকে নির্মমভাবে পিঠিয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান, অভিলম্বে অপরাধীদের কে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে হিতৈষী সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন প্রদত্ত জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, বার্ষিক মিলাদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূইয়া টিপুর সভাপতিত্বে ও অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মো. গোলাম কিবরিয়ার সঞ্চালণায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জমান মনির, উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মাও. মেহেদী হাসান, নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুবু আলম, নবীনগর সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ রেজাউল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহিন সরকার, শিবপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান এম আর মুজিব, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি আব্দুর রহমান, সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক প্রণয় কুমার ভদ্র পিন্টু।
এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অলিউর রহমান ভূঁইয়া, কলেজের অভিভাবক সদস্য আশরাফ হোসেন আকছির।
এ সময় বিদ্যোৎসাহী সদস্য সুবোধ চন্দ্র চৌধুরী, বিদ্যোৎসাহী সদস্য সোহরাওয়ার্দীন চৌধুরী, হিতৈষী সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন, দাতা সদস্য মহসিন সরকারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার হল রুমে আজ ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ১৩ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেন এবং তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাবি গুলো সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। দাবি গুলো কয়েকটি হলো-
(১) নবীনগর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেশ করে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে প্রত্যাহারের দাবি তুলেন একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
(২) এখন থেকে নবীনগর থানার ওসির অফিস রুম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস রুম ও ভূমি অফিসে বিনা প্রয়োজনে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় কোন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী ও কোন সাংবাদিক অবস্থান করতে পারবে না।
(৩) ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করে তাদের সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
(৪) নবীনগরের সকল সরকারি অফিস কে দালাল মুক্ত করতে হবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
(৫) জিপির নামে পরিবহণ সেক্টরের সকল চাঁদা বন্ধ করা সহ আরো অন্যান্য ১৩টি দাবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: ফারুক আহমেদ, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সালেহ আহমেদ তানভীর, নবীনগর থানার নবাগত ওসি আফজাল হোসেন, সমাজকর্মী ও সাংবাদিক বৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার থেকে লিজা নামের এক প্রসূতির এক নবজাতক গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
২১ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
লিজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার আলেয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী।
স্বজনদের দাবি, বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় লিজার গর্ভে দুটি সন্তান আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও সিজারিয়ান অপারেশনের পর তাকে একটি নবজাতক দেখানো হয়েছে।
লিজার স্বামী ফরহাদ আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রী প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হলে উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেসময় আলট্রাসনোগ্রাফিতে আমার স্ত্রীর গর্ভে দুটি সন্তান দেখা গেছে বলে জানান চিকিৎসকরা। সবশেষ ১৮ এপ্রিল করা আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে গর্ভে দুটি সন্তান আসে। আজ আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা ওঠে। যমজ শিশু গর্ভে থাকায় স্থানীয় চিকিৎসকরা ঝুঁকি না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে হাসপাতালে এনে সিজার করাতে পরামর্শ দেন।
‘দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে তাকে শহরের খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে ডা. নওরিন পারভেজ আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। ওই রিপোর্টেও দুটি সন্তান দেখা যায়। পরে তিনি নিজেই লিজাকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান, আমার স্ত্রী একটি কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর কোনো সন্তানের কথা তারা জানাতে পারেননি।’
ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, নবীনগরে আলট্রাসনোগ্রাফিতে দুটি সন্তানের কথা জানিয়েছে। এখানে তাদের চিকিৎসকও দুটি সন্তানের কথা জানান। তাহলে আমার আরেক সন্তান গেলো কোথায়?’
এ বিষয়ে খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক নওরিন পারভেজ বলেন, ‘আমি দুই জায়গায় হার্টবিট পেয়েছি। অনেক সময় আমাদের দেখা এবং অনুমানে ভুল হতে পারে। সে অনুযায়ী আমি রিপোর্ট দিয়েছি। তবে সিজারিয়ানে গর্ভে একটি সন্তান পাওয়া গেছে।’
হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মার্শাল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা রোগীর অভিভাবকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি এটা মেডিকেলের বিষয়। কিন্তু তারা চেঁচামেচি করে গরম করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে প্রশাসনকে ডেকেছি।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ নম্বর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেহাবুর রহমান বলেন, শিশুর বাবার অভিযোগ, আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে দুই শিশু ছিল। হাসপাতালের চিকিৎসকও আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে দুই শিশু দেখেছেন। কিন্তু সিজারে এক শিশু পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে বসতঘর থেকে দুই শিশু সন্তানসহ এক পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধার ॥ এলাকায় শোকের ছায়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় বসতঘর থেকে দুই শিশু সন্তানসহ এক পরিবারের চারজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৮ জুলাই রোববার বেলা ১১টার দিকে নবীনগর পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া চারজন হলেন- সোহাগ মিয়া (৩৫), তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ইসলাম (২৫), তাঁদের দুই শিশুসন্তান চার বছর বয়সী ফারিয়া আক্তার ও দুই বছর বয়সী ফাহিমা আক্তার। এদিকে একসঙ্গে পরিবারের চারজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ঘরে চারজনের লাশ পাওয়া নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তাঁদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। সোহাগ মিয়া বিজয়পাড়ার আমির মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহাগ মিয়া নবীনগরের নিউমার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে পৌর এলাকার বিজয়পাড়ায় বসবাস করতেন। মারা যাওয়া জান্নাতুল ইসলামের মা মনো বেগম সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে স্বাভাবিকভাবে সবাই ঘুমাতে যান। রোববার সকালে তাঁর মেয়ে, জামাতা ও নাতনিরা ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ হয় তাদের। তিনি ঘরের দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করতে থালেও ঘরের ভেতর থেকে কারও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না।
একপর্যায়ে পথচারী উজ্জ্বল মিয়ার সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে মেয়ে, দুই নাতনি ও জামাতার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বসতঘরে একই পরিবারের চারজনের লাশ ঝুলছে, এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য তাঁদের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। সিরাজুল ইসলাম বলেন, সোহাগ কাপড়ের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী, দুই সন্তানসহ তিনি এককভাবে নিজের পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করতেন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তাঁদের সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এক পরিবারের চার সদস্য ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ফুটবল একাডেমিকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে ব্যারিস্টার হাবিবুর রহমান হাবিব ফুটবল একাদশ।
আজ ১৭ জুন শনিবার বিকেলে উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন কালঘরা খেলার মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাবিবুর রহমানের আয়োজনে অর্ধলাখ দর্শকের সমাগমে টান টান উত্তেজনায় এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
খেলা উপভোগ করতে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় ব্যক্তি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে এক নজর দেখতে নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ধলাখ দর্শকের সমাগমে ম্যাচটি আরও উপভোগ্য হয়ে উঠে।
প্রীতি ফুটবল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডা. শফিকুর রহমান, রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন, এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি হাসান জাবেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামস আলম প্রমুখ।